ব্যাক্টেরিয়া! নামটা শুনলেই আমাদের প্রায় সবার মনেই ভেসে উঠে এমন এক ক্ষুদ্র,প্রায় অদৃশ্য জীবাণুর নাম,যা শুধু মানুষের ক্ষতির কারণ। কিন্তু বিজ্ঞান নিয়ে যারা মোটামুটি খবরাখবর রাখেন,তারা জানেন যে ব্যাক্টেরিয়া শুধু রোগের কারণই নয়,তা অনেক দিক দিয়ে আবার মানুষের উপকার-ও করে।
দই খেতে কার না ভালো লাগে?মোটামুটি সবাই দই পছন্দ করেন। কিন্তু আপনি জানেন কি,দই খেলে
আপনার ভাব-ভঙ্গি বা আচরণে পরিবর্তন আসতে পারে? শুনতে অদ্ভূত মনে হলেও বিজ্ঞান কিন্তু সেটাই বলছে।
দই হল একধরনের ফারমেন্টেড দুধ বা গাঁজন হওয়া দুধ। দুধের ভেতর বিভিন্ন আনুবিক্ষনিক জীব থাকে,যার মধ্যে ব্যাক্টেরিয়া প্রধান। ব্যাক্টেরিয়া মানেই কিন্তু ক্ষতিকারক নয়,কিছু ব্যাক্টেরিয়া আবার উপকারীও। আর দই মানে সেই সব ব্যাকটেরিয়াই বংশবৃদ্ধি করে দুধের মধ্যে পরিবর্তন এনেছে। এভাবে দুধ খুব বেশি ফারমেন্টেড না হয়ে গেলে, মানে দই পর্যন্ত থাকলে সেটা আমাদের দেহের জন্য ক্ষতিকর নয়। তবে, আপনি যে দই খাচ্ছেন, সেটা কিন্তু শুধু দই-ই খাচ্ছেন না। দইয়ের সঙ্গে কোটি কোটি ব্যাকটেরিয়া আপনার পাকস্থলীতে প্রবেশ করছে। সম্প্রতি এই ব্যাকটেরিয়ার কাজ-কারবারের সঙ্গে মস্তিস্কের সিগনালের সম্পকর্ খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা,যে সিগনালের কারণে মানুষের আচরণ কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রিত হয় বলে তাঁদের ধারণা।
এই ধারণার কোন বাস্তব ভিত্তি আছে কিনা,সেটা জানার জন্য বিজ্ঞানীরা কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর সিদ্ধান্ত নেন। ১২ জন মানুষকে ফারমেন্টেড দুধের পাঁচ ধরনের ব্যাকটেরিয়া খাইয়ে ১১ জন মানুষ, যারা সাধারন দুধ খেয়েছে, তাদের সাথে তুলনা করেছেন বিজ্ঞানীরা। এ পরীক্ষার জন্য ব্যবহার করা হয়, ফাঙ্কশনাল MR এর মাধ্যমেIfMRIবা ফাংশনাল এম আর আই হলো মস্তিষ্ক পরীক্ষা করার একটি পদ্ধতি। । এই পরীক্ষা সম্পন্ন হলে দেখা গেল,দুই গ্রুপের মানুষদের মস্তিস্কের সিগনালে পার্থক্য ধরা পড়েছে।
কিন্তু কি কারনে, কিভাবে এই পার্থক্য হতে পারে? একটা কারন অবশ্যই সহজে ধরা যায়- ব্যাকটেরিয়া যেসব জিনিস আমাদের পাকস্থলীতে তৈরি করছে সেগুলি রক্তের মাধ্যমে পরিবাহিত হয়ে মস্তিক্সের আবরণী ভেদ করে মস্তিস্কে প্রবেশ করছে এবং সেখানে প্রভাব ফেলছে। কিন্তু এই প্রক্রিয়ায় শুধু দুধের ব্যাকটেরিয়াই আসলে কাজ করছেনা। বরং ফারমেন্টেড দুধের ব্যাকটেরিয়ারগুলি আমাদের পেটের সাধারন ব্যাকটেরিয়াগুলির জিনে প্রভাব ফেলছে যার বাইপ্রোডাক্ট হিসেবে এই রাসায়নিক পদার্থ আমরা পাচ্ছি,যার নাম প্রোপায়নিক এসিড ।
এই প্রোপায়নিক এসিড মস্তিষ্কে কিছু রাসায়নিক পরিবর্তন আনে,যার ফলে মানুষের আচরণ কিছুটা হলেও পরিবর্তিত হয়।
ছোট ছোট,চোখে দেখা যায় না এরকম জীব আমাদের আচরণের উপর প্রভাব ফেলছে কিছুটা হলেও,খুব আশ্চর্যের ব্যপার তাই নয় কি? কিন্তু ব্যাক্টেরিয়ার পরিবর্তন যে খারাপ কিছু সেটা বিজ্ঞানীর কখনোই বলেন নি।
