গুছিয়ে কথা বলতে পারা, সুন্দর করে কিছু লিখে দেয়া- এই জিনিসগুলো কোনদিনই আমার মধ্যে ছিল না। আগেরটা পরে, পরেরটা আগে করে ফেলতাম। আর তুমি আমাকে ভুল বুঝতে। তর্ক করতাম, ঝগড়া হত, খুব সহজে রাগ করে দূরে সরে যেতাম, তবু তুমি আমাকে ফিরিয়ে নিতে আসতে না। আপনাআপনি মাথা ঠাণ্ডা হলে নিজেই ফিরে যেতাম। কারণটা বোঝা সহজ- তোমায় ভালবাসতাম।
কেমন আছি, কি করছি- জানার প্রয়োজনবোধ করনি কোনোদিনই। সমস্ত দায়টা তো আমার, আমার দায়িত্ব যে তুমি। তাই কখনো ভুলে যাইনি তোমার খেয়াল রাখতে, যখন ব্যর্থ হয়ে ভেঙ্গে পড়েছিলে সেদিন পাশে থাকতে, একাকিত্তের মুহূর্তগুলো নিজের অস্তিত্তের রঙে রাঙ্গাতে। চেয়েছিলাম নিজের জীবন দিয়ে তোমায় আগলে রাখতে। এই কারণটাও বোঝা সহজ- তোমায় ভালবাসতাম।
তোমাকে ঘিরে একটা অদ্ভুত মায়া কাজ করত। রাতের আঁধারে চোখ দুটি বন্ধ করে যখন আমার স্বপ্নের রাজ্যে তোমাকে নিয়ে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখতাম তখন চারিদিকে ছিল সেই মায়ার ছড়াছড়ি। তোমার মায়াজালে আবদ্ধ আমি যখন তোমার মাঝে নিজেকে বারবার হারাতাম, তোমার কাঁধে মাথা রেখে যখন ঘুমের ঘরে ঢলে পড়তাম তখনও তুমি বুঝতে না। ভাবতে হয়তো আমি সবার সাথেই এমন, হয়তো সবার মাঝে নিজেকে খুঁজতে গিয়েই আমি নিজেকে দিয়েছি বিসর্জন। শত ধিক্কার সহ্য করেও তোমার পায়েই মাথা ঠুকেছি, জানি দরজাটা বন্ধ তবু কড়া নেড়েছি এই আশায় হয়তো একদিন ক্লান্ত হয়ে নিজেই খুলবে ভালবাসার দ্বার। কারণটা বোঝা সহজ- তোমায় ভালবাসতাম।
যেই দেবতার পূজা করে এসেছি সবসময়, তার দেবী হতে চাইনি কোনোদিন। পাওয়ার মোহে কাছে টানতে চাইনি, শুধু চেয়েছি আমার ভালোবাসায় অকৃত্রিমতার একটু ছোঁয়া রাখতে। পুরো পৃথিবীর সামনে নিজের অনুভূতি জাহির করে বেড়াতে চাইনি, শুধু অন্তরের সিন্দুকে আঁকড়ে ধরে তোমায় কাছে টানতে চেয়েছি। কারণটা বোঝা সহজ- তোমায় ভালবাসতাম
যেদিন আমি তোমার কেউ ছিলাম না সেদিন কষ্ট ছিল- কেন আমি তোমার হতে পারিনি? আর যেদিন তোমার একটা অংশ হয়ে গেলাম সেদিন এতটাই কষ্ট দিলে যে তা সহ্য করতে না পেরে ভাবতাম- কেন কাছে টেনে দূরে ঠেলে দিলে? তবু অপেক্ষা করে ছিলাম একদিন তুমি বুঝবে, কাছে এসে হাতটা ধরবে আর চোখের জল মুছে দিয়ে বলবে- থাকব পাশে অন্তহীন জীবনের শেষ পর্যন্ত। কারণটা বোঝা সহজ- তোমায় ভালবাসতাম।
আমার মনটা ছিল রূপকথার কোন গল্পের প্রাচীর দেয়া দুর্গের মত। সেই প্রাচীর ভেঙ্গে দুর্গে ঢুকে তুমি আমায় নিঃস্ব করে চলে গিয়েছিলে অন্য কোন এক রাজকুমারীর সন্ধানে। আজকে শুধু একটা প্রশ্ন করতে চাই- আমার ভুলটা কোথায় ছিল? তোমার মত হতে না পারা? নাকি এখনো তোমায় ভালোবেসে যাওয়া? একা পথে চলতে গিয়ে হঠাৎ কোনোদিন যদি মুখোমুখি হয়ে যাই আমরা দুজন, তবে কি চিনবে আমায়? নাকি পাশ কাটিয়ে চলে যাবে অচেনা পথিকের ভান করে?
