যখন তুমি দাঁড়াও এসে বারান্দায়
সামনে তোমার টলোমলো দীঘির জল
গালেতে হাত দিয়ে ভাব আনমনে
তখন আমার বুকে শুধু ছলাৎ ছল্।
কেউ জানে না আমার মনে কী তখন
জানে আমার পলকবিহীন দুই নয়ন।

মাঝে মাঝে দাঁড়াও তুমি অনেকক্ষণ
মাঝে মাঝে একটু থেকেই যাও চলে
ঠান্ডা বাতাস ঝিরি ঝিরি যায় বয়ে
বলতে থাকে তোমার কথাই সারাক্ষণ।
খুঁজতে থাকি কোথায় থামে তোমার মন
অবুঝ আমার পলকবিহীন দুই নয়ন।

যখন তুমি হাঁটছ ছাদে আলতো পায়
সূর্য তখন ক্লান্ত হয়ে পশ্চিমে
সাঁঝের মায়া মাখিয়ে দিয়ে তোমার গায়
যায় হারিয়ে স্বপ্নমাখা দিগন্তে
কেউ জানে না ভাবি আমি কী তখন
জানে আমার পলকবিহীন দুই নয়ন।

রাতে তোমার ঘরের ভারি পর্দাটা
অসাবধানী হাতের ছোঁয়ায় যায় সরে
আলোর ফালি ভেদ করে যায় অন্ধকার
তোমার মুখের হঠাৎ আভাস তারপরে
কেউ জানে না ইচ্ছে আমার কী তখন
জানে আমার পলকবিহীন দুই নয়ন।
 
Top