স্কুল থেকে এসেই ঘর ঘুছানো নিয়ে খুব ব্যস্ত হয়ে গিয়েছি। নতুন এলাকা নতুন পরিবেশ। নতুন এলাকায় আশার পর আম্মু আমাকে নতুন একটা কোচিং এ ভর্তি করে দেয়। এমনিতে আমার কখন তেমন ফ্রেন্ড সার্কেল না থাকায় তেমন একটা কষ্ট লাগেনি। কথা বলার মানুষ ছিল না। তার দুইদিন পর কোচিং এর
এক বাংলা শিক্ষক এর বিয়ে। আমার রুম এর জানালা দিয়ে সেই স্যার এর বিয়ে দেখা নিয়ে খুব ব্যস্ত। তখন আমি অষ্টম শ্রেণীতে পরি। আম্মু আমার অবজেক্টিব ধরছে আমি বিয়ে দেখছি আর উত্তর দিচ্ছি।
হঠাত করেই আম্মু বলল ঐ দেখ কত সুন্দর মনোযোগ দিয়ে মেয়েটা পরছে। আমি একটু ঘাড় ঘুড়িয়ে শুধু ফেসটা দেখলাম। আসলে তখন আর এত কিছু কি বুজতাম জানালা দিয়ে প্রেম হয়। আমি নরমাল। এভাবে কিছুদিন যাবার একদিন রাস্তায় মেয়েটাকে দেখি মেয়েটা আমার দিয়ে তাকিয়ে মুচকি হাসি দিয়ে চলে গেল। আমি ভাবা শুরু করলাম এখানে হাসির কি করলাম রে বাবা। আমি চুপচাপ হাটছিলাম। আমার চেয়ার ছিল দুইটা একটা ওর জানাল বরাবর কিন্তু একটু ডানে। আরকেটা অন্য দিক দিয়ে। আমি যে কোচিং টায় পরতাম সেই কোচিং টা মাইরের দিক থেকে এক্সপার্ট। যেভাবেই হোক আমি রাত জেগে পড়া শেষ করতাম। একদিন রাত দুইটা কি তিনটা বেজেছিল। আমি পড়া শেষ করে বই খাতা ঘুছানো নিয়ে ব্যস্ত এমন সময় ঐ মেয়েটা জড়ে কাশি দিয়ে আমাকে তার দিকে তাকানোর জন্য অনেক চেস্টা করেছিল। আমার কি দোষ রাতে মানুষের কাশি আস্তেই পারে। আর ডিম লাইট জালিয়ে আমাকে ডাকবে। আমিও বা কি করে বুজব। তার পর দিন আমি স্কুল এ যাচ্ছি আর সে স্কুল থেকে আসছিল। আমার দিকে না তাকিয়ে সোজা হাটছিল আর শুদ্ধু বলে গেল – কানে কি সমস্যা আছে নাকি, কাশি দিলে কানে শব্দ যায় না। সেদিন রাতে লাইট জালিয়ে হাত দিয়ে আমাকে ইশারা দিল।
- কি সমস্যা
- এত লেখা পড়া করে কি করবেন।
- বললাম আমার মাইরটা কি আপনি খাবেন।
- দিনে কয়টা খান।
- আরে আজব তো। আপনার তো দেখি মাইর খেয়ে অভ্যাস আছে।
- কি বললেন আপনি। আপনি জানেন আমার রোল কত।
- কেন আপনার রোল জেনে সেই রোল দিয়ে পানি খেলে কি আমি মাইর থেকে বেচে যাব।
- যেতেও পারেন।
- আচ্ছা বলুন।
- আমি ক্লাস সেভেন এ পরি, আমার নাম প্রমি, আমার রোল – ০১, ক – শাখায়।
- এত কথা বলেন কেন। রোল জানতে চাইলাম। চৌদ্দ ঘুস্টি টেনে নিয়ে আসলেন। বাকি গুলো দিয়ে গোসল করব
- চুপ। আপনার পোলাপাইন।
- কিহ, আমি পোলাপাইন।
- দেখেন আমি আপনার থেকে এক বছরের বড়। ভদ্রতা বজায় রাখুন।
- সরি। আচ্ছা তুমি আমাকে তুমি করে বলতে পার।
- বেয়াদব, বড়দের তুমি করে বলে নাকি।
যাই হোক এভাবেই একটু একটু দুষ্টামি আর জোগড়া আমাদের প্রতিদিনি চলত। কিন্তু আমাদের কখন বন্ধুত্ত হয়নি, প্রেমও হয়নি। প্রতিদিন পড়া শেষে আমাদের ভালই গল্প জমে যেত। তার কিছুদিন পরই আম্মু বলল ভাল একটা বাসা পেয়েছি। আমরা ওখানে চলে যাব। এই কথা শুনে আমি খুশিতে একশ একশ। আমরা যে বাসায় ছিলাম সে বাসার ছাদে বাড়ীওয়ালা উঠতে দিত না। নতুন বাসা নতুন ছাদ। একদিন দেখতে গেলাম। গিয়ে দেখি দুইটা ছেলে ক্রিকেট খেলছে। আমাকে আর পায় কে। অপেক্ষার প্রহর গুনছি নতুন বাসায় যাব। ক্রিকেট খেলব। সত্যি কথা বলতে আমি ক্রিকেট কে এত পরিমান মায়া কাজ করছিল। যা ঐ মেয়েটার প্রতি কাজ করেনি। যেদিন চলে যাব। সেদিন দেখলাম ওর চোখে পানি। আমি তো হাসতে হাসতে শেষ। কি আজকে স্যার এর হাতে মাইর খেয়েছ তাই না। ব্যাপার না। তোমার রোল নং টা আজকে একবার ঘুলিয়ে খেয়ে ফেল আর খাবে না।
নতুন বাসায় উঠার কিছু দিন পর আমার ফাইনাল এক্সাম। নাইন এ উঠলাম এর মধ্যে আরো কিছু বন্ধু হল। সারাদিন ক্রিকেট ছাড়া আর কিছু মাথায় কাজ করত না। দশম শ্রেনীতে উঠার পর একদিন অরে দেখলাম। বুজলাম না আজকে খুব কাছে যেতে ইচ্ছে হচ্ছে। কথা বলতে ইচ্ছে হচ্ছে। কিন্তু পারছি না। কিন্তু কেন? প্রতিদিন আস্তে আস্তে ওকে অনুভব করা শুরু হল। কিন্তু কিছু একটা সব সময় বাধা দিত। যাই হোক একদিন খবর পেলাম আমার ক্লাস এক রোল ওকে নাকি প্রপোজ করে ছিল। কিন্তু সে সেটা গ্রহন করেনি। ও চাচ্ছিল আমি ফিরে আসি। কিন্তু এত পরিমান খেলা ধুলা করেছি। যার কারনে লেখাপড়া অবস্থা খুব খারাপ। ও অনেক ভাল একটা ছাত্রী আমার মত খারাপ ছাত্র কিভাবে সম্ভব। নিজেকে এখন ঘুটিয়ে রেখেছি। আর তাছাড়া ও অনেক সুন্দর হয়েছে। আমার কিছুই নেই। কিছু দিন আগে শুনলাম ও এখন ডাক্তারি পরছে। একটা সুন্দর বয়ফ্রেন্ড আছে। । হ্যাপি তো তাও সে।
ঐ বাসা চেঞ্জ করার পর নতুন যে বাসায় এখন এসেছি সেই বাসা থেকে ওর ছাদ দেখা যায়। ও ছাদে হাটা হাটি করে :D। এখন আর খারাপ লাগে না।
আমি সবসময় যোগ্যতাকে সবসময় বেশি দাম দেই। যা নেই তা নিয়ে কেন বাড়াবাড়ি করতে যাব। একজন এর জীবন নষ্ট করে তো লাভ নেই। এখন হয়তবা চাইলে আমি ওকে চাইতে পারি। কিন্তু এখন সে অন্য কারো।
এখন মনে হচ্ছেঃ সময়, স্রোত এবং মেয়ে কারও জন্য অপেক্ষা করে না।
হঠাত করেই আম্মু বলল ঐ দেখ কত সুন্দর মনোযোগ দিয়ে মেয়েটা পরছে। আমি একটু ঘাড় ঘুড়িয়ে শুধু ফেসটা দেখলাম। আসলে তখন আর এত কিছু কি বুজতাম জানালা দিয়ে প্রেম হয়। আমি নরমাল। এভাবে কিছুদিন যাবার একদিন রাস্তায় মেয়েটাকে দেখি মেয়েটা আমার দিয়ে তাকিয়ে মুচকি হাসি দিয়ে চলে গেল। আমি ভাবা শুরু করলাম এখানে হাসির কি করলাম রে বাবা। আমি চুপচাপ হাটছিলাম। আমার চেয়ার ছিল দুইটা একটা ওর জানাল বরাবর কিন্তু একটু ডানে। আরকেটা অন্য দিক দিয়ে। আমি যে কোচিং টায় পরতাম সেই কোচিং টা মাইরের দিক থেকে এক্সপার্ট। যেভাবেই হোক আমি রাত জেগে পড়া শেষ করতাম। একদিন রাত দুইটা কি তিনটা বেজেছিল। আমি পড়া শেষ করে বই খাতা ঘুছানো নিয়ে ব্যস্ত এমন সময় ঐ মেয়েটা জড়ে কাশি দিয়ে আমাকে তার দিকে তাকানোর জন্য অনেক চেস্টা করেছিল। আমার কি দোষ রাতে মানুষের কাশি আস্তেই পারে। আর ডিম লাইট জালিয়ে আমাকে ডাকবে। আমিও বা কি করে বুজব। তার পর দিন আমি স্কুল এ যাচ্ছি আর সে স্কুল থেকে আসছিল। আমার দিকে না তাকিয়ে সোজা হাটছিল আর শুদ্ধু বলে গেল – কানে কি সমস্যা আছে নাকি, কাশি দিলে কানে শব্দ যায় না। সেদিন রাতে লাইট জালিয়ে হাত দিয়ে আমাকে ইশারা দিল।
- কি সমস্যা
- এত লেখা পড়া করে কি করবেন।
- বললাম আমার মাইরটা কি আপনি খাবেন।
- দিনে কয়টা খান।
- আরে আজব তো। আপনার তো দেখি মাইর খেয়ে অভ্যাস আছে।
- কি বললেন আপনি। আপনি জানেন আমার রোল কত।
- কেন আপনার রোল জেনে সেই রোল দিয়ে পানি খেলে কি আমি মাইর থেকে বেচে যাব।
- যেতেও পারেন।
- আচ্ছা বলুন।
- আমি ক্লাস সেভেন এ পরি, আমার নাম প্রমি, আমার রোল – ০১, ক – শাখায়।
- এত কথা বলেন কেন। রোল জানতে চাইলাম। চৌদ্দ ঘুস্টি টেনে নিয়ে আসলেন। বাকি গুলো দিয়ে গোসল করব
- চুপ। আপনার পোলাপাইন।
- কিহ, আমি পোলাপাইন।
- দেখেন আমি আপনার থেকে এক বছরের বড়। ভদ্রতা বজায় রাখুন।
- সরি। আচ্ছা তুমি আমাকে তুমি করে বলতে পার।
- বেয়াদব, বড়দের তুমি করে বলে নাকি।
যাই হোক এভাবেই একটু একটু দুষ্টামি আর জোগড়া আমাদের প্রতিদিনি চলত। কিন্তু আমাদের কখন বন্ধুত্ত হয়নি, প্রেমও হয়নি। প্রতিদিন পড়া শেষে আমাদের ভালই গল্প জমে যেত। তার কিছুদিন পরই আম্মু বলল ভাল একটা বাসা পেয়েছি। আমরা ওখানে চলে যাব। এই কথা শুনে আমি খুশিতে একশ একশ। আমরা যে বাসায় ছিলাম সে বাসার ছাদে বাড়ীওয়ালা উঠতে দিত না। নতুন বাসা নতুন ছাদ। একদিন দেখতে গেলাম। গিয়ে দেখি দুইটা ছেলে ক্রিকেট খেলছে। আমাকে আর পায় কে। অপেক্ষার প্রহর গুনছি নতুন বাসায় যাব। ক্রিকেট খেলব। সত্যি কথা বলতে আমি ক্রিকেট কে এত পরিমান মায়া কাজ করছিল। যা ঐ মেয়েটার প্রতি কাজ করেনি। যেদিন চলে যাব। সেদিন দেখলাম ওর চোখে পানি। আমি তো হাসতে হাসতে শেষ। কি আজকে স্যার এর হাতে মাইর খেয়েছ তাই না। ব্যাপার না। তোমার রোল নং টা আজকে একবার ঘুলিয়ে খেয়ে ফেল আর খাবে না।
নতুন বাসায় উঠার কিছু দিন পর আমার ফাইনাল এক্সাম। নাইন এ উঠলাম এর মধ্যে আরো কিছু বন্ধু হল। সারাদিন ক্রিকেট ছাড়া আর কিছু মাথায় কাজ করত না। দশম শ্রেনীতে উঠার পর একদিন অরে দেখলাম। বুজলাম না আজকে খুব কাছে যেতে ইচ্ছে হচ্ছে। কথা বলতে ইচ্ছে হচ্ছে। কিন্তু পারছি না। কিন্তু কেন? প্রতিদিন আস্তে আস্তে ওকে অনুভব করা শুরু হল। কিন্তু কিছু একটা সব সময় বাধা দিত। যাই হোক একদিন খবর পেলাম আমার ক্লাস এক রোল ওকে নাকি প্রপোজ করে ছিল। কিন্তু সে সেটা গ্রহন করেনি। ও চাচ্ছিল আমি ফিরে আসি। কিন্তু এত পরিমান খেলা ধুলা করেছি। যার কারনে লেখাপড়া অবস্থা খুব খারাপ। ও অনেক ভাল একটা ছাত্রী আমার মত খারাপ ছাত্র কিভাবে সম্ভব। নিজেকে এখন ঘুটিয়ে রেখেছি। আর তাছাড়া ও অনেক সুন্দর হয়েছে। আমার কিছুই নেই। কিছু দিন আগে শুনলাম ও এখন ডাক্তারি পরছে। একটা সুন্দর বয়ফ্রেন্ড আছে। । হ্যাপি তো তাও সে।
ঐ বাসা চেঞ্জ করার পর নতুন যে বাসায় এখন এসেছি সেই বাসা থেকে ওর ছাদ দেখা যায়। ও ছাদে হাটা হাটি করে :D। এখন আর খারাপ লাগে না।
আমি সবসময় যোগ্যতাকে সবসময় বেশি দাম দেই। যা নেই তা নিয়ে কেন বাড়াবাড়ি করতে যাব। একজন এর জীবন নষ্ট করে তো লাভ নেই। এখন হয়তবা চাইলে আমি ওকে চাইতে পারি। কিন্তু এখন সে অন্য কারো।
এখন মনে হচ্ছেঃ সময়, স্রোত এবং মেয়ে কারও জন্য অপেক্ষা করে না।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন