rojar kelendar


Original Image Download: http://goo.gl/bVax8
Original PDF Download: http://goo.gl/N5qDe

যেসব কারণে রোজা নষ্ট হয়:

১. নাক বা কানে ওষুধ প্রবেশ করালে।
২. ইচ্ছাকৃতভাবে মুখ ভরে বমি করলে।
৩. কুলি করার সময় গলার মধ্যে পানি চলে গেলে।
৪. নারী স্পর্শ বা এ সংক্রান্ত কোনো কারণে বীর্য বের হলে।
৫. খাদ্য বা খাদ্য হিসেবে গণ্য নয় এমন কোনো বস্তু গিলে ফেললে।
৬. আগরবাতি ইচ্ছা করে গলা বা নাকের মধ্যে প্রবেশ করালে।
৭. বিড়ি সিগারেট পান করলে।
৮. ভুলে খেয়ে ফেলার পর ইচ্ছা করে পুনরায় খাবার খেলে।
৯. সুবেহ সাদিকের পর খাবার খেলে।
১০. বুঝে হোক বা না বুঝে সূর্য ডোবার আগে ইফতার করলে।
১১. ইচ্ছা করে স্ত্রী সহবাস করলে।

যেসব কারণে রোজা মাকরুহ হয়:

১. বিনা কারণে জিনিস চিবিয়ে বা লবণ কিংবা কোনো বস্তুর স্বাদ গ্রহণ করা। যেমন টুথপেস্ট, মাজন, কয়লা ইত্যাদি দিয়ে দাঁত মাজা।
২. গোসল ফরজ অবস্থায় সারাদিন গোসল না করে থাকা।
৩. শরীরের কোথাও শিঙ্গা ব্যবহার করা বা রক্তদান করা।
৪. পরনিন্দা করা।
৫. ঝগড়া করা।
৬. রোজাদার নারী ঠোঁটে রঙিন কোনো বস্তু লাগালে যা মুখের ভেতর চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
৭. রোজা অবস্থায় দাঁত উঠানো বা দাঁতে ওষুধ ব্যবহার করা, তবে একান্ত প্রয়োজনে তা জায়েয।

যেসব কারণে রোজা ভঙ্গ হয় না কিংবা মাকরুহও হয় না:

১. মিসওয়াক করলে।
২. মাথায় বা শরীরে তেল লাগালে।
৩. চোখে ওষুধ বা সুরমা লাগালে।
৪. গরমের কারণে পিপাসায় গোসল করলে।
৫. সুগন্ধি ব্যবহার করলে।
৬. ইনজেকশন বা টিকা দিলে।
৭. ভুলক্রমে পানাহার করলে
৮. ইচ্ছা ছাড়াই ধুলাবালি বা মাছি ইত্যাদি প্রবেশ করলে।
৯. কানে পানি প্রবেশ করলে
১০. দাঁতের গোড়া থেকে রক্ত বের হলে।

যেসব কারণে রোজা না রাখলেও ক্ষতি নেই:

১. কোনো অসুখের কারণে রোযা রাখার শক্তি হারিয়ে ফেললে অথবা অসুখ বৃদ্ধির ভয় হলে। তবে পরে তা কাযা করতে হবে।
২. গর্ভবতী স্ত্রী লোকের সন্তান বা নিজের প্রাণ নাশের আশঙ্কা হলে রোজা ভঙ্গ করা বৈধ তবে কাযা করে দিতে হবে।
৩. যেসব স্ত্রী লোক নিজের বা অপরের সন্তানকে দুধ পান করান রোজা রাখার ফলে যদি দুধ না আসে তবে রোজা না রাখার অনুমতি আছে কিন্তু পরে কাযা আদায় করতে হবে।
৪. শরিয়তসম্মত মুসাফির অবস্থায় রোযা না রাখার অনুমতি আছে। তবে রাখাই উত্তম।
৫. কেউ হত্যার হুমকি দিলে রোযা ভঙ্গের অনুমতি আছে। পরে এর কাযা করতে হবে।
৬. কোনো রোগীর ক্ষুধা বা পিপাসা এমন পর্যায়ে চলে গেল এবং কোনো দ্বীনদার মুসলিম চিকিৎসকের মতে রোজা ভঙ্গ না করলে তখন মৃত্যুর আশঙ্কা আছে। তবে রোযা ভঙ্গ করা ওয়াজিব। পরে তা কাযা করতে হবে।
৭. হায়েজ-নেফাসগ্রস্ত (বিশেষ সময়ে) নারীদের জন্য রোজা রাখা জায়েজ নয়। পরবর্তীতে কাযা করতে হবে।

 
Top