এ কনজাংটিভায় জীবাণু সংক্রমণের ফলে দেহের কনজাংটিভার রক্ত চলাচল বেড়ে যায় ও রক্তনালিগুলো প্রসারিত হয়। সেইসঙ্গে চোখের পানি উৎপাদনকারী গ্রন্থিগুলোর কাজও বেড়ে যায়। এ কারণে এ রোগে আক্রান্ত হলে চোখ লাল হয় এবং চোখ দিয়ে অঝোর ধারায় পানি বের হয়। এছাড়াও কনজাংটিভা জীবাণু দ্বারা খুব বেশি আক্রান্ত হলে চোখের কোনায় পুঁজ জমতে পারে।
চোখ ওঠা রোগ ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া দু’ধরনের জীবাণুর দ্বারাই হতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাধারণ চোখ ওঠা রোগ ভাইরাসের আক্রমণের কারণেই হয়ে থাকে। সাধারণত এডেনো ভাইরাস দ্বারা কনজাংটিভা আক্রান্ত হওয়ার কারণেই এ রোগটি সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে।
চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত হওয়ার মূল কারণগুলো হল:
-বর্ষাকালে স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া ও পরিবেশে বসবাস এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম কারণ।
-বাতাসে জলীয়বাষ্প বেশি থাকলে ও ঠা-া-গরম এবং প্রকৃতিতে বাতাসের প্রবাহের ঘন ঘন পরিবর্তনে চোখ ওঠা রোগে আক্রান্তের প্রবণতা বেড়ে যায়।
-দরিদ্র জনগোষ্ঠী যারা অপুষ্টিতে ভোগে তারা এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে।
-অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ যেখানে আলোবাতাস পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায় না এরকম স্থানে বাস করলে এ রোগ হতে পারে।
-অন্যান্য ভাইরাস যেমন- মিজেলস (হাম), রুবেলা অথবা ইনফ্লুয়েঞ্জা ইত্যাদিতে সংক্রমিত হলেও চোখ ওঠা রোগ হতে পারে।
-মলত্যাগের পর ভালোভাবে হাত পরিষ্কার না করলে।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন