সময় যেনো কাটে না/ বড় একা একা লাগে... – মুঠোফোন কল টোন। কল কেটে দিয়ে ফিরতি কল।
নীলা: হ্যালো।
রানা: হ্যাঁ বলো, কী খবর?
নীলা: আমার টোনাটা কেমন আছেরেএএএ?
রানা: ভালো। টুনিটা?
নীলা: টুনিটাও ভালো আছে। কী করো?
রানা: এইতো, হাতি-ঘোড়া মারছি বসে বসে! তুমি কী করছো?
নীলা: এইমাত্র ফিরলাম কোচিং থেকে [ভার্সিটি এডমিন]। শুয়ে আছি এখন। তিনটা বাজে- বাসায় যাওনি এখনও?
রানা: এই সেরেছে! যাবো, যাবো। এই একটু পরেই যাচ্ছি। কাজ ছিলো একটু।
নীলা: কাজ না ঘোড়ার ডিম! এখনই বাসায় যাবা। গিয়ে গোসল সেরে, খাওয়া-দাওয়া করে করে, রেস্ট নিয়ে তারপর বিকেলে বের হবা।
রানা: ঠিকাছে, ঠিকাছে; জো হুকুম মহারানী। মাঝে মাঝে ভাবি, তুমি না থাকলে যে আমার কী হতো!
নীলা: এইতো গুডু বয়। হিঃ হিঃ...
রানা: দেখতে হবে! থেংকু।
নীলা: তুমি কিন্তু আমাকে একটুও ভালোবাসো না!
রানা: কয় কী! কেডা কইছে!
নীলা: বুঝি, বুঝি!
রানা: হু, বলছে তোমারে!
নীলা: ভালোবাসো?
রানা: আবার জিগায়!
নীলা: কতোটুকু ভালবাসো?
রানা: এই যে, এত্তো এত্তো।
নীলা: আমিও তোমাকে অনেক অ-নে-ক ভালোবাসি। একটি মুহূর্তও কল্পনা করতে পারি না তোমাকে ছাড়া... বিপ বিপ শব্দে কথা বলতে বলতেই মুঠোফোনটা চোখের সামনে এনে একপলক দেখে নীলা। দিহান ফোন করেছে। অপেক্ষামানে আছে। দেখে বলে, রাখি এখন তাহলে। বিকেলে কথা হবে। বাই। উম্মাহ...
#
বালিকা বালকের স্বপ্ন দেখার অনুপ্রেরণা। বালক খবরও রাখে না, বিশ্বাসে তার হায়েনার বাস। দিন বদলাইছে। প্রেম প্রেম আজ পাজল খেলা; ভাঙ্গা-গড়া সারাবেলা– অত্যাধুনিকতার দাপটে।
অচিরেই তার বোধোদয় হবে আশা করা যায় ছাঁচে পড়ে।
*
কুরবান হুয়া, তেরে ইশকে মে... – মুঠোফোন রিং টোন। কল কেটে ফিরতি কল প্রেরণ।
নীলা: হ্যাল্লোও!
দিহান: হ্যালো। কেমন আছো টিয়া পাখি?
নীলা: হিঃ হিঃ... ভালো আছি। তুমি কেমন আছো?
দিহান: আমিও ভালো আছি। একটু আগে ফোন দিছিলাম। ব্যস্ত পেলাম।
নীলা: ছোট খালামণি ফোন দিছিলো।
দিহান: হুম। কোচিংয়ে আসছো আগামীকাল?
নীলা: হ্যাঁ, যাবো।
দিহান: আসো, মজা হবে খুব আগামীকাল... বিপ বিপ শব্দে মুঠোফোন স্কিনে তাকায় দিহান। দিশা ওয়েটিং। দেখে বলে, এই শোনো, ভাইয়া ফোন করেছে; রাখি এখন। দেখা হচ্ছে কোচিংয়ে। রাখি, বাই।
নীলা: বাই। উম্মাআ...
দিহান: উমমুআআআ...হ! বাই।
#
বালিকা জানে, সমঝোতা–বিশ্বাস–দায়বদ্ধতা, ওসব কেতাবী বুলি, মুখের কথা! আর যাই হোক– কেতাবী কথায় জীবন আর সমাজ চলে না।
দুই দিনের দুনিয়া। কী আছে জীবনে!
*
দিহান: হ্যালো, দিশা?
দিশা: এতোক্ষণ কোন মেয়ের সাথে বলছিলা, সেটা আগে বলো!
দিহান: আরে নাহ্! ছোট কাক্কু ফোন করছিলো। তার সাথেই কথা বলছিলাম।
দিশা: মিথ্যা কথা! কোন্ মেয়ের সাথে প্রেম করছিলা তাই বলো।
দিহান: ধ্যত্তেরি, এসব কী বলো! আমি কী ওমন নাকী!
দিশা: আহ্হা, কচি খোকা যেনো!
দিহান: ছোট কাক্কুর সাথেই কথা বলছিলাম। সত্যি। এই শোনো আজ কী হয়েছে...
#
বালক জানে, এ তারুণ্যের আবাহন; 
 
Top