বুধবার, ৩১ জুলাই, ২০১৩

যে মেয়ে আপনাকে কষ্ট দেবেনা

সুন্দরী মেয়েকখনোই সেই মেয়ে/ছেলে কে কষ্ট দিবেন না যে,

শুধু আপনার সাথে দেখা করার জন্য মাইলের পর মাইল হেটে আসে,
সে “sorry” বলে যদি ও সে কিছুই করে নি ,
 সে অনেক কাঁদে আপনার জন্য ,
সে আপনার জন্য এখন ও চিন্তা করে, এবং এখন ও ভালোবাসে ,
 সে এখন ও আপনাকে ফেরত পাবার বিশ্বাস রাখে ,
 সে যতই কষ্ট আপনার নিকট থেকে পাক আপনাকে তবুও ভালোবাসে ,
 সে সঠিক হয়া সত্ত্বেও তর্ক করা বন্ধ করে দেয় শুধু মাত্র রিলেশনটা যেনো নষ্ট না হয় ,
সে অনবরত আপনাকে খুশী করার চেষ্টা করে এবং আপনাকে সুখী দেখতে চায় ,
সে মন খারাপ করে থাকলেও বলে না, কারন সে ভাবে আপনাকে সে বিরক্ত করছে
সে আপনাকে ছেড়ে যেতে চায় আপনার খারাপ ব্যাবহার এর জন্য , কিন্তু আফসোস তা সে পারে না

হয়তো আপনি অনুভব ও করতে পারবেন না সে আপনাকে কতটা ভালোবাসে,
একটা অনুরোধ রইলো সবার প্রতি, ভালোবাসার প্রতিদান না দেন ঠিক আছে , তবে কষ্ট দিবেন না।

ইচ্ছে হতো দুয়ার খুলে নামার’

তোমার জ্বরের হাতে হাত ছুঁয়ে দিলে মনে হয়
কলেজ গার্ল ফটো

দুজনের একসঙ্গে জ্বর আসত সন্ধেবেলা,/ মোম নিভে গেলে

আবছা সিঁড়ির নীচে এ ওকে জড়িয়ে কাঁপতাম         (পিনাকী ঠাকুর)

কলকাতার যেন জ্বর হয়েছে। ‘যেন’ নয়, সত্যি সত্যি-ই জ্বর! কখনও একাকী তাকে, মানে কলকাতাকে দেখার বাহানায় দেখেছেন? কখনও ইচ্ছে করেনি, নিভৃতে কলকাতাকে দেখতে? যদি উত্তরটা ‘না’ হয়, দোহাই! রৌদ্রদহনে তপ্ত ওর লালি মুখের আলস্যে ভর করে, ওর দিকে একটিবার ভাল করে তাকান। প্লিজ! প্রিয় কলকাতার উড়ো চুল সরিয়ে কপালে, সরগরম আদুল বুকে হাত দিয়ে দেখুন!

দেখবেন, অদৃশ্য থার্মোমিটারে পারা ওঠা-নামা করবে আপনার মনের মন্দরে। ইচ্ছে হলে, রুদ্রতপের সিদ্ধিতে পুড়তে পুড়তে তিলোত্তমার কানে কানে বিষ্ণু দে বলতে পারেন। ‘আমি তো তোমায় বহুদিন চিনি/ তুমি জানোনাকো আছি/ তোমার হাওয়ায় শ্বাস টেনে কাছাকাছি’।

কেন জানি মনে হয়, তিলোত্তমার মতোই ধরন রঞ্জাবতীর। দহনকালে যত দিন যায়, দুঃসহ তাপ ও তপের নিদাঘে যেন ছারখার হয় বালা। এখন যেমন, জ্বরে পুড়ছে ওর অলি-অন্দর। যদি বা কখনও মন্থর মেঘ এসে দাঁড়ায় শহরের আকাশে, তখন কেবল ওর হিয়া উতলা হয়।

এমন দিনে কোথায় যাই রঞ্জাকে নিয়ে নিশিঠেকে? কেবল ঘোর বর্ষা কেন, যেখানে বসে এমন দারুণ দহন দিনেও ‘বলা যায়’! সম্প্রতি বন্ধুনি সুচেতার হদিশ দেওয়া তেমন এক মিউজিক ক্যাফের কথা মাথায় ঘুরছিল। ক্যাফেলা! যতীন দাস রোডের এই কফিখানার কথা লিখতে লিখতে হঠাৎ রঞ্জাকে দেখে শকুন্তলার কথা মনে পড়ল। একইসঙ্গে মনে পড়ল, জ্বরতপ্ত বেহায়া বালিকা শকুন্তলার উদোম শরীরে দিকে তাকিয়ে রাজা দুষ্মন্তর মনে হয়েছিল, এ কী খর দিনের জ্বর, নাকি অন্যকিছু? সাহিত্যের নিবিড় পাঠ বলে, কালিদাসের নায়িকার এই জ্বর, বঙ্কিমের ব্যাখ্যায় চপলা বালিকার ‘বাহানা’!

সুচেতা যেতে বলেছিল, যাওয়া হয়নি ক্যাফেলা। দিন কয়েক আগে নাকি সেখানে গান শুনিয়ে গেলেন লোকশিল্পী দীপান্বিতা আচার্য। গল্প বলেছিল ওখানে বসে বসেই কবিতা থেকে গান হয়ে ওঠার। ওদের সঙ্গে ছিল স্যান্ডউইচ আর কফির কোলাজ! কিন্তু এই গরমে রঞ্জার কি মন উঠবে শ্রবণ-সুখ-শালা ক্যাফেলার কফিতে?

কালিদাসের ‘ঋতুসংহার’-এর কালে নগরবালিকারা নাকি গরমের দহন জ্বালা সহ্য করতে না পেরে নাগরদের সামনেই স্তনমণ্ডলে চন্দনের প্রলেপ দিতেন। বিলাসিনীরা কেউ কেউ স্তন বৃন্তে দিতেন বেনার মূল বাটা। আর চন্দন রসে চর্চিত স্তনে উশীরের প্রলেপ নিয়েছিলেন সংস্কৃত সাহিত্যের সরলমতি ‘বালিকা’ শকুন্তলা! এখন ভাবি, সে প্রলেপ কি নিছক জ্বর তপ্ত গরম শরীরকে ঠান্ডা করতে, নাকি রাজনকে কাম-বি-বশ করবার ছুতো! থাক সে কথা!

- সকাল সকাল শকুন্তলাকে নিয়ে পড়েছ ফকির?

- তোমার জ্বরের সঙ্গে মেলাতে চাইছিলাম সরলমতি বালিকার বাহানা।

- মিলল!

রঞ্জাবতী যে কখন লেখার টেবিলে ঝুঁকে, পড়ে ফেলেছে শকুন্তলার কথা… ভাগ্যিস মর্যাদার প্রশ্ন তোলেনি মেয়ে। এক্ষুণি বিপর্যস্ত হত নিশি-কথা! লেখা ফেলে ওর দিকে তাকিয়ে রইলাম দীর্ঘক্ষণ। কেন যে নতুন করে দেখতে ইচ্ছে করে ওকে! হররোজ করে!

রোজ মানে প্রতিদিন। ওর চিবুকের চির-চেনা তিল, চন্দন বনের ডাক পাঠানিয়া ভ্রু-পল্লব, নিবেদন প্রাণ ঠোঁটের সারল্য, চকিত চোখের চিত্রলেখা, আঘাতে-আশ্লেষে অস্ফুটে ব্যথার কানে কানে বলা, ‘ভালোবাসি, শুধু তোকেই ভালোবাসি’- সব তো জানা হয়ে গেছে এই ফকিরের। যা দেখে-জেনে উদাস হয় একটি সম্পর্ক! তবু?

তবু! কেউ কেউ অভিযোগ করে বলে, রঞ্জাকে নিয়ে চাট্টিখানি কাব্যি করলেই নিশিঠেক? না। যদি বলি, পৃথিবীর প্রাচীন নেশার নাম ভালবাসা! সেই নেশার নানা পরত চিনতে চিনতে, কলকাতার এক ঠেক থেকে অন্য ঠেকে যেতে যেতে তাই রঞ্জাবতীকে শুনি। শোনাই চির পিপাসিত এক ইচ্ছের কবিতা। শক্তির ‘ইচ্ছে হতো’ সেই মেয়েটির মনের গহনে নামার। ও শোনে, নেশায় চুরমার করতে করতে শোনে। ‘মেঘের মতো এলিয়ে আছে চুল/ অমন একটি মেয়ের মনে আমার/ ইচ্ছে হতো দুয়ার খুলে নামার’।

রঞ্জার কপালে হাত দিয়ে দেখলাম, বেশ গরম। হাত পুড়ল যেন! দেখলাম, ফেসবুকে কার সঙ্গে চ্যাটে উপুড় হয়ে রয়েছে মেয়ে। পাশে রাখা নেলপলিশ! ফকিরের লেখা-পড়ার ঘরে এই ডিভানটা ওর খুব প্রিয়। উড়ুক মেয়ের বসত-বাটি, খেলা-ধুলো সব ওখানেই।

- খানিকটা। হয়তো মেলাবেন তিনি মেলাবেন! জানো রঞ্জা, এই শহরের বার-রেস্তোরাঁ, কফিশপের কনসেপ্ট ক্রমশই যেন বদলে যাচ্ছে।

- সেটা কী রকম?

- কফি হাউজের মতো শহরের গুটিকয় তুলকালাম আড্ডাজোনের কথা বাদ দাও। চা-পান সহযোগে বাঙালির চিরচেনা চণ্ডীমন্ডপ বা মোড়ের চায়ের দোকানের নির্মল আড্ডা বা রকের গুলতানি যেন ফিরছে মিউজিক ক্যাফের হাত ধরে।

- মিউজিক ক্যাফে কিন্তু শহরে প্রথম নয় ফকির!

- তা নয়, কিন্তু দল বেঁধে ঠেক মারতে মারতে ইচ্ছে মতো গান-বাজনা করা, কবিতায় কবিতায় মাতিয়ে তোলা, সেটা বেশ ঝিঙ্কু ব্যাপার। এবং অভিনব।

বহুদিন পর, একটা কটকি পড়েছে আজ ও। ছাই রঙের কটকি। শাড়ির জমি জিরেত জুড়ে রুপোর জলকাঠি। আর পাড়ের আকাশ নীল সীমান্ত পেরোলেই লাল-কালোর কটকিয়ানা। শাড়ির ছিপছিপে আঁচলে নিহিত, সান্নিধ্যের একান্ত সুধা-লিপি! স্লিভলেস কটকি ব্লাউজটার লাল-কালো সুতোর চুড়োতেও সেই তৃষ্ণাতুর সঙ্গ-সুধার লিপি। শীলিত আরামে সে লিপিতে মেয়ে যেন সুর-শিথিল স্বরলিপি চাইছে কেবল!

নেলপলিশ পরতে পরতে এফবি-তে টেক্সট করা থামিয়ে রঞ্জা বলল,

- কোথায় বসছে, তোমার এবারের নিশিঠেক?

ফিরে তাকাতেই, চোখ গেল ওর গহন কাজল-কালো চোখে। তাকিয়ে আছে আমার-ই দিকে। মানে, ঘাড় ঘুরিয়ে ওর তাকিয়ে থাকার সেই ঘাই হরিণীর চির-চেনা ভঙ্গি! চোখের ওপরের পাতায় কালচে শ্যাডো। রুপোলি ফিতের নদীরেখা কি সেখানে? হঠাৎ মনে হল, ল্যাপটপের স্ক্রিনের আলোয়-চিক চিক করছে সে রুপোলি রেখা। আজ ফের কপালে লাল টিপ! পিঠে… সারা পিঠে খোলা চুল, ছড়ানো-ভিজে… আধভেজা!

জ্বর নিয়েই একটু আগেই স্নান করেছে ও। সেই ছোট থেকেই জানি, মেয়েদের ভিজে চুলের ভিতর একটা অন্যরকম সুবাস থাকে। হয়তো জীবনের সুবাস! লেখা ছেড়ে ওর চুলে সেই অন্যরকম গন্ধটা, মুষলধারে ভেঙে পড়ে, মাখতে মাখতে বললাম,

- ৫৬, যতীন দাস রোড। ক্যাফেলিয়া!

- প্রিয়ার কাছে? এ মা! এ তো নিজের পাড়া। জায়গাটা ঠিক কোথায় বলো তো?

- একদম। প্রিয়ার সামনে। যুগলসের মিষ্টির দোকানের পাশ দিয়ে যে রাস্তাটা গেছে, ওটায় ঢুকে প্রথম বাঁদিকের রাস্তার ঠিক ওপরে।

- হঠাৎ পানশালা ছেড়া কফিখানায় নিশিঠেক?

- নিশিঠেক মানে নলবন যেমন, তেমন তো নিশিঠেক গঙ্গাকিনার-ও! বা বলতে পারো, বারিস্তা যেমন, বার-বি-কিউব-ও নিশিঠেক! যেখানে এই শহরের জনতা ঠেক জপায়, সবখানে চলতে পারে ঠেক! ঠেক জপানোর কি কোনও স্থান-কাল-পাত্র হয়!

- বুঝি বুঝি, সব বুঝি! ক্যাফেলায় বিয়ার বাটার ফিশ ফ্রাই-এর লোভে ওখানে বসছে তোমার নিশিঠেক! তোমার বন্ধুনি কিন্তু এফবি-তে রঞ্জাবতীর মিউচুয়াল ফ্রেন্ড!

দুপুর ফুরিয়ে আসছে। একটু পরেই বিকেল। একসময় মনে হল, রঞ্জার জ্বর বাড়ল! বাড়ল কি? ওর আধভেজা চুলের গহনে হারাতে হারাতে মনে পড়ল পিনাকী ঠাকুরের ‘জ্বর’! তুমুল বৃষ্টির রাতে বাতাসতাড়িতের মতো বললাম,

- তোমার জ্বরের হাতে হাত ছুঁতে গিয়ে মনে হল/ অগম্যাগমন পাপে আমারও কি জ্বর আসবে,/ বেলফুল ছুড়ে ফেলে আজ..

ঠোঁটে আঙুল রেখে থামিয়ে দিল রঞ্জা। বলল ঠিক পরের লাইন,

-দুজনে একবার কাঁদবো সারারাত দুজনকে জড়িয়ে?

মনের আকাশে মেঘ জমলে উড়ুক মেয়ে

অলির ঠিক সামনে এসে থামল স্টোন ব্ল্যাক ফিয়াট গাড়িটা। আমার খুব চেনা এই গাড়ি, গোল্ডেন নম্বর প্লেটের ধারালো হরফ, বনেটের ওপর এরিয়ালের শৈলি, কাঠুরিয়া শিল্প নৈপুণ্যে সাজানো ড্যাশবোর্ড… সেই কবে থেকে অন্তরমহলে ঢুকে পড়েছে এসবের জলছবি। এ গাড়ির ব্যাকসিটের আদর-বিলাসের
হট মডেল গার্ল
ভৌগোলিক ঠিকানা বা, জমিনদারির জরিপ যেমন আমার নখদর্পণে, এই গাড়ির মালকিনের হৃদয়পুরের আশমানদারীও আমার সুবিদিত। এই যেমন, আজ ঠিক রঞ্জাবতীর মনখারাপ। সেটা আমি ওর এই গাড়ি দেখেই মালুম করলাম। মানে! মানে, উড়ুক মেয়ে রঞ্জাবতীর মনের আকাশে মেঘ জমলে, সেদিন ও এই কালো গাড়িটায় চড়ে আমার সঙ্গে কলকাতার পথে বেরোয়। এ শহরের নিশিঠেকে যায়!

ফুরিয়ে আসা সিগ্রেট-টায় সুখটান দিয়ে এগিয়ে গেলাম দুলালির কাছে। ওকে নামিয়ে বুড়ো মহাদেব গাড়ি নিয়ে চলে গেল পার্ক সার্কাসের দিকে। অর্থাৎ রঞ্জাবতীর আজও রাত হবে ফিরতে। ফিরবে হয়ত সেই ভোর রাত্তিরে, হয়ত আমার সঙ্গেই, আমার ছোট্ট ডেরায়। কোনওকিছুতেই এ মেয়ের ছুঁৎ-মার্গ নেই যেন! এই ক’ বছরে একদিনের জন্যেও ওর মধ্যে নেকিপনাও দেখিনি। এক সম্পর্ক থেকে আর এক সম্পর্কে যেতে যেতে ও এভাবেই আমাকে বলে যায় ওর নিত্য নতুন সম্পর্কের অধুরা-অধ্যায়ের কথা। ইচ্ছে হলে, মহাদেবকে ছেড়ে দেয়। শনিবার এলে রঞ্জা এমনই করে।

এগিয়ে হাতটা ধরলাম ওর। চোখের দিকে ক্ষণিকের জন্য তাকাল রঞ্জাবতী। তারপর হাতটা সরিয়ে নিল। বুঝলাম, অভিমানের দোসর আমিও। কোমরের ভয়াল বাঁকে সাহসী হাত রেখে কাছে টানতেই ওমা! দিব্যি ঘন হয়ে বুকের কাছে সরে এল মেয়ে। হাতটা ধরে মৃদু চাপ দিলাম। নরম, পাখির পালকের মত নরম, পেলব ফর্সা হাত। মধ্যমার নীলাটায় মুহূর্তের জন্য তাকিয়ে মুঠো বন্ধ হাতটা ধরে অপলক চেয়ে রইলাম ওর চোখের দিকে। রবীন্দ্রনাথ মনে পড়ছিল। কিছু বলতে যেতেই, ও আমার ঠোঁটের ওপর নিঃশব্দের তর্জনী রাখল। তাকিয়ে রইল একদৃষ্টিতে চোখের দিকে। ক্লান্তি ঢাকার অছিলায় লাইনারে মাখামাখি ওর স্মোকি আইজ। অহর্নিশি যা আমাকে সর্বনাশের দিকে ঠেলে দেয়। কী গহন ওর এই চাহনিবিলাস। নির্ঘাত দহন জেনেও আমি শ্যামা পোকার মতো এগিয়ে যাই। রঞ্জাবতী আমাকে পুড়িয়ে ছারখার করে ওর দাউদাউ আগুনে। সত্যি কথা কী, অমন আগুনে পুড়তে হৃদকমলে ধুম লাগে আমারও!

রাসেল স্ট্রিটের নিওনের তেরচা আলোকরেখা এসে পড়েছে ওর মুখে। সেই আলোয় ওর পিচরঙ ঠোঁট দুটো চিকচিক করছে। অনেকটা সোহার মতো ওর ঠোঁট। লিপলাইনারের বাঁক-উপবাঁকে মিশে গেছে ঠোঁটের প্রান্তরেখার সারল্য। রঞ্জা হাসলে, ওর গালে খুব সুন্দর ছোট্ট একটা টোল পড়ে। কানের দু’ পাশে নেমে এসেছে দু’ গাছি চুল। ঠিক প্রেমেন মিত্তিরের কবিতার মতো, ‘তোমার স্বপন দেখি/ সে স্বপনে তুমি কতটুকু/ একগুছি চুল,/ কানের দুলের পাশে/ নেমেছে শিথিল হয়ে/ মেদুর মেঘের রাত থেকে’।

আজ কি একটু বেশিই সুন্দরী দেখাচ্ছে রঞ্জাবতীকে? আজ ও ফেডেড জিন্সের ওপর সাদা শর্ট শার্ট পড়েছে। ওপরের যে দুটো বাটন খোলা, সেখানটায় যেন পাহাড়িয়া নিঃসঙ্গতায় বৌদ্ধিক মন্ত্রের চির মুগ্ধতা। শহরের রাতকুঠুরিতে আগুন ধরিয়ে দেবে আজ এ মেয়ে!

ওকে নিয়ে ঢুকে পড়লাম অলির মধ্যে। অলি। আমার বহু স্মৃতি আর গহন সুখের ঠিকানা অলিপাব। কলেজবেলার বন্ধুনিদের হাত ধরে এ শহরের এই নিশিঠেকে পা বাড়িয়েছিলাম। তারপর কত শত বার। অলি এখনও একরকম। পিতলের পানপাত্রে সেই আগের মতোই চলকানো কোহলের পরিবেশন, দেওয়ালে ঝিম ধরা আলোর মায়া দীপন, টেবিলে টেবিলে কথাচারিতার স্মৃতি গন্ধে চারপাশ ভুরভুর, অলি নস্টালজিক!

আমার খোলা হাওয়া

সামনে সার দিয়ে দর্শক, স্টেজ আর হল উজাড় করে আলোর বাহারি ঝলকানি আর উচ্চগ্রামের মিউজিক। তারই তালে পা মিলিয়ে বাছাই সুন্দরীরা পোশাক প্রদর্শনের নেশায় নেমেছেন। অথবা ভাবুন ব্যালকনির
মডেল গার্ল
দরজাটা খুললেই সামনের বিশাল হোর্ডিংয়ে সুগন্ধীর বিজ্ঞাপনে বুক খোলা সুপুরুষের উদ্দামতায় মাঝেমধ্যে হিংসে জাগে কিনা? মনে মনে ভাবতে ইচ্ছা করে, যদি আপনিও পৌঁছাতে পারতেন কল্প-বাস্তবের ওই রঙিন জগতে? মডেলিং-এর জগতে? গ্ল্যামার, বাহারি আলো, স্বপ্ন- সব মিলিয়ে শুধু নামোচ্চারণেই কী অদ্ভুত আকর্ষণ, তাই না? এবার সেই পথ যদি পরিষ্কার করে দেয় ইন্টারনেট? চিন্তা নেই, এবার ইন্টারনেটে কয়েক ক্লিকেই আপনি পা ফেলতে পারেন মডেলিং-এর দুনিয়ায়। প্রশ্ন হল, যেখানে বাস্তব জগতে লড়াইটা ভয়ানক কঠিন, সেখানে কীভাবে সাহায্য করবে ইন্টারনেট? বিশেষ করে কলকাতার মতো শহরে, যেখানে গ্ল্যামার দুনিয়ার আলোর ঝলসানিটা অন্য শহরের তুলনায় অনেকটাই কম?

আসলে মডেলিংয়ের বাস্তবটা বড়ই কঠিন। প্রিন্ট মডেলিংয়ের দুনিয়ায় যেটুকু জীবন বেঁচে আছে, দেশের র‍্যাম্পের দুনিয়া তার পাশে অনেকটাই খুঁড়িয়ে হাঁটছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। রাজধানী বা মুম্বইয়ের র‍্যাম্পের দুনিয়ার এমন সাদা-কালো ছবির পাশে তো কলকাতার চিত্র আরওই বেমানান। তবু মধ্যবিত্ত বাড়ির এ প্রজন্মের অনেকেই টিচিং, সরকারি চাকরির বাঁধা-ধরা গন্ডির বাইরে গিয়ে ঝুঁকছে এই পেশায়। কিন্তু প্রতিযোগিতা, কাজের সুযোগ না-মেলা ইত্যাদি নিয়ে মডেলিং পেশা হিসেবে খুব সুখকর হচ্ছে না। কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে গোড়ায় গলদ। প্রথম থেকেই এই পেশা সম্বন্ধে সঠিক হাল হকিকত জেনে, নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী ঠিকঠাক গ্রুমিংয়ের মধ্যে দিয়ে এগোলে তবেই মডেলিং নিয়ে স্বপ্নের কেরিয়ার গড়া যায় বলে জানাচ্ছেন, অন-লাইন মডেলিং সংক্রান্ত একটি সংস্থার আধিকারিক অপ্রতীম ঘোষাল। আর সেই গ্রুমিং আর খুঁটিনাটি অনেক কিছু নিয়েই এখন ধরা দিচ্ছে অন-লাইনে।

কেন না, পেশা হিসেবে মডেলিং সহজ নয় মোটেই। র‍্যাম্প নাকি প্রিন্ট- মডেলিংয়ের কোন জায়গায় নিজেকে দাঁড় করাবেন সে নিয়ে সঠিক হদিশ দিতে এ শহরে পথ নির্দেশকের সংখ্যাও বড় কম। সেই ফাঁকটুকুই পূরণ করছে বেশ কিছু অন-লাইন সংস্থা। তার মধ্যে কিছু ওয়েবসাইটে মডেলরা আপলোড করতে পারবেন নিজেদের পোর্টফোলিও, তারপর যোগ্যতা বিচার করে সেই সংস্থা তাঁদের পাইয়ে দেবে কাজ। এমনই একটি সংস্থার প্রধান জানাচ্ছেন, ‘এই জগতে সঠিক ভাবে প্রবেশ করতে গেলে প্রথমত সঠিক পোর্টফোলিও বানানো প্রয়োজন। আমাদের সংস্থায় আমরা এই পুরো প্রসেসটা করে থাকি। এখানে পোর্টফোলিও থেকে শুরু করে ফ্যাশন শো, গ্রুমিং এমনকী পরবর্তী ক্ষেত্রে বিভিন্ন জায়গায় মডেলদের প্রোমোট করার কাজটাও আমরা করে থাকি। আর প্রোমোট করি বলেই প্রফেশনাল পোর্টফোলিও ছাড়া আমরা অ্যালাও করি না। ছবি পছন্দ না হলে আমাদের এখান থেকেও পোর্টফোলিও বানানো যায়। এই প্রয়োজনটা আমরা অনুভব করেছিলাম প্রথম শো করতে গিয়ে। এদেশে এমন কোনও সাইট ছিল না যেখান থেকে মডেলস, ডিজাইনার, গ্রুমার, এজেন্সির ঠিকঠাক ডেটাবেস মেলে। আসলে এরা এই পেশায় একে অপরের সঙ্গে যুক্ত, কিন্তু একটা কমন প্ল্যাটফর্ম নেই বলে কেউ পরস্পরের হদিশ পান না। আমাদের সাইট সেই কাজটা করে। ১০ বছর আগে এমনটা ছিল না। আসলে মডেলিংয়ের জগৎ এখন অনেক বেশি ওপেন। তাই ছেলেমেয়েরা অনেকেই এগিয়ে আসছে। কিন্তু তাদের সঠিক রাস্তাটা দেখাতে হবে’।

তবু মডেলিংয়ের জগতের তো নানা ভয়াবহ ঘটনাও আমাদের সামনে আসে প্রায়শই। মানসিক অবসাদ, আত্মহত্যা, মডেলিং ছেড়ে অন্য পেশায় প্রবেশ করায় বাধা- এই সব কিছুই একটা সময়ে হয়ে দাঁড়ায় কঠিন বাস্তবতা। অন-লাইন মডেলিং সংস্থা সে ব্যাপারে কতটা সাহায্য করতে পারবে? অপ্রতীমবাবুই জানাচ্ছেন, মডেলিংয়ের দুনিয়া এবং ফ্যাশন মার্কেট যেভাবে লাভের দিকে এগোচ্ছে, তাতে প্রাথমিকভাবে এই সমস্যাগুলো থাকলেও তা থেকে অচিরেই মুক্তিও মিলবে। ‘কিন্তু ওই নিজেকে জানতে হবে। আমরা তাই ওয়ার্কশপ করাই। নামীদামি লোকেরা আসেন। এখানে একটি মেয়ে বা ছেলে কাউন্সেলিং-এর মধ্যে দিয়ে বুঝতে পারে, মডেল সে আদৌ হতে চায় কিনা। বা কোন ধরনের কাজ সে করতে চায়। ফ্যাশন ডিজাইনার থেকে শুরু করে মেকআপ আর্টিস্ট, ডায়েটিশিয়ান, সাইকোলজিস্ট সবাই এখানে আসেন।

তবে পেশা যাই হোক, গ্লোবালাইজেশনের দৌলতে তাকে হাতের মুঠোয় আনতে আর কতক্ষণ? গুগলে সার্চ করলেই মিলবেই প্রচুর অন-লাইন মডেলিং সংস্থার সন্ধান, তারপরে নিজেকে জেনে-বুঝে এগোলেই র‌‌‌‌্যাম্প আসবে পায়ের তলায়।

বিয়ে করলেন শাবনুর

শাবনুর অনেক দিন থেকেই শোনা যাচ্ছিল বিয়ে করছেন শাবনূর। মিডিয়াতে ফলাও করে বলেও ছিলেন, ‘যেকোনো দিন বিয়ে করে ফেলতে পারি। পাত্র পছন্দ হলেই সেরে ফেলবো কাজটা।’ কয়েক মাস অস্ট্রেলিয়ায় কাটিয়ে ২১ জুলাই দেশে ফিরেছেন তিনি। দেশেই ঈদ করবেন। তবে এবার দেশে ফেরার পর নতুন করে গুঞ্জন
চলছে শাবনূরকে নিয়ে। বিয়ে করেছেন তিনি! গোপনেই সেরেছেন সব।

তাঁর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, পাত্র অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন। পেশায় ব্যবসায়ী। অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশ দুদেশেই ব্যবসা আছে তাঁর। পারিবারিকভাবেই সব হয়েছে। পাত্র আগে থেকেই পরিচিত ছিল।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চিত্রনায়িকা কেয়া বলেন, ‘আমি তো শুনেছি অনেক আগেই বিয়ে করেছেন শাবনূর। ছেলে অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন। তবে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কাউকে কিছু জানানো হয়নি বলে জানি।’

অনেক দিন ধরেই মন্দা যাচ্ছিল  শাবনূরের ফিল্মি ক্যারিয়ার। দিনদিন বেঢপ মোটা হয়ে যাচ্ছিলেন। তাই পরিচালকরা শাবনূরকে নিয়ে সিনেমায় নামতে ঠিক সাহস পাচ্ছিলেন না। শাবনূর নিজেও মুটিয়ে যাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন। ‘কিছুটা হালকা-পাতলা হওয়ার জন্য অস্ট্রেলিয়া থেকে ঘুরে আসছি।’ অস্ট্রেলিয়া যাওয়া আগে এমনটাই বলে গিয়েছিলেন ভক্তদের। কিন্তু আসল কথা হচ্ছে, ক্যারিয়ারের এই মন্দা সময়ে ঘর বাঁধার কাজে মনোনিবেশ করেছেন বাংলা সিনেমার সুপার হেরোইন।

শাবনূরের এক আত্মীয় জানান, শাবনূরের বিয়ে নিয়ে উঠেপড়ে লেগেছিল তাঁর পরিবার। তাই অস্ট্রেলিয়ায় পরিবারের চাপে বিয়েটা সেরে ফেললেন বড় পর্দার জনপ্রিয় এই নায়িকা। সূত্র জানায়, জীবনের একটা সময় অস্ট্রেলিয়ার স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন শাবনূর। স্বামী ওই দেশের নাগরিক। তাই সহজেই হয়তো নাগরিকত্ব মিলবে তাঁর।

জানতে চাইলে বর্তমান সময়ে চলচ্চিত্রের আরেক জনপ্রিয় মুখ সারাহ জেরিন জানান, ‘শাবনূর আপু বিয়ে করেছেন বলে শুনিনি। তবে তার বিয়ের কথা চলছিল বলে মিডিয়ার মাধ্যমে জেনেছি। তাছাড়া আপুর বিয়ের বয়স তো হয়েছে। তিনি তো বিয়ে করতেই পারেন তাই না?’

অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আগে মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের ‘কিছু আশা কিছু ভালোবাসা’ ছবির কাজ শেষ করে গেছেন। ছবিটি সম্প্রতি সেন্সর বোর্ডে জমা পড়েছে। শীঘ্রই মুক্তি পেতে পারে ছবিটি।

অনেক হয়েছে অভিমান

 অনেক হয়েছে অভিমান, অনেক হয়েছে কথা না বলা,  অনেক হয়েছে লুকোচুরি, অনেক হয়েছে সরে সরে থাকা। তুমিকি জানো যে, একটা মানুশের সাথে ৭ দিন অভিমান করে কথা না বল্লে মহান আল্লাহ তা’আলা
হট গার্ল ফটো
নারাজ হন ? হয়তোবা জানোনা একারনে তুমি আমার সাথে কথা বলনা। আমি জানি তুমি আমাকে ভালোবাস না। আর এটাও জানি যে তুমি অন্য কাওকে ভালোবাসো। কিন্তু আমি তোমাকে এখনো ভালোবাসি। কিন্তু আমার এই ক্লান্ত ভালোবাসার দাবি নিয়ে আর কখনো দাড়াবোনা তোমার সামনে, দাড়াবোনা কোন ভালোবাসার অধিকার নিয়ে। তোমাকে এখনো কল করার চেষ্টা করি মুলত দুইটা কারনে। প্রথম কারন আমি তোমার কাছে কয়েকটা প্রশ্ন করতে চায়।

প্রশ্ন গুলি হলঃ
)          কি ছিল আমার ভুল?
)          আমাদের ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ার আগ থেকে ভালোবাসার সম্পর্ক ভালোবাসার সম্পর্ক ভাঙ্গার আগ পর্যন্ত আমি কি তোমার কোন ক্ষতি করেছি?
)          তোমার সাথে ভালোবাসা চলা কালিন আমি কি তোমার দেওয়া সর্ত অমান্য করে চলেছি?
)          আমি কি তোকে ব্ল্যাকমেইল করে ভালোবেসেছিলাম?

দ্বিতীয় কারণটা হল তোমার সাথে একটু কথা বলার জন্য একটু তোমার কন্ঠের প্রতিদ্ধনি শোনার জন্য।
যেহেতু আমি তোমাকে ভালোবাসি এই জন্য। যেহেতু আমি তোমাকে ভালোবাসি সেহেতু তোমার চাওয়ায় আমার চাওয়া। সুতরাং তুমি যেহেতু চাও যে আমি তোমাকে আর যেন কখনো ভালোবাসার কথা না বলি  তায় তোমাকে কথা দিলাম আর কখনো বলবনা যে তোমায় ভালোবাসি। আমার এই ভালোবাসা আমার হৃদয়ে থেকে যাক। কিন্তু একটা দাবি নিয়ে তোমার সামনে দাড়াতে পারি সেটা হল বন্ধুত্ব। Remember ৩ বছর আগে আমরা কেমন ভালো বন্ধু ছিলাম। দুজন দুজনের কথা জানতাম আমাদের সব কথা শেয়ার করতাম। আমরা কি পারিনা সেই আগের মত বন্ধুত্ব রক্ষা করতে? পারিনা সেই আগের দিন গুলিতে ফিরে যেতে? আমাদের মাঝে থাকবে কঠিন বন্ধুত্ব এবন দৃঢ় বিশ্বাস। তাহলে আর তোকে “তুমি” বলে লাভ লাই তোকে “তুই” বলতে হবে। তুই আমাকে সেই আগের মত বন্ধু হিসেবে মেনে নে আর আমার সাথে কথা বল। এই কামনা করি তোর কাছে। এখন তোর উপরে ছেড়ে দিলাম তুই যা ভালো বুঝিস তায় করিস। আর আমি আমার কাজ করে যাবো।

এবং আমি তোর কাছে যা ভুল করেছি তার জন্য Sorry.

এরপর যদি আমার সাথে কথা বলতে ইচ্ছা হয় তাহলে কথা বলিস

মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই, ২০১৩

মানসিক সমস্যা

সমস্যা: আমার বয়স ২০। ,। ১২-১৩ বছর বয়স থেকে আমি আমার চেহারা, স্বাস্থ্য, সীমিত জ্ঞান
মানসিক সমস্যা
ইত্যাদি বিষয় নিয়ে চিন্তা করতাম। আমার মনে হতো, আমার দ্বারা কিছু হবে না, আমাকে কেউ পছন্দ করে না। এখন আমি সারা দিন মন খারাপ করে থাকি। কারও সঙ্গে মিশি না। মনে হয়, পৃথিবীর সব আনন্দ থেকে আমি বঞ্চিত। মাঝেমধ্যে মনে হয় আত্মহত্যা করি। আমার ঘুম হয় না, খাওয়ার রুচি নেই। মাথা ব্যথা করে। পড়ায় মন দিতে পারি না। পরিবারে কোনো অর্থসংকট নেই কিন্তু আমার চিন্তায় মা-বাবা সব সময় টেনশন করেন। মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খেয়েছি কিন্তু উন্নতি পাচ্ছি না। আমাকে পরামর্শ দিলে উপকৃত হব।
নয়ন
ইবাইস ইউনিভার্সিটি, ঢাকা।

পরামর্শ: লক্ষণগুলো পড়ে বোঝা যাচ্ছে আপনি বিষণ্নতায় (ডিপ্রেশন) ভুগছেন। সর্বোপরি আপনার মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতাও রয়েছে। তাই আর দেরি না করে আপনার উচিত হবে যত দ্রুত সম্ভব নিকটস্থ মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বা জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে এসে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করা। মনে রাখবেন, বিষণ্নতা একটি মানসিক সমস্যা এবং যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণ করলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। আপনি একজন ছাত্র এবং বয়সে তরুণ, সামনে আপনার সুদীর্ঘ উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ পড়ে আছে। আপনি নিজের ভেতর আত্মশক্তি জাগিয়ে তুলুন। অনেক সময় এ সমস্যায় ওষুধের কার্যকারিতা শুরু হতে দীর্ঘ সময় লাগে, তাই ধৈর্যহারা হবেন না। চিকিৎসকের পরামর্শে নিয়মিত ওষুধ গ্রহণ করুন, সামাজিক কর্মকাণ্ডে নিজের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করুন এবং দরকার হলে সাইকোথেরাপিও নিতে পারেন। বিষণ্নতারোধী অনেক ধরনের ওষুধ রয়েছে, আপনার জন্য কোনটি সর্বাধিক কার্যকর হবে এবং কী মাত্রায় তা সেবন করতে হবে, তা নির্ধারণের জন্য চিকিৎসকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা জরুরি।

পরামর্শ দিয়েছেন: অধ্যাপক ডা. মো. গোলাম রব্বানী


আমার জীবনের শেষ কথা

ও ছিল আমার ছাত্রের বড় বোন। তাকে অফার করছিলাম ২০১০ সালের ৬ই মার্চ। আমার জীবনের প্রথম
হট মেদের ফটো
অফার। তাই এক্টু ভয় এ ছিলাম। যদি ইগ্নোর করে।
তখন আমি অপুর্ব, সম্মান ৩য় বর্ষে পড়ি। আর ও শান্তা ইন্টার দিবে। কিছু দিন পর ও আমার অফার গ্রহণ করল। আমরা কথা বলতাম রাতে। অনেক রাত পযন্ত কথা বলতাম। ৬ মাস ঠিক মত চলতেছিল। হঠাৎ ১দিন কোন কারন ছাড়া আমায় বললো যে আমার সাথে আর সম্পর্ক রাখবে না। পরে জানতে পারলাম ওকে অন্য কেউ অফার করছে। তার পর থেকে ১ সপ্তাহ কোন যোগাযোগ হয় নি।
তার পর.........
ও আমায় সরি বলে। আমি ওকে মাফ করে দি।
তার পর থেকে ওর সাথে আমার তেমন কোন ঝগড়া হয়নি ১ বছর।
ও ভার্সিটি তে ভর্তি পরীক্ষা দেয়।
CU তে economics এ ভর্তি হয় ২০১২ সালের January তে। এর পর থেকে শুরু হয় ঝগড়া।

ও যেদিন ভর্তি হয় ওই দিন থেকে ওর মোবাইলে call waiting...!!!!
ওর বন্ধুর সাথে কথা বলা শুরু। ভার্সিটি তে পড়লে বন্ধু থাকবে, তাই বলে সারা দিন !!!
এত কিসের কথা বুঝতাম না।
১৪ February তেও ওর call waiting। জিজ্ঞাসা করছি বলে বন্ধু। আজকের রাত্রে ও তুমি ওদের সাথে কথা বলবা???
এর পর থেকে শুরু হয় আমার কস্টের দিন। প্রায় রাত্রে ওর call waiting। রাত ২টা বাজে ওর call waiting পাইছি। তারপর ও ওর সাথে সম্পর্ক রাখছি কারন ও আমার জীবন। ওর সাথে ঝগড়া করে আমি বেশিক্ষণ থাকতে পারতাম না।
ও আরো বাড়তে থাকে। কিছু হলে বলে- তুমি ও তো তোমার বন্ধুদের সাথে কথা বলো!!!
ওকে কিছু বললে আমাকে গালিগালাজ করত। সব কিছু মেনে নিয়েছি কারন আমি ওকে খুব ভালবাসতাম।
ও ওর বন্ধুদের সাথে রিকশা করে ঘুরত। একদিন আমার বন্ধু ওকে দেখেফেলে। আমি কিছু বলার আগেই ও আমায় অপমান করে। বলে আমি নাকি নিচু মনা। ওরা নাকি শুধু বন্ধু।
এর পর থেকে আমি ওকে avoid করে চলতে শুরু করি। লাস্ট ১ বছর ও আমায় অনেক কষ্ট দিচ্ছিল।

ওকে আমি ভুলে ও গেছিলাম কিন্তু ৪মাস আগে ও ওর সব ভুল স্বীকার করে। আমি ওকে ক্ষমা করে দিই। তারপর থেকে ও কে প্রায় অনলাইন এ দেখতাম। কিছু বললে বলত পেজের লেখা পড়ি।

আজ থেকে ২দিন আগে আমি ওর fb তে ঢুকে যা দেখলাম তা আমি মানতে পারতে ছিলাম না। ও ওর ওই বন্ধুর সাথে প্রেম করতেছে এখনও। সব মেসেজ আমি পরলাম।
ওর কাছ থেকে যখন জানতে চাইলাম এমন করলে কেন?? ও আমার সাথে উল্টা গরম সব দোষ নাকি আমার। আমি যখন ওকে ছেড়ে চলেগেছিলাম, তখন থেকে ও ওই বন্ধুর সাথে প্রেম করছে।

শান্তা আজ আমি তোমাদের সবাই কে ছেড়ে চলে যাচ্ছি। তোমাকে আমি অনেক ভালবাসি এখনো। তাই আমার সাথে তুমি যা করেছ, তা আমি কোন মতে ভুলতে পারতেছি না।
তুমি আমার সাথে এমন অনেক খারাপ ব্যবহার কর্‌ যা আমি এখানে বলতে পারছিনা। কারন তোমাকে সবার সামনে আমি ছোট করতে পারব না।

আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন,
যেন তাকে পরকালে আমি তাকে আমার জীবন সংগী হিসাবে পাই।

ঈদে ঢাকায় সানি লিওন!

সানি লিওন!ঈদ ঘিরে বরাবরের মতো এবারও ঢাকার বিপণীবিতানগুলোতে ভারতীয় থ্রি-পিস ও থান কাপড়ের পসার জমেছে। নতুন নতুন ডিজাইন ও জাকজমকপূর্ণ এসব থ্রি-পিস পেয়েছে ভারতীয় টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র তারকাদের নাম।এর মধ্যে সবচেয়ে দামি থ্রি-পিসের নাম দেওয়া হয়েছে বলিউডের অভিনেত্রী সানি
লিওনের নামে, আগে ইন্দো-কানাডিয়ান পর্নো চিত্রে অভিনয়ের জন্য যাকে নিয়ে রয়েছে আলোচনা-সমালোচনা।

তবে কাজ আর ফ্যাশন ভেদে ঈদপোশাক সানি লিওনেও রয়েছে দামের ভিন্নতা। সর্বনিম্ম ১৫ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৫২ হাজার টাকায় এ পোশাক বিক্রির কথা জানিয়েছেন দোকানিরা।

বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের লামিসা ফ্যাশনসের মালিক জানান, এ বছর ঈদ উপলক্ষে ভারত থেকে সানি লিওন, খোয়াব, মুঘলে আজম, আশিকি-২, রানঝানা, বিপাশা-১, বিপাশা-২, আক্সারা, এশা দেওল, কানপুরী, আয়শা টাকিয়া ইত্যাদি থ্রি-পিস এসেছে।

বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা যায়, নেটের উপর কাজ করা ‘সানি লিওন’ ছাড়া অন্য থ্রি-পিসগুলোর মধ্যে খোয়াবের দাম সাত হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা, এশা দেওলের দাম ৯ থেকে ১৬ হাজার টাকা, বিপাশা-১ ও ২ মিলছে সাত থেকে সাড়ে নয় হাজার টাকা এবং অন্যান্য থ্রি-পিসগুলোর দাম ৭ থেকে শুরু করে ১৫ হাজার টাকার মধ্যে।

ডিজিটাল কলগার্ল!

কলগার্ল!
পতিতালয় আর পতিতা নিয়ে পূর্বে দুটি গল্প লিখেছি। এবার একটু ভিন্ন দিকে নজর দেয়া যাক। শহরের আধুনিক ফ্লাট আর উচু দালানের রঙ্গীন কাঁচের দেয়ালের ভিতরে চলে আসা ডিজিটাল যৌন ব্যবসার কিছু অজানা কথা। যে কথা হয়ত কখনই জানা হয়ে ওঠেনা।হয়ত মানুষ সেভাবে ভাবেও না। ব্যস্ত এই শহরের পর্দার বাইরের খবর আমরা কেউ রাখতে চাইনা।রাখার প্রয়োজনও পড়ে না। মাঝে মাঝে ভদ্রতার খোলস ভেঙ্গে বেড়িয়ে আসে কর্পোরেট ঢাকার অন্তরালের কিছু চিত্র।যেখানে অর্থের বিনিময়ে বিকিকিনি হয় কাম,দেহ ভিত্তিক ভালোবাসা নামক এক আপেক্ষিক বস্তু ।এ জগতের মানুষগুলোর খবরও আমরা রাখি না।রাখতেও চাইনা।
এবার আসল কথায় আসি। এসকর্ট এবং কলগার্ল দুটি একে অন্যের পরিপূরক শব্দ। পার্থক্য এসকর্টরা নিদিষ্ট স্থান কিংবা হোটেল নির্ভর নয়। এসকর্টরা চলমান, গতিশীল, আধুনিক ও অদৃশ্য। তাদেরকে আপনি চারপাশে প্রতিনিয়ত দেখেন কিন্তু বুজতে পারেন না।অর্থাৎ কলগার্ল প্রসটিটিউটের আপডেট, মডার্ন ভার্সন এসকর্ট। গেল বছর এসকর্ট বিষয়টি নজরে আসে আমার বন্ধুর মাধ্যমে। এরপর থেকে বিষয়টি জানার কৌতূহল জাগে আমার।অনুসন্ধানী মন আকুলী বিকুলী করে একটু গভীরে জানার জন্য। হয়তো নিষিদ্ধ আর যৌনতার সুড়সুড়ি আছে বলেই!!!
এই শহরে ইদানিংকালে এসকর্ট ব্যবসা খুবই সংগঠিত ও শক্তিশালী। প্রশাসনের নাকের ডগায় হরদম ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে কিছু চক্র।রাজধানীর অভিজাত এলাকাসহ প্রায় সব এলাকায় চলছে এসকর্ট বিজনেস।মডেল যোগানদাতা অনেক পরিচালক এবং নামিদামি স্টাররা এই কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে অবিরাম। আর এই ব্যবসায় এসকর্ট-এজেন্ট-ক্লায়েন্ট এই তিনে মিলে একটি ত্রিমাত্রিক সর্ম্পকের তৈরি হয়। একে অন্যের পরিপুরক।ধানমন্ডিতে ফ্ল্যাট নিয়ে থাকেন এমন একজন এসকর্ট এজেন্টের সঙ্গে কথা হয় মাসখানেক আগে। নিজের ফ্ল্যাটেই চলছে তার ব্যবসা। আছে ১০-১২জন এসকর্ট। রাজধানীর নামিদামি কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েরাও তার সঙ্গে কাজ করে।
জীবনের স্বপ্ন পুরণের সহজ হাতিয়ার এসকর্ট বনে যাওয়া!দীর্ঘদিন এ নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট আর স্টিং অপারেশন করে একটি বিষয় নজর কাড়ল, আর তা হলো পরিচালকদের লোভনীয় ফাঁদে পা দিয়ে, মডেল হওয়ার স্বপ্নে,কামনার বসে কিংবা বন্ধুর মাধ্যমে উঠতি তরুণীরা জড়িয়ে পড়ছে এই পেশায়। সবাই যে টাকার অভাবে এই পেশায় নাম লিখিয়েছে তাও নয়, তবে বেশির ভাগই অর্থের নেশায়।এই এসকর্ট বাজারের ব্যবসা রমরমা, বিনিয়োগ ছাড়াই লাখ লাখ কামানোর সহজ পন্থা। অনেকেই বাড়তি রোজগারের লোভে,ভাল ক্যারিয়ারের আশায়, কারোর কাছ থেকে প্রতারিত হয়ে কিংবা স্বামীর অবহেলায় ক্লান্ত হয়ে, প্রেমে ব্যর্থ হয়ে, নামকরা মডেল বা অভিনেত্রী হওয়ার আশায় এই শহরে গোপনে গোপনে নাম লেখাচ্ছেন এসকর্টের খাতায়। আছেন সিনেমা, টেলিভিশনের মডেল থেকে শুরু করে উঠতি গায়িকা,মডেল ছাড়াও মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্ত পরিবারের বিবাহিত-অবিবাহিত তরুণীরা।এ যেন চেনামুখের আড়ালে অচেনামানুষ…!!!বাইরের থেকে দেখে কোনভাবেই বোঝার উপায় নেই এরা এসকর্ট।
এসকর্টের পাশাপাশি এদের আলাদা পরিচিতিও রয়েছে। সেই পরিচিতি এদেরকে সমাজে আড়াল করে রাখে। কেউ স্টুডেন্ট, কেউ বিউটিশিয়ান, কেউ প্রাইভেট টিউটর, কেউ বুটিক চালান, কেউ অভিনেত্রী।
আর ক্লায়েন্ট..?? মূলত বেশিরভাগই ব্যবসায়ী,বড় চাকুরীওয়ালা। সাধারণের জন্য এ যেন আকাশ কুসুম কল্পনা।তৃপ্তির সঙ্গে এক রাত্তির পার করতে গুণতে হয় ২৫ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত।যাদের কাঁচা টাকা ওড়াতে কোন বাধা নেই, কেবল তারাই এসকর্টদের নিয়ে মেতে ওঠেন কামনা-বাসনার জমকালো আয়োজনে। সাধারণ মানুষও যে নেই,তাও নয়। তবে সে সংখ্যা হাতে গোনা মাত্র।
গেল সপ্তাহে কথা হয় এক এসকর্ট এজেন্টের সাথে। জানা গেল, ক্লায়েন্টদের কাছে কম বয়সী স্কুল এবং কলেজের মেয়েদের চাহিদা অনেক বেশি। ফলে এই সব এসকর্ট এজেন্টদের নজর থাকে ইংরেজি মাধ্যম স্কুল আর স্বনামধন্য স্কুল কলেজগুলোর দিকে।বিভিন্ন ফাঁদ ফেলে স্কুল-কলেজের মেয়েদের কৌশলে বানানো হয় এসকর্ট। অর্থের লোভ দেখিয়ে নতুন নতুন মেয়েদের নেটওয়ার্কে নিয়ে আসতেও যথেষ্ট দক্ষ এই চক্র।
এসকর্ট এজেন্সিগুলো কখনো কখনো ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্যবসা চালায়।ক্লায়েন্টদের আকৃষ্ট করতে এসকর্টদের যাবতীয় তথ্য, ছবি এবং রেট দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয় অনলাইন, বিভিন্ন সাইট, ফেসবুকে পেইজে।তরুণীদের সুযোগ-সুবিধার কথা বলে এসকর্ট হতে প্রলুব্ধ করা হয় এসব সাইটে ।
ক্যাটাগরি অনুযায়ী এসকর্ট পেতে টাকার অঙ্কেও পরিবর্তন আসে।এলিটদের জন্য বুকিং দিলে কমপক্ষে অর্ধলক্ষের ওপরে। তবে সময় বাড়লে রেটের তারতম্য হয়। পছন্দের এসকর্টকে নিয়ে ঢাকার বাইরে যাওয়ারও সুযোগ আছে। আছে হিল ট্রাক্টস্, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার এমনকি দেশের বাইরেও নিয়ে যাওয়ার সুযোগ। দরকার শুধু টাকা…আর টাকা….।, এসকর্ট অর্ডার দেয়ার পর রাজধানীতে আয়োজনে সময় লাগবে সর্বোচ্চ ২ঘণ্টা। পছন্দ না হলে অর্ডার বাতিল ।প্রাইভেসির জন্য শুধু নগদ ক্যাশে বিল।চাহিদা মতো এসকর্ট পেতে ক্লায়েন্টকে পালন করতে হয় বেশ কিছু শর্ত। এরপর অত্যন্ত গোপনীয়তায় কয়েক ধাপ পেরিয়ে পৌছতে হয় আসল ঠিকানায়।যেখানে মাংসের পসরার ন্যায় সাজিয়ে রাখা হয় এসকর্টদের।
বর্তমান বিশ্বে যেকোনো পণ্যের চেয়ে সেক্স এবং নারী পণ্যের বাজার রমরমা। শিশু বাদ দিলে চার বিলিয়ন মানুষ এর ক্রেতা কিংবা বিক্রেতা।পৃথিবী যতদিন থাকবে ততদিন দুটি জিনিসের চাহিদা কখনোই কমবেন না। তা হলো খাদ্য আর সেক্স।যেখানে জীবন সেখানে খাদ্য, যেখানে মানুষ সেখানেই সেক্স।দুটিই মানুষের মৌলিক চাহিদা।এই চাহিদার যেমন শেষ নাই,তেমন যোগানেরও কমতি নাই।
সবশেষে এটাই বলার এসকর্ট হচ্ছে সমাজে মুখোশের আড়ালে চালিয়ে যাওয়া একটি স্বাধীন পেশা। যেখানে পেশাজীবীরা থাকেন আড়ালে,অন্তরালে। এই সমাজে এদের সংখ্যা একেবারেই কম নয

এলোমেলো চুলে রাতের সুন্দরী

সুন্দরীএলোমেলো চুলে মুখ,/ ঠোঁটে রাত চুঁয়ে বাড়ে/ অনাহুত ঘাম সঞ্চয়-/বহুদিন পরে মেঘ।/ ফেরারি কুশলে হাত/
এইভাবে হ’লে বিনিময়- (শ্রীদর্শিনী চক্রবর্তী)- মিথ্যে না বললেই পারতে ফকির!
- মিথ্যে!
- মিথ্যেই তো! এরপর আর কখনও নীললোহিত টুকে বোলো না, এই ওষ্ঠ বলেছে রঞ্জাকে, ভালবাসি/ এই ওষ্ঠে আর কোনো মিথ্যে কি মানায়?
- কোথাও একটা ভুল হচ্ছে তোমার রঞ্জা। কখনও তো মিথ্যে বলিনি তোমায়।
- রঞ্জাবতীর ভুল হয় না ফকির। রঞ্জার নিজস্ব নিখিল যে ফকিরের দিল নগর- সে এই শহরও জানে। এই তিন বছরে রঞ্জার যা কিছু নির্মাণ, সেও ফকিরের নির্মাণ। ফকিরের দিল নগরে বসতি… হয়তো বিশ্বাস করে উষ্ণ, আঁধারে মুখ গুঁজে এই বসতি করাটাই তার ভুল!
- প্লিজ রঞ্জা! কে জানে কোন উড়ো হাওয়ার খপ্পরে পড়েছ তুমি ফের!
- না ফকির, হাওয়াতে ভাসলেও খবরটা দিব্য সত্যি! তবে তোমার ভয় নেই, রঞ্জা পালাবে না কোথাও। শোধও নেব না এর কোনওদিন। কেন না, চিরদিন রঞ্জার ‘শ্রাবণ চায় তোমার বাহুর মৃদু কোণ’। , সেই সুযোগে না হয় একটু বৃন্দার সঙ্গে উড়েছ!
- বৃন্দা! ইশ! মানে ওই বৃ…!! তুই ভুল বুঝলি ফের। হঠাৎ করেই, মানে ওর সঙ্গে হঠাৎ করেই দেখা হয়ে গিয়েছিল সেদিন পার্ক স্ট্রিটে, বিশ্বাস কর। আর সেটা তো তোকে সেদিন রাত্তিরেই স্কাইপে বলেও ছিলাম।
- হ্যাঁ বললি, বললি… কিন্তু অধুরা, সবটা নয়। এতে এত লুকানোর কী ছিল ফকির! বললেই পারতিস, দূরে ছিলাম তো। থেকে যেতাম!
- তুই চুপ করবি পাগলি। তুই কি জানিস রঞ্জু, তুই ছিলিস না শহরে; খুব মিস করেছি তোকে… একা লাগছিল। মানে নানা মুহূর্তে এই ক’দিন একা… একাই তো! নিয়ত বয়ে বেরিয়েছি তোর মৌ-মাখানো স্মৃতির গন্ধ।
- লুকালি কেন তবে ফকির, ওদের মুখ থেকে যে শুনতে হল!
- যেটা তুই একদিন জানবিই, সেটা গোপন করতে যাব কেন… দরকারই বা কোথায়? তেমন তো কিছু ঘটেনি সেদিন।
- মনে পড়লে এখনও কষ্ট হচ্ছে! সকালে এয়ারপোর্টের লাউঞ্জে শুভঙ্কর আর নন্দিনীর সঙ্গে দেখা। সেদিন রাত্তিরে ওই ঢলানি মেয়েটা মদ্যপ হয়ে তোমার সঙ্গে যা যা করেছে, শুনেছি সব। ওদের সামনে লজ্জায়…
- প্লিজ… ! এ ফোঁড়- ও ফোঁড় করে দেওয়ার মতো মিথ্যে রটনা! তুমি তো বিশ্বাস কর ফকিরকে। তোমার মনে হয়…
- মদ্যপ হয়ে তোমাদের বাওয়াল, ট্যাক্সিতে ওঠার সময় ওর … ! শুনেছি সব! নিজের ওপর ঘৃণা হচ্ছে। ছাড়ো…!
- রঞ্জা, তুই কি পাগল হলি! এর চেয়ে আচমকা ঝাঁপিয়ে পড়ে নখের আঁচড়ে ফালা ফালা করে দিতিস বুকের সাতমহলা সুখ। কোথায় একটা কলেজ কাটা ধিঙ্গি মেয়ের সঙ্গে গসিপ বানাবি ফকিরকে নিয়ে! সে নয়, শেষে ওই খিটখিটে বুড়ি বৃন্দার সঙ্গে জড়ালি? ধুর ধুর!
রঞ্জা হাসছে। শতজল ঝর্ণার মতো হাসিতে ভেঙে পড়ছে ও। এই এতক্ষণে মেয়ের মুখে হাসি ফুটল। মেয়েরা এমন পারে! কেবল মেয়েরাই পারে। দীর্ণ-দগ্ধ চৌচির পুরুষকে নিমেষে দিগবিজয়ী সম্রাট করে দিতে পারে মেয়েরাই। ইচ্ছে করছিল, ইচ্ছে করছিল ওকে…! বুঝতে পেরে বলল,
- হয়েছে। চাপ নিস না আর। মুখটা শুকিয়ে গেছে তোর! দুপুরে ঠিক করে খেয়েছিস? এই ক’দিন ফরিদা মাসি ঠিক এসেছিল? দেখি, দেখি সরে আয়… কদিন পরছিস পাঞ্জাবিটা? ধুলো-ঝড়ের মধ্যে ছিলিস বুঝি? কী রে বল…! একেবারে কাঙালের মতো তাকিয়ে আছিস কেন?
- রঞ্জা তুই হাসছিস? এমন সন্দেহবাতিক কী করে হলি তুই। বুকের মধ্যে কান পেতে দেখ- হাপরের শব্দ পাবি। কখনও ঝগড়া করিস না এমনকরে। জানিস তো, কষ্ট হয় খুব ফকিরের।
- তোর মুখ দেখে হাসি পাচ্ছে এখনও, কী করব বল? হিহি!
- হাসতে লজ্জা লাগছে না তোর। মিথ্যে ঝগড়া করে দুঃখ দিস। ঝগড়ুটি।
- কেন তোর সেই পেটেন্ট শুক্তি বললি না আজ!
- শুক্তি!
- ওই হল, শক্তির উক্তি। কি যেন… ওই যে রে… ‘যদি পারো দুঃখ দাও/ আমি দুঃখ পেতে ভালোবাসি/ দাও দুঃখ, দুঃখ দাও- আমি দুঃখ পেতে ভালোবাসি।/ তুমি সুখ নিয়ে থাকো, সুখে থাকো… কী যেন শেষটা…
- বলব না, যা! তুই একটা যাচ্ছেতাই রকমের দস্যি মেয়ে।
- বল না! কী যেন… সুখ নিয়ে থাকো, সুখে থাকো…
- দরজা হাট-খোলা! কিন্তু …
- কোনও কিন্তু না আর। মেঘ করেছে, চল ওঠ! এতদিন পর শহরে মেঘ মাথায় ফিরলাম, কোথায় নিয়ে যাবি কোথাও! বৃন্দা বুড়ির কেস তো, বেশি না। স্রেফ দুটো বিয়ার খাব। বৃষ্টি আসছে, কী রে যাবি তো, চল…!
- কী মুশকিল, ছুটছিস কেন, থাম। পড়ে যাবি। কোথায় যাবি?
- ফেয়ারলন!
- ভিজতে হবে কিন্তু, দাঁড়িয়ে যা একটু। মেঘ-মেদুর কলকাতা ভাসাবে আজ, দেখিস ঠিক ভিজব দু’জন।
কিছু বলার সুযোগ দিল না উড়ুক! নন্দন চত্বর থেকে হাতটান দিয়ে, প্রায় দৌড়ে নিয়ে গিয়ে দাঁড় করাল সটান রাজপথে। দীর্ঘ দুপুর পাখির পিছনে দৌড়ানো যার মজ্জায়, সে কি থামতে পারে!
মোহরকুঞ্জ থেকে রবিঠাকুর ভেসে আসছে, বর্ষার গান। কালাংড়া-ভৈরবীর মিলমিশায় সজল সুর ভাসান, ‘যে রাগিণী গেছে থেমে,/ অতল বিরহে নেমে গেছে থেমে,/ আজি পূবের হাওয়ায় হাওয়ায় হায় হায় হায় রে/ কাঁপন ভেসে চলে’। , ‘আমার যে দিন ভেসে গেছে চোখের জলে/ তারি ছায়া পড়েছে শ্রাবণগগণতলে’।
শহরের বাতাসে বৃষ্টি আসার গন্ধ। সিগন্যালে থমকে চোখে পড়ল কয়েকটা গঙ্গা ফড়িং পার্কের গাছে ওড়া-উড়ি করছে বৃষ্টির সন্ধান নিয়ে। সদর স্ট্রিটের দিকে যেতে যেতে ‘নিবিড় সুখে’ ও বুকের গহনে এল। কতদিন পর গভীরে এল ও, কতদিন! উষ্ণ দিল কবুতর বুকের ছোঁওয়াচে যেন একযুগের উপঢৌকন ওর জন্য। একটু একটু করে বুক থেকে কুড়িয়ে নিচ্ছে ও সেই সব উজাড় করা উপহার। হঠাৎ একটু অবাক হয়েই জিজ্ঞেস করলাম ওকে,
- তুমি কী করে জানলে ফেয়ারলনের কথা?
- লুসি বলেছে। ওর কাছেই শুনছিলাম ফেয়ারলনের সাবেকদিনের কথা। একসময় বাংলা, বার্মা, বাংলাদেশ, বিহার, ওড়িশা, মেঘালয়ে বাণিজ্যের জন্যই সাগরপারের সওদাগররা এ শহরে তো ভিড় জমাত। ফেয়ারলনের মতো শহরের কিড স্ট্রিট এবং সদর স্ট্রিটের বেশিরভাগ বাড়ির নির্মাণ মূলত সেই সময় আমেরিকান ও ইহুদিদের। সেটা সেই আঠারোশো শতক। ব্যবসা ছিল মূলত বাংলা, হংকং এবং চিনে। এরপর বহু হাতবদলের পর এখন যিনি মালকিন, সেই ভি স্মিথের বিয়েও খাস এই শহরেই, ৪৪-এ। ওঁর মেয়ে জেনির সঙ্গে লুসির নাকি খুব দহরম মহরম।
- লুসি?
- ওর কথা তোমাকে বলা হয়নি। প্লেনে পরিচয়। লুসি ক্লার্ক। ট্রিনিটি কলেজে ইনস্ক্রিপশন নিয়ে কাজ করছে। তোমার দেশ যাবে। শান্তিনিকেতন। ওখানে ক’দিন থেকে ফিরতি পথে এখানে এসে উঠবে। কলাভবনে ওর বোন নোরা পেন্টিং নিয়ে পড়ছে জানো। ও কিন্তু খুব মিশুকে, সুন্দরী আর রসিকা।
- সে আর বলতে, ফকিরে রঞ্জবতীর মতো সু-রসিকা যার সখি!
কথা ফুরোতে ফুরোতে সদর স্ট্রিট। ইলশেগুড়ি বৃষ্টি বাতাসে। তারমধ্য ফেয়ারলনের সদরের ঠিক সামনে থামল ট্যাক্সি। একটু আগে ফেলে এসেছি চার্চ। উলটো ফুটে জাদুঘর। রাস্তার দু’ ধারে গাছ-গাছালির মাথায় শেষ বিকেলের মায়া রঙ আলো এসে পড়েছে। নিভন্ত রোদরঙে মোহময় লাগছে বাইরে থেকে ফেয়ারলনকেও।
খাস পার্ক স্ট্রিট চত্বরের কাছেই এমন সবুজ বনানি, ভাবিনি! সদরস্ট্রিটে এমন আরণ্যক পরিবেশে বিয়ার খাব ভরা শ্রাবণে, সেও ভাবিনি। মূল ফটক থেকেই শুরু হয়েছে পথের দু’ পাশে হাত ধরা ধরি গাছেদের গ্রন্থনা। একটু এগিয়ে বাঁদিকে খানিকটা পঞ্জাবি ধাবা স্টাইলে ছড়িয়ে চমৎকার বসার ব্যবস্থা। ওপাশে মূল হোটেল। রাজকীয় ডাইনিং হল। বিলাস বৈভব।
উঠোনের চাতালে সবুজ ঘেরা বিয়ারখানায় সাহেব-মেম ইতি-উতি বসে। ভিড় এড়িয়ে, টই-টম্বুর অপ্সরীকে নিয়ে বসে পড়া গেল নিরিবিলি টেবিলে। এখানে শুধুই বিয়ার পাওয়া যায়, সুভদ্র টেন্ডার অর্ডার নিয়ে গেল।
মনে হল শহরে এই একটিমাত্র জায়গা, যেখানে ঔপনিবেশিক সৌন্দর্যের সন্ধান মেলে। টেরেসের বাগিচায়, বেডরুম বিলাসে, চানঘরের চন্দন-চর্চায়, সিঁড়ির শৌখিন দেখনদারিতে কিংবা বাগানঘেরা বিয়ারখানায়- সর্বত্র স্মৃতিচারি হওয়া যায়। সেলফোনটা মিউট করে উরু সংলিপ্ত জিন্সের গোপন গহ্বরে চালান করতে করতে রঞ্জা বলল,
- ঠিক পানশালার পরিবেশ নয়, কিন্তু নির্ঝঞ্ঝাট ঠেক জপানো যায় বিয়ারে।
- নিসর্গ শিল্পী জুলিয়ন ব্যারোর নাম শুনেছ? টম স্টপার্ড? অথবা, গুন্টার গ্রাসের নাম তো নিশ্চয় শুনেছ! কে পা রাখেন নি এই বাগানভিলায়? বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানিত ভ্রমণ লেখক এরিকও এসেছিলেন এখানে।
চোখের হরিণের অন্যমনস্কতা সরিয়ে রঞ্জা চোখ বড় বড় করে বলল,
- তুমি জানতে ফেয়ারলনের কথা! এতদিন জেনেও নিয়ে এলে না! কেন, বাজে একটা লোক! যত সব ফালতু জায়গায় নিয়ে যায়!
হাসতে হাসতে রঞ্জার হাতে হাত রেখে ওর সুগন্ধী শরীরে দীর্ঘ শ্বাস নিলাম। জিন্সের ওপর ফ্যাবের ফিচেল কুর্তি পড়েছে। চোখের কাজলে গহন খাদের ডাক। ঠোঁটে চিরদিনের রিমঝিম নেশা রঙ!
মেঘ ছিল, বৃষ্টিও ছিল ইলশেগুঁড়ি। এখন এল রিমঝিমিয়ে। কখনও ঝমঝম! বিয়ারখানার বাইরে আকাশ কালো করা অন্ধকার। সন্ধে রাতেই যেন তুমুল শ্রাবণের রাত্তির। বিয়ার মগে একটা লম্বা চুমুক দিয়ে ওকে বললাম,
- সতেরশো একাশি-বিরাশি হবে, না একাশি। শেখ রমজান নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ইউরোপিয়ান সাহেব, উইলিয়ম ফোর্ড কিনে নেন এই জায়গা। দু’ বিঘে, তেরো কাঠা, সাত ছটাক। বাড়ি নির্মাণ হয় তিরাশিতে। ১৮০১-তে জর্জ চিজহোম-এর হাতে আসে। বারোতে তিনি স্বর্গত হলে ক্যাপ্টেন স্যার জেমস মাউন্ট কিনে নেন। হাত ঘুরতে ঘুরতে এভাবে একসময়, খুব সম্ভত ১৮৭৩-এ এই অভিজাত বাগান বাড়ির মালিক হলেন স্যর ডেভিড এজরা। এরপর স্মিথ!
ইতিহাস ছুঁয়ে এখনও তাঁর-ই পারিবারিক মালিকানায় দাঁড়িয়ে রয়েছে এই ফেয়ারলন। … দেখো বৃষ্টি এল তুমুল। তুমি কি একটু সরে বসবে এদিকে? বৃষ্টির ছাট ভিজিয়ে দেবে নইলে!
- না, ফকির। শহরে বহুদিন ভিজিনি। বাতাস তাড়িত হয়ে বৃষ্টির ছাট ভেজালে মন ভাল হয়ে যায়। ভিজি। ফেয়ারলনের কথা কিছুটা আমিও জানি।
- শুনি…
- দীর্ঘদিন এখানে অতিথি ছিলেন, প্রায় ত্রিশ বছর কেন্ডালদের পরিবার। বিখ্যাত সেই ব্রিটিশ দম্পতির একটা ঐতিহ্যগত থিয়েটারের দলও ছিল নাকি। এদেশে বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে শেক্সপিয়ার অভিনয় করে এরা জীবিকা অর্জন করত। আর কখনও কখনও এই ফেয়ারলনের লাউঞ্জে নাটক করত। এদের মেয়ে জেনিফার। শশী কপূরকে বিয়ে করে যে। সে সময় নব দম্পতির মধু-মিলন হয়েছিল এখানেই! এই ফেয়ারলনে।
- এমন মেঘমন্দ্রিত শ্রাবণ রাত্তিরে মধু-মিলন! ভেবে দেখো, ফকিরের সঙ্গে সেটা এইবেলা সেরে ফেলবি নাকি!
- শ্রাবণের মেঘ কি মন্থর!/ তোমার সর্বাঙ্গ জুড়ে জ্বর/ ছলোছলো/ যে-কথা বলোনি আগে, এ-বছর সেই কথা বলো…!
দিব্য আঁচ পাচ্ছি সদ্য সদ্য সাগরপার থেকে ফেরা ওর শরীরের ঈপ্সিত উত্তাপ! চোখের তারার রতি-রাগ উৎসবের দীপন। ঠোঁটের সন্দীপন। হটাৎ আকাশ পালা ফালা করে বিদ্যুৎলতা! কাছে পিঠে কোথাও কি বাজ পড়ল। ওর তো খুব বাজ পড়লে ভয় করে! বুকের ভিতর আশ্রয় নিল উড়ুক!
নিবিড় করে, বুকের নিভৃতে জড়িয়ে ফকির বলল,
- জানিস রঞ্জা, তুই এই ফকিরকে মারবি কোনদিন। কেন বলিস এই সব লোকজনের কবিতা! কখনও মিথ্যে শয়তানি করিস না, ছোটলোক! ঝগড়া করে খুব ভয় পাইয়ে দিয়ে ছিলিস। লোলো একটা!
ক্রমশ…

মূত্র থেকে গজাবে দাঁত

স্টেম সেল থেকে পড়ে যাওয়া দাঁত গজানো সম্ভবনতুন দাঁত গজানোর নতুন একটি কৌশল উদ্ভাবন করেছেন চীনা গবেষকেরা। মূত্র থেকে প্রাথমিক দাঁত গজানোর এ গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে ‘সেল

 দাঁত
রিজেনারেশন জার্নাল’-এ।

চীনের গবেষকেরা দাবি করেছেন, মূত্রকে স্টেম সেলের উৎস হিসেবে ব্যবহার করে প্রাথমিক দাঁত গজানো সম্ভব। যাঁদের দাঁত পড়ে গেছে তাঁদের জন্য এ উদ্ভাবন সুসংবাদ হতে পারে বলে তাঁরা ধারণা করছেন।

মানুষের বয়স বাড়লে এবং দাঁতের যত্ন না করলে দাঁত পড়ে যায়। গবেষকেরা দীর্ঘদিন ধরেই স্টেম সেল ব্যবহার করে নতুন দাঁত গজানোর কৌশল নিয়ে গবেষণা করছিলেন। স্টেম সেল ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের কোষকলা তৈরি করা সম্ভব হয়।

চীনের গুয়াংজু ইনস্টিটিউট অব বায়োমেডিসিন অ্যান্ড হেলথের গবেষকেরা মূত্রকে তাঁদের গবেষণার প্রাথমিক ভিত্তি ধরেন এবং তা থেকে স্টেম সেল তৈরি করেছেন।

গবেষকেরা জানিয়েছেন, এ সংক্রান্ত আরও গবেষণা প্রয়োজন। তারপরই কেবল পরীক্ষামূলক পর্যায়ে যাওয়া সম্ভব হবে। অবশ্য মূত্র থেকে দাঁত গজানোর এ গবেষণা বিষয়ে সমালোচনা করেছেন যুক্তরাজ্যের গবেষকেরা। তাঁদের দাবি, এমন একটি উত্স থেকে দাঁত গজানোর গবেষণা করা হয়েছে যা শুরুর পর্যায় হিসেবে খুবই খারাপ।

হ্যাকার্স প্রভা

প্রভা
 প্রভা হ্যাকিং করেন। এবং তিনি একটি হ্যাকার্স দলের হয়ে কাজ করেন। এটা কি বিশ্বাস করা যায়? বিশ্বাস করতে হয়। অভিনয়শিল্পীদের কত কিছুই করতে হয়। একটি হ্যাকার্স দলের গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে নাটক `হ্যাকার্স`। ,সদস্য হিসাবে অভিনয় করবেন প্রভা।
চ্যানেল নাইনে মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে নতুন এ ধারাবাহিকটি। ইনসান ইমনের রচনায় নাটকটি নির্মাণ করেছেন রাজিবুল ইসলাম রাজিব। এর বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন রিচি, মিলন, শাহেদ, তানিয়া, মাহমুদুল ইসলাম মিঠু, সাজ্জাদ রেজা, আলিফ, সামিয়া এবং তৃষা।
নাটকটি প্রতি মঙ্গল, বুধ এবং বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ২০ মিনিটে প্রচার হবে।

সোমবার, ২৯ জুলাই, ২০১৩

রংধনু কষ্ট

রংধনু কষ্ট

দিন পেরিয়ে সূর্য যখন আঁধার তলে যায়
সাত রঙা সেই কষ্ট আমায় কুড়মুড়িয়ে খায়।
সাঁঝের কষ্ট লাল বেগুনি মাঝের কষ্ট নীল
ভোরের কষ্ট শুভ্র সাদা জানে শুধু অনিল।
সকাল বেলার সবুজ কষ্ট আঁকড়ে থাকে চোখে
দুপুর বেলায় গোলাপ কষ্টে হাসি ফোটায় মুখে।
বিকাল বেলার হলুদ কষ্ট পাঁকা ধানের ক্ষেতে
এত কষ্ট পেয়েও ওদের চাই না ছেড়ে যেতে।

মননে কবিতা ঠায়

কবিতা ঠায়

দূর অজানা নক্ষত্রের পথের সাথে
কালের পরে কাল পেরিয়েÑ
অঙ্গ-ভঙ্গির ছুড়াছুড়িতে সৃষ্ট কবিতা
পরিচয়হীন শিশু হয়েÑ
পদচিহ্ন এঁকে গেছে মানবের সাথে

এর পর শুধুই চলাÑ
ধরণীর শ্যামলীমা ছাড়িয়ে গভীর সাগরের
তরঙ্গ ভেলায় খেচরের দল
চোষে যাচ্ছে গোলাকারের
প্রান্ত থেকে প্রান্তের কূলে।

অবগাহন আর কল্পনার রূপ সাগরে
সাঁতরাতে সাঁতরাতেÑ
যমুনার পাড়ে তাজমহলের
আঙ্গিনায় বসেছি, তাতেওÑ
আবার মির্জা গালিবকে চোখ খুঁজে ফিরে!

প্রাসাদ আর হিমালয়ের সুউচ্চ শিখরে
সুপ্ত হাসি মুখটি দেখতে
জীর্ণ ঘরে প্রদীপ হাতের মুঠোয়
নিয়েও পথ হারায় নি লেজার রশ্নিতে
আজ শুধুই কবিতা মননে ঠায়।

এই তো আকাশ

এই তো আকাশ

রবি শশীর আকাশটা আজ শুভ্রÑ
পরম আদরে নক্ষত্রের বাস তার বুকে
কেউ মিটিমিটি কেউবা জ্বল জ্বল জ্বলে
আদি হতে সেই সৃষ্টিতে।

মেঘের পরে কত কালো মেঘ জমেÑ
রূপ বদলে দেয় রণ খেলায়
উস্কো-খুসকো অবয়ব যেন ল-ভ- ধরায়
তবুও আকাশ স্থির সদা শীতলতা পায় বৃষ্টিতে।

গ্রহণের ভয়ে ভীত রবি শশীÑ
নাবিক হারায় দিক পূর্ণিমায়
তমসার রাতে গগনে চেয়ে যাযাবর
কূল খুঁজে পায় মুষ্টিতে।

এই তো আকাশÑ
শুভ্র আর নীল চিরায়ত রূপ সৃষ্টিতে
ক্ষণিক গ্রহণ ক্ষণিক গর্জনে পালায় না সে
অন্ধজনের দৃষ্টিতে।

শাখামৃগের অট্টহাসিতে
ভয় নাই কোন সৃজনশীলের
আকাশের বিশালতা হয় না ছোট
নাই উপমা কাজী ফারুকীর কৃষ্টিতে।

মাহে রমজান

মাহে রমজান

যখন তোমার সালাত ছিল না
ছিল না কোনো হজ
ঈমান আর রোজা পূর্বেও ছিল
সবই রবেরই কাজ।
সব ইবাদতে এখনও আছে
লোক দেখানো ভাব
রমজানই শুধু দেয় ব্যতিক্রম
রবের গুণের স্বভাব।
ক্ষুধা কাম ক্রোধ রীপুর দহণে
জ্বলতে হবে জানি
তবুও তৃষ্ণার্থ পান করে না
সন্মুখে থাকা পানি।
জিভ লালানো মিষ্টি ফল আর
ফিন্নি পায়েস মধু
ক্ষুধার তাড়নায় বাঁকা হল পেট
তবুও খায় না কভু।
রহমত মাগফেরাত নাজাতের ঘোষণা
দিয়েছেন আমার রব
সেই আশায় আমি রেখেছি রোজা
পাবো আমি তারই সব।
বিলাসী জীবনে বুঝতে পেলাম
ক্ষুধার কী জ্বালাÑ
আহা! কত অনাহারী আজো এ দেশে
শূন্য ওদের থালা!
যে মুখে আমার অবিরাম চলতো
হাজারো মিথ্যার বাণী
কোন্ জনে আজ নিষেধ করলো
পড়লো মুখে ছানি!
চোখ নাক মুখ হাত পা কান
সবই আগের মতো
গোপন নিষেধের বাঁধন পড়ে
হয়েছে আজ নত।
বিবেক জানালা পড়ন্ত বিকেলে
জুড়িয়ে যায় প্রাণ
আমি সেই রবের কৃতজ্ঞতা জানাই
যিনি দিয়েছেন মাহে রমজান।

টুইটারে ধর্ষণের হুমকি, গ্রেপ্তার


ধর্ষণের হুমকি,
টুইটারে ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগে ব্রিটিশ পুলিশ ম্যানচেষ্টারে ২১ বছরের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি নারীবাদি এক কর্মীকে টুইটারে আপত্তিকর বক্তব্য ছাড়াও ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি দেয়। নারীবাদি ওই কর্মী হচ্ছেন ক্যারোলিন ক্রিয়াডো-পেরেজ। গার্ডিয়ান

মেট্রোপলিটন পুলিশ বলছে, গত বৃহস্পতিবার তদšেত্ম ধরা পড়ে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি টুইটারের অপব্যবহার করে ওই নারীবাদি কর্মীকে ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি দিয়েছে। এদিকে সামাজিক যোগাযোগ ম্যাধমে এ হুমকির প্রতিবাদ ও দোষী ব্যক্তিকে শা¯িত্ম দেয়ার জন্যে জোর প্রচারণা চলে।  এ প্রসঙ্গে টুইটার ইউকে’র জেনারেল ম্যানেজার টনি ওয়াং বলেন, বিষয়টিকে আমরা খুব গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি এবং টুইটারের বিধিমালা এতে ভয়ানকভাবে ভঙ্গ করা হয়েছে।

ক্যারোলিন ক্রিয়াডো-পেরেজ একজন ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক। তিনি দি উইমেন্স রুম ডট অর্গ ইউকে ও উইকওমেনব্লগের সহ-প্রতিষ্ঠাতা।

প্রথমবারের মতো প্রেমিকের সঙ্গে

shoha ali khan
অনেকদিন ধরেই সম্পর্ক চলে আসছে বলিউড অভিনেত্রী সোহা আলী খান ও অভিনেতা কুনাল খেমুর মধ্যে। তবে তাদের সম্পর্কে লুকোচুরির কোন ব্যাপার নেই। মিডিয়াকেও নিজেদের সম্পর্কের কথা বহু আগেই জানান দিয়েছেন তারা। এমনকি খোলামেলা ডেটিংয়েও দেখা গেছে তাদের। তাদের সম্পর্কের বিষয়টি পরিবার পর্যন্তও গড়িয়েছে। সোহা-কুনালের বিয়ের কথাবার্তাও হয়েছে দুই পরিবারের মধ্যে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আটকে গেছে সোহার ভাই সাইফ আলী খানের হস্তক্ষেপে। কারণ, কুনালের সঙ্গে সোহার বিয়ে হোক সেটা সাইফ চান না। এই নিয়ে সাইফ ও সোহার মধ্যে তর্ক-বিতর্ক ও মনোমালিন্য হয়েছে বহুবার। বিষয়টি এখনও ঝুলন্ত অবস্থাতেই রয়েছে। এদিকে নতুন খবর হলো, এবার প্রেমিকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে যাচ্ছেন সোহা আলী খান। তবে সেটা বাস্তবে নয়, পর্দায়। নতুন একটি ছবিতে একসঙ্গে কাজ করতে যাচ্ছেন তারা। ছবিটি প্রযোজনা করছেন মহেশ ভাট। থ্রিলার নির্ভর এ ছবিতে সোহা আলী খান পর্দায় প্রথমবারের মতো প্রেমিক কুনাল খেমুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে ক্যামেরাবন্দি হচ্ছেন। জানা গেছে, বেশ কয়েকটি বিছানা দৃশ্যেও কাজ করতে দেখা যাবে তাদের। বিষয়টি নিয়ে সোহা ও কুনাল দু’জনই বেশ আনন্দিত। বাস্তবে প্রেমিক প্রেমিকা হলেও একসঙ্গে খুব একটা কাজ করা হয়নি তাদের। এবারই সরাসরি রোমান্টিক ও ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে ক্যামেরাবন্দি হবেন তারা। বিষয়টি নিয়ে 
টুইটারেও নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন সোহা।

hot-soha-ali-khan-

মেয়েদের হৃদয় ভেঙো না, ছেলেকে শাহরুখ

নারীর প্রতি সম্মান নিশ্চিত করতে নিজ সন্তানদের শিক্ষা দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শাহরুখ খান। নারী
শাহরুখ
“নিরাপত্তার বিষয়টি আমাদের ঘর থেকেই শুরু করতে হবে। প্রত্যেক বাবা-মায়ের উচিত নারীদের সঙ্গে কীভাবে আচরণ করতে হয় সে ব্যাপারে ছেলেদেরকে শিক্ষা দেয়া” বললেন কিং খান।

শাহরুখ আরো বলেন, “নারীদেরকে সম্মান করার বিষয়টি সন্তানদের শেখাতে হবে। ঘরে সন্তানদের শিক্ষা দেয়ার যে প্রচলিত ধারণা তাতে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। নারীদের প্রতি ভদ্র, নম্র ও শ্রদ্ধাশীল আচরণ করতে ছেলেদের শিক্ষা দিতে হবে।”

মেয়েদের সম্পর্কে ভদ্রভাবে আচরণ করার জন্য নিজ ছেলে আরিয়ানকেও নির্দেশ দিয়েছেন শাহরুখ। কিং খান বলেন, “আমি তাকে বলি, মেয়েদের হৃদয় ভেঙোনা, তাদের সঙ্গে ভদ্রভাবে আচরণ করো। এটা না করলে তোমার বাবা-মা কেউ তোমাকে ক্ষমা করবে না।”

ক্রমবর্ধমান হারে নারী সহিংসতা বাড়ায় কলকাতায় নারী নিরাপত্তার বিষয়টি হুমকির সম্মুখীন। তবে এটা মানতে রাজি নন শাহরুখ। কলকাতর ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর এ খান বলেন, “নির্দিষ্ট একটা শহরের ওপর দোষারোপ করা উচিত নয়। সারা দেশের প্রচলিত যে ব্যবস্থা সেটিকেই দোষ দেয়া উচিত। বস্তুত সারা বিশ্বেই নারী নিরাপত্তায় বিষয়টি উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।”

সম্প্রতি সারোগেসির মাধ্যমে সন্তানের বাবা হয়েছেন শাহরুখ। সারোগেসি পদ্ধতিকে জনপ্রিয় করতেই শাহরুখ এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন, এমন অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তবে তিনি বলেন, “দেশে সারোগেসি পদ্ধতিকে জনপ্রিয় করার জন্য আমি এটা করিনি। আমি এটা করেছি একটা সন্তানের বাবা হওয়ার জন্য। আমি জানি না এটাকে ঠিক কীভাবে ব্যাখ্যা করলে সবাইকে বোঝাতে পারব।” রোহিত শেঠির পরিচালনায় ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’ ছবিটি চলতি বছরের ৯ আগস্ট মুক্তি পাচ্ছে। এতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাহরুখ। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।

করে। পূর্বের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আব্বাস আলীকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

রবিবার, ২৮ জুলাই, ২০১৩

যৌন নির্যাতনের অপরাধে হাজার বছরের জেল

 মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওহিওর বাসিন্দা এক ব্যক্তিকে হাজার বছরের কারাদন্ডের নির্দেশ দিল সে দেশের একটি আদালত। এক দশকের বেশি সময় ধরে তিন মহিলাকে অপহরণ, বাড়িতে আটকে রেখে বহুবার
ধর্ষণ ও শারীরিক অত্যাচার করার অপরাধে এরিয়েল কাস্ট্রো নামক ওই ব্যক্তির যাবজ্জীবনের সঙ্গে ১০০০ বছরের জেল হল।

মাস দুয়েক আগে ওই তিন মহিলা কাস্ট্রোর ক্লিভল্যান্ডের বাড়ি থেকে কোনো রকমে পালিয়ে আসেন। বহু দিন ধরে নিঁখোজ ওই তিন মহিলাকে ঘিরে হইচই পড়ে যায় গোটা ওহিও প্রদেশে। এরপর ওই তিনজন তাদের ওপর হওয়া পাশবিক অত্যাচারের কথা সবাইকে জানালে চমকে ওঠে গোটা ওহিও। শিউড়ে ওঠে গোটা বিশ্ব।

দীর্ঘ দশ বছর ধরে এরিয়াল কাস্ট্রো তার ক্লেভল্যান্ডের বাড়িতে ওই তিন মহিলার ওপর অমানবিক নিগ্রহ চালায়। যৌন নিগ্রহের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার। তিন জনের মধ্যে একজন পাঁচবার গর্ভবতী হন। কিন্তু পাঁচ বারই গর্ভাবস্থায় ওই মহিলার ওপর কাস্ট্রোর অত্যাচারের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। মারধরের সঙ্গেই মহিলাকে না খেতে দিয়ে ভ্রূণ অবস্থায় মেরে ফেলে নিজের সন্তানদের। আর এক মহিলা একবার পালানোর চেষ্টা করলে ভ্যাকুমক্লিনার গলায় জড়িয়ে ওই মহিলার ওপর অত্যাচার চালায়। আর একজনের গর্ভজাত এক সন্তানও আছে কাস্ট্রোর।

নিজের এই বিকৃত মানসিকতার কারণ হিসাবে কাস্ট্রো জানিয়েছে যে পর্ণগ্রাফির নেশা তার মধ্যে অতিরিক্ত যৌন আকাক্সক্ষা তৈরি করেছে। এর সঙ্গেই কাস্ট্রো জানিয়ে শৈশবে সে নিজেও একবার যৌন অত্যাচারের শিকার হয়েছিল।

নিজের অপরাধ কবুল করে এরিয়াল কাস্ট্রো প্রাণভিক্ষার আবেদন জানিয়েছিল। আদালত কাস্ট্রোর প্রাণভিক্ষার আবেদনে সাড়া দিয়ে তাকে যাবজ্জীবনের সঙ্গে হাজার বছরের কারাদন্ডের নির্দেশ দেয়। ওয়েবসাইট

নেট দুনিয়ার ঘুম কাড়ছে দুষ্টু অ্যাপ

হ্যাকারদের পর এ বার নেট দুনিয়ার ঘুম কাড়ছে ‘দুষ্টু’ অ্যাপ।
দুষ্টু অ্যাপ

না-বুঝে এই সমস্ত অ্যাপ (মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন) এক বার ডাউনলোড করে ফেললে, মুহূর্তে তা সেঁধিয়ে যাচ্ছে মোবাইলে। ফলে কোনও ক্ষেত্রে আমূল বদলে যাচ্ছে ফোনের সেটিং। আর সেই ফাঁকে মোবাইলে ধরে রাখা ব্যক্তিগত সমস্ত তথ্য নিমেষে চুরি করে নিচ্ছে সাইবার হানাদারেরা। অনেক সময় আবার ওই অ্যাপের হাত ধরে হ্যান্ডসেটে ঢুকে পড়ছে ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার, যার মাধ্যমে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খুঁটিনাটি থেকে ক্রেডিট কার্ডের তথ্য সব কিছুই চলে যাচ্ছে ওই হানাদারদের দখলে। ঠিক যে ভাবে সিঁদ কেটে গৃহস্থের বাড়ি সাফ করে পাকা চোর কিংবা ই-মেল অ্যাকাউন্টে ‘আড়ি পেতে’ তথ্য হাতায় হ্যাকারেরা।

জুনিপার নেটওয়ার্কস-এর সাম্প্রতিক সমীক্ষা অনুযায়ী, গত এক বছরে দুষ্টু অ্যাপের সংখ্যা বেড়েছে ৬০০%! অর্থাৎ রকেট গতিতে বাড়ছে তার শিকার হওয়ার সম্ভাবনাও। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তথ্য চুরি যাচ্ছে কোনও জনপ্রিয় অ্যাপের নকল সংস্করণের মাধ্যমে। ফলে এ নিয়ে অভিযোগ শোনা যাচ্ছে মুখে-মুখে।

কেউ বলছেন, মাসের শেষে মোবাইল বিল হাতে পেয়ে তাঁর চোখ ছানাবড়া। কারণ, শুধু এসএমএসেই খরচ হয়েছে হাজার টাকা। তা-ও এমন সব অচেনা বিদেশি নম্বরে, যেখানে জীবনে কখনও যোগাযোগই করেননি। অমন এসএমএস যে পাঠানো হচ্ছে, ঘুণাক্ষরে জানতে পারেননি সে কথাও। কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, এটা এসএমএস ট্রোজান-এর মতো কোনও দুষ্টু অ্যাপের কেরামতি। জানা গিয়েছে, শুধু এ ধরনের অ্যাপ থেকেই সারা বিশ্বে প্রতি দিন ন’হাজার ডলার ব্যবসা করছে সাইবার হানাদাররা। কারও আবার অভিযোগ, মোবাইল থেকে ব্যাঙ্ক এবং কার্ড সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য লোপাট করে নিয়েছে খেলার ছলে ডাউনলোড করা কোনও ঘাতক অ্যাপ।

এমনিতে অ্যাপ মানে অ্যাপ্লিকেশন সফ্টওয়্যার। সহজ কথায়, একটি নির্দিষ্ট কাজের জন্যই এই সফ্টওয়্যার তৈরি। স্মার্ট ফোনে ব্যবহারের জন্য তৈরি এই ধরনের বিভিন্ন অ্যাপে বিভিন্ন রকম সুবিধা মেলে। কখনও ক্লিক করে মোবাইলের পর্দাতেই পড়ে ফেলা যায় খবরের কাগজ, তো কখনও আবার খেলা যায় মজাদার গেম।

গুগ্ল আর অ্যাপল-এর ভাঁড়ারে এখন অ্যাপের সংখ্যা ১০০ কোটির বেশি। ইন্টারনেট অ্যান্ড মোবাইল অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শুধু ভারতেই এর বাজার ২০০০ কোটি টাকা ছুঁইছুঁই। বৃদ্ধির হারের বিচারেও বিশ্বে তার স্থান তৃতীয়। দেশে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির সংগঠন ন্যাসকমের হিসাব অনুযায়ী, ভারতে এখন অ্যাপ নির্মাতার সংখ্যা প্রায় ৯০০০। ,মধ্যে।
কিন্তু এই বিপুল জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও ভাল করে শর্ত না পড়ে-দেখে কিংবা সঠিক তথ্য না-জেনে অ্যাপ ডাউনলোড করা উচিত নয় বলে স্পষ্ট জানাচ্ছে নেট নিরাপত্তা-ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলি। যেমন, ওয়েবসেন্স ও সিম্যানটেক-এর দাবি, দুষ্টু অ্যাপের মূল উদ্দেশ্যই হল ফোনে থাকা ব্যক্তিগত তথ্যের বেআইনি ব্যবহার। তা সে ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত খুঁটিনাটিই হোক বা অন্য কোনও তথ্য।

বিশেষজ্ঞদের মতে, স্মার্ট ফোনের দৌলতে মোবাইলে নেটের ব্যবহার যত বাড়ছে, ততই তৈরি হচ্ছে নিত্যনতুন বিপদের আশঙ্কা। দুষ্টু অ্যাপের সংখ্যা বাড়ছে তরতরিয়ে। সেই কারণেই ভারতে ওয়েবসেন্সের প্রধান সুরেন্দ্র সিংহের মতে, কম্পিউটারের মতো এখন নিরাপত্তা বেষ্টনী প্রয়োজন মোবাইল ফোনেও। অ্যাপ ডাউনলোড করার বিষয়ে গ্রাহকদেরও অনেক বেশি সতর্ক হওয়া উচিত। নইলে গভীর গাড্ডায় পড়তে হতে পারে।

নারীরা সাবধান!

 বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে না জড়ানোর বেশুমার কারণ চিহ্নিত করা যেতে পারে। কিন্তু এরমধ্যে
নারীরা সাবধান!
বিশেষ কিছু নেতিবাচক বিষয় রয়েছে। এ ধরনের সম্পর্কে জড়ানোর আগে যে বিষয়গুলো মেয়েদের বিশেষভাবে ভাবতে হবে। টাইমস অব ইন্ডিয়া
ভুল
আপনি নিজেকে যতোই বোঝানোর চেষ্টা করুন না কেন বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে ডেটিং করার সময় তা মনে থাকে না। কিন্তু এটি নীতিগতভাবে ভুল, অনৈতিক। এটির পরিণতি আপনার জীবনকে বিষিয়ে তুলতে পারে
পরিবারকেই বেছে নেবে
আপনি যখন কোনো বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়াবেন, তখন বহুবার প্রেমিক পুরুষটি আপনাকে তার ‘সত্য প্রেমে’র বাণী শোনাবে। কিন্তু দিনশেষে মানুষটি তার স্ত্রী-সন্তান ও পরিবারের কাছেই ফিরে যাবে। যদি কখনো একটিকে বেছে নেয়ার প্রশ্ন আসে, তখন সে তার পরিবারকেই বেছে নেবে।
মিথ্যাচার
বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে না জড়ানোর অন্য আরেকটি কারণ হলো মিথ্যাচার। ঘরে স্ত্রী-সন্তান থাকার কারণে প্রেমিক পুরুষটি আপনাকে পর্যা‌প্ত্য সময় দেবে না। অথচ অবিরাম মিথ্যা বলে যাবে। আপনার সঙ্গে সাক্ষাত, শপিং বা মুভি দেখার সিডিউলগুলো এড়িয়ে যাবে সে।
আপনি এমনটি পছন্দ করবেন?
কাজেই এ ধরনের সম্পর্কে জড়ানোর আগে একটু ভাবুন। আপনি যদি জানতে পারেন, আপনার স্বামী শুধু আপনাকে নয়, একইসঙ্গে প্রতারণা করছে সন্তানের সঙ্গে! বিষয়টি কি আপনি মেনে নিতে পারবেন? প্রতারণা তা সে যে ধরনেরই হোক তা অমার্জনীয়। তার চেয়েও বড় কথা বিবাহিত পুরুষটির ব্যাপারে আপনি কখনোই নিশ্চয়তা দিতে পারেন না যে, স্ত্রী-সন্তান রেখে সে আপনাকে বৈধভাবে গ্রহণ করবে। কাজেই সাবধান। নারীরা সাবধান!

৪০০ ছক্কার রেকর্ড গড়লেন বুম বুম আফ্রিদি

ছয়ের রাজা! বুম বুম আফ্রিদির তাণ্ডব। সেই ব্যাটিং-ঝড়েই উড়ে গেল ক্যারিবিয়ানরা। পাকিস্তান-ওয়েস্ট
আফ্রিদি
ইন্ডিজ প্রথম টি-২০ ম্যাচে শেষ বলে নাটকীয় জয় পাকিস্তানের। শাহিদ আফ্রিদির ধুন্ধুমারের সৌজন্যে। ২৭ বলে ৪৬। . ফর্ম্যাটে মোট ৪০০টি ছয় মারার বিশ্বরেকর্ড গড়লেন আফ্রিদি।

৪০০-এর ক্লাবের প্রথম সদস্য। ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস তাবড় মারকুটেদের। ওয়ান ডে-ই হোক কি টি-২০, মুড়ি-মুড়কির মত ছক্কা হাঁকিয়েছেন ক্রিস গেইল। তবুও, বুম বুম পাক-হিটারের পিছনেই পড়ে রইলেন ক্যারিবিয়ান দৈত্য। ৩৫৩ টি ছয়ের সুবাদে এখনও দু’নম্বরে গিলি গিলি গেইল। তাঁর ব্যাটের দাপটে লঙ্কাবাহিনীর একদিনের ক্রিকেটের রণকৌশলই পাল্টে দিয়েছিলেন সনত্ জয়সূর্য। ৩৫২টি ছক্কা মারার সুবাদে তিনি এখন তিন নম্বরে।

চার নম্বরে? সচিন রমেশ তেন্ডুলকর। নিখুঁত টেকনিক। হেলায় স্টেডিয়ামের বাইরে পাঠানো বল। ভারতের ক্রিকেট-দেবতার সংগ্রহে ২৫৭টি ছয়। আর, পঞ্চম স্থানে, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। গড অফ অফ সাইড। সেই অফের উপর দিয়েই নক্ষত্রগতিতে প্যাভিলিয়নের উপর উড়ে যাওয়া বল। মহারাজের ঝুলিতে ছয়ের সংখ্যা ২৪৭।,৪০০ ছক্কা হাকানোর অনন্য এক রেকর্ডের মালিক হয়েছেন পাকিস্তানের অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি। প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এ ক্লাবে পা রাখলেন তিনি।

শনিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টিটোয়েন্টিতর ১৬তম ওভারে ছক্কা মেরে সবধরণের ক্রিকেট মিলিয়ে ৪০০টির ছক্কার মালিক হন আফ্রিদি। এ ম্যাচে প্রতিপক্ষ দলের ক্রিস গেইলের টেস্ট, ওয়ানডে ও টিটোয়েন্টি মিলিয়ে আছে ৩৫৩টি ছক্কা।

সেন্ট ভিনসেন্টের কিংসটাউনে শ্বাসরুদ্ধকর এই টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান। ২৭ বলে ২টি বিশাল ছক্কা ও ৪টি চারে ৪৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হয়েছেন শহীদ আফ্রিদি।

শেষ বলের এই জয়ে দুই ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে অতিথিরা।

না বলা কথা

না বলা কথা

আমি রোহান । তিন ভাই বোনের মাঝে সবার বড় । আমার ছোট দুই বোন আছে । বাবা মায়ের আদরের ছেলে ।দাদা এবং নানার পরিবারের বড় নাতি । বলতে গেলে আমার জন্ম হয়েছে আদরের জন্য । মাঝে মাঝে আব্বু বলে “ আদর কে যদি ওজনে মাপা যেত তাহলে আদরের ওজন তোর থেকে শত শত গুন বেশী হত ” ।
সবাই ভাবছেন আমি কোটিপতি পরিবারের আদরের ছেলে…তাই না ? আদতে তা নয় । আমি মধ্যবিত্ত পরিবারের সবচেয়ে আদরের ছেলে ।ছোট থেকেই যখন যা চেয়েছি তাই পেয়েছি । ছোট থেকে বড় হতে হতে কখন যে এস.এস.সি পরীক্ষা দিয়ে কলেজে উঠলাম টের পাই নি । এই কলেজ জীবনে পেয়ে গেলাম কিছু চেয়ে না পাওয়ার স্বাদ ।
এইবার আসি মূল গল্পে ।

আমি মেয়েদের সাথে খুব কম কথা বলতাম । কলেজে উঠার দুই দিন পর আমি , টিপু , বাবু কলেজে ক্লাস শেষে আড্ডা দিচ্ছিলাম ।হঠাৎ একটা মেয়েকে দেখে আমি পুরা থ হয়ে গেলাম । মেয়েটা দেখতে খুব সুন্দর । একবার মেয়েটার চোখাচোখি হয়ে গেলাম । মেয়েটা কে প্রথম দেখেই এই চারটা লাইন মাথায় ঘুরতে লাগল । প্রথম দেখাতে আমি প্রেমে পরেছি তোমার চোখেতে চোখ আমি রেখেছি আসো যদি তুমি বুকে ভালোবাসার আবেশে নেবো জড়িয়ে
খোঁজ নিয়ে জানলাম তার নাম রোদেলা । মনে মনে ভাবলাম (ROHAN + RODELA = What a Chemistry….) । কয়েকদিন পর পেয়ে গেলাম তার মোবাইল নাম্বার । আমি ক্লাস খুব কম করতাম । ক্লাসের সামনের দরজা দিয়ে ঢুকতাম শুধু তাকে এক নজর দেখার জন্য আর ওকে দেখে দশ মিনিট পর ক্লাসের পিছনের দরজা দিয়ে বের হয়ে যেতাম । ওর নাম্বার থাকা স্বত্তেও ওকে আমি কখনো ফোন দিই নি ভয়ে । কিন্তু ওকে যত দেখি আমি মুগ্ধ হয়ে যায় । এইভাবে কলেজ জীবনের এক বছর পার হয়ে গেল । তবুও রোদেলাকে বলা হয়নি আমার ভালোবাসার কথা । ভেবেছিলাম ভুলে যাব । রোদেলা কে কলেজের অনেক ছেলে পছন্দ করত । শুনেছিলাম অনেক ছেলে ওকে প্রপোজ করেছিল । সবাই কে ও না করে দিল । 1st year এ আমরা একই ব্যাচে ইংরেজী প্রাইভেট পরতাম । ঐখানেও ওর সাথে কখনো কথা বলি নি । লুকিয়ে লুকিয়ে ওকে দেখতাম । একদিন ওর দিকে তাকাতে গিয়ে চোখাচোখি হয়ে গেলাম , দেখলাম ও হাসতেসে । আমি লজ্জায় মুখ ফিরিয়ে ফেললাম । আর মনে মনে বললাম মুছকি হেসে যখন তুমি দেবে আমার প্রেমে সাড়া তখন এই অবুঝ আমি হয়ে যাব দিশেহারা 
এভাবে দিন কেটে যায় । কিন্তু বলব বলব করে বলা হয় না আমার ভালবাসার কথা । একদিন প্রাইভেট এ গিয়ে দেখি ও একটা ছেলের সাথে কথা বলতেসে । ঐদিন রাতেই বন্ধুদের মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে জানলাম ও ছেলেটাকে ভালোবাসে । এবং মাএ দুই দিন হল ওদের প্রেমের । আমিতো পুরা থ । কিযে কষ্ট হচ্ছিল বলে বুজাতে পারবো না । জীবনে এত কষ্ট কখনো পাইনি ।

দেখে যাও এসে প্রিয়া আমার বুকের ভিতর তোমার প্রেমের তাজমহল
সারাজীবন ভরে যে স্বপ্ন বুকে নিয়ে বেঁধেছি আমি সুখের ঘর কষ্টের নোনা জলে মেঘের আধাঁর দেখে করো না আমায় কভু পর
হঠাৎ ফোনের অপর প্রান্ত থেকে বন্ধুর ডাক শুনে বুজতে পারলাম আমি এতক্ষণ আনমনা ছিলাম । ও বলল : মামা তোরে আগেই বলেছিলাম ওরে তোর ভালোবাসার কথা বলে ফেল । আমি : বাদ দে । আমি যেমন ব্যাক্তিগত ভাবে ওকে পছন্দ করি ঠিক ওরও ব্যাক্তিগত পছন্দ অপছন্দ থাকতে পারে । ও : কথাটা মন থেকে বলতেসস ত ? আমি : হুমম । ( ওকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে লাইন টা কেটে দিলাম ) এরপর ও বারবার কল দিতে লাগল । কিন্তু আমি রিসিভ করলাম না । বুঝলাম ও আমাকে স্বান্তনা দিবে ।
ঘড়ির দিকে তাকালাম । রাত ১২:১৭ বাজে । বারান্দায় বসে আছি । কি করব কিছু বুজতেসি না । প্রচুর কাঁদতে ইচ্ছে করতেসে । জীবনে এত কষ্ট কখনো পাই নি । হঠাৎ বুঝলাম চোখ থেকে পানি পরতেসে । কিছুক্ষণ পর রুমে ঢুকে গীটার টা নিয়ে আবার বারান্দায় বসলাম । নিজে নিজে সুর তুলে গাইলাম
মনের পাখি যায় উড়ে যায় এই মন আমার কাঁদে নিরালায় মন মানে না একাকীর যাতনা মন বোঝে না সে যে কি বেদনা
মনে মনে বললাম আর যা করি রোদেলার কোনো ক্ষতি করব না । পারলে ওর উপকার করব । সারারাত নিঘু্র্ম ছিলাম । ( এভাবে কত রাত যে নিঘু্র্ম কাটালাম আমি নিজেও জানি না )
সকালে কলেজে গেলাম যথারীতি তাকে দেখতে । ক্লাসে ঢুকলাম । বন্ধুরা দেখেই বুজে গেল যে সারারাত নিঘু্র্ম ছিলাম । বন্ধুরা আমাকে স্বান্তনা দিচ্ছে । আমি বললাম দূর শালা এইটা ব্যাপার না ( কথাটা বলার সময় বুকটা ফেটে যাচ্ছিল ) 

পুরা ক্লাসের ভিতর চোখ বুলাতে লাগলাম রোদেলাকে দেখার জন্য । তখন আমার একটা বন্ধু বলল ব্যাপার না হলে ওকে ক্লাসের ভিতর খুঁজতেসস কেন ? আমি চুপ হয়ে গেলাম । তখনো ওকে খুঁজতে লাগলাম । কিছুক্ষণ পর দেখলাম ও আসতেসে । কিন্তু চেহারা দেখে বুজলাম কিছু একটা হয়সে যার কারণে ওর মন খারাপ । ২ মিনিট পর আমার বন্ধু সময় এসে বলল মামু রোদেলাকে কলেজ গেইট দিয়া ঢুকার সময় অনার্স এর মিঠু ভাই আর জিহাদ ভাই চরম Foul talk করসে । কথাটা শুনে আমার মাথা পুরা খারাপ হয়ে গেসে । হাত ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলাম স্যার আসতে ২০ মিনিট বাকী আছে । আমি বন্ধুদের কে বললাম আজ জিহাদ ভাই আর মিঠু ভাই ২টারে মারমু এবং এখন । জাহিদ বলল বাদ দে । রোদেলা ত তোর কিছু না । ওর জন্য মারামারি করার কি দরকার ? আর উনারা আমাদের ৩ ব্যাচ সিনিয়র । উনাদের সাথে ১টা মেয়ের ব্যাপার নিয়া মারামারি করলে কলেজের নেতারা আমাদের কে চাপ দিবে । আমি বললাম সবাই ক্লাস থেকে বের হ । কথা আছে । আমি আর কিছু না বলে বের হয়ে গেলাম । পিছন থেকে সবাই আমাকে ডাকতেসে । আমি পিছনে ফিরে তাকালাম না । সবাই বুজে গেছে আজ আমার একরোখা জিদ উঠে গেছে । ওরা আমার ছোটবেলার স্কুল জীবনের বন্ধু । ছোটবেলা থেকে আমরা একসাথে বড় হয়েছি । ওরা ভালো করেই জানে আমি চুপচাপ থাকি কিন্তু আমার জিদ উঠে গেলে যেটা বলি সেটা করেই ছাড়ি । তাই ওরাও ( প্রায় ৪৩ জন ) আমার পিছন পিছন বের হয়ে গেল । আমাদের গ্রুপ টা কলেজের সবচেয়ে বড় গ্রুপ । জাহিদ গ্রুপ লিডার । আর আমি ডেপুটি । আমরা সবাই মাঠের একপাশে দাড়ালাম । জাহিদ কে বললাম বড় সমস্যা হলে তুই জাবেদ ভাই কে ম্যানেজ করিস ( জাবেদ ভাই জাহিদ এর চাচাত ভাই , আমাদের কলেজের ভি.পি ) 
ও বলল ঠিক আছে । এরপর জাহিদই প্লান করল সব । ও বলল আমরা ১০জন যাব । বাকীরা ক্লাসে চলে যা । এরপর জাহিদ বলল উনাদের সামনে দিয়া হেঁটে যাব আমরা । যাওয়ার সময় কয়েকজনের হাতে থাকবে সিগারেট আর একজন অন্যজন কে গালি দিব । যদি উনারা ডাক দেয় তাহলে নিজ থেকেই আমরা লেগে যাব । আর যদি কিছু না বলে তাহলে অন্য প্লান হবে । যে কথা সে কাজ হয়ে গেল । উনারাও ডাক দিলেন সাথে সাথে কেউ কিছু বলার আগেই আমি লাথি দিলাম । এরপর মারামারি শুরু । ২ মিনিট এর মধ্যে উনাদের কিছু বন্ধু ( প্রাই ১৭-১৮ জন ) এসে আমাদেরকেও মারা শুরু করল । আমাদের ক্লাস থেকে মাঠ দেখা যায় । আমাদের বন্ধুরা সবাই ক্লাস থেকে বের হয়ে আমাদের সাথে যোগ দিল । এরপর উনাদেরকে বেশী মারি নি ( প্লান ছিল মারব কিন্তু রক্ত বের হবে না । পরিস্হিতি এমন হল যে উনাদের আর আমাদের কয়েকজনের মুখ , হাত ,পা কেটে গেছে ) 
এটা বড় ভাইদের কানে যেতে বেশী দেরী হয় নি । স্যাররাও আমাদের উপর ক্ষেপে গেছে বড়দের গায়ে হাত দেওয়ায় । প্রিন্সিপাল স্যার আমাদের গ্রুপের সবাই কে ৩০ মিনিট পর স্যারের রুমে যেতে বলল । সবাই মাঠে বসে রইলাম । কলেজ ছুটি হয়ে গেল । রোদেলা ক্লাস থেকে বের হল । আমাদের সামনে দিয়ে যখন রোদেলা হেঁটে যাচ্ছিল তখন ও আমাদের কে শুনিয়ে শুনিয়ে ওর বান্ধবীদের কে বলতেছিল ‘ দেখ নেতারা বসে আছে ’ আমি ত কথাটা শুনেই গরম হয়ে গেলাম ( যার জন্য করলাম চুরি সে বলে চোর ) । 

কথাটা যদি শুধু আমাকে বলত তাহলে আমার গায়ে লাগত না । কিন্তু সাথে তো আমার বন্ধুরা ও আছে , ওদের কি দোষ ? ওরা ত আমার ( রোদেলা ) জন্যই মারামারি করসে । রোদেলার দিকে তাকাতেই দেখলাম ও প্রায় ৫০ গজ সামনে চলে গেছে । ইচ্ছে করতেছিল ওকে ডেকে সবার সামনে মারামারির আসল কারণ টা বলে দিই । কিন্তু ওকে সবার সামনে ছোট করতে মন চাইল না । দেখলাম জাবেদ ভাই মানে আমাদের কলেজের ভি.পি এসে গরম হয়ে গেল । জাহিদ উনাকে একপাশে নিয়ে গিয়ে সবকিছু খুলে বলল । এরপর জাবেদ ভাই আমাকে ডেক বলল : শোন পছন্দ করলে ওকে বলে দে । আর সামান্য ব্যাপার নিয়ে এত কিছু করার দরকার ছিল না । আমি বললাম : ভাইয়া প্রিন্সিপাল স্যারের হাত থেকে বাঁচান । এরপর উনি আমাকে আর জাহিদ কে নিয়ে প্রিন্সিপাল স্যারের রুমে গেলেন । প্রিন্সিপাল স্যারকে অনেক কষ্টে বুঝিয়ে ভবষ্যতে আর এমন হবে না বলে আমাদেরকে বাঁচালেন । এরপর উনি যে ভাইয়াদেরকে মারছিলাম তাদের সামনে নিয়ে আমাদেরকে বকে মিলিয়ে দিলেন । রোদেলাকে নিয়ে এরকম আরও কত মারামারি করসি কতজনকে হুমকি দিসি কতজন থেকে হুমকি পাইসি তা আমার বন্ধুরা রা আর একমাএ আল্লাহ জানে । ও কখন কখন বাসা থেকে বের হত , কি ড্রেস পরে বের হত , কোথায় যেত , কখন বাসায় ঢুকত সব খবর আমি পেতাম । কিছুদিন পর 1st year final শুরু হল । ওর আর আমার সিট পরল একই হলে । আমাদের হলে ৩ সারি সিট ছিল । ওর সিট ১ম সারিতে আর আমার সিট ৩য় সারিতে । ১ম পরীক্ষার দিন পরীক্ষা শুরু হওয়ার ২০ মিনিট আগে হলে ঢুকলাম । দেখলাম ও ওর সিটে বসে আছে । আমি আমার সিটে বসলাম । কিন্তু আমার সিট থেকে ওকে দেখা যায় না । কি করা যায় তা ভাবতেসি । ওর দিকে তাকাতে গিয়ে দেখলাম ২য় সারিতে ওর এক বেঞ্চ পিছনে আমার একটা বন্ধু বসছে । ওকে পরীক্ষার পর সিগারেট খাওয়াব বলে সিট চেন্জ করলাম । এবার রোদেলাকে ভালোভাবে দেখা যায় । রোদেলার সামনের সিট ছিল আমার ঘনিষ্ট বন্ধু মিজানের । মিজান কে ডেকে বললাম রোদেলা তোর থেকে দেখতে চাইলে ওকে দেখাবি । তোর জন্য প্রতি পরীক্ষা শেষে ১০ টাকা লোড বরাদ্দ । ও বলল ঠিক আছে । এভাবে 2nd year pre test , test ও দিলাম । আমি প্রত্যেক পরীক্ষায় ২ ঘন্টার বেশী লিখতাম না । ৬০-৭০ এর উত্তর দিয়ে পাশ নিশ্চিত করে বসে বসে ওকে দেখতাম । একদিন 2nd year pre test পরীক্ষার সময় এক স্যারের কাছে ধরা খেয়ে গেলাম । স্যার আমাকে সামনে ডেকে নিয়ে বললেন আমি ব্যাপারটা অনেকদিন দেখছি । এভাবে তাকিয়ে না থেকে খাতায় লিখ । নিজেকে প্রতিষ্ঠিত কর । একদিন দেখবে ঐ মেয়েটা তোমার দিকে তাকিয়ে আছে । 2nd year এ উঠার পর আমি ইংরেজী প্রাইভেটে অন্য ব্যাচে চলে গেলাম । কারণ স্যার ছেলে মেয়ে আলাদা ব্যাচ করে ফেলসে । ওকে দেখার জন্য প্রতিদিন বিকালে রিক্সা নিয়ে ওদের পাড়ায় ঘুরে আসতাম । খুব কম দেখা পেতাম । সময় তার নিজস্ব গতিতে বয়ে যায় । কলেজ জীবনও প্রায় শেষ হয়ে আসে । কিন্তু রোদেলাকে আমার ভালবাসার কথা বলা হয় নি । একদিন বিকালে মার্কেটের ২তলায় বারান্দায় বসে সবাই আড্ডা দিচ্ছিলাম আর আমি গীটার নিয়ে টুং টাং আওয়াজ করছিলাম । সবাই বলল একটা গান ধরতে । কিন্তু আমার ইচ্ছে করছিল না । হঠাৎ নীচের দিকে তাকিয়ে দেখলাম রোদেলা মার্কেটে ঢুকছে । ওর ছোট বোনকে নিয়ে ২তলায় আসতেসে । মনটা ফ্রেশ হয়ে গেল । ও ২তলায় উঠতে মিজান ওকে ডাক দিল । কেমন আছে জিগ্গাসা করল । ও ভালো আছি বলে আমরা সবাই কেমন আছি জিগ্গাসা করল । সবাই ভালো আছি বলল ( আমি কিছু বলি নাই ) 

জাহিদ রোদেলাকে মার্কেটে কেন আসছে জিগ্গাসা করল । রোদেলা নীচের দিকে দেখিয়ে বলল ঐ যে দেখ শিলা,মিথি,তিথি,জয়া উঠতেছে ( কলেজ ব্যাচমেট ) ওদের সাথে কিছুক্ষণ ঘুরব । ওরাও এসে গেল । আমরা এখানে কি করতেসি তা ওরা জানতে চাইল । মিজান বলল আমরা এখানে প্রায় আড্ডা দিই আর রোহানের গান শুনি । আমি বললম না না মিথ্যা কথা । আমি গান গাই না । রোদেলা বলল তাহলে তোমার হাতে গীটার কেন ? এতকথা না বলে আমাদেরকে ১টা গান শোনাও । জাহিদ বলল মামা চল কলেজ মাঠে চল । ঐখানে সবাই বসব । মার্কেট আর কলেজ পাশাপাশি । সবাই মাঠে বসলাম । আমি সুর তুললাম –
জানো তুমি প্রিয়া বুকের ভিতরে কে রই মানো হৃদয় জুড়ে তুমি শুধু আর কেউ নয়
এসো না বুকের গভীরে শুণ্যতা মুছে দিয়ে ভালবেসে
সুখের পরশ দেব বুলিয়ে তোমাকে রঙে রঙে পৃথিবী রাঙিয়ে দেবে কি আমাকে…..

গান শেষ হতে সবাই হাত তালি দিল । তিথি বলল চরম হয়সে । রোদেলা বলল খুব ভালো লাগসে । ( আমি মনে মনে বললাম তুমিই ত আমার প্রিয়া । তোমাকে নিয়ে আমার এই গানটা লেখা। ভাগ্য ভালো তাই তোমাকে শোনাতে পারলাম ) সন্ধ্যা হয়ে গেল । যে যার বাসায় চলে গেলাম ।
Test পরীক্ষা ও কাছে চলে আসছে । পড়ালেখার চাপ বেড়ে গেল । কিন্তু পড়ায় মন বসাতে পারিনা । শুধু রোদেলাকে মনে পরে । আমার এমন কোনো বই খাতা বাকী ছিল না যেখানে ‘ রোদেলা ’ নামটা লিখা ছিল না । প্রতি পাতায় পাতায় লিখা ছিল । কত রাত যে ঘুমহীন কাটসে মনে নাই । একদিন বিকালে আমার বন্ধু সুজাত কল দিল । আমি তখন বাসায় ছিলাম । বলল তাড়াতাড়ি মার্কেটে যেতে । আমি : কেন ? সুজাত : আমি মার্কেটে । রোদেলা ও মিথিও মার্কেটে । ওকে আর মিথি কে Boom Boys এর ‌রানারা ( ওরাও আমাদের বন্ধু ) Distrub করতেসে । মাথা চরম গরম হয়ে গেল । আমি সাথে সাথে জাহিদ কে কল দিলাম - জাহিদ : বল আমি : কোথায় তোরা ? জাহিদ : তোদের গলির মুখে । কেন ? আমি : বলব । আসতেছি । দৌড়ে বাসা থেকে বের হলাম । জাহিদ কে সব বললাম । ও বলল রানাকে কল দিয়ে মানা কর । আমি বললাম মার্কেটে যাব , সরাসরি কথা বলব । না মানলে হাত চালাই দিব । জাহিদ বলল পাগলামী করিস না , ও আমাদের বন্ধু । আমি বললাম গেলে চল । ঐখানে ১৩-১৪ জন ছিল । সবাই মার্কেট গেলাম । সুজাত কে কল দিলাম । ও বলল ৩য় তলায় উঠতে । ৩য় তলায় উঠেই সিঁড়িতে রানাকে একা পেলাম । সব বললাম । রানা বলল মামা আমি কিছু বলি নাই । কে বলসে জিগ্গেস করলাম । রানা বলল মিশু , লিমন ( চিনি না, রানার বন্ধু ) । জিগ্গেস করলাম ওরা কোথায় ? বলল ঐ ত । রানা বলল মামা বাদ দে আমি মানা করে দিব ওদের কে । পিছনে ফিরে দেখলাম মিশু , লিমন করিডরের শেষের দিকে একটা ফাস্ট ফুড দোকানের সামনে আর রোদেলা ও মিথি ফাস্ট ফুড দোকানের বিপরীতে একটা লেডিস দোকানে । আমি রানাকে বললাম দাঁড়া তোরা । আমি যাই । ওরা কি বলে শুনি । রানাকে আর আমার বন্ধুদের কে সিঁড়িতে দাঁড় করিয়ে আমি মিশু ও লিমনের পাশে গিয়ে দাঁড়ালাম । মিশু তখন মিথিকে বলল এত ভাব মারো কেন ? আমরা ২জন আছি তোমরাও ২জন । প্রেম করবা ? আমি এমনভাবে দাঁড়ায়সি যাতে রোদেলা ও মিথি আমাকে না দেখে । আমি লিমনকে বললাম ভাই কিছু বলিয়েন না । লিমন বলল ওরা আপনার বউ নাকি ? আমি বললাম ওরা আমার বন্ধু । লিমন বলল বউ ত না । ( মারামারি করার ইচ্ছা ছিল না তাই ঠান্ডা মাথায় কথা বলতেসি ) আমি বললাম কথা এভাবে বলতেসেন কেন ? মিশু বলল এভাবে বললে কি করবি ? ফাস্ট ফুড দোকানের মালিক আমাকে ভালো করে চিনে কারন মার্কেটে গেলে ঐখানেই আমরা খাই । উনারে বললাম মামা এরা কি বলে ? উনি লিমন , মিশু কে বলল বাদ দেন এসব । ওরা আমাকে বলল তুই কি বুজাতে চাস ? এবার আমি গরম হয়ে গেলাম । আমার গলার আওয়াজ শুনে রোদেলা ও মিথিও আমার দিকে তাকাল । লিমন , মিশু কে বললাম তোদেরকে মারতে মারতে মার্কেট থেকে বের করব । সাথে সাথে লিমন আমাকে ধাক্কা মারল দেয়ালে । লোকজন জড় হয়ে গেল । এতক্ষণে রানা জাহিদ এরা সবাই চলে আসল । রানা কিছু বলার আগেই মিশু রানাকে বলল ( আমাকে দেখিয়ে , ভাবসে সবাই রানার হয়ে আসছে ) মার । আমি রানাকে বললাম তুই কিছু বললে তোর কপালে ও মার আছে । আমাকে মিশু আবার ধাক্কা দিল । আমি টেবিল থেকে পানি ভর্তি জগ নিয়ে মিশুর মাথায় বাডি মারলাম । রানা ধরতে চাইলে আমি ওকে সরিয়ে দিলাম । লিমন , মিশু কে সবাই মিলে মারা শুরু করলাম । মারতে মারতে ৩ তলা থেকে নীচে নামালাম । পুলিশ চলে আসাতে সবাই পালালাম ।

দিন চলে যায় । রোদেলার সাথে কথা বলা হয় নি ( সাহস করতে পারি না ) । Test পরীক্ষাও শুরু হয়ে গেল । সিট প্লান আগের মত ছিল । শেষ পরীক্ষা ছিল ইংরেজী । ১০ টা বাজে পরীক্ষা শুরু হল । ১১:৪৪ মিনিটে আমার প্রায় ৬০ নাম্বারের মত উত্তর দেয়া শেষ । পাশ নিশ্চিত । ৫ মিনিট এর জন্য লেখা থেকে ব্রেক নিয়ে ওকে দেখি আর ভাবি আজ কলেজে হয়ত লাইফের শেষ পরীক্ষা । তাই আজ ৫ মিনিট এর বেশী ওকে দেখব না । পুরা ১০০ নম্বর উত্তর দিয়ে তারপর বের হব । ৫ মিনিট পর আবার লেখা শুরু করলাম । মাঝে ওর দিকে আবার তাকালাম । দেখলাম ও মিজান থেকে কি একটা দেখে লিখতেসে । ১২:৩৭ আমার লেখ শেষ । মনটা খুব ফ্রেশ লাগল । এবার ওর দিকে তাকিয়ে রইলাম । ১২:৪১ দেখে দেখে লেখার জন্য স্যার ওকে ৫ মিনিট এর জন্য দাঁড়ায় থাকতে বলল । পুরা ক্লাসে প্রায় ১৩০ জনের মধ্যে ও সহ ৭ জন দাঁড়ায় ছিল । ওকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে আমার খারাপ লাগল । আমি সাথে সাথে খাতা জমা দিয়ে বের হয়ে গেলাম ।
আজ কলেজ অডিটরিয়ামে বিদায় অনুষ্ঠান । আমরা সবাই ছিলাম । রোদেলার দিকে তাকাতেই দেখলাম ওকে খুব সুন্দর লাগছে । অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করছে সিফাত আর জয়া । অনুষ্ঠানের মাঝে হঠাৎ জয়া আমাকে গান গাওয়ার জন্য মঞ্চে ডাকল । আমি লজ্জায় অডিটরিয়াম থেকে দৌড়ে বের হতে যাব কিন্তু বন্ধুরা ধরে ফেলল । এখানে ছোট বড় ভাইয়া আপুরা এবং কলেজ এর সব শিক্ষকরা আছে । আমার লজ্জায় মুখ লাল হয়ে গেল । বন্ধুরা ঠেলে আমাকে মঞ্চে তুলে দিল । জয়ার দিকে চোখ গরম করে তাকাতেই ও বলল সিফাত আমাকে শিখায় দিসে । আমার দোষ দিও না । সিফাত মঞ্চের পিছন থেকে একটা গীটার ( প্লান করা ছিল ) এনে আমাকে দিয়ে কানে কানে বলল রোদেলার ( emotional blackmail ) জন্য হলেও একটা গান গা । আমি গীটার হাতে নিয়ে মাইক্রোফোনের সামনে দাঁড়ালাম । দশর্ক সারিতে রোদেলার দিকে এক পলক তাকালাম ।
হোক না কথা মনে মনে ইশারাতে আলাপন থেকো তুমি হৃদয় নীড়ে সাজাব মধুর জীবন

এই মনেতে সারাটিক্ষণ শুধু তোমারই বিচরণ ….
গান শেষ হওয়া মাত্র সবাই করতালি দিল । কিছুক্ষণ পর অনুষ্ঠান শেষ হল । ভাবছিলাম রোদেলাকে আজ আমার ভালবাসার কথা বলে দিব । কিন্তু যদি ও মন খারাপ করে ফেলে তাও আবার কলেজ জীবনের শেষ দিন এই ভেবে আর বলি নি । রোদেলার দিকে দূর থেকে তাকিয়ে মনে মনে বললাম ভেবেছিলাম তোমাকে আজ বলে দিব আমার ভালবাসার কথা তোমার মন খারাপের কথা ভেবে বলা হয়নি আমার ভালবাসার কথা
আমার কথাগুলো একান্তই আমার হয়ে থাক না বলা কথা