তাই দই খাওয়া বন্ধ করে দেয়ার আপাতত কোন কারণ নেই।
দই খেতে কার না ভালো লাগে?মোটামুটি সবাই দই পছন্দ করেন। কিন্তু আপনি জানেন কি,দই খেলে
আপনার ভাব-ভঙ্গি বা আচরণে পরিবর্তন আসতে পারে? শুনতে অদ্ভূত মনে হলেও বিজ্ঞান কিন্তু সেটাই বলছে।
দই হল একধরনের ফারমেন্টেড দুধ বা গাঁজন হওয়া দুধ। দুধের ভেতর বিভিন্ন আনুবিক্ষনিক জীব থাকে,যার মধ্যে ব্যাক্টেরিয়া প্রধান। ব্যাক্টেরিয়া মানেই কিন্তু ক্ষতিকারক নয়,কিছু ব্যাক্টেরিয়া আবার উপকারীও। আর দই মানে সেই সব ব্যাকটেরিয়াই বংশবৃদ্ধি করে দুধের মধ্যে পরিবর্তন এনেছে। এভাবে দুধ খুব বেশি ফারমেন্টেড না হয়ে গেলে, মানে দই পর্যন্ত থাকলে সেটা আমাদের দেহের জন্য ক্ষতিকর নয়। তবে, আপনি যে দই খাচ্ছেন, সেটা কিন্তু শুধু দই-ই খাচ্ছেন না। দইয়ের সঙ্গে কোটি কোটি ব্যাকটেরিয়া আপনার পাকস্থলীতে প্রবেশ করছে। সম্প্রতি এই ব্যাকটেরিয়ার কাজ-কারবারের সঙ্গে মস্তিস্কের সিগনালের সম্পকর্ খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা,যে সিগনালের কারণে মানুষের আচরণ কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রিত হয় বলে তাঁদের ধারণা।
এই ধারণার কোন বাস্তব ভিত্তি আছে কিনা,সেটা জানার জন্য বিজ্ঞানীরা কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর সিদ্ধান্ত নেন। ১২ জন মানুষকে ফারমেন্টেড দুধের পাঁচ ধরনের ব্যাকটেরিয়া খাইয়ে ১১ জন মানুষ, যারা সাধারন দুধ খেয়েছে, তাদের সাথে তুলনা করেছেন বিজ্ঞানীরা। এ পরীক্ষার জন্য ব্যবহার করা হয়, ফাঙ্কশনাল MR এর মাধ্যমেIfMRIবা ফাংশনাল এম আর আই হলো মস্তিষ্ক পরীক্ষা করার একটি পদ্ধতি। । এই পরীক্ষা সম্পন্ন হলে দেখা গেল,দুই গ্রুপের মানুষদের মস্তিস্কের সিগনালে পার্থক্য ধরা পড়েছে।
কিন্তু কি কারনে, কিভাবে এই পার্থক্য হতে পারে? একটা কারন অবশ্যই সহজে ধরা যায়- ব্যাকটেরিয়া যেসব জিনিস আমাদের পাকস্থলীতে তৈরি করছে সেগুলি রক্তের মাধ্যমে পরিবাহিত হয়ে মস্তিক্সের আবরণী ভেদ করে মস্তিস্কে প্রবেশ করছে এবং সেখানে প্রভাব ফেলছে। কিন্তু এই প্রক্রিয়ায় শুধু দুধের ব্যাকটেরিয়াই আসলে কাজ করছেনা। বরং ফারমেন্টেড দুধের ব্যাকটেরিয়ারগুলি আমাদের পেটের সাধারন ব্যাকটেরিয়াগুলির জিনে প্রভাব ফেলছে যার বাইপ্রোডাক্ট হিসেবে এই রাসায়নিক পদার্থ আমরা পাচ্ছি,যার নাম প্রোপায়নিক এসিড ।
এই প্রোপায়নিক এসিড মস্তিষ্কে কিছু রাসায়নিক পরিবর্তন আনে,যার ফলে মানুষের আচরণ কিছুটা হলেও পরিবর্তিত হয়।
ছোট ছোট,চোখে দেখা যায় না এরকম জীব আমাদের আচরণের উপর প্রভাব ফেলছে কিছুটা হলেও,খুব আশ্চর্যের ব্যপার তাই নয় কি? কিন্তু ব্যাক্টেরিয়ার পরিবর্তন যে খারাপ কিছু সেটা বিজ্ঞানীর কখনোই বলেন নি।
তাই দই খাওয়া বন্ধ করে দেয়ার আপাতত কোন কারণ নেই।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন