শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৩

যে কারনে বুঝবেন প্রেমিকা আপনার সাথে প্রতারণা করবে

ভালোই তো চলছিলো প্রেমের সম্পর্কটা। বেশ অনেক দিন হয়েও গিয়েছিলো সম্পর্কের। প্রেমিকার মন
premer golpo

যোগাতে কমও করেননি আপনি। দামী দামী গিফট দেয়া, নিয়মিত ঘুরতে নিয়ে যাওয়া, সব আবদার পূরণ করা, সুখে দুখে সবসময় পাশে থাকা- সবই করেছেন নিঃস্বার্থ ভাবে। কিন্তু তার পরেও এতো বছরের সম্পর্কের মায়া ত্যাগ করে আপনাকে একা ও নিঃস্ব করে দিয়ে চলে গেলো মেয়েটি।এমন পরিস্থিতিতে হয়তো অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে যে এটা প্রেম নাকি প্রতারণা! পৃথিবীর সব প্রেমই তো খাঁটি নয়। প্রেমের মাঝেও আসল-নকল আছে। যেই মানুষটিকে আপনি মনে প্রানে ভালোবাসছেন সেই মানুষটিও আপনাকেও একই ভাবে ভালোবাসে কিনা তা কীভাবে বুঝবেন? কীভাবে বুঝবেন যে আপনার প্রেমিকার সাথে আপনার সম্পর্কটি শেষ পর্যন্ত বিয়েতে গড়াবে কিনা? আসুন জেনে নেয়া যাক কীভাবে বুঝতে পারবেন প্রেমিকা আপনাকে প্রতারণা করবে কিনা।
অতিরিক্ত চাহিদা

অনেক নারীই ভালোবাসার চাইতে উপহার পেতে বেশি পছন্দ করে। কম দামের উপহার পেলে মন ভরে না এ ধরণের নারীদের। অধিক দামের উপহারের দিকে আকর্ষণ বেশি থাকে তাদের আর সেটা দিয়েই তাদের ভালোবাসার পরিমাপ। আপনার প্রেমিকা যদি আপনার কাছ থেকে দামী দামী উপহার চেয়ে নেয় কিংবা দামী রেস্তরাঁ ছাড়া ডেটিং-এ আপত্তি করে, তাহলে আগেই সাবধান হয়ে যান। কারণ যে নারী আপনাকে বিয়ে করার ইচ্ছায় প্রেমের সম্পর্কে জড়াবে, আপনার আর্থিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে অতিরিক্ত খরচ করতে সে নিরুৎসাহিত করবে সব সময়। আর যে ধরণের নারীরা অতিরিক্ত খরচ করতে বাধ্য করে তারা সাধারণত সম্পর্ককে বিয়ের পরিণতি দিতে চায় না। যতদিন আপনার কাছে টাকা থাকবে ততদিনই কেবল এ ধরণের সম্পর্ক টিকে থাকবে।
পরিবারের প্রতি দায়িত্বশীল নয়

প্রেমিকার যদি আপনাকে বিয়ে করার ইচ্ছা থাকে তাহলে সে চেষ্টা করবে আপনার পরিবারের মন যোগানোর। পরিবারের ছোট খাটো দায়িত্ব পালনে সে আগ্রহ প্রকাশ করবে এবং বেশ যত্ন সহকারে দায়িত্ব পালন করবে। আর যে ধরনের প্রেমিকারা বিয়ের উদ্দেশ্যে প্রেম করছে না, তারা আপনার পরিবারে ব্যাপারে তেমন কোনও আগ্রহই দেখাবে না। পরিবারে কুশলদি জিজ্ঞেসা করা কিংবা পরিবারের সদস্যদেরকে সম্মান করার বেলায় সে সবসময়েই উদাসীন থাকবে। তাই এ ধরণের নারীদের সাথে সম্পর্ক বিয়ে পর্যন্ত গড়ানোর আশা না করাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
আপনার আয় নিয়ে কটাক্ষ করা

প্রেমিকার যদি আপনার আয় নিয়ে কটাক্ষ করা কিংবা আপনার পেশাকে ছোট করে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করার অভ্যাস থাকে তাহলে আগেই সাবধান হয়ে যান। কারণ এ ধরণের নারীরা সাধারনত বিয়ে করার উদ্দেশ্যে প্রেম করে না। নিছক সময় কাটানো কিংবা খরচ চালানোর জন্য প্রেম করে থাকে তাঁরা। তাই এধরনের নারীদের থেকে দূরে থাকাই ভালো।
আপনার প্রতি যত্নশীল না হওয়া

যে মানুষটিকে আপনি জীবন সঙ্গিনী করে ঘরে আনতে চাইছেন সে কি আপনার প্রতি যথেষ্ট যত্নশীল? নাকি সে আপনার সুবিধা-অসুবিধা, পছন্দ-অপছন্দের দিকে কোনও ভ্রুক্ষেপই করে না? সাধারণত যে নারীরা প্রেমিকের সুবিধা অসুবিধা চিন্তা করে না এবং প্রেমিকের প্রতি একেবারেই যত্নশীল না, তারা সম্পর্ককে বিয়ের পরিণতি দিতে চায় না ও প্রতারণা করে।
অহংকারী

অহংকারী নারীর সাথে প্রেম করছেন না তো? অহংকারী নারীর সাথে প্রেম করে থাকলে আপনার প্রেমের সম্পর্ক বিয়ে পর্যন্ত টিকে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। অহংকার একটি সম্পর্ককে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেয়। ছোট ছোট বিষয় নিয়ে সারাক্ষণ অহংকার করে যেই নারীকে বিয়ে করে সুখীও হওয়া যায় না। আর এধরণের নারীদের প্রেমের সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রতারণা করার হার বেশি থাকে।

বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৩

পথ জানা নেই

love storyনীরার সাথে রাজিবের পরিচয় ১ বছরের উপর হল । প্রথমে ফেসবুকে পরিচয় এরপর মোবাইল নাম্বার নেওয়া। এভাবে কথা বলা। ছেলেমেয়ে সম্পর্কের ক্ষেত্রে দেখা যায় মেয়েরা একটু লাজুক হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে উল্টা। রাজিব একটু লাজুক প্রকৃতির। কম কথা বলা টাইপ। ওদের মধ্যে যে প্রেম তা না। কথা বলতে ভাল লাগে , একজনের কথা অন্যকে শেয়ার করা এই আর কি!!

কিন্তু রাজিব মনে মনে ঠিকই নীরাকে ভালবাসে। কথা বলার ফাঁকে কখন যে নীরার কথার প্রেমে পরে গেছে তা রাজিব নিজেও জানে না? শুধু কি নীরার কথার যাদু নাকি অন্য কোন কিছু ও আছে?? সেটাও রাজিবের অজানা। জানার ই বা কি দরকার? প্রেম ভালবাসায় এত জানাজানির কিছু নেই। কিন্তু নীরাকে যে বলা হয়ে উঠেনি? বলতে পারবে নাকি তাও জানে না।

নীরা রাজিব একই শহরেই বাস করে। কিন্তু কখনও দেখা করেনি। কি জন্যই বা করবে? এমন কোন কিছু তো হয় নি তাদের মধ্যে? আর ফেসবুকে তো না জানা কত কারও সাথেই কথা হয়। তাই বলে কি সবার সাথে দেখা করা লাগে?

তবে আজকাল রাজিবের খুব নীরাকে দেখতে ইচ্ছা করছে। যদিও ফেসবুকে ছবি আছে অনেক নীরার। তবুও সামনাসামনি আর ছবি কি এক হল? কিভাবে নীরার সাথে দেখা করা যায় তাই ভাবে সে। কিভাবে বলবে?

সেদিক থেকে রাজিব পুরাই উল্টা। ফেসবুকে তার কোন ছবি নেই। নীরা মাঝেমধ্যে দেখতে চেয়েছে তবে রাজিব বলে দিয়েছে তার ছবি দিতে ভাল লাগে না। নীরা ও জোর করেনি তেমন। শুধু হেসে বলে, তুমি কি মেয়ে নাকি? মেয়েরাই না ছবি দিতে ভয় পায়?? এভাবে হাসাহাসি খুনসুটি ভালই চলে তাদের মধ্যে।

সেদিন নীরা খুব করে ধরেছে রাজিবকে। একটা ছবি দিতেই হবে। কিন্তু রাজিব বরাবরের মতই না। আসলে রাজিবের ভয়টা ছিল অন্য জায়গায়। সে দেখতে সুন্দর না। শ্যামলা কালো। আর ততটা স্মার্টও না। সুন্দর করে ছবিও তুলতে পারে না। যদি তার ছবি দেখে নীরা আর কথা না বলে? বন্ধুত্ব নষ্ট করে দেয়? ভয় তো একটা থেকেই যায়।

তবে এত জোরাজুরির ফলে রাজিব একটা সুযোগ কিন্তু ঠিকই পেয়ে যায়। সে বলে , আমি ছবি দিব না । আমাকে না হয় সামনাসামনিই দেখো। আমি কেমন? এই সুযোগে রাজিবের নীরার সাথেও দেখা হবে।
যদিও মনে ভয় ঠিকই থাকে। সে তো দেখতে আসলেই কালো। সামনাসামনি কি আর ছবি কি?তবুও এ সুযোগে একবার হলেও তো নীরাকে দেখতে পাবে সে। ছবি আগে দেখে ফেললে যদি আর দেখা না করে?
রাজিবের মনে এত ভয় কিন্তু একটা কারনেই। আর সেটা হল ভালবাসার ভয়।ভালবাসায় ভয় একটু বেশিই থাকে। হয়তোবা হারাবার ভয়!!


নীরা রাজিবকে দেখবেই তা যেভাবেই হোক!! তাই তারা ঠিক করলো দেখা করবে। টিএসসিতে দেখা করবে ঠিক হল।
কিন্তু দেখা করার দিনে বুক কাপছে রাজিবের। সে একা দেখা করার সাহস পাচ্ছে না। এমনিতেই একটু লাজুক। তার সবচেয়ে কাছের বন্ধু আরিফকে তার সাথে যেতে বলল সে। আরিফ অবশ্য সবই জানে। এত কাছের বন্ধু। রাজিব মোটামুটি সবই বলেছে আরিফকে। আরিফ ও যেতে সম্মত হল।

নীরার সাথে বসে আছে রাজিব। এত দিনে তার ভাললাগার মানুষটিকে সামনাসামনি দেখছে। ছবির থেকেও সুন্দর নীরা। আর অনেক স্মার্ট, মর্ডান। রাজিব খুব ভয় পাচ্ছে। তাকে কি নীরা পছন্দ করবে? সে কি আজই তার মনের কথা নীরাকে বলবে? যদি না করে দেয়?? মনে সে অনেক কষ্ট পাবে। নীরা রাজিবকে অনেক ভাল বন্ধু হিসেবে হয়তো মানে। কিন্তু সে কি ভালবাসে?

ভাবনা ভাবনাই থেকে যায়। বলা হয় না কিছুই। আর আরিফ দূর থেকে সব দেখে। তাদের পাশাপাশি বসে থাকা। যদিও রাজিব নীরার সাথে তাকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। নীরা মাঝে মাঝে আরিফকে দেখছে আর মিটমিট হাসছে।

নীরাকে কোন কিছুই বলা হয়নি রাজিবের। তার ভাললাগার কথা। আজকে চ্যাটে সবকিছু বলবে সে।দেখা যাক নীরা কি বলে?
রাতে নক করলো নীরাকে।

- কেমন লাগলো আজ সারাদিন?
- অনেক ভালো। আমি তো ঘুরতে ভীষণ ভালবাসি।
- নীরা তোমাকে একটা কথা বলার ছিল।কিভাবে যে বলব?
- আরে বলে ফেল?
- আমি তোমাকে অনেক অনেক ভালবাসি।
- কিন্তু আমি তো বাসি না। আমার আসলে এগুলার ইচ্ছা নেই।আর তোমাকে বন্ধু হিসেবেই মনে করি।
- আমরা কি রিলেশনে যেতে পারি না? একদিন তো বিয়ে করবাই। তাহলে?
- তা দেখা যাবে। আমি তোমাকে ও ভাবে পছন্দ করি না।

কথা শেষ হয় আর তেমন কিছু না বলেই। রাজিবের মন খারাপ। এভাবে না উত্তর পাবে ভাবেনি সে। নীরার সাথে আজকাল তেমন কথা হয় না। এড়িয়ে চলে নীরা। দেখা হওয়ার পর থেকেই।

রাজিব নীরাকে ভুলতে পারছে না। তার বিশ্বাস নীরা একদিন তাকে অবশ্যই ভালবাসবে। তা যত দেরীতেই হোক না কেন? রাজিব আরিফকে সব বলবে। আরও বলবে নীরাকে যাতে ও বুঝায়। বন্ধুই তো বন্ধুর জন্য করবে। আর আরিফ কথা বলাতেও ওস্তাদ। সে ঠিকই নীরাকে বুঝাতে পারবে।

..................................

নীরা আর আরিফের ভাল বন্ধুত্ব এখন। রাজিবের সাথেও এখন নীরা ভালই কথা বলে। আরিফকে বলে মনে হয় ভালই কাজ দিয়েছে।

মাঝে মাঝে গ্রুপ চ্যাট হয় তিনজনের। নীরার ফোন নং ও জানে আরিফ। কনফারেন্সে একসাথে তিনজন প্রায়ই কথা বলে। তবে রাজিবের ভাবনা- নীরার মন কি গলেছে? আরিফ কি তাকে বুঝাতে পেরেছে?

আজকাল আর তেমন গ্রুপ চ্যাট হয় না বা কনফারেন্স। আরিফকে রাজিব বলে, কি রে কি অবস্থা? রাজি কেমন করালি? ‘ হুম! প্রায়ই রাজি করিয়ে ফেলছি। আমার কথায় তো সে মুগ্ধ। তাই আজকাল গ্রুপ চ্যাটে বলি না । এগুলা তো আলাদাভাবেই বোঝাতে হয়।‘ রাজিব ও খুশিতে মাথা নাড়ে।
রাতে আজকাল প্রায়ই ওয়েটিং নীরা আর আরিফের ফোন। হয়তো আরিফ নীরাকে বোঝায় রাজিবের ভালবাসার কথা!!???

***************

দুই মাস পর.......


আজ নীরার গায়ে হলুদ। আরিফ নীরাকে বুঝিয়ে ফেলেছে। তবে রাজিব বুঝতে পারেনি। এই বুঝানো সেটা নয়। রাজিবের হাতে নীরা আর আরিফের বিয়ের খাম।

এই কয়েকদিন আগে অন্য বন্ধুদের থেকে রাজিব জানতে পেরেছে আরিফ আর নীরা একজন অন্যকে ভালবাসে। আর নীরার ভাললাগা নাকি আরিফকে প্রথম দেখার পর থেকেই।রাজিবকে দেখার পর থেকেই রাজিবকে ভাললাগে না নীরার। আর আরিফও সে সুযোগ নেয়। এভাবেই তাদের প্রেম। রাজিবকে কিছুই বলেনি আরিফ। একমাস কোন যোগাযোগ ও নেই। আজই বিয়ের দাওয়াত দেয় আরিফ।



একা রাস্তায় হেটে চলছে রাজিব। হাতে নীরা আর আরিফের বিয়ের খাম । রাজিব জানে না তার গন্তব্য।পথ জানা নেই রাজিবের। এ পথের শেষ কোথায় তাই হয়তো এখনও খুজে বেড়াচ্ছে রাজিব।

ইন্টারনেট চ্যাটিংয়ে সতর্ক হোন, এখনই সবাই্‌...

chat
ডেস্কঃ অনলাইনে নতুন কারো সঙ্গে চ্যাট করা কিংবা প্রেমের ভান করার মতো ঘটনা হয়তো স্রেফ মজার তবে ক্ষতিকর। তা ছাড়া অজান্তেই আপনি পড়ে যেতে পারেন নানা ফাঁদে।তাই সময় এসেছে এ ব্যাপারে যথেষ্ট সতর্ক হওয়ার। কেন ক্ষতিকর তা জেনে নিন কয়েকটি ঘটনা থেকে:

শান্তিলতা (ছদ্মনাম) অর্ণবের সঙ্গে চ্যাটিং শুরু করেন একেবারেই আচমকাই। এর দুই বছর পরে একদিন দেখা করেন তার সঙ্গে। দিনের পর দিন বার্তা মারফৎ কথা হয়েছে তাদের। অথচ জানতেই পারেন নি ছেলেটি আসলে কে। শান্তিলতাকে নিজের যে ছবিটি অর্ণব পাঠিয়েছিলো তাতে একটি অসাধারণ সুদর্শন ছেলে হিসেবে দেখা যায় অর্ণবকে। অথচ শান্তিলতা ছিলেন অত্যন্ত আকর্ষণীয়। কে জানতো তার জন্য অপেক্ষা করছে মারাত্মক প্রতারণা।

শান্তিলতার নিজের মুখেই শোনা যাক, “আমি আসলে একটি অবমাননাকর সম্পর্কে জড়িয়েছিলাম। আমি তখন তার জন্য সব ধরনের ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত। এ সময় আমি অন্য সব বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিই। সমস্ত জগৎ থেকেই বিচ্ছিন্ন ছিলাম আমি। সারাক্ষণই ইন্টারনেটে থাকতাম আর তার সঙ্গে চ্যাট করতাম। প্রায় বছরখানেক পর আমি তার ব্যাপারটা লক্ষ্য করি। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে।

আমি দেখলাম সে যা দাবি করতো আসলে সে তা নয়। তার পাঠানো ছবি আর আসলের মধ্যে বিস্তর ফারাক। এক সময় জানলাম অবৈধ ব্যবসায়ের দায়ে জেলে ছিলো সে। আমি ফিরে আসি ওই সম্পর্ক থেকে, প্রতিজ্ঞা করি জীবনে আর কখনও অনলাইন চ্যাটিংয়ে সম্পর্কে জড়াবো না। শান্তিলতা জানায় তার বাবা-মা এখন তার জন্য পাত্র খুঁজছে, তার একজন সত্যিকার জীবনসঙ্গী। অর্ণব এখন আমার কাছে এক বিষাদময় অতীত।

শান্তিলতার ঘটনাই একমাত্র নয়। এমন ঘটনার শিকার অসংখ্য ছেলে-মেয়ে, যারা দুঃসহ নানা ঘটনার স্মৃতি নিয়ে পুড়ছে ক্রমাগত।

শুধু ব্যক্তিগত ক্ষতির বিষয়ই নয়। এর ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে সমাজে।

আশিষ বর্ম (ছদ্মনাম)।
, ইন্টারনেটকে কেন্দ্র করে কিভাবে দলের সদস্যদের মধ্যে বিভেদ হয়। ছোটখাটো বিষয় নিয়ে নানা বিতর্কের জন্ম দেয়। সে জানায়, “আমি আমার স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ম্যাসেজ বোর্ড শুরু করি। প্রথম কয়েক সপ্তাহ প্রচুর মেসেজ আসতো। কিন্তু তারপর, তারা প্রচুর অপ্রাসঙ্গিক ও বিব্রতকর বিষয় নিয়ে আলাপ শুরু করে।

এ নিয়ে বিবাদ হয়। স্কুল জীবনের পুরনো রেষারেষি দানা বাঁধতে শুরু করে। কিছুদিন পরই এসব নিয়ে একটি নেতিবাচক আবহ তৈরি হয়। এক পর্যায়ে বন্ধ করে দিতে হয় এটি। অন্য একটি ওয়েব বোর্ডের প্রধান বলেন, “একজন নেট ব্যবহারকারী যখন চ্যাটিংয়ে বসে তখন পৃথিবীর কোন কিছুই তাকে নিবৃত্ত করতে পারে না।” তিনি বলেন, “মানুষ আসলে ইন্টারনেট সুবিধাকে অপব্যবহার করছে।”

মনে রাখা দরকার আপনি কিভাবে চ্যাটের সঙ্গে যুক্ত- এটি কোন বিষয় নয়। বিষয়টি হলো আপনি ঘণ্টার পর ঘণ্টা পিসির সামনে বসে আছেন। অথচ বাস্তব আর কল্পনার পৃথিবীর মধ্যে ব্যবধান বিস্তর।

পৃথিবীর অপর প্রান্তের মানুষকেও কাছাকাছি এনে দেয় ইন্টারনেট। এই উত্তেজনায় আচ্ছন্ন থাকে নেট ব্যবহারকারী। ফলে এ সময় উপরে চড়তে থাকে আবেগের মাত্রাটা। আপনি, আপনার কম্পিউটার এবং যার সঙ্গে চ্যাটিং করছেন- এর বাইরে পৃথিবীর আর কিছুই জানেন না আপনি।

আপনার অজান্তেই কেউ হয়তো বসে আছে আপনার ক্রেডিট কার্ড তথ্য শিকার করতে। অথবা অন্য কোন মারাত্মক অপরাধমূলক কাজের ফাঁদ পেতেছে আপনার সামনে। আপনাকে বিভিন্ন ছবি পাঠাতে প্ররোচিত করছে প্রতিনিয়ত। তাই সতর্ক হোন এখনই।

দৃষ্টি ফেরাবে স্মার্টগ্লাস!

sun galssডেস্কঃ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য সুখবর বয়ে নিয়ে এলো অক্সফোর্ডের এক শিক্ষক। তিনি এমন একটি অভিনব স্মার্টগ্লাস আবিষ্কার করেছেন যা দৃষ্টিহীনদের দৃষ্টিশক্তি ফেরাতে কাজ করবে।ইউনিভার্সিটি অফ অক্সফোর্ডের শিক্ষক স্টিফেন হিকস বলেছেন, স্মার্টগ্লাস আংশিকভাবে হলেও ফিরিয়ে দিতে পারবে দৃষ্টিশক্তি। হিকসের তৈরি স্মার্টগ্লাসটি এখনও পরীক্ষামূলক পর্যায়ে থাকলেও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জীবনে আশার আলো হিসেবে দেখা দিতে পারে এটি।

প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের মধ্যে অনেকেই আংশিকভাবে হলেও আলো এবং বস্তুর নড়াচড়া দেখতে পান। ওই দৃষ্টিগ্রাহ্য তথ্যগুলোকেই ছবিতে রূপান্তর করবে স্মার্টগ্লাসটি।

স্মার্টগ্লাসটিতে দৃষ্টিগ্রাহ্য তথ্যগুলো সংগ্রহ করে ছবিতে পরিণত করার জন্য আছে একাধিক ক্যামেরা এবং কাছের বা দূরের বস্তুর উপস্থিতি চিহ্নিত করতে আছে ইনফ্রারেড প্রজেক্টার।

এ ছাড়াও দিক নির্দেশনা দেওয়ার জন্য আছে জাইরোস্কোপ, কম্পাস এবং জিপিএস। ক্যামেরা এবং ইনফ্রারেড প্রজেক্টার থেকে সংগ্রহ করা তথ্য স্মার্টগ্লাসটি স্বচ্ছ ওএলইডি ডিসপ্লেতে দেখাবে ছবি হিসেবে।

দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য স্মার্টগ্লাসটি বানিয়ে রয়াল সোসাইটির ব্রায়ান মার্সার অ্যাওয়ার্ড ফর ইনোভেশন পুরস্কার জিতে নিয়েছেন স্টিফেন হিকস।

দেবে যে ঘড়ি মৃত্যুর খবর

lockcডেস্ক : মৃত্যু মানুষের কাছে এখনো এক চিরকালীন রহস্যময় জগৎ। মৃত্যু কখন কিভাবে আসবে তা কেউ জানে না। কিন্তু এবার এমন এক অ্যালার্ম ঘড়ি আবিষ্কার করেছে এক মার্কিন প্রতিষ্ঠান যা প্রতি সকালে আপনার সম্ভাব্য আয়ুর পূর্বাভাস দেবে।

একই সঙ্গে এই বিশেষ ঘড়ি প্রতি সকালে নিয়ম করে জানিয়ে দেবে আপনার বর্তমান আর্থিক অবস্থাও। তবে এর জন্য ঘড়িটিতে অ্যালার্ম দেয়ার সময় অবশ্যই জানাতে হবে আপনার প্রকৃত জন্মদিন, কিছু ব্যক্তিগত তথ্য এবং বর্তমান আর্থিক সঙ্গতির কথা।

রিট্রো-স্টাইলের লেড অ্যানিমেশন এই অ্যালার্ম ঘড়িটির উদ্ভাবকরা জানিয়েছেন, ঘড়িটিতে সময় দেখার পাশাপাশি ব্যবহারকারীরা তাদের বর্তমান ব্যাংক ব্যালেন্স সম্পর্কেও ধারণা নিতে পারবেন। একই সাথে ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে কার কতো বন্ধু রয়েছে সেটিও বলে দেবে এই ঘড়ি।

তবে এই ঘড়িটি চালানোর জন্য ব্যবহারকারীর ঘরে অবশ্যই ওয়াইফাই সংযোগ থাকতে হবে। যার মাধ্যমে ঘড়িটি যুক্ত থাকবে ব্যবহারকারীর কম্পিউটার, ফোন অথবা ট্যাবের সঙ্গে।

তবে এখনই এই ঘড়ি সম্পর্কে তীব্র আপত্তি তুলেছে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো। তারা বলছে, ঈশ্বর ব্যতিত আর কেউ মৃত্যুর খবর জানে না। তবে এই ঘড়ির ডিজাইনার বলছেন, প্রতি সকালের এই মৃত্যুর পূর্বাভাস বুঝতে সাহায্য করবে আমাদের জীবন কতোটা কঠিন। তাই এর মোকাবেলা করে আমাদের প্রতিদিন বেঁচে থাকতে হবে।

এখনো এই বিশেষ ঘড়িটির বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু হয়নি। এখনও এর জন্য তহবিল গঠনের কাজ চলছে। আবিষ্কারকরা জানিয়েছে, ইতোমধ্যে তারা ঘড়িটির উৎপাদন বাণিজ্যিকভাবে শুরু করার জন্য ৭০০০ ডলার যোগাড় করে ফেলেছেন।

আইফোন বাঁকানো ডিসপ্লের নিয়ে আসছে অ্যাপল

apple
ডেস্কঃ বাঁকানো সম্ভব এরকম ডিসপ্লে প্রযুক্তির আইফোন আনছে অ্যাপল। সর্বপ্রথম এই প্রযুক্তি টেলিভিশনে ব্যবহারের পর বর্তমানে এটি স্মার্টফোনেও প্রয়োগ করা শুরু হয়েছে।প্রযুক্তি সংবাদবিষয়ক সাইট সিনেট এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়। ইতোমধ্যে স্যামসাং তাদের প্রথম বাঁকানো ডিসপ্লে সমৃদ্ধ ফোন গ্যালাক্সি রাউন্ড ঘোষণা করেছে। আর এলজি এনেছে এলজি জি ফ্লেক্স। আর এখন শোনা যাচ্ছে অ্যাপল আগামীতে ঘোষণা করবে বাঁকানো ডিসপ্লে সমৃদ্ধ আইফোন।
ডিসপ্লে প্রযুক্তিতে এক নতুন মাত্রা হিসেবে যোগ দিয়েছে এই বাঁকানো ডিসপ্লে প্রযুক্তি।
অভ্যন্তরীণ এক তথ্যদাতার মতে, অ্যাপল আগামী বছরের দ্বিতীয়ার্ধে বাঁকানো ডিসপ্লে সমৃদ্ধ দুটি নতুন আইফোন ঘোষণা করতে পারে । ফোনটির ডিসপ্লে মূলত তার দুই প্রান্তের দিকে বাঁকানো থাকবে।
এছাড়া ফোন দুটি তার ডিসপ্লের উপরের বিভিন্ন ধরনের চাপ নির্ধারণ করে সে অনুসারে কাজ করতে সক্ষম হবে।
ফোনগুলো দুই আকারের ডিসপ্লেতে পাওয়া যাবে যার একটি হবে ৪.৭ ইঞ্ছি এবং আরেকটি হবে ৫.৫ ইঞ্ছি। আর ফোনের বাঁকানো ডিসপ্লে, স্ক্রিনের আকার এবং চাপ সংবেদন গ্লাস প্রয়োগ ছাড়াও সম্ভাবনা আছে যে অ্যাপল তাদের ফোন থেকে হোম বাটন বাদ দিবে।
অবশ্য ফোনের আকার অতিরিক্ত বড় না করে এর স্ক্রিনের আকার বাড়াতে চাইলে এটিই হবে সবচেয়ে যুক্তিযুক্ত কাজ।
প্রশ্ন হল অ্যাপলের এই নতুন আইফোনগুলো গ্রাহকরা কিভাবে গ্রহণ করবে। কারন বাঁকানো ডিসপ্লের এই প্রযুক্তি সম্প্রতি ব্যবহার করা শুরু হয়েছে। যদিও এই ধরনের প্রযুক্তির ব্যবহার অনেক আকর্ষণীয় মনে হয় তবে গ্রাহকরা আসলেই তা চায় কিনা এবং এটি আসলেই কোন সুবিধা বয়ে আনবে কিনা তা প্রশ্নবিদ্ধ।
এছাড়া বর্তমান প্রযুক্তিতে এর উৎপাদন খরচও প্রচুর। স্যামসাং তাদের গ্যালাক্সি রাউন্ড এর মূল্যই একারনে রেখেছে প্রায় ১০০০ ডলার। এখন অ্যাপলের মতন একটি প্রিমিয়াম ডিভাইস প্রস্তুতকারক কোম্পানি এধরনের ফোন উন্মোচন করলে তা কি পরিমাণ মূল্যের বিনিময়ে পাওয়া যাবে তাও একটি বিষয়।

সঙ্গিনীকে প্রথম ডেটিংয়েই বশ

sex photo
সঙ্গিনী হিসেবে বিশেষ কাউকে খুঁজে বের করাটা খুব সহজ ব্যাপার না। আর খুঁজে পেয়েও অনেকে তাকে ধরে রাখতে পারেন না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এটা ঘটে প্রথম ডেটিংয়ের দিন।

সঙ্গিনীকে ইমপ্রেস করতে গিয়ে আপনি সবকিছু গুলিয়ে ফেলে এমন কাণ্ড করে বসলেন যে সম্পর্ক শুরুর আগেই শেষ। তাই একটু সময় নিয়ে ভাবুন কিভাবে তাকে মনের কথাগুলো বলবেন। নিজেকে কিভাবে সাবলীল, সুন্দর ও চটপটেভাবে উপস্থাপন করবেন। শুধু রোমান্টিক হলে চলবে না।

রোমান্টিক পরিস্থিতি তৈরি করাটাই মুখ্য ব্যাপার। আগে পরিকল্পনা করুন। আপনার প্রেমিকা সাধারণভাবেই আপনার কাছ থেকে একটু বেশি মনোযোগ আশা করবেন। কারণ, তিনি কার ওপর ভবিষ্যতে নির্ভর করতে চলেছেন, সেটা না জেনে তো আর পা বাড়াবেন না।

প্রথম ডেটিংয়েই প্রেমিকার মন জয় করতে নিচের পরিকল্পনাগুলো করতে পারেন:১)পছন্দ-অপছন্দের তালিকা: প্রেয়সীর পছন্দ-অপছন্দের একটি তালিকা তৈরি করে নিতে পারেন। প্রথম ডেটিংয়ে গিয়ে নার্ভাস হয়ে পড়েন অনেকেই। কি করলে তাকে ইমপ্রেস করা যাবে, এ ভাবনাটাই বেশি নার্ভাস করে তোলে বেশির ভাগ পুরুষকে। পছন্দের তালিকাটা জানা থাকলে, সে কাজটা সহজ হয়ে যাবে। নিজেদের আরও ভালোভাবে জানতে কোন রেস্টুরেন্টে ক্যান্ডেল-লাইট ডিনারের পরিকল্পনা করতে পারেন।

২)রিকশায় চড়ে ঘুরে বেড়ানো: রিকশায় বা গাড়িতে চড়ে এখানে-সেখানে ঘুরে বেড়াতে পারেন। সঙ্গিনী যদি এ ধরনের অ্যাডভেঞ্চার ভালোবাসেন, তাহলে প্রথম ডেটিংয়েই তাকে ইমপ্রেস করা বেশ সহজ হয়ে যাবে।

৩)ইনডোর গেইম: নিজেদের মধ্যে গল্প জমিয়ে তুলতে ইনডোর গেইম একটি ভালো উপায়। লুডো, সাপ-মইয়ের খেলা, দাবাসহ আরও অনেক মজার মজার ইনডোর গেইম খেলার পরিকল্পনা করতে পারেন।

৪)ছবির অ্যালবাম: অতীতের সুখস্মৃতিতে হারিয়ে যেতে বাড়ির নতুন-পুরনো ছবির অ্যালবামগুলো যে শুধু কাজের তা নয়। ডেটিংয়ের জন্যও এটা দারুণ। এতে গল্পে গল্পে পরস্পরের পরিবার সম্পর্কেও জানা হয়ে যাবে। আর কথা বা প্রসঙ্গ খুঁজে পেতেও কষ্ট হবে না।

৫)লাইব্রেরি: যাদের বই পড়ার নেশা রয়েছে, তারাই বুঝবেন লাইব্রেরির প্রকৃত কদর। আপনার সঙ্গিনী যদি বই ভালোবাসেন, তাকে নিয়ে কোন সমৃদ্ধ লাইব্রেরিতে চলে যান। একটি বই দু’জন একসঙ্গে পড়তে পারেন। বই নির্বাচনেও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিন।

৬)বাগান পরিচর্যা: বাগান পরিচর্যায় কিছুটা সময় কাটাতে পারেন। ফুল পছন্দ করেন না, এমন রমণীর সংখ্যা বিরল। বাগানের কাজে একসঙ্গে কিছুটা সময় কাটানোর ফলে আপনার প্রথম ডেটিংটি ফুলের মতোই সুবাসিত হয়ে উঠতে পারে।

৭)একসঙ্গে রান্না: প্রথম ডেটিংয়েই সঙ্গিনীকে ইমপ্রেস করতে একসঙ্গে রান্না করতে পারেন। সম্পর্কের শুরুটার ভিত্তিটাও এতে মজবুত হবে। সঙ্গিনীর পছন্দের খাবারটি তৈরি করতে পারেন। একসঙ্গে খেতে বসুন। গল্পের রসায়নটাও যে জমবে, তাতে সন্দেহ নেই।

গ্রেট সেক্স লাইফের পাঁচটা মন্ত্র

সেক্স টিপসবেডরুমের রোমান্সকে আরও রোমাঞ্চকর করতে চান৷ একটা বই আপনাকে এই বিষয়ে ভীষণ ভাবেই সাহায্য করবে৷ লেখক বারবারা এবং এলান পিসের লেখা নতুন বইটাতে আপনার সেক্স লাইফকে মধুর করার সব রসদই মজুত রয়েছে৷চলুন সেই বই অনুসারে পাঁচটা নিয়্ম জেনে নিই৷ যা মেনে চললে আপনার দাম্পত্য জীবনের সুখ আরও বাড়বে৷ এর সঙ্গে যারা বিয়ে করার বিষয়ে ভাবছেন তাদেরও বিবাহিত জীবন মধুর হবে৷

১. পুরুষদের মধ্যে হাস্যরস বোধ যথার্থ মাত্রায় থাকা উচিত৷ যদি বেডরুমে আপনি আপনার স্ত্রীকে প্রান খুলে হাসাতে পারেন তাহলে স্ত্রীর মন পেতে আপনার বেশী সময় লাগবে না৷

২. বেশীরভাগ স্মার্ট মহিলারাই প্রেমের ক্ষেত্রে ভুল মানুষটিকে বাঁছেন৷ অনেক গবেষণাতেই এই তথ্য প্রমানিত হয়েছে৷ হৃদয় গঠিত ব্যাপারে তারা একেবারেই ভুল সিদ্ধান্ত নেন৷ তাই স্মার্ট মহিলাকে জীবন সঙ্গী হিসাবে বাঁছার আগে তাঁকে একবার যাচাই করে নেবেন৷

৩. মহিলারা সে সব পুরুষদের সঙ্গেই দৈহিক সম্পর্ক গড়তে পছন্দ করেন যারা দেখতে ভীষণই স্মার্ট৷ যারা আকর্ষক পোশাক পড়েন৷ পোশাকের সঙ্গে মানান সই টাই পড়েন৷ হাতে এক্সপেনসিভ ঘড়ি পড়েন৷ সেই সব পুরুষদের প্রতিই মহিলারা বেশী আকৃষ্ট হন৷ তাই প্রেমিকাকে মনের কথাটা জানানোর আগে নিজেকে বদলে ফেলুন৷ আপনার প্রেম কখনও বিফল হবে না৷ অপরদিকে হাবিরাও স্ত্রীর মন পেতে স্মার্ট লুক আনার চেষ্টা করুন৷

৪. লেখকের মতে যে সব পুরুষরা ঘরের কাজকর্ম করেন৷ মহিলারা তাদের বেশী সেক্সী বলে মনে করেন৷ তাই বৌ এর মন পেতে মাঝে মধ্যে ঘরের কাজ করুন৷ এতে প্রেম বাড়বে৷

৫. বেশীর ভাগ পুরুষই মনে করেন মহিলারা সব সময় কাজ করতে পারেন না৷ কিন্তু বর্তমান পুরুষদের এই চিন্তাধারা ভুল বলে প্রমাণিত হয়েছে৷ পুরুষদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মহিলারা এগিয়ে চলেছেন৷ আজও অনেক পুরুষরা বিয়ের পরে স্ত্রী কে চাকুরী করার অনুমতি দেন না৷ এক্ষেত্রে দাম্পত্য জীবনে অনেক স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হয়৷ কিন্তু জীবনকে রঙীন করতে হলে পুরুষদের এই ধারনা বদলাতে হবে৷ নিজের মতের পাশাপাশি স্ত্রীর মতামতকেও প্রাধাণ্য দিতে হবে৷ লেখকের মতে এক্ষেত্রে মহিলাদের আরও দৃঢ় হতে হবে৷

কারো কারো জন্যে প্রথম প্রেমটা প্রথম থাকে না

হট গার্ল ছবি কারো কারো জন্যে আসলে প্রথম প্রেমটা প্রথম থাকে না, ওটাই আজীবনের হয়ে দাঁড়ায়৷ নো ম্যাটার, তিনি পরে কাকে বিয়ে করলেন, কাকে ভালবাসলেন৷ দশকের ব্যবধান কেটে গেলেও ঐ প্রথম ভালবাসার ব্যক্তিকে দেখা মাত্র তাদের মনে আতশবাজির হিড়িক লেগে যায়৷চারদিক অন্ধকার, আর ঐ একজন যেন সাক্ষাত্ লেজার রশ্মি৷ কিন্তু..? বেরসিক গবেষকরা ওসব মানতে নারাজ৷ তারা ঘেঁটেঘুটে বের করলেন এক জাতের হরমোন৷ নাম এডোলেসেন্ট হরমোন৷ মানে নাবালক হরমোন৷

ওটাই মনের ভেতর (নাকি মগজের) সব তালগোল পাকায়৷ তারচেয়েও বড় কথা হলো ঐ হরমোনের প্রভাবে প্রথম প্রেমের ডাটাবেজ মস্তিষ্কের যে অঞ্চলে থাকে, ঐ অঞ্চলেই আবার কোকেনের মতো মাদকরা এসে ঘাঁটি গাড়ে৷

প্রেমের সঙ্গে কেমন যেন মাদকাসক্তির একটা সম্পর্ক হয়ে গেল? ক্যালিফোর্নিয়ায় ১৪ বছর ধরে সম্পর্ক নিয়ে গবেষণা করেছেন ন্যান্সি কালিস৷ তার মতে, প্রথম প্রেম ঐ মাদকাসক্তির চেয়েও ভয়াবহ হতে পারে৷ তবে এর পেছনে মানসিকের চেয়ে শারীরিক ব্যাপারই বেশি দায়ী৷

প্রথম প্রেমিক/প্রেমিকার সঙ্গে বহুদিন পর দেখা হলে মানসিক টানাপড়েনের সঙ্গে হরমোনাল প্রতিক্রিয়াটাই বেশি হয়৷ তবে মানুষ তা সহজে ধরতে পারে না৷

যেমনটা ঘটেছে ফ্লোরিডার রিয়েল এস্টেট এজেন্ট ৬০ বছর বয়সী জেনির ক্ষেত্রে৷ ৪০ বছর পর স্কুলের পুনর্মিলনীর অনুষ্ঠানে তার সঙ্গে দেখা হয়েছিল পুরনো প্রেমিক বেনের সঙ্গে৷

যার সঙ্গে তার শেষ দেখা হয়েছিল ১৯৬৫ সালে৷ ট্রেনে চড়ে ভিয়েতনামের উদ্দেশ্যে যেতে যেতে বেন যেভাবে হাত নেড়েছিলেন সেই দৃশ্য কখনো ভুলতে পারেননি জেনি৷ ৪০ বছর পর বেনকে দেখে তার নিজেকে মনে হয়েছিল ৪০ বছর আগের সেই তরুণী৷

জেনিকে দেখে বেনের প্রথম কথাটি ছিল_ তোমাকে ছেড়ে যাওয়াটা ছিল আমার জীবনের কঠিনতম কাজ৷ আর জেনি? তার ভাষায় তিনি যেন গোলাপী ডানায় ভর করে উড়ছিলেন তখন৷ বেন তার স্ত্রীকে নিয়ে আবার চলে গেছেন৷ তবে এবার আর জেনি বিচ্ছিন্ন হলেন না

ইন্টারনেটে মজে গেলেন দুপ্রান্তের দুজন৷ ইমেল, টেক্সট মেসেজ, ভয়েস চ্যাট; দুজনই যেন টাইম মেশিনে চড়ে আবার সেই ‘৭০-এর দশকে ফিরে গেছেন৷ এ সম্পর্কে যতোই ‘অনুচিত’ আখ্যা আসুক না কেন, ন্যান্সির মতে, এ আবেগ অপ্রতিরোধ্য৷ এটি মাদকাসক্তির চেয়েও বেশি শক্তিশালী৷ সুতরাং লং লিভ ফার্স্ট লাভ!

রাম লীলার ওপর নিষেধাজ্ঞার খড়গ

dipika
রাম লীলা’ ছবির পোস্টারসঞ্জয় লীলা বানশালী পরিচালিত ‘রাম লীলা’ ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ১৫ নভেম্বর। কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার ছবিটির মুক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন দিল্লির একটি আদালত। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ছবিটির মুক্তি স্থগিত রাখার আদেশ দিয়েছেন বিচারক এএস জয়াচন্দ্র।

সম্প্রতি প্রভু সমাজ ধার্মিক রাম লীলা কমিটি অভিযোগ তুলেছে, ‘রাম লীলা’ ছবিটির মাধ্যমে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া হয়েছে। ছবিটির বিরুদ্ধে যৌনতা, সহিংসতা এবং অশ্লীলতার অভিযোগও তোলা হয়েছে। এসব অভিযোগে দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ১২ নভেম্বর মঙ্গলবার ‘রাম লীলা’ ছবির পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানশালী এবং পরিবেশক সংস্থা ইরোস ইন্টারন্যাশনালকে ছবিটি মুক্তি দেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলেছেন বিচারক জয়াচন্দ্র। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে ইন্দো-এশিয়ান নিউজ।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ছবির শিরোনাম ‘রাম লীলা’ হলেও হিন্দু দেবতা রামের জীবনের সঙ্গে ছবির গল্পের কোনো মিল নেই। এতে করে দর্শকরা বিভ্রান্ত হবেন। ছবিটির শিরোনাম পরিবর্তনেরও আবেদন করা হয়েছে।

এর আগে ‘রাম লীলা’ ছবিটি নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে আদালতে মামলা করেছিল একটি এনজিও। কিন্তু দিল্লি উচ্চ আদালত ছবিটি নিষিদ্ধ না করে উলটো ওই এনজিওকে ৫০ হাজার রুপি জরিমানা করেন।

শেকসপিয়ারের ‘রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট’ অবলম্বনে ‘রাম লীলা’ ছবিটি তৈরি করেছেন সঞ্জয় লীলা বানশালী। এতে ‘রাম’ ও ‘লীলা’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন রণবীর সিং ও দীপিকা পাড়ুকোন। এরই মধ্যে ছবিটির ট্রেইলর প্রকাশিত হয়েছে। ৩৫ কোটি রুপি বাজেটের ছবিটিতে আরও অভিনয় করেছেন রিচা চাদ্ধা, সুপ্রিয়া পাঠক, গুলশান দেবিয়া প্রমুখ।

শনিবার, ২ নভেম্বর, ২০১৩

গাছের পাতায় সোনা

গাছের পাতা
গাছে সোনা ফলা নিয়ে অনেক উপমা থাকলেও সত্যি সত্যি তো আর গাছে সোনা ফলে না। তবে, গাছে পাতার বদলে টাকা ফলার উপমার মতোই কোনো কোনো গাছের পাতায় সোনার উপস্থিতি পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

অস্ট্রেলিয়ার একদল গবেষক জানিয়েছেন, ইউক্যালিপ্টাস গাছের পাতায় তারা সোনার কণার উপস্থিতির সন্ধান পেয়েছেন।

‘নেচার কমিউনিকেশন’ নামে একটি সাময়িকীতে এ গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার কমনওয়েলথ সাইন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ অরগাইজেশনের গবেষক মেল লিনটার্ন বলেন, “আমরা অস্ট্রেলিয়া ও অন্যান্য অঞ্চলের গাছের পাতায় সোনার উপস্থিতি পেয়েছি।”

গবেষকরা আরো জানান, “এসব এলাকায় ইউক্যালিপ্টাস গাছের আশেপাশের মাটিতে সোনার উপকরণ পাওয়া গিয়েছিল। গাছ এসব উপকরণ শোষণ করে গবেষকরা এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তবে, গবেষকরা অনেক আগেই প্রমাণ পেয়েছিলেন গাছ মাটিতে থাকা বিভিন্ন খনিজ উপকরণ শোষণ করে।

অস্ট্রেলিয়ার একটি বিশেষ ধরনের এক্স-রে মেশিন ব্যবহার করে গবেষকরা কোনো কোনো গাছের পাতা, কাণ্ড ও বাকলে সোনা উপস্থিতি পেয়েছেন।

তবে, এ সোনার পরিমাণ খুবই কম বলে জানান গবেষকরা।

এ ব্যাপারে মেল লিনটার্ন বলে, “আমরা হিসাব করে দেখেছি একটি সোনার আংটি তৈরি করতে প্রায় পাঁচশ’ গাছের প্রয়োজন হবে।

তিনি আরো বলেন, সোনা সংগ্রহের ব্যাপারে গাছ হাউড্রোলিক পাম্পের মতো কাজ করে। গাছ শিকড় থেকে জীবন রক্ষাকারী পানি সংগ্রহ করে। এসময় তারা মাটিতে দ্রবীভূত সোনাও সংগ্রহ করে পাতায় জমা রাখে।

গাছের পাতায় সোনার উপস্থিতি নির্ণয়ের মাধ্যমে ওই এলাকায় কী পরিমান সোনা মজুত আছে তা জানা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন গবেষকরা। এ প্রক্রিয়ায় কোনো অঞ্চলে যথেষ্ট পরিমাণ লোহা, তামা বা সীসা মজুত আছে কি না তা জানা সম্ভব হবে। সূত্র: বিবিসি

সত্যিকারে প্রেমিক চিনবেন যেভাবে

সুন্দরী নারী ফটো প্রেম করতে গিয়ে অনেক মেয়েই প্রতারণার শিকার হন। এজন্য খাঁটি প্রেমিক চিনে নিতে টাইমস অব ইন্ডিয়া চারটি উপায়ের কথা জানিয়েছে। কারো প্রেমে পড়ার আগে উপায়গুলোর সাথে মিলিয়ে নিতে পারেন। তাতে সঠিক প্রেমিককে খুঁজে পেতে সুবিধা হবে।

বিবেকবর্জিত মানসিকতা: ধরুন, আপনাকে কথা দিয়ে আপনার প্রেমিক তা রাখতে পারেননি। কিন্তু এর জন্য তার মধ্যে কোনো অনুশোচনা নেই। আপনি কষ্ট পেয়েছেন কি না, তা নিয়ে তার মাথাব্যথাও নেই। তিনি তার মতোই আছেন। তাহলে বুঝবেন আপনার ব্যাপারে তিনি খুব একটা মনোযোগী নন।

কারণে-অকারণে মিথ্যে বলা: আপনার প্রেমিক বা হবু প্রেমিক কারণে-অকারণে অবলীলায় মিথ্যা বলে যাচ্ছেন, তখনই ধরে নেবেন এই ছেলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে ভেবেচিন্তে দেখার বিষয় আছে। মনে রাখবেন, নিয়মিত মিথ্যা বলা একজন খ্যাপাটে বা বিকারগ্রস্ত মানুষেরই লক্ষণ। আর আপনার সঙ্গে মিথ্যে বলা মানে সম্পর্কের সঙ্গে প্রতারণা করা।

সহমর্মিতার অভাব: আপনার সুখে-দুঃখে যদি প্রতিনিয়তই সমানভাবে আপনার প্রেমিক একাত্ম হতে না পারেন এবং সব সময় নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থাকেন, তাহলে বুঝবেন আপনি একজন আত্মকেন্দ্রিক বিকারগ্রস্ত মানুষের সঙ্গে প্রেম করছেন। বিষয়টি বোঝা মাত্রই আপনাকে সতর্ক হতে হবে।

নির্মম রসিকতায় আসক্তি: সতর্কভাবে খেয়াল করুন, অন্য সবার বিরক্তির উদ্রেক করে কিংবা অন্যকে আহত করে, এমন কোনো নির্মম রসিকতা আপনার প্রেমিক করছেন কি না। যদি দেখেন, স্রেফ মজা করে আপনার প্রেমিক কোনো নিরীহ কাউকে পিটিয়ে কিংবা অবলা জীবজন্তুকে হত্যা বা মারধর করে পৈশাচিক আনন্দ উপভোগ করছেন, তাহলে নিশ্চিত জানবেন আপনার প্রেমিক একজন বিকারগ্রস্ত মানুষ।

এই চারটি বিষয় মাথায় রেখে প্রেম করলে নিরাপদ থাকাটা আশা করা যায়।

স্বেচ্ছ্বায় বন্ধুর সঙ্গে রাত্রিযাপন অতঃপর গর্ভধারণ

ধর্ষণ করা মদ্যপ অবস্থায় স্বেচ্ছ্বায় বন্ধুর সঙ্গে রাত্রিযাপন, অতঃপর গর্ভধারণ। স্বেচ্ছ্বায় শয্যাসঙ্গী হয়ে উল্টো বন্ধুকে ফাঁসাতে গিয়ে বন্ধুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে নিজেই এখন জেল-হাজতে। রীতিমতো বেকায়দায় পড়তে পড়তে শেষ পর্যন্ত বেঁচে যান বন্ধু। প্রতারণার অভিযোগে এখন টক অব দ্য ইংলান্ডে পরিণত হয়েছে ইংলান্ডের ২৫-বছর বয়সী বহুরুপী তরুণী অ্যাশলিক লোডার।পুলিশ প্রায় একশ’ ঘন্টা তদন্তে ব্যয় করে প্রকৃত ঘটনা বের করে এনেছেন। বহুরূপী এই তরুণী প্রথমে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায় যে রাস্তার দুজন অপরিচিত ব্যক্তি জোর করে তাকে ধর্ষণ করেছেন। পরবর্তীতে নিজের বয়ান থেকে পিছপা হয়ে লোডার বলেন, তার এক বন্ধু জোর করে তাকে শয্যাসঙ্গী করেছেন।

তবে এই নারীর অভিযোগকে মিথ্যা প্রমাণ করে পুরুষ সঙ্গীর একটি ভিডিও। মোবাইলে ওই রাতের দৃশ্য ভিডিওতে ধারণ করেছিলেন লোডারের বন্ধু। আর সেটি দেখিয়েই আদলতে রক্ষা পান বন্ধুটি।

বিচার প্রক্রিয়া শেষে প্রতারণার অভিযোগে ইংল্যান্ডের আদালত লোডারকে ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে।

কুমারিত্ব বিক্রি করছে কিশোরীরা

হট গার্ল ফটো।সুন্দরী মেয়েদের ফটোরাশিয়ার কিশোরীরা (টিনএজার) তাদের কুমারিত্ব বিক্রি করছে। আর্থিক সঙ্কট কাটাতে রীতিমতো বিজ্ঞাপন দিয়ে তারা একাজে নেমে পড়েছে। ১৮ বছরের মেয়েরা ১৮ হাজার পাউন্ডে এক রাতের জন্য নিজেকে বিক্রি করে দিচ্ছে । আর এ জন্য তারা বিভিন্ন অনলাইন সাইটে বিজ্ঞাপনও দিচ্ছে। সূত্র: সাইবেরিয়ান টাইমস

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাশিয়ার এক কিশোরী অবশ্য নিজের কুমারিত্ব বিক্রি করেছে আরো বেশি দামে। তার কুমারিত্বের দাম উঠেছে ৩০ হাজার ডলার। তবে বিজ্ঞাপনে নিজেকে ‘নতুন’ এবং ‘অব্যবহৃত’ হিসেবে (নট ইউজড)হিসাবে তুলে ধরেছেন। উপস্থাপনও করেছে মেয়েটি।

শাতুনিহা (ছদ্মনাম) নামের ওই কিশোরী বিজ্ঞাপনে নিজেকে একেবারে নতুন হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। সাইবেরিয়ার ওই কিশোরী বিজ্ঞাপনে একটি হোটেলের ঠিকানা দিয়েছেন। শর্ত হিসেবে বলেছেন, যারা টাকার অঙ্কে রাজি তারা তাকে বিছানায় নেয়ার আগেই মূল্য পরিশোধ করতে হবে।

রাশিয়ার পুলিশের এতে কোনো আপত্তি নেই। পুলিশ বলছে, যতক্ষণ কোনো নারী ও পুরুষ আইন লঙ্ঘন না করবে ততক্ষণ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে না।

খবরে বলা হয়েছে, যেসব কিশোরী কুমারিত্ব বিক্রি করছেন তারা সত্যি খুবই অভাবী। ওই কিশোরী বলছেন, ‘এই মুহূর্তে আমার অর্থের খুবই দরকার। এজন্য আমার সবচেয়ে দামি জিনিসটি বিক্রি করে দিচ্ছি জেনেশুনেই।’

তিনি বলেছেন, ‘আমি আমার কুমারিত্ব বিক্রি করতে প্রস্তুত। এমনকি আগামীকালও হতে পারে।কুমারিত্ব পরীক্ষার সার্টিফিকেট নিয়েই আমি হোটেলে যাব এজন্য যে- তা সম্পূর্ণ নতুন।আমি মোটেও বোকা নই। কারণ আমি আমার সবচেয়ে দামি জিনিস বিক্রি করছি। যা এর আগে কোনোদিন ব্যবহৃত হয়নি। ’ যোগ করেন কিশোরী।

রিপোর্টে একজন পুরুষের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যিনি এক কিশোরীর কুমারিত্ব কিনে নিয়েছেন। ওই পুরুষের নাম ‘ইভজেনি ভলনভ’ হিসেবে লেখা হয়েছে।

‘প্রথম দিন এক লাখ ৩১শ’ ডলার পরিশোধ করে একজন কিশোরীকে কিনেছি এক রাতের জন্য।’ বলেন পুরুষটি।

পুলিশ বলছে, কোনো কিশোরীর স্বাধীনতাহরণ করার অধিকার রাশিয়ার পুলিশের নেই।

গত এপ্রিলেও এ ধরণের ঘটনা ঘটেছে। ওইসময় এক কিশোরী বিজ্ঞাপনে বলছেন আমার বয়স ১৭। খুব শিগগিরই আমি আমার কুমারিত্ব বিক্রি করতে যাচ্ছি। অর্থ খুবই দরকার। আমার মূল্যবান জিনিসের যে সঠিক মূল্যায়ন করবে তার কাছেই সেটি আমি বিক্রি করব।’

‘আমার কোনো বদ অভ্যাস নেই। আমি দেখতে সুন্দরীও। আমি ক্রাসনোইয়াস্কতে থাকি। আমি নিজেকে বিক্রির জন্য যেকোনো শহরে যেতে রাজি আছি’ বিজ্ঞাপনে লেখেন ওই কিশোরী।

ভালোবাসা দিয়ে ঢাকা আয়নাখানি

premer kobita,সুন্দরী মেয়েদের ফটো


আমি আয়নায় মুখ দেখতে গিয়ে দেখি

তোমার মুখ,

সেই চোখ, সেই নাক, সেই ঠোঁট, সেই ললাট

চিবুক ও তেমনিই কাটা,

তুমি স্পর্শাতীত কৃষ্ণ প্রতিমা

নিবিড় শ্যাম উজ্জ্বল আর

দীপ্তিময়;

সেই পরিচিত প্রিয় মুখ, সৌম্য সুদর্শন

আমি যাকে আবহমানকাল ভালোবেসে এসেছি

সবুজ ঘাসের ছবির মত যেন স্থির;

কি এক রহস্যময়তা যেন ঘিরে রেখেছে তোমাকে,

ভালোবাসার আবেশ জড়ানো অথচ

ঐশ্বরিক ঐ চোখে রাজ্যের আকর্ষণ!

এরকম আর কাউকে দেখিনা

প্রকৃতির চোখে কবিতার কাজল পরিয়ে

ঝরাফুলের মত আমি ঝ’রে ঝ’রে পড়ি,

আমি তোমায় গোপনে যাই দেখে

আমার চোখেই তোমাকে যাই ছুঁয়ে;

যেন সেই আমার ভালোবাসা দিয়ে ঢাকা

আয়নাখানি।

এবার প্রেমিকার চড় খেলেন সুশান্ত

premer golpo
অনেক দিন ধরেই প্রেম করছেন ‘শুদ্ধ দেশি রোমান্স’ তারকা সুশান্ত সিং রাজপুত ও ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী অঙ্কিতা লোখান্ডে।

ইদানীং তাঁদের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। সম্প্রতি মুম্বাইয়ের যশরাজ স্টুডিওতে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের একপর্যায়ে প্রকাশ্যে সুশান্তের গালে চড় মেরে মুখরোচক খবরের জোগান দিলেন অঙ্কিতা।

অঙ্কিতার এমন কীর্তির পেছনের কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া না গেলেও এক খবরে ‘ইন্ডিয়া টুডে’ জানিয়েছে, সম্প্রতি যশরাজ স্টুডিওতে ঢুকে সুশান্তকে স্টুডিওর বাইরে যেতে বলেন অঙ্কিতা।

তিনি সুশান্তের মোবাইল ফোন চেয়ে নেন। ফোনে কিছু একটা দেখে প্রচণ্ড খেপে যান অঙ্কিতা। তাঁদের মধ্যে তুমুল বাগিবতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে সবার সামনেই সুশান্তের গালে চড় মেরে বসেন অঙ্কিতা।

একতা কাপুরের বালাজি টেলিফিল্মস প্রযোজিত জনপ্রিয় টিভি সিরিজ ‘পবিত্র রিশতা’য় একসঙ্গে অভিনয় করতে গিয়ে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল সুশান্ত ও অঙ্কিতার মধ্যে।

২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে নাচবিষয়ক টিভি রিয়েলিটি শো ‘ঝলক দিখলা যা’য় সবার সামনে অঙ্কিতাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন সুশান্ত। পরবর্তী সময়ে তাঁদের বাগদান সম্পন্ন হয়েছে। অনেক দিন থেকেই এক ছাদের নিচে বসবাস করছেন এ তারকা জুটি।

ছোট পর্দায় সফল অভিনেতা হিসেবে নিজেকে প্রমাণের পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মুক্তি পাওয়া ‘কাই পো চে’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন সুশান্ত।
প্রথম ছবিতে তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয় বিভিন্ন মহলে।

গত ৬ সেপ্টেম্বর মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত দ্বিতীয় ছবি ‘শুদ্ধ দেশি রোমান্স’।
সুশান্ত ও পরিনীতি চোপড়া অভিনীত ছবিটি বক্স অফিসে দারুণ সাফল্য দেখিয়েছে। ২৫ কোটি রুপি বাজেটের ছবিটি প্রথম তিন সপ্তাহে আয় করেছে ৪৬ কোটি রুপি। ভারতের সীমানা পেরিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও ভালো ব্যবসা করেছে ছবিটি।

এত এত সাফল্য পেয়ে সুশান্তের ওপর অহংকার ভর করায় না কি অন্য কারও সঙ্গে প্রণয়ে জড়ানোয় অঙ্কিতা তাঁকে প্রকাশ্যে চড় মারলেন তা জানার জন্য আপাতত অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই।

পুরনো প্রেমিক যখন বাবা

hot girl photo
পুরনো প্রেমিক বাবা হতে চলেছেন, খবরটা পাওয়ার অনুভূতিটা ঠিক কী রকম? খুশি হওয়ার মতো? মনে ব্যথা পাওয়ার মতো? নাকি না-খুশি, না-দুখি মার্কা কোনও মিশ্র অনুভূতি? সেটাই নাকি আজকাল বুঝে উঠতে পারছেন না বাংলা ছবি এবং ধারাবাহিকের জনপ্রিয় নায়িকা রিমঝিম মিত্র। সারাক্ষণ এই চিন্তাই নাকি ঘুরপাক খাচ্ছে রিমঝিমের মাথায়।

পুরনো প্রেমিক ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবের ফুটবলার অ্যালভিটো ডি’ কুনহা খুব শীঘ্রই বাবা হতে চলেছেন যে! আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই নিজেদের প্রথম সন্তান এক্সপেক্ট করছেন অ্যালভিটো আর তার স্ত্রী পার্ল। মেয়ে হলে অভিনেত্রী আর ছেলে হলে তাকে ফুটবলার তৈরি করবেন বলে মনস্থিরও নাকি এর মধ্যেই করে ফেলেছেন অ্যালভিটো।

শোনা যাচ্ছে খবরটা কানে আসতে না আসতেই নাকি ঈর্ষার আগুনে পুড়ছেন রিমঝিম মিত্র। বেশ
কনফিউজডও নাকি বোধ করতে শুরু করেছেন তিনি। করবেন নাই বা কেন? এককালে তো একেবারে মাখোমাখো প্রেম ছিল দুজনের মধ্যে। দীর্ঘদিন এক ছাদের নিচে বসবাসও নাকি করেছেন তারা। তারপর ঝগড়া-ঝাটি করে প্রেম ভাঙল বটে। তবু প্রাক্তন প্রেমিককে মাথা থেকে বের করতে পারেননি রিমঝিম। তাই এখন অ্যালভিটোর বাবা হওয়ার খবরটা পেয়ে নাকি মাথায় একেবারে আকাশ ভেঙে পড়েছে কন্যের! এ ব্যাপারে তাঁকে শুভেচ্ছা জানানো উচিত কি উচিত না- তাও নাকি বুঝে উঠতে পারছেন না রিমঝিম।

সারাক্ষণ বেশ বিব্রত আর হতভম্ব কি তাহলে আজকাল এই কারণেই তাকে দেখা যাচ্ছে? নিন্দুকেরা তো বলছেন, হ্যাঁ; তাছাড়া আবার কি? এই তো সেদিন চালতাবাগান সার্বজনীনে সিঁদুর খেলতে দেখা গেছিল রিমঝিমকে। সেদিনই নাকি ঠাট্টার ছলে অ্যালভিটোর বাবা হওয়ার প্রসঙ্গও উঠেছিল রিমঝিমের বন্ধুদের মধ্যে। ব্যস, অমনি মুখ গোমড়া হয়ে গেল মেয়ের! এই মশকরার জবাবে হাসবেন না কাঁদবেন, বুঝেই নাকি উঠতে পারছিলেন না রিমঝিম।

এর কিছুক্ষণ পরই আবার হাসি মুখে দেখা গেল তাকে। আর ক্যামেরার সামনে যখন ধরা দিলেন? তখন না-হাসি, না-কান্না মার্কা মিশ্র মুখভঙ্গিতে দেখা গেল তাকে! সব মিলিয়ে যাকে বলে টোটালি কনফিউসড! আর এসবের কারণ অ্যালভিটোর বাবা হওয়া ছাড়া আর কী-ই বা হতে পারে?

তবু মেয়ে দমবার পাত্রী নন। প্রাক্তন প্রেমিক যে বাবা হতে চলেছেন, এই খবর তো আর প্রেমিক নিজে থেকে রিমঝিমকে দেননি! খবরটা নাকি তিনি পেয়েছেন এক বন্ধুর থেকে! তাই এই যুক্তিকে সম্বল করেই আপাতত ‘না’-এর দিকেই পাল্লা ভারি রাখছেন কন্যে। শেষমেশ অ্যালভিটোকে কি তিনি আদৌ শুভেচ্ছা জানাবেন? নাকি এড়িয়ে যাবেন? এই নিয়েই সরগরম এখন কলকাতার গসিপ মহল।

বাজারে এবার দৃষ্টি নিয়ন্ত্রিত কম্পিউটার

eye computer
এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ দৈনিক টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, বার্লিনের টেকক্রানসে নতুন প্রযুক্তির ট্যাবলেট কম্পিউটারটি উন্মুক্ত করা হয়।
কোপেনহেগেন ভিত্তিক কোম্পানি দি আই ট্রিবিউট এ ডিভাইসটি তৈরি করে। ধারণা করা হচ্ছে ট্যাবলেট কম্পিউটারটি কম সময়ের মধ্যে টাচস্ক্রিন ডিভাইসের জায়গাটি দখল করে নেবে আই ট্রিবিউট।
ইউএসবি থ্রি সংযোগের মাধ্যমে আই ট্রিবিউট গ্যাজেট ট্যাবলেট কম্পিউটার ও স্মার্টফোনে লাগালে ডিভাইসটি হাতের আঙ্গুলের স্পর্শের পরিবর্তে চোখের ইশারায় কাজ করবে। তখন স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট কম্পিউটারে হাতের স্পর্শ ছাড়াই বিভিন্ন রকম মজার গেইম খেলা যাবে।
বার্লিনে টেক ক্রান্স টেকনোলজি এক্সপোতে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের মুখপাত্র সানি অ্যালসট্রাপ জোহানসেন বলেন, “আমরা এ প্রযুক্তিকে এমনভাবে ট্যাবলেট কম্পিউটারে স্থাপন করেছি, খুব দ্রুত ও সূক্ষভাবে এটি কাজ করে।”
আই ট্র্যাকিং ফিচারের কিছু ডিভাইস বাজারে পাওয়া গেলেও এখনও সহজলভ্য নয়। তবে, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এ প্রযুক্তি হাতে হাতে পৌঁছে যাবে বলে আশা করছেন নির্মাতারা।