রাজশাহীর চারঘাট এলাকায় এক স্কুলছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ২ সপ্তাহ ধরে ধর্ষণ করার পর মুমুর্ষু
অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়েছে কথিত প্রেমিক।

ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাপাতালে চিকিৎসাধীন। ফলে এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর পিতা বুধবার চারঘাট মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত প্রেমিক রবিউল।
পুলিশ ও ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর পারিবারিক জানা গেছে, দ’মাস আগে নাটোরে বড় বোনের বাড়িতে গিয়ে ওই স্কুলছাত্রীর সঙ্গে পরিচয় হয় সিংড়া উপজেলার সিদাখালী গ্রামের জেকের আলীর ছেলে রবিউল ইসলামের। তখন থেকে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের সূত্র ধরে রবিউল বিয়ের প্রলোভন দিয়ে গত ৬ জানুয়ারি স্কুল থেকে ওই ছাত্রীকে নিয়ে নিরুদ্দেশ হয়। পরে মেয়েটির পরিবার অনেক খোঁজাখুজি শুরু করলে রবিউলের বড়ভাই সেলিম ও তাদের পিতা জেকের আলী মোবাইল ফোনে জানায় মেয়েটি রবিউলের সঙ্গে রয়েছে। তাদের বিয়ে দেয়া হবে। এ নিয়ে থানা-পুলিশের অভিযোগ না দেয়ার অনুরোধ করেন তারা। এরপর থেকেই চুপচাপ ছিলো মেয়েটির পরিবার।
তবে এরই মধ্যে বিভিন্নস্থানে নিয়ে গিয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে রবিউল। এতে মেয়েটির অবস্থা গুরুতর হলে সে গত সোমবার কৌশলে বাঘা উপজেলার আড়ানী বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় রেখে পালিয়ে যায়।

পরে মেয়েটি অসুস্থ অবস্থায় নিজ বাড়ীতে ফিরে সব ঘটনা খুলে বলে। মেয়েটির পিতা জানান, তার মেয়েকে অপহরণ করে প্রথমে টাঙ্গাইল ও পরে ঢাকায় নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে ওই যুবক। তার মেয়ের অবস্থা এখন আশঙ্কাজনক বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে চারঘাট মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার গোলাম মোর্ত্তুজা জানান, মামলার পর আসামীদের গ্রেফতার করতে সংশি¬ষ্ট থানায় বার্তা পাঠানো হয়েছে। মেয়েটির ডাক্তারী পরীক্ষার সম্পন্ন হলে বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।

 
Top