বুধবার, ২২ মে, ২০১৩

স্বপ্ন গুলোকে বুকের মাঝে পুষছি

আজ হয়তো তুমি অন্য কারো ,
কারো বুকে মাথা রেখে সুখের
স্বপ্ন বুনছ , আর আমি তোমার আর আমার ভেঙে যাওয়া
স্বপ্ন গুলোকে বুকের মাঝে পুষছি , কারণ আমি এখন ও
পারিনি
তোমার মত করে ভুলে যেতে আমাদের স্বপ্ন গুলো ।
পারিনি
ভুলে যেতে তুমি নামের সেই অতীত টাকে ,
জানি না কোনদিন
পারবো কি না ।
এখন তোমার কথা ভাবতে গেলে বুকের মাঝে কেমন
যেন করে উঠে , একটা অজানা কষ্ট
আমাকে কিছুটা সময়ের
জন্য নীরব করে দেয় । তবুও চাই ভালো থেকো তুমি অন্য
কারো বুকেই সুখে থাক । আমি না হয় তোমার সুখ গুলো
দেখে বেঁচে থাকবো জীবনের বাঁকি দিন গুলো , তবুও
তোমার
মত মিথ্যে করে অন্য কাউ কে নাই বললাম ভালোবাসি
তোমায় ...

শুক্রবার, ১০ মে, ২০১৩

আমাকে একটু একা থাকতে দিবে???


একটি ছেলে আর একটি মেয়ে রিক্সায়
করে ঘুরতে বের হয়েছে......
ছেলেঃ তোমাকে কিছু কথা বলার ছিল।।
মেয়েঃ কি কথা??
ছেলেঃআমি জানি না কথা গুলো তুমি কি
মেয়েঃআরে বাবা এত না ভেবে বল
তো কি হয়েছে???
ছেলেঃ আমি আর পারছি না তোমার
সাথে মানিয়ে চলতে, অনেক
চেষ্টা করেছি,কিন্তু পারিনি আর
তাছাড়া আমি আর একজনকে এখন
ভালোবাসি।।
আমি আর তোমাকে ভালোবাসি না।।

ছেলেটা একনাগাড়ে সব
বলে ফেলল.........
মেয়েটি সব শুনে দুই মিনিট চুপ
করে রইল............
তারপর
মেয়েটা ছেলেটার গালে একটা kiss
দিয়ে বলল,
মেয়েঃআমি জানি আমার জন্য এত
ভালোবাসা ত্যাগ করে তুমি অন্য
কাউকে ভালবাসতে পারবে না,দুনিয়ার
যত
সুন্দর
মেয়েই হোক না কেন,সে তোমাকে যতই
ভালবাসুক
না কেন,তুমি আমাকে ছাড়া অন্য
কেউকে ভালবাসবে না।।অন্তত
তুমি আমায়
ছেড়ে যাবে না... কেন শুধু শুধু
এগুলো বলে আমায়
কাঁদাও,নিজেও কষ্ট পাও???
এই
বলে মেয়েটা ছেলেটিকে জড়িয়ে ধরে.....
ছেলেটা কিছু বলতে পারে না শুধু তার
চোখ
দিয়ে আনন্দ অশ্রু বেয়ে পড়ে মেয়েটির
গাল
ভিজিয়ে দেয়............ ¬...

বুধবার, ৮ মে, ২০১৩

এক মেয়ে, ছেলেকে বলল...


সবাই পড়ুন, ভালো লাগবেই 
এক মেয়ে, ছেলেকে বলল আমি যখন
তোমার পাশে থাকিনা তুমি আমাকে মিস
করো??
ছেলেঃ হা অবশ্যই করি
মেয়েঃকতটুকু??
ছেলেঃঅনেক
মেয়েঃআমাকে বল ঠিক কতটুকু??
ছেলেঃ ঠিক আছে, সোজা হয়ে বস, এখন
নিশ্বাস বন্ধ করো, মেয়ে নিশ্বাস বন্ধ
করলো
কিছুক্ষণ পর যখন সে দেখল মেয়ে আর
নিশ্বাস বন্ধ
করে রাখতে পারছেনা তখন সে বলল এখন
নিশ্বাস নাও!!
আর তুমি এই মুহূর্তে নিশ্বাস টা যতটুকু
মিস করেছ আমি তোমাকে ঠিক সেই
পরিমান মিস করি!!♥♥♥
আপনিও যদি কাউকে ঠিক এই পরিমান
মিস করেন এখন তাহলে লাইক দিন,
সে হতে পারে আপনার মা,বাবা, ভাই,
বোন অথবা প্রেমিক/প্রেমিকা♥♥ 

এক মেয়ে, ছেলেকে বলল

সবাই পড়ুন, ভালো লাগবেই 

এক মেয়ে, ছেলেকে বলল আমি যখন
তোমার পাশে থাকিনা তুমি আমাকে মিস
করো??
ছেলেঃ হা অবশ্যই করি
মেয়েঃকতটুকু??
ছেলেঃঅনেক
মেয়েঃআমাকে বল ঠিক কতটুকু??
ছেলেঃ ঠিক আছে, সোজা হয়ে বস, এখন
নিশ্বাস বন্ধ করো, মেয়ে নিশ্বাস বন্ধ
করলো
কিছুক্ষণ পর যখন সে দেখল মেয়ে আর
নিশ্বাস বন্ধ
করে রাখতে পারছেনা তখন সে বলল এখন
নিশ্বাস নাও!!
আর তুমি এই মুহূর্তে নিশ্বাস টা যতটুকু
মিস করেছ আমি তোমাকে ঠিক সেই
পরিমান মিস করি!!♥♥♥
আপনিও যদি কাউকে ঠিক এই পরিমান
মিস করেন এখন তাহলে লাইক দিন,
সে হতে পারে আপনার মা,বাবা, ভাই,
বোন অথবা প্রেমিক/প্রেমিকা♥♥ 

এক মেয়ে, ছেলেকে বলল

সবাই পড়ুন, ভালো লাগবেই 

এক মেয়ে, ছেলেকে বলল আমি যখন
তোমার পাশে থাকিনা তুমি আমাকে মিস
করো??
ছেলেঃ হা অবশ্যই করি
মেয়েঃকতটুকু??
ছেলেঃঅনেক
মেয়েঃআমাকে বল ঠিক কতটুকু??
ছেলেঃ ঠিক আছে, সোজা হয়ে বস, এখন
নিশ্বাস বন্ধ করো, মেয়ে নিশ্বাস বন্ধ
করলো
কিছুক্ষণ পর যখন সে দেখল মেয়ে আর
নিশ্বাস বন্ধ
করে রাখতে পারছেনা তখন সে বলল এখন
নিশ্বাস নাও!!
আর তুমি এই মুহূর্তে নিশ্বাস টা যতটুকু
মিস করেছ আমি তোমাকে ঠিক সেই
পরিমান মিস করি!!♥♥♥
আপনিও যদি কাউকে ঠিক এই পরিমান
মিস করেন এখন তাহলে লাইক দিন,
সে হতে পারে আপনার মা,বাবা, ভাই,
বোন অথবা প্রেমিক/প্রেমিকা♥♥ 

রবিবার, ৫ মে, ২০১৩

‘আমার জলেই টলমল করে আঁখি’


নিজের জলেই টলমল করে আঁখি,

তাই নিয়ে খুব বিব্রত হয়ে থাকি।
চেষ্টা করেও রাখতে পারি না ধরে-
ভয় হয় আহা, এই বুঝি যায় পড়ে।



এমনিই আছি নদীমাতৃক দেশে,
অশ্রুনদীর সংখ্যা বাড়াবো শেষে?
আমার গঙ্গা আমার চোখেই থাক্
আসুক গ্রীষ্ম মাটি-ফাটা বৈশাখ।

দোষ নেই যদি তখন যায় সে ঝরে,
ততদিন তাকে রাখতেই হবে ধরে।
সেই লক্ষেই প্রস্তুতি করে সারা,
লুকিয়েছিলাম গোপন অশ্রুধারা।

কিন্তু কবির বিধি যদি হন বাম,
কিছুতে পূর্ণ হয় না মনস্কাম।
মানুষ তো নয় চির-সংযমে সাধা,
তাই তো চোখের অশ্রু মানে না বাঁধা।

আমার জলেই টলমল করে আঁখি,
তোমার চোখের অশ্রু কোথায় রাখি।

শনিবার, ৪ মে, ২০১৩

ছেলেটার কি লজ্জা-শরম কিছুই নেই ?

রাত ১০টা। উত্তরবঙ্গে নভেম্বরের শীত ভালোই জেঁকে বসেছে। এই হিম ঠাণ্ডায় পড়তে বসতে কারইবা মন চায়, কিন্তু কিছু করার নেই। কাল একটা পরীক্ষা আছে, তাড়াতাড়ি পড়া শেষ করতে হবে। বইটা চোখের সামনে থেকে সরিয়ে একটা হাই তুলে মোবাইলটা হাতে নিতেই বিরক্তিতে চোখ কুঁচকে যায় দীপার। ইফতি আবারও ফোন দিয়েছে । ছেলেটার কি লজ্জা-শরম কিছুই নেই ?! এতো বার মানা করার পরও কিসের আশায় যে ও বার বার ফোন দেয়, কিছুতেই সেটা মাথায় ঢোকে না দীপার। নাহ, এর একটা বিহিত করতেই হবে। তিনবারের বার ফোনটা ধরল দীপা। -হ্যালো -(কিছুক্ষণ চুপ থেকে)….কেমন আছো দীপা ? -আমি তোমাকে অসংখ্য বার বলেছি তুমি আমাকে ফোন দিবা না, তার পরও তুমি ফোন দাও কোন সাহসে? আচ্ছা, তোমার বাপ-মা কি তোমাকে ভদ্রতা শেখায়নি? কী চাও এখন তুমি আমার কাছে আর ? -দীপা...দীপা...আমি….একটা কথা শোন...শুধু একটা কথা...... -আমি তোমার কোনও কথাই শুনবো না ইফতি,আমি জানি তুমি কী বলবা...আমার জীবনটা জ্বালিয়ে শেষ করে দিয়েছ তুমি, এরপরও আবার আমার সামনে কথা বলতে আসো…? -দীপা, আমি খুব অসুস্থ... -সেটা তুমি তোমার বাপ-মা কে গিয়ে বল, যাও ! তুমি তো সারা বছরই অসুস্থ থাকো, তাই না ? তোমার মতো বেশরম বেয়াদব ছেলে আমি কখনও দেখিনি...রাখ্ হারামজাদা, তুই ফোন রাখ্ ! আর একবার আমাকে ফোন দিয়ে দেখিস আমি তোর কী করি। লাই দিতে দিতে মাথায় উঠছিস,তাই না ? রাখ্, ফোন রাখ্ হারামজাদা……. অপ্রকৃতস্থের মতো চিৎকার করতে করতে ফোনের লাইনটা কেটে দেয় দীপা। অপর প্রান্তে স্তব্ধ হয়ে বসে থাকে ইফতি। ঝাপসা চোখে মোবাইলের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে বিশ্বাস হতে চায় না যে এই দীপাই ওর সেই পুরনো দীপা। দীপা তো ঠিকই বলেছে। বেহায়া-বেশরম না হলে কি আর ও ৭ বছরের পুরনো ধুলো পড়া সম্পর্কের দাবি নিয়ে আবারো দীপাকে ফোন দিতে পারতো ? কত সহজে দীপা পেরেছে ওদের সেই সব হাসিমাখা দিনগুলোকে হাসিমুখে কবর দিয়ে সুজয়ের জন্য জীবনকে প্রস্তুত করতে। অথচ ইফতির জীবন ? ও কেন পারে না এভাবে অবলীলায় সব ভুলে যেতে ? জীবনের কথা ভাবতে গিয়ে বরং হাসিই পায় ইফতির। কেউ জানে না। কাউকে বলেইনি ও। ল্যাব-এইডের ডাক্তার আশরাফ যখন ওর সিটি-স্ক্যান রিপোর্ট হাতে নিয়ে বিস্ময় মাখা গলায় জিজ্ঞেস করেছিলেন-“আপনার উপর দিয়ে কি অসম্ভব মানসিক অত্যাচার চালানো হয়েছে ?!”, তখন কিছুই বলার ছিল না ইফতির। ডাক্তার পই পই করে বলে দিয়েছে যেন দেরি না করে ও ভারতে গিয়ে অপারেশনটা করে ফেলে। সুবোধ বালকের মতো মাথা নেড়ে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে আবর্জনার স্তূপে রিপোর্টটা ফেলে দিয়ে বাড়ি ফিরেছে ইফতি। এক দিক দিয়ে তো ভালোই হল। আস্তে আস্তে জীবন শেষ, তো আস্তে আস্তে কষ্টও শেষ । খালি খালি মানুষকে ব্যাতিব্যস্ত করার কী দরকার ? অনাগত সুখের সময়টার কথা ভাবতে ইফতির ভালোই লাগে। একটা সিগারেট ধরিয়ে বারান্দায় দারিয়ে আকাশে ইতিউতি তাকিয়ে চাঁদটা খোঁজে ইফতি। আনমনে আকাশের দিকে তাকিয়ে ঠিক করে, আর ফোন দেবে না দীপাকে। পুরনো স্মৃতিগুলো মাঝে মাঝে বুকের মধ্যে পিষ্ট হতে হতে অসহনীয় হয়ে পরে। কোনও ভালবাসা ছোঁওয়া পেতে নয়, কেবল দীপার কাছ থেকে একটু ভালো ব্যবহার পাওয়ার আশা নিয়ে আবারও ছুটে এসেছিলো ও। কিন্তু এখনকার সাজানো সংসারে দমকা হাওয়ার পরশ পেলে দীপাইবা ছেড়ে কথা কইবে কেন ? কুকুর বিড়ালের মতো তাড়িয়ে দিয়ে তো দীপা ঠিকই করেছে। কে যেন বুকের ভেতর থেকে চিৎকার করে ওঠে – “দীপার এখন আর কি কিছুই মনে পরে না ?!” অসঙ্গায়িত প্রশ্নটাকে পাত্তা না দিয়ে ইফতি গুনগুন করে দীপার সেই প্রিয় গানটা গেয়ে ওঠে ‘বুলবুল পাখি ময়না টিয়ে, আয় না যা না গান শুনিয়ে দূর দূর দেশের গান, নীল নীল নদের গান দুধ ভাত দেব সন্দেশ মাখিয়ে............’ আস্তে আস্তে চোখ বুজে আসে ইফতির। ওর মুখে তখন এক আশ্চর্য প্রশান্তির হাসি। ঠিক এমন সময় ওদিকে দীপা বইটা বন্ধ করে ফেসবুকে বসেছে। এতক্ষণে সুজয় নিশ্চয়ই ফেসবুকে ঢুকে দীপার খোঁজ করছে। লগ-ইন করার সাথে সাথে পেয়েও গেল সুজয়কে। -হাই ! -হ্যালো, কেমন আছো ? -এইতো ভালো, তোমার কী অবস্থা ? -আমিও ভালো। আরাম করে বিছানায় শরীর এলিয়ে সুজয়ের সাথে চ্যাট করায় মগ্ন হয়ে পরে দীপা। ইফতির কথা আর মনেই থাকে না। আরে, এসব তুচ্ছ থেকেও তুচ্ছতর ব্যাপারে মন খারাপ করলে কি আর চলে ? -------------------------------------------------------------------------- (এই ঘটনার মাস ছ’য়েক পর একদিন কাউকে কিছু না জানিয়ে চুপচাপ মারা যায় ইফতি। ইফতি চেয়েছিল দীপা যেন কিছুতেই জানতে না পারে ওর চলে যাওয়ার কথা। তার ড্রয়ারে পাওয়া অসংখ্য ঠিকানাবিহীন চিঠিতে বার বার করে উল্লেখ ছিল সে কথা। তার কথা রাখা হয়েছে। দীপাকে জানানো হয় নি। সবচেয়ে মজার কথা হল – দীপা নিজেই কোনোদিন জানতেই চায়নি। )

সৌন্দর্য্য কি?

সৌন্দর্য্য কি? এটা কি কতিপয় ছেলে-মেয়ের কেনা সম্পত্তি? যারা হয়তোবা নিজেকে সুন্দর বলার কিংবা তথাকথিতি সৌন্দর্যকে টাকা দিয়ে কিনবার সামর্থ্য দেখিয়ে বেড়ায়? আজকাল সব জায়গায় দেখি, পাত্র বা পাত্রী চাই বিজ্ঞাপন যেখানে বড় বড় করে লেখা থাকে “সুন্দরী (প্রায় 6 ফুট উচ্চতার সুশ্রী পাত্র চাই। যোগাযোগ করুন।” কিংবা, শিক্ষিত ইন্জিনিয়ার পাত্রের জন্য সুন্দর, ফর্সা (আলাদা করে লিখে দেয়া হয় যেন কালোরা সুন্দর নয়!) পাত্রী চাই। আমরা য আমেরিকা কে বর্ণ্ বাদী বলি, নিজেরা কি বর্ণবাদ প্রশ্রয় দিচ্ছি না? আবার দেখে মনে হয় পাত্র আমেরিকায় দু পা দিয়ে বসে আছে বিয়ে করা মাত্র নিয়ে যাবে। এছাড়া আরো কতো কিছু চোখে পড়ে। অনেকে আবার বাড়ি গাড়ির ফিরিস্তি দেন। ছেলে বা মেয়ের একটু খুত থাকলে যেন গাড়ির লোভে হলেও তাদের বিয়ে হয়। ব্যাপারটার জন্য সমাজ দায়ী অনেকটা। একজন ডিভোর্সি মেয়ে বা ছেলের কি নতুন করে জীবন শুরু করার অধিকার নেই? আজ আমরা যদি তাদের আলাদা করে না দেখে স্বাভাবিকভাবে দেখতাম তাহলে গাড়ী বাড়ির প্রলোভন দেখানোর দরকার পড়ত না। মাঝে মাঝে মনে হয়, এরা গাড়ীকে না পাত্র-পাত্রীকে বিয়ে করে? কিংবা চামড়ার রং আর কয়েকটা কাগজের টুকরার কাছে শিক্ষাটা নিতান্তই ক্ষুদ্র হয়ে যায়? এমনটা করে আমরা যে কি করছি নিজেরাই জানিনা। পরোক্ষভাবে আমরা লোভকে প্রশ্রয় দিচ্ছি এর ফলে মেয়েদের ক্ষেত্রে যৌতুকজনিত নির্যাতন বাড়ে। এমনকি ছোট ছোট ছেলেমেয়েগুলোর মধ্যে কথিত সৌন্দর্যের কনসেপশন ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে। কিন্তু সত্যিকার অর্থে তাদের চেনানো হচ্ছেনা। 15-20 বছর পর মুখের লাবন্য যখন উড়ে যাবে তখন এই মানুষগুলোই বুঝবে একটি সংসার চালাতে যতটা না সৌন্দর্য প্রয়োজন তার থেকে বেশী সহনশীলতা, শিক্ষা আর একটা ভালো পরিবার দরকার। টাকা দিয়ে সঙ্গ কেনা যেতে পারে সত্যিকার সাথীকে মন দিয়ে কিনে নিতে হয়। ভালোবাসা মানে অনেক টাকা, ফর্সা চেহারা , তথা কথিত কিউটনেস নয়। কাউকে ভালোবাসি বলে সে শুধু আমার, অন্য কারো তার উপর কোন অধিকার নেই, মনের খাচায় বন্দি করে রাখবো এমনটাও না।ভালোবাসা ব্যবহারে। যাকে ভালোবাসেন তার কাছে যেটা ভালো, সেটাকে মন থেকে গ্রহণ করাই ভালোবাসা। কেউ কাউকে মনের দামী জায়গাটুকু দেয় না। নিজেকেই করে নিতে হয়।

বুধবার, ১ মে, ২০১৩

জোকস,

     


তোমার দেয়া সেই কলমের কালি হয়তো শেষ হয়ে যাবে……
তোমার দেয়া শার্টটা হয়তো ছিড়ে যাবে………

তোমার দেয়া সবকিছু হয়তো একদিন নষ্ট হয়ে যাবে……

কিন্তু সৃষ্টিকর্তার দেয়া সেই তুমি…
যা কখনো আমার কাছে শেষ হবে না……

জোকস,

মেয়েঃ লান্ঞ্চ করেছো সোনা?

ছেলেঃ লান্ঞ্চ করেছো সোনা? .
.
.
মেয়েঃ ওই, আমি আগে তোমাকে জিজ্ঞেস
করেছি!!

ছেলেঃ ওই, আমি আগে তোমাকে জিজ্ঞেস
করেছি!!
.
.
.
মেয়েঃ ধুর ছাতা মাথা!
তুমি কি আমাকে কপি করতেছো?

ছেলেঃ ধুর ছাতা মাথা!
তুমি কি আমাকে কপি করতেছো?
.
.
.
মেয়েঃ আমার মেজাজ খারাপ কইরো না বলে দিলাম।!!

ছেলেঃ আমার মেজাজ খারাপ কইরো না বলে দিলাম।!!
.
.
.
মেয়েঃ ok…চলো শপিং করতে যাই।
.
.
.
.
.
.
ছেলেঃ আমি লান্ঞ্চ করেছি। 

প্রেমের কবিতা

তুমি ছিলে কাল রাতে জ্যোৎসনার সাথী.....

নিয়ে ছিলে মন খানি দিয়ে দু টি আঁখি........

হাত রেখে দু টি হাতে,দিয়ে ছিলে কথা.......

এ জীবনে মোর প্রাণে দিবে নাকো ব্যাথা.....

সব কথা ভুলে আজ তুমি চলে গেলে.......

৩ জন তরুণী এক ছেলেকে প্রপোজ করলো...


৩ জন তরুণী এক ছেলেকে প্রপোজ করলো...

তাকে এর মধ্যে থেকে একজন কে বেছে নিতে হবে। সে তাদের কে ২০০০০ টাকা খরচ করতে দিয়ে পরীক্ষা করলো। 

প্রথম মেয়ে পারসোনাতে স্পা করাতে চলে গেল!! এরপর সেখানে চুল ভ্রু মেকাপ করে আসলো যাতে ছেলেটিকে ইমপ্রেস করতে পারে!!!

২য় মেয়ে কিছু দামি সার্ট টাই আর পারফিউম কিনে ছেলেকে দিয়ে বলল আমি চাই তোমাকে সুন্দর লাগুক!!

আর ...

৩য় জন সেই টাকা শেয়ার বাজারে সালমান এফ রহমানের পরামর্শ নিয়ে বিনিয়োগ করলো আর প্রচুর পরিমানে লাভ নিয়ে ছেলেকে তার ২০০০০ টাকা ফেরত দিয়ে বলল এই বাকি লাভের সব টাকা আমাদের ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য!!!

শেষ পর্যন্ত ছেলে কাকে বাছাই করলো বলেন তো???
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.

সবচে সুন্দর টা

শুধু তোমার জন্য অপেক্ষা।

শুধু তোমার জন্য অপেক্ষা।
পেলে করবেনা আমায় নিরাশা,
বন্ধু হিসেবে না দেখলেও,
শত্রু হিসেবে হলেও আমায় একটু ভাবো.........।

মিষ্টি করে না ডাকলেও,
রেগে আমায় ডাকো......।

ভালো আমায় না বাসলেও ,
ঘৃণা টুকু করো.........।

তাতেই আমি ভাববো ,তুমি আমায় মনে তো করো। সেটা ভালবাসা হোক বা ঘৃণা হোক। তোমার জন্যই আমার ভালবাসা।
যদিও তুমি আমায় আর বাসবে না ভালো........... .... চলে যাবে অনেক দুরে.........আর হয়তো তোমাকে ধরে রাখতে পারব না.........কিন্তু তারপর ও ভালবেসে যাবো..................

সময় যেনো কাটে না



সময় যেনো কাটে না/ বড় একা একা লাগে... – মুঠোফোন কল টোন। কল কেটে দিয়ে ফিরতি কল।
নীলা: হ্যালো।
রানা: হ্যাঁ বলো, কী খবর?
নীলা: আমার টোনাটা কেমন আছেরেএএএ?
রানা: ভালো। টুনিটা?
নীলা: টুনিটাও ভালো আছে। কী করো?
রানা: এইতো, হাতি-ঘোড়া মারছি বসে বসে! তুমি কী করছো?
নীলা: এইমাত্র ফিরলাম কোচিং থেকে [ভার্সিটি এডমিন]। শুয়ে আছি এখন। তিনটা বাজে- বাসায় যাওনি এখনও?
রানা: এই সেরেছে! যাবো, যাবো। এই একটু পরেই যাচ্ছি। কাজ ছিলো একটু।
নীলা: কাজ না ঘোড়ার ডিম! এখনই বাসায় যাবা। গিয়ে গোসল সেরে, খাওয়া-দাওয়া করে করে, রেস্ট নিয়ে তারপর বিকেলে বের হবা।
রানা: ঠিকাছে, ঠিকাছে; জো হুকুম মহারানী। মাঝে মাঝে ভাবি, তুমি না থাকলে যে আমার কী হতো!
নীলা: এইতো গুডু বয়। হিঃ হিঃ...
রানা: দেখতে হবে! থেংকু।
নীলা: তুমি কিন্তু আমাকে একটুও ভালোবাসো না!
রানা: কয় কী! কেডা কইছে!
নীলা: বুঝি, বুঝি!
রানা: হু, বলছে তোমারে!
নীলা: ভালোবাসো?
রানা: আবার জিগায়!
নীলা: কতোটুকু ভালবাসো?
রানা: এই যে, এত্তো এত্তো।
নীলা: আমিও তোমাকে অনেক অ-নে-ক ভালোবাসি। একটি মুহূর্তও কল্পনা করতে পারি না তোমাকে ছাড়া... বিপ বিপ শব্দে কথা বলতে বলতেই মুঠোফোনটা চোখের সামনে এনে একপলক দেখে নীলা। দিহান ফোন করেছে। অপেক্ষামানে আছে। দেখে বলে, রাখি এখন তাহলে। বিকেলে কথা হবে। বাই। উম্মাহ...
#
বালিকা বালকের স্বপ্ন দেখার অনুপ্রেরণা। বালক খবরও রাখে না, বিশ্বাসে তার হায়েনার বাস। দিন বদলাইছে। প্রেম প্রেম আজ পাজল খেলা; ভাঙ্গা-গড়া সারাবেলা– অত্যাধুনিকতার দাপটে।
অচিরেই তার বোধোদয় হবে আশা করা যায় ছাঁচে পড়ে।
*
কুরবান হুয়া, তেরে ইশকে মে... – মুঠোফোন রিং টোন। কল কেটে ফিরতি কল প্রেরণ।
নীলা: হ্যাল্লোও!
দিহান: হ্যালো। কেমন আছো টিয়া পাখি?
নীলা: হিঃ হিঃ... ভালো আছি। তুমি কেমন আছো?
দিহান: আমিও ভালো আছি। একটু আগে ফোন দিছিলাম। ব্যস্ত পেলাম।
নীলা: ছোট খালামণি ফোন দিছিলো।
দিহান: হুম। কোচিংয়ে আসছো আগামীকাল?
নীলা: হ্যাঁ, যাবো।
দিহান: আসো, মজা হবে খুব আগামীকাল... বিপ বিপ শব্দে মুঠোফোন স্কিনে তাকায় দিহান। দিশা ওয়েটিং। দেখে বলে, এই শোনো, ভাইয়া ফোন করেছে; রাখি এখন। দেখা হচ্ছে কোচিংয়ে। রাখি, বাই।
নীলা: বাই। উম্মাআ...
দিহান: উমমুআআআ...হ! বাই।
#
বালিকা জানে, সমঝোতা–বিশ্বাস–দায়বদ্ধতা, ওসব কেতাবী বুলি, মুখের কথা! আর যাই হোক– কেতাবী কথায় জীবন আর সমাজ চলে না।
দুই দিনের দুনিয়া। কী আছে জীবনে!
*
দিহান: হ্যালো, দিশা?
দিশা: এতোক্ষণ কোন মেয়ের সাথে বলছিলা, সেটা আগে বলো!
দিহান: আরে নাহ্! ছোট কাক্কু ফোন করছিলো। তার সাথেই কথা বলছিলাম।
দিশা: মিথ্যা কথা! কোন্ মেয়ের সাথে প্রেম করছিলা তাই বলো।
দিহান: ধ্যত্তেরি, এসব কী বলো! আমি কী ওমন নাকী!
দিশা: আহ্হা, কচি খোকা যেনো!
দিহান: ছোট কাক্কুর সাথেই কথা বলছিলাম। সত্যি। এই শোনো আজ কী হয়েছে...
#
বালক জানে, এ তারুণ্যের আবাহন; 

ভালোবাসার টিপস,

মেয়েদের কিছু কথা ;
যা ছেলেদের
জেনে রাখা ভালো :
১.মেয়েরা অবশ্যই আবেগ প্রবণ .. ( ৯৯%
মেয়ে)
২.যখন কোনো মেয়ে বলবে তার মন খারাপ -
কিন্তু সে কাদছে না, তখন
তাকে বোঝার চেস্টা করুন , সময় দিন..
কিন্তু প্রায় প্রায় এ এহেন কথা-
বার্তা বললে ন্যাকামি বা extra care
পেতে চায়- বুঝে নিন.
৩.যদি আপনার কোনো ভুল এর
কারণে মেয়েটি আপনাকে এড়িয়ে চলে বুঝেন
তবে মেয়েটিকে কখনই জোর পূর্বক কিছু
বলতে বা করতে যাবেন না;
বরং মেয়েটিকে অল্প কিছুদিন তার মতন
থাকতে দিন, সময় দিন !আর এতে সময় এই
জন্য দিবেন যেন আপনার
ক্ষমা চাওয়াটা তার ভেতর পর্যন্ত পৌঁছায়!
৪. একটি মেয়ে মন
থেকে যদি কাওকে ভালবাসে তাহলে কখনই
তাকে ভুলতে পারে না এবং hate
করতে পারে না! ( যদি পরবর্তী তে সম্পর্ক
নাও থাকে তাও এই
বাণী সত্য )
৫.একটা মেয়ে জীবনে যত কিছুই
করে না কেন,তার মানুষিক চিন্তা -
চেতনায় শুধু
একজন ই থাকে ,যাকে সে ভালবাসে !
৬.এক টা মেয়ে সব কিছু
ভুলে যেতে পারে শুধু তার ভালবাসার
মানুষের একটু
হাসির জন্য ,শুধু একটু খানি চোখে চোখ
রেখে তার চোখের ভাষা বুঝার
চেস্টা করুন ..!
৭.মেয়েরা সবসময় তার প্রিয় মানুষের কাছ
থেকে নিজের প্রশংসা শুনতে চায়..কিন্তু
তাদের প্রতিক্রিয়া সবসময় এক রকম নাও
হতে পারে!
৮.যখন একটা ছেলে একটা মেয়ের
সাথে নিয়মিত FLIRT করে তখন ,কম হোক আর
বেশি হোক
মেয়েটা ছেলেটাকে নিয়ে ভাবা শুরু
করে !!!! ( খুকখুক :D রিয়াদ ভাই -
ইহা আপনার জন্য )
৯.মেয়েরা নিজেদেরঅনুভূতি , গান,
কবিতা এক কথায় প্রিয় শখ -সব কিছুই
ভালবাসার মানুষের সাথে share
করতে বেশি পছন্দ করে, এইসব থেকেই
আপনি সহজেই তাকে বুঝে নিতে পারেন ..!
১০.কিছু মেয়ে হয়ত বাইরের সৌন্দর্য
দেখে, মেধা status অতিরিক্ত প্রাধান্য
দেয়..,কিন্তু সেইসব মেয়েই
বেশি যারা চায় এমন একজন জীবন
সঙ্গী যে তাকে সব- সময়
ভালো বাসবে এবং সুখী রাখবে

পা দিয়ে ভালবাসার ক্লাশ নাইনে,

পা দিয়ে ভালবাসার ক্লাশ নাইনে,
জানলাম অজ্ঞ আমি ভালবাসার বিজ্ঞানে।
খুলে বসলাম ভালবাসার হিসাববিজ্ঞান,
নইত আমি এই বিষয়ে ততটা বিদ্বান।

একটি ছেলে শিখাতে এল ভালবাসার লেনদেন,
তাতেই শুরু আমার চিরাচরিত ঘ্যান ঘ্যান।
আমার কাছে করল প্রেমপত্র দাখিল,
প্রতাখ্যান করে তা করলাম বাতিল।

অযথা আমাকে দেখিয়ে তার প্রেমের জাবেদা,
আজাইরা সময় নষ্ট করত বেহুদা।
দিতে চাইত মন জমা আমার মনের ব্যাংকে,
জমা নেইনি,ভুল ছিল তার ভালবাসার অংকে।

হৃদয়খানি ঋণ চাইলে ফিরাতাম খালি হাতে,
মনের লেনদেন করতে ইচ্ছুক না তার সাথে।
ভালবাসার হিসেব কষে করত খতিয়ান,
এটাও তার শুদ্ধ কিনা তাতে সন্দিহান।

মনের ব্যাংক একদিন তাই করে দিলাম বন্ধ,
কমার্সিয়াল ভালবাসাতে আমি বড়ই অন্ধ।

সে আমার না বলা ভালোবাসা।

নুহাসের মন খারাপ। আবারো সে ঘরে বকা খেয়েছে। ওর কাছে ঘরে থাকাটা এখন নরকে বসবাসের সামিল। বের হয়ে গেলো ঘর থেকে। গলিতে হাঁটাহাঁটি করছিলো সে। ও মনে মনে নিজেকে হিমু ভাবতেছিল। ওর নিজেকে হিমু ভাবতে খুব ভালো লাগে। হাজারো চিন্তার মাঝে হটাত পিছন থেকে কেউ একজন ডেকে উঠলো নুহাসকে------
-এই যে শুনুন
-জি বলুন
-এই বাসাটা কোথায় বলতে পারেন?(নুহাসের হাতে একটা এড্রেস ধরিয়ে দিয়ে)
-জি। এটাতো সোহরাব আঙ্কেলের বাসা।
-জি। একটু বাসাটা দেখিয়ে দিবেন আমাকে প্লিজ অনেকক্ষণ থেকে খুঁজছি।
-আচ্ছা ঠিক আছে আপনি আসুন আমার সাথে।
-জি চলুন।
-এই তো এই বাসাটার ২য় তলার ডান পার্সনটা।

মেয়েটা হন হন করে চলে গেল নুহাসকে ধন্যবাদটা পর্যন্ত দিলো না। একশ একটা গালি দিলো সে মেয়েটাকে মনে মনে। সে আজকে হাঁটবে বলে ঠিক করেছিলো,নিজেকে হিমু ভাবতে নুহাসের খুব ভালো লাগে আজকাল। হিমুর সঙ্গে সে নিজের তফাৎ খুঁজতে শুরু করে পথমধ্যে। কিন্তু ওর ভাবনা অন্য দিকে চলে যায়। ও এখন একটু আগে দেখা মেয়েটিকে নিয়ে ভাবতেছিল। কি করে হটাত তার ভাবনার ভুবনটা জুড়ে মেয়েটা আসলো সে জানে না। ক্ষণিকের দেখা থেকে ভালো লাগার সৃষ্টি হয়। আর সে মানুষটা তখন অন্যের ভাবনার জগতে কিছুক্ষণের জন্য চলে আসে। নুহাস হটাত খেয়াল করলো সে বাসা থেকে অনেকদূর চলে এসেছে হাঁটতে হাঁটতে। ঘরে ফিরতে হবে কারণ এই দুনিয়াতে ঐটাই তার শেষ আশ্রয়স্থল।

ঘরে ফিরে নুহাস নিজের ঘরে চলে গেলো। পিসিতে গান ছেড়ে ঘর অন্ধকার করে বিছানায় শুয়ে আছে সে। আজ তার মার কথা মনে পড়তেছে। কত দিন মায়ের সাথে কথা হয় না তার। নুহাস অন্য জগতে চলে গেলো।
-খোকা কি করছিস রে? ঘুমিয়ে গেসস?
-না মা। ঘুম আসছে না। তুমি মাথায় হাত বুলিয়ে দাও
-আচ্ছা খোকা দিচ্ছি তুই ঘুমা।
-মা ,তুমি একা কেনো চলে গেলে আমাকে রেখে।
-খোকা যাওয়ার সময় হলে যে সবার যেতে হয়।
-আমিও আসবো মা তোমার সাথে দেখা করতে?
-না খোকা তোর যে এখনো সময় হয় নাই। তোর অনেক কাজ বাকি।
-
-কাঁদছিস কেন খোকা?
-মাগো তুমি চোখের জল আঁচল দিয়ে মুছে দিবে বলে। কতদিন তোমার আঁচলের স্পর্শ পাই না।

নুহাসের ঘুম ভেঙ্গে গেলো। ওর পিসিতে গান বাজছিল রুমির মা গানটা:-
''মায়েরই মুখ দেখে দুঃখ ভুলি
মায়েরই আঁচলে জীবন গুজি।''

নুহাসের মন খারাপ হয়ে গেলো। ওর মা মারা গেছেন ৫ মাস হল। নুহাসের বাবা অনেক টাকা খরচ করেছেন নিজের স্ত্রীকে বাঁচানোর জন্য। টাকা দিয়ে তো আর জীবন কিনা যায় না। কেন্সার কেড়ে নিলো নুহাসের মাথার উপরের ছায়াকে।

নুহাসের ১টা বন্ধু এসে ডাকাডাকি করছে। নুহাস বন্ধুটিকে নিয়ে ছাদে চলে গেলো। অনেক কথা-বার্তা হল তাদের মাঝে। পড়ন্ত বিকাল যখন আসলো তখন নুহাসের চোখ গেলো সোহরাব আঙ্কেলের চাঁদের দিকে কেউ একজন হাত নাড়ছে তাদের দিকে বুঝতে পারলো। নুহাস চশমাটা পরে নিলো বুক পকেট থেকে বের করে। আরে এতো সেই দিনের সেই মেয়েটি। নুহাস হাত নেড়ে সাড়া দিলো।

২-১ দিন পর এক বিকেল বেলায় গলিতে আবার দেখা হল মেয়েটির সাথে।

-এই যে ভাইয়া
-জি(নুহাস একটু ততমত খেয়ে গেলো)
-গতদিন আপনাকে ধন্যবাদ জানাতে ভুলে গিয়েছিলাম। গতদিনের জন্য ধন্যবাদ।
-(নুহাস এইবার আবেগময় কণ্ঠেই বলল) ঐটা একটা দায়িত্ব ছিল। বিপদে পড়া একজনকে সাহায্য করা।
-বাহ তাই বুঝি। আপনি খুব পরোপকারী?
-পরোপকারী কিনা বলতে পারবো না তবে বিপদ দেখলে মানুষকে সাহায্য করি।
-তাই ভালো? আপনার মোবাইলটা দেন দেখি পরোপকারী?
-কেন?
-আরে দেন না? ভয় পাবেন না আমি মোবাইল ডাকাতি করতেছি না?

নুহাস ইতস্তত করতেছিল মোবাইলটা পকেট থেকে হাতে নিয়ে দিবে কি না?
মেয়েটা মোবাইলটা নিল নুহাসের হাত থেকে কিছু বলার আগে এবং একটা নাম্বার সেভ করে নুহাসের হাতে ১০০ টাকা ধরিয়ে দিয়ে বলল ১০০ টাকা ফেক্সিলোড করতে। মেয়েটি কারণ দর্শাল যে, গলির আশেপাশের সব দোকান বন্ধ।

-আপনি অপরিচিত মানুষকে ফোন নাম্বার দিয়ে দিলেন?
-না আমি পরিচিত মানুষকেই নাম্বার দিছি। যিনি একজন স্ব-ঘোষিত পরোপকারী। ফেক্সিলোডটা করে দিয়েন। টা টা কৃতজ্ঞ থাকবো পরোপকারী।

নুহাস তাকিয়ে থেকে ওর চলে যাওয়া দেখল। যাওয়ার সময় মেয়েটা একবার রহস্যময় হাসি নিয়ে পিছনে থাকালো। নুহাস সাথে সাথে চোখটা সরিয়ে নিল। নুহাস হাঁটা শুরু করল উদ্দেশ্য ফ্লেক্সির দোকান খুঁজে বের করা। অনেকটা পথ হাঁটতে হাঁটতে একটা ফ্লেক্সির দোকান পেয়ে গেলো। ফ্লেক্সি যখন দিবে তখন তার মাথায় আসলো যে ফোন করার জন্য একটা উপায় বের করতে হবে। ও ৫০ টাকা ফ্লেক্সি দিলো, বাকি ৫০ টাকা নিজের কাছে রেখে দিলো। ঐ ১০০ টাকার নোটটি নিজের কাছে রেখে দিলো নুহাস।

বাসায় এসে চিন্তা করতেছে মেয়েটাকে ফোন দিবে কিনা? বারবার ফোনটা হাতে নিয়ে কল দিতে চেয়েও দিতে পারলো না সে। অবশেষে যা হবার হবে ভেবে ফোন দিয়ে দিলো।
-হ্যালো
-হ্যালো। আমি নুহাস।
-ও কেমন আছেন?
-ভালো তুমি সরি আপনি?
-তুমিটাই ভালো কি বলেন?
-হম? কেমন আছেন সরি কেমন আছো?
-হিহিহিহি, আমি ভালো আছি। কিন্তু রাগান্বিত?
-আমার উপরে?
-না তোমার মত দেখতে একটা ভূতের উপরে।
-আমি দেখতে ভূতের মত?
-হম, ভূতের চেয়েও বাজে দেখতে তুমি।
-তুমি কি পেত্নি?
-না আমি পরি।
-তুমি টয়লেট পরি।
-ছি তোমার ভাষা কি বাজে। অবশ্য ভূতের কাছ থেকে এর চেয়ে বেশি কিবা আশা করতে পারি আমি?
-সত্য কথা ভালো লাগে না বুঝি?
-মশাই আমি জানি আমি দেখতে পরির মত।
-ও কথা বল না। পেত্নিরা আড়ালে মুচকি হাসে যে।
-ঐ শালা ফোন রাখ কুত্তা।
-সত্য কথার দাম নাই আবারো প্রমাণিত।
-যা ভাগ তুই কোথাকার কোন সত্যবাদী।

ফোনের অপর প্রান্ত নিশ্চুপ হয়ে গেলো। নুহাসের হার্ট এখনও অনেক বেশি করে লাফাচ্ছে। মনে মনে নিজেকে হাজারো একটা গালি দিলো সে কি করেছে এটা। ফোন দিল এক কারণে আর অন্য লাইনে কথা বলে দিলো নিজের বারোটা বাজিয়ে। গালি পর্ব শেষ করে ঘুমুতে গেলো সে কিন্তু ঘুম যেন বড্ডই অভিমানী আজ। ঘুম আসবে না বলেই ঠিক করেছে তার ২ চোখে। ভাবতে লাগলো সে অচেনা সেই পার্বতীকে নিয়ে। ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে গেলো সে বুঝতে পারলো না। সকালে ঘুম ভাঙ্গলো তার এক অদ্ভুত অনুভূতির সাথে তার কেমন যেন সব কিছু নতুন নতুন লাগছে। প্রেম পরলে বুঝি এমন হয় সে ভাবতে লাগলো। সে নাস্তা করে ভালো কিছু পরে নিয়ে দৌড়ে গলির মুখে গেলো।

নুহাস সেই কখন থেকে গলির মুখে বসা। মেয়েটি একটিবারের জন্য ঘর থেকে বের হল না। দুপুর হয়ে গেলো। নুহাস ফোনে চেষ্টা করতেছিল কিন্তু ফোন অফ। নুহাস চলে গেলো আঙ্কেলের বাসায় গিয়ে কলিংবেল দিলো। কাজের বোয়া দরজা খুলল। নুহাস জিজ্ঞেস করলো ঘরে যে নতুন একটা আপু আসছিলেন উনি কই? উনিতো ভোরের ট্রেনে চলে গেছেন। বোয়া যে উত্তর দিবে নুহাস তা আশা করেনি? নুহাসের মাথায় যেন আশি মনের কোন বস্তা কেউ চাপিয়ে দিয়েছে ও হাঁটতে পারতেছে না। বাসায় এসে ও কান্না করলো যেন আবারো কিছু একটা হারিয়ে ফেললো। মা মারা যাওয়ার পরে এমন কষ্ট আর সে কখন পায়নি বা কেউ তাকে দেয়নি? এই কয়টিদিন নুহাস তার মা হারানোর দুঃখ ভুলে নিজেকে নতুন করে তৈরি করে নিয়েছিল কিন্তু মেয়েটির একটি ধাক্কা থাকে আবারো পিছিয়ে দিলো।

১....৫...১০ দিন চলে গেলো ফোন অফ। নুহাস এই কয়দিন যতবার ঐ নাম্বারটিতে চেষ্টা করেছে ফোন অফ ছিল। নুহাসের কাছে সেই ১০০ টাকার নোটটি এখনো আছে। মাঝে-মধ্যে দেখে সে নোটটি বের করে। নোটটিতে যেন অচেনা এক মায়া আছে। নুহাস কেমন যেন হয়ে যায় নোটটির দিকে থাকিয়ে। নুহাসের ডায়েরির শেষ পাথায় একটা কবিতা লিখা ছিল অচেনা সেই পার্বতীকে নিয়ে-

''অসীম এ পথ হাঁটিতেছি আমি হাজারো বছর ধরে,
অসীম এ পথে হাঁটা শেষ হবে না আমার এই সসীম জীবনে!!
হাজার হাজার বই পুস্তকে ঠাসা আমার এ ক্লান্তিযুক্ত জীবন।
আমি ক্লান্ত এক পথিক বর আজকের জন-জীবনে!
আমি হাঁটিয়াছি টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া নিভৃত জীবনের লক্ষ্যে,
জরাজিন্য এ জীবনে দিয়েছিল স্হিতি, অচেনা এক পার্বতী
আমি হয়েছিলাম আহ্লাদিত, হয়ে তার রুপে আনন্দিত
চুল তার এলোকেশী, বাতাসে সজীব উড়ন্ত
মুখ তার সূর্যমুখী, আঁধারে দিবে আলো
কপালের মধ্যমণিতে তার কালো এক টিপ
এমনি সুনয়না ছিল সেই মেয়েটি।।
এক পলকেই কেড়ে নিয়েছিল হৃদয় সুনয়না সেই মেয়েটি
মেয়েটি,বিশ্বকর্মার হাতের তৈরি অনন্য এক সৃষ্টি!!''

“মেয়েটি যতোটুকু সুখ দিয়েছিল আমায় কেড়ে নিয়েছে তার চেয়ে অনেক বেশি সুখ। তারপর আমি মেয়েটিকে ভালোবাসি এবং ভালোবেসে যাবো। সে আমার না বলা ভালোবাসা। আমি নুহাসের নির্যাসহীন ভালোবাসা সে।’