কেমন হবে সেই মুহূর্তটা-
যখন তোমার সবকিছু থাকবে
সমস্ত সুখ যা একদিন চেয়েছিলে
সব স্বপ্ন যেদিন সত্যি হবে
শুধু পাশে তাকিয়ে দেখবে নেই সে
যার মাঝে একদিন নিজেকে খুঁজেছিলে?
জানতে চাইছি কারণ সেই মুহূর্তটা দিয়েই আজ আমি পাড় হচ্ছি।
সময়টা অনেক কষ্টের, আবার অনেক বেশি সুখেরও। কষ্টের কারণ আমার সুখের মাঝে আজ তুমি নেই। আর কষ্টের কারণ তোমার সুখের অংশ হিসেবে কোনোদিনই আমায় ভাবতে পারনি।
বড় ইচ্ছে করে বলতে ফিরে এসো। বলিনা... যখন সবাই বলে- ও অনেক সুখে আছে অন্য কাউকে নিয়ে- তখন নিজেই নিজের মাঝে গুটিয়ে যাই।
এই অব্যাক্ত কথাগুলো যখন কাউকে বলতে না পেরে অনুভূতি শূন্যতার শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেলাম সেদিন থেকেই লেখা শুরু করলাম। আগে একটা সমস্যা ছিল- যখন শুরু করতাম তখন বুঝতাম না শেষ কোথায় হবে অথবা, যখন শেষটা বুঝে উঠতাম তখন জানতাম না আসলে শুরুটা কোথায়। আজ সব বুঝে গিয়েছি। শুরু থেকে শেষ আমার সব গল্পের নায়ক তুমি, সব কবিতার শিরোনাম তুমি। ফিরে আসো আর না ই বা আসো, লিখব শুধু তোমাকে ভেবেই। আমার ভালোবাসা নিয়ে কেউ হয়তো মহাকাব্য লিখবে না, তবু আমার মহাকাব্য থাকুক তোমাতেই সীমাবদ্ধ, তোমাকেই করি উৎসর্গ
কেমন আছি, কি করছি- জানার প্রয়োজনবোধ করনি কোনোদিনই। সমস্ত দায়টা তো আমার, আমার দায়িত্ব যে তুমি। তাই কখনো ভুলে যাইনি তোমার খেয়াল রাখতে, যখন ব্যর্থ হয়ে ভেঙ্গে পড়েছিলে সেদিন পাশে থাকতে, একাকিত্তের মুহূর্তগুলো নিজের অস্তিত্তের রঙে রাঙ্গাতে। চেয়েছিলাম নিজের জীবন দিয়ে তোমায় আগলে রাখতে। এই কারণটাও বোঝা সহজ- তোমায় ভালবাসতাম।
তোমাকে ঘিরে একটা অদ্ভুত মায়া কাজ করত। রাতের আঁধারে চোখ দুটি বন্ধ করে যখন আমার স্বপ্নের রাজ্যে তোমাকে নিয়ে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখতাম তখন চারিদিকে ছিল সেই মায়ার ছড়াছড়ি। তোমার মায়াজালে আবদ্ধ আমি যখন তোমার মাঝে নিজেকে বারবার হারাতাম, তোমার কাঁধে মাথা রেখে যখন ঘুমের ঘরে ঢলে পড়তাম তখনও তুমি বুঝতে না। ভাবতে হয়তো আমি সবার সাথেই এমন, হয়তো সবার মাঝে নিজেকে খুঁজতে গিয়েই আমি নিজেকে দিয়েছি বিসর্জন। শত ধিক্কার সহ্য করেও তোমার পায়েই মাথা ঠুকেছি, জানি দরজাটা বন্ধ তবু কড়া নেড়েছি এই আশায় হয়তো একদিন ক্লান্ত হয়ে নিজেই খুলবে ভালবাসার দ্বার। কারণটা বোঝা সহজ- তোমায় ভালবাসতাম।
যেই দেবতার পূজা করে এসেছি সবসময়, তার দেবী হতে চাইনি কোনোদিন। পাওয়ার মোহে কাছে টানতে চাইনি, শুধু চেয়েছি আমার ভালোবাসায় অকৃত্রিমতার একটু ছোঁয়া রাখতে। পুরো পৃথিবীর সামনে নিজের অনুভূতি জাহির করে বেড়াতে চাইনি, শুধু অন্তরের সিন্দুকে আঁকড়ে ধরে তোমায় কাছে টানতে চেয়েছি। কারণটা বোঝা সহজ- তোমায় ভালবাসতাম
যেদিন আমি তোমার কেউ ছিলাম না সেদিন কষ্ট ছিল- কেন আমি তোমার হতে পারিনি? আর যেদিন তোমার একটা অংশ হয়ে গেলাম সেদিন এতটাই কষ্ট দিলে যে তা সহ্য করতে না পেরে ভাবতাম- কেন কাছে টেনে দূরে ঠেলে দিলে? তবু অপেক্ষা করে ছিলাম একদিন তুমি বুঝবে, কাছে এসে হাতটা ধরবে আর চোখের জল মুছে দিয়ে বলবে- থাকব পাশে অন্তহীন জীবনের শেষ পর্যন্ত। কারণটা বোঝা সহজ- তোমায় ভালবাসতাম।
আমার মনটা ছিল রূপকথার কোন গল্পের প্রাচীর দেয়া দুর্গের মত। সেই প্রাচীর ভেঙ্গে দুর্গে ঢুকে তুমি আমায় নিঃস্ব করে চলে গিয়েছিলে অন্য কোন এক রাজকুমারীর সন্ধানে। আজকে শুধু একটা প্রশ্ন করতে চাই- আমার ভুলটা কোথায় ছিল? তোমার মত হতে না পারা? নাকি এখনো তোমায় ভালোবেসে যাওয়া? একা পথে চলতে গিয়ে হঠাৎ কোনোদিন যদি মুখোমুখি হয়ে যাই আমরা দুজন, তবে কি চিনবে আমায়? নাকি পাশ কাটিয়ে চলে যাবে অচেনা পথিকের ভান করে?
কেমন হবে সেই মুহূর্তটা-
যখন তোমার সবকিছু থাকবে
সমস্ত সুখ যা একদিন চেয়েছিলে
সব স্বপ্ন যেদিন সত্যি হবে
শুধু পাশে তাকিয়ে দেখবে নেই সে
যার মাঝে একদিন নিজেকে খুঁজেছিলে?
জানতে চাইছি কারণ সেই মুহূর্তটা দিয়েই আজ আমি পাড় হচ্ছি।
সময়টা অনেক কষ্টের, আবার অনেক বেশি সুখেরও। কষ্টের কারণ আমার সুখের মাঝে আজ তুমি নেই। আর কষ্টের কারণ তোমার সুখের অংশ হিসেবে কোনোদিনই আমায় ভাবতে পারনি।
বড় ইচ্ছে করে বলতে ফিরে এসো। বলিনা... যখন সবাই বলে- ও অনেক সুখে আছে অন্য কাউকে নিয়ে- তখন নিজেই নিজের মাঝে গুটিয়ে যাই।
এই অব্যাক্ত কথাগুলো যখন কাউকে বলতে না পেরে অনুভূতি শূন্যতার শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেলাম সেদিন থেকেই লেখা শুরু করলাম। আগে একটা সমস্যা ছিল- যখন শুরু করতাম তখন বুঝতাম না শেষ কোথায় হবে অথবা, যখন শেষটা বুঝে উঠতাম তখন জানতাম না আসলে শুরুটা কোথায়। আজ সব বুঝে গিয়েছি। শুরু থেকে শেষ আমার সব গল্পের নায়ক তুমি, সব কবিতার শিরোনাম তুমি। ফিরে আসো আর না ই বা আসো, লিখব শুধু তোমাকে ভেবেই। আমার ভালোবাসা নিয়ে কেউ হয়তো মহাকাব্য লিখবে না, তবু আমার মহাকাব্য থাকুক তোমাতেই সীমাবদ্ধ, তোমাকেই করি উৎসর্গ
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন