অবহেলায় ভরা ভালবাসায়
by- জিনিয়াস ফেলটু
প্যাট্রেসিয়া আমার হাতে মাথা রেখে ঘুমাচ্ছে ।
হাতের মাঝে ওর উষ্ণ শ্বাস-প্রশ্বাস
পাচ্ছি ।একটু আগে ওর সাথে প্রচন্ড
একটা ঝগড়া হল ।
এই মেয়েটা বড়ই অদ্ভুদ ।মেয়েরা সাধারণত
ঝগড়া করে কথা বলা বন্ধ করে দেয় ।কিন্তু
এই মেয়েটা ঝগড়া করে হয় উল্টা আমাকেই
জড়িয়ে ধরে কান্নাকাটি করবে আর
বলবে আমি কতটা নিষ্ঠুর নয়তো আমার
একটা হাত টেনে নিয়ে হাতের উপর গাল
রেখে কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে পরবে ।
প্যাটের কান্নাকাটি বন্ধ হয়েছে ।শ্বাস-
প্রশ্বাস দীর্ঘ হয়ে এসেছে ।
ঘুমিয়ে পরেছে বোধ হয় ।
আমার হাতটাতে রক্ত চলাচল বন্ধ
হয়ে ঝিঝি ধরে গেছে ।তবু
সরাতে ইচ্ছে করছে না হাতটা ।ওর মুখের
দিকে তাকিয়ে থাকতে ভাল লাগছে ।বাচ্চাদের
মত কেঁদে কেঁদে গাল ফুলিয়ে ফেলেছে ।গালের
মাঝে শুকিয়ে যাওয়া পানির দাগ দেখা যাচ্ছে ।
রাগ ভাঙ্গাতে হলে মেয়েদেরকে কত কিছু
বলতে হয় অথচ ওকে আমি কখনোই কিছু
বলি না ।কিছুক্ষণ কথা না বলে থেকে ও আর
থাকতে পারে না ।নিজেই এসে আলাপ শুরু
করে দেয় ---
-- এই আমি রাগ করেছি তো ।
-- ভালো ।
-- কি ভালো ?
-- রাগ করা ভালো ।
-- আমার রাগ ভাঙাবা না ?
-- হুম ।
-- তুমি এমন কেন ?
-- জানি না ।
তারপর ও নিজেই আমাকে শেখায় কিভাবে রাগ
ভাঙাব ।বলে দেয় কালকে অফিস থেকে ফেরার
সময় তিনটা লাল গোলাপ কিনে আনবে আমার
জন্য ।ঝরঝরে দুইটা বড় গোলাপ আর
একটা ছোট কলি ।
-- একটা ছোট গোলাপ কেন জান ?
-- না জানিনা ।কেন ?
এই কথাটা ও কখনও বলে না ।জিজ্ঞেস
করলে হিহি করে হেসে বলে, বোকা।
তারপর যথারীতি দিন যায় ।অফিস
থেকে ফিরে আসি ।কিন্তু তিনটা গোলাপ আর
কিনে আনা হয় না ।
আমি ফিরতেই ও ছুটে আসে ।হাতের
দিকে তাকায় ।তারপর দীর্ঘশ্বাস
একটা ছাড়ে ।
এই তো এভাবেই চলছে ।অবহেলায়
ভরা ভালবাসায় .
by- জিনিয়াস ফেলটু
প্যাট্রেসিয়া আমার হাতে মাথা রেখে ঘুমাচ্ছে ।
হাতের মাঝে ওর উষ্ণ শ্বাস-প্রশ্বাস
পাচ্ছি ।একটু আগে ওর সাথে প্রচন্ড
একটা ঝগড়া হল ।
এই মেয়েটা বড়ই অদ্ভুদ ।মেয়েরা সাধারণত
ঝগড়া করে কথা বলা বন্ধ করে দেয় ।কিন্তু
এই মেয়েটা ঝগড়া করে হয় উল্টা আমাকেই
জড়িয়ে ধরে কান্নাকাটি করবে আর
বলবে আমি কতটা নিষ্ঠুর নয়তো আমার
একটা হাত টেনে নিয়ে হাতের উপর গাল
রেখে কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে পরবে ।
প্যাটের কান্নাকাটি বন্ধ হয়েছে ।শ্বাস-
প্রশ্বাস দীর্ঘ হয়ে এসেছে ।
ঘুমিয়ে পরেছে বোধ হয় ।
আমার হাতটাতে রক্ত চলাচল বন্ধ
হয়ে ঝিঝি ধরে গেছে ।তবু
সরাতে ইচ্ছে করছে না হাতটা ।ওর মুখের
দিকে তাকিয়ে থাকতে ভাল লাগছে ।বাচ্চাদের
মত কেঁদে কেঁদে গাল ফুলিয়ে ফেলেছে ।গালের
মাঝে শুকিয়ে যাওয়া পানির দাগ দেখা যাচ্ছে ।
রাগ ভাঙ্গাতে হলে মেয়েদেরকে কত কিছু
বলতে হয় অথচ ওকে আমি কখনোই কিছু
বলি না ।কিছুক্ষণ কথা না বলে থেকে ও আর
থাকতে পারে না ।নিজেই এসে আলাপ শুরু
করে দেয় ---
-- এই আমি রাগ করেছি তো ।
-- ভালো ।
-- কি ভালো ?
-- রাগ করা ভালো ।
-- আমার রাগ ভাঙাবা না ?
-- হুম ।
-- তুমি এমন কেন ?
-- জানি না ।
তারপর ও নিজেই আমাকে শেখায় কিভাবে রাগ
ভাঙাব ।বলে দেয় কালকে অফিস থেকে ফেরার
সময় তিনটা লাল গোলাপ কিনে আনবে আমার
জন্য ।ঝরঝরে দুইটা বড় গোলাপ আর
একটা ছোট কলি ।
-- একটা ছোট গোলাপ কেন জান ?
-- না জানিনা ।কেন ?
এই কথাটা ও কখনও বলে না ।জিজ্ঞেস
করলে হিহি করে হেসে বলে, বোকা।
তারপর যথারীতি দিন যায় ।অফিস
থেকে ফিরে আসি ।কিন্তু তিনটা গোলাপ আর
কিনে আনা হয় না ।
আমি ফিরতেই ও ছুটে আসে ।হাতের
দিকে তাকায় ।তারপর দীর্ঘশ্বাস
একটা ছাড়ে ।
এই তো এভাবেই চলছে ।অবহেলায়
ভরা ভালবাসায় .
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন