এই সোনিয়া দেখ দেখ সেই ছেলেটা,আজকেও কলেজের সামনে দাড়িয়ে আছেজানালার পাশ থেকে


ফারিহা ডাক দেয়বেশ কিছুদিন ধরেই ছেলেটা কে দেখছে ওদের পেছনে ঘুরঘুর করছেকিন্তু মজার ব্যাপার হল কার পেছনে ঘুরছে সেটা বের করতে পারছে না ওরা চার বান্ধবীকারন ওরা চার জনই এক সাথে কলেজে আসে আবার এক সাথেই বের হয়ে যায়,ঘুরতে গেলেও একসাথেতাই ছেলেটা ওদের কে যখনই দেখে এক সাথেকাকে পছন্দ করে সেটা একে অন্যের উপরে চাপিয়ে দিলেও মনে সূক্ষ আশা ছেলেটা যেন তার পেছনে ঘুরেফারিহার ডাক শুনে সোনিয়া,তন্বী দৌড়ে আসেমীম যেখানে ছিল সেখানেই বসেই থাকেদেখছে ছেলেটাকে,বুঝলি সোনিয়া ছেলেটার মোটেও ড্রেস সেন্স ভাল না,দেখছিস কি পড়ে আছে,ক্ষেত কোথাকার,তন্বী বলে উঠেআরে ধুর এই ছেলের আবার ড্রেস সেন্সকি যে বলিস,সায় দেয় সোনিয়াএই মীম তুই বসে বসে কি করছিস,বিদ্যাসাগরের ছোট বোন হতে চাস? এদিকে আয় ছেলেটা কে দেখ,মনে হয় তার আর কাপড় নেই,বলে হিহি করে হেসে উঠে ফারিয়াবিরক্ত হয় মীমফারিহা দেখতে অনেক সুন্দর,সম্ভবত কলেজের সেরা সুন্দরীপ্রায়ই দেখা যায় কিছু ছেলে পেলে ওর পেছুনে ঘুরছেতাতে অবশ্য ফারিয়া বেশ মজাই পায়অনিচ্ছাসত্ত্বেও জানালার পাশে গিয়ে দাড়ায়ছেলেটা ওদের দিকেই তাকিয়ে আছেদূর থেকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না তারপরও মীম এর কাছে ছেলেটাকে অনেক কিউট লাগলমীম ফারিহার মত আহামরি সুন্দর না হলেও আট দশটা মেয়ের সাথে দাড়ালে ওকে আলাদাই লাগবে

ক্লাস শেষ করে ওরা যখন কলেজ থেকে বের হচ্ছে তখনও ছেলেটি সেই একি জায়গায় দাড়িয়েচল ওকে গিয়ে ধমক দেই,প্রস্তাব দেয় সোনিয়াতন্বী,ফারিহা তো এক পায়ে খাড়া,বাধা দেয় মীমআরে বাদ দেবাসায় কাজ আছে,চল চলে যাইএই দাড়া,তুই এত ভীতু কেন রে মীম?ছেলেটাকে ভড়কে দিব, অনেক মজা হবে তন্বী বলে উঠেকি আর করা ইচ্ছে না থাকলেও মীমকে যেতে হয়

এই আপনি আমাদের পিছু নেন কেন? কলেজের সামনেও প্রায়ই দাঁড়িয়ে থাকেন,আপনার সমস্যাটা কি? আপনি জানেন ইভটিজার বলে আপনাকে পুলিশে দিতে পারি? সোনিয়া বেশ রাগী রাগী ভাব নিয়ে বলল,আশা করল ছেলেটা ভয় পাবে

কিন্তু ছেলেটা ভয় তো পেলই না বরং ওদের অবাক করে দিয়ে হাসলবলল না আপনারা পারেন না,কারন আমি তো ইভটিজিং করিনি বরং আপনারা এখানে এসে আমাকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেনজানেন আপনাদের বিরুদ্ধে ১৫৭ ধারার কেস করতে পারি? নিরহ একটা ছেলেকে হুমকি দেবার অজুহাতেথতমত খেয়ে যায় সোনিয়াচুপ করে থাকে

প্রথম দেখাতেই ভালবাসা বিশ্বাস করেন? ফারিহার দিকে তাকিয়ে বললউত্তরের আশায় না থেকে নিজেই জবাব দিল আমিও করতাম না,কিন্তু এখন করতে বাধ্য হচ্ছি,তাকে দেখার পর থেকে লাইফ টা কেমন জানি হয়ে যাচ্ছে,অন্যরকম অনুভূতিতে ছেয়ে আছে মন,চিন্তা ভাবনা যেন তাকে কেন্দ্র করে বৃত্ত হয়ে চারপাশে ঘুরছেরাতগুলো নির্ঘুম,স্বপ্নগুলো কেমন জানি এলমেলোমনে হচ্ছে তার জন্য সব কিছু করা যায়,হা সব কিছুঅধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি,সে আসবে বলে,আমায় বলবে,এই অনেক হয়েছে এখন হাতটা ধর,দেখতো টিপটা ঠিকমত হয়েছে কিনা? বলতে বলতে ছেলেটার চোখ দুটো স্বপ্নিল হয়ে উঠেদেখতে ভালই লাগে ওদের

আপনি কাকে পছন্দ করেন? সোনিয়ার প্রশ্নে থামে ছেলেটাযদিও ওরা ভেবে নিয়েছে কে হতে পারে

সরি তার নাম বলা যাবে না,আমি চাচ্ছি সে যাতে নিজেই সেটা বোঝতে পারে কাকে আমি ভালবেসেছিঅনেকের মাঝে থেকেও আমার অনুভূতি গুলো যেন সে ধরতে পারেততদিন পর্যন্ত আমি এখানে দাঁড়িয়ে থাকব তার পথ চেয়েআচ্ছা আমি আপনাদের দেরী করিয়ে দিচ্ছি,সরি যদিও আমার খুব ভাল লাগছেবাই দা ওয়ে আমি বৃত্ত

এই চল যেতে হবে বকবক শুনলে হবে নাফারিহা ওদের টেনে নিয়ে আসেফারিহা দেখছিস ও কত্ত রোমান্টিক? রাস্তার পাশ দিয়ে হাটতে হাটতে তন্বী বলেইস আমাদের তন্বী সেই খেত ছেলের প্রেমে পরে গেল,হায় প্রেম! কিছুক্ষন আগেও যার ড্রেস সেন্স নিয়া প্রশ্ন ছিল,এখন কিনা তার প্রেমেই পরে গেলপাশ থেকে সোনিয়া বলে উঠেএবার তন্বী খেপে যায়বলে আমি না হয় ড্রেস সেন্স নিয়া বলছি,আর তুই সাহসী সিংহী,ছেলেটার সামনে গিয়ে এমন বিলাই হইলি কিভাবে?? হুম?বল বল?
আরে আমি কি জানতাম নাকি ও কিসব ধারা টারার কথা বলে আমাকে ভড়কে দিবে,বলে সোনিয়া,তাকিয়ে দেখে মীম হাসছেকিরে এতক্ষন তো চুপ ছিলি এখন তোর কি হল?এত হাসির কি আছে
এত সাহসী একজন কে ভয়ে সিধিয়ে যেতে দেখে ীব না,তোকে ছেলেটা বোকা বানাল বলে হাসছি১৫৭ ধারা হইল পার্কিং ছাড়া রাস্তার পাশে গাড়ি রাখার কেসমীম হেসে জবাব দেয়

তুই জানলি কিভাবে? এবার তন্বী প্রশ্ন করেআরে ওই দিন আমাদের গাড়ি এই কেস খায়,ট্রাফিক পুলিশ কে বলতে শুনছি
তুই তখন বললি না কেন?ফাজিল কোথাকারসোনিয়া রেগে যায়হিহি আমি যদি বলে দিতাম তাহলে কি তোর ওই সাহসী রূপ দেখতে পারতাম?? হাহাহা ,হাসতে থাকে মীম

এই তোরা থামতোকি সব শুরু করছিসফালতু একটা ছেলেকে নিয়া হাসাহাসিফারিহা কৃত্রিম রাগ দেখায়ওর কথা শুনে বাকিরা ফিক করে হেসে দেয়তন্বী বলে,আসলেই কত ফালতু ছেলে নইলে কি আর ধবল রোগির প্রেম এ পরে?আমরা কি ছিলাম না হে হেআসলেই,রোগির জন্য বেচারার ঘুম নষ্ট,দিন রাত খালি পাউডার আপার স্বপ্ন,সোনিয়া যোগ করেএই খবরদার ফাজলামি করবি নাফালতু কথা শুনতে একদমই ভাল লাগে নাহয় তোরা চুপ কর নইলে আমি গেলামফারিহা এবার সত্যই রেগে যায়আচ্ছা বাবা ঠিক আছে আর তোকে খেপাব না,তবে এটা ঠিক তোর কপাল ভালএত কিউট,রোমান্টিক একটা ছেলে তোকে পছন্দ করে,এত দিন ধরে তোর জন্য দাঁড়িয়ে থাকে,কল্পনা করা যায়,তাও আবার এই যুগে,যেখানে ২ মিনিটে প্রেম আর ৪ মিনিটে ব্রেক-আপতুই স্পেসাল রে দোস্তআসলেই স্পেসালআমার জন্য দাড়ালে তো এক পায়ে রাজি হতাম,বলে মীমঅফ যা তো তোরা বললেও শুনতে ভালই লাগছিল ফারিহার

পরদিন কলেজ ছুটির পর আবার বৃত্তের সামনে গিয়ে দাঁড়ায় ওরাফারিহাই শুরু করে,ভাব নিয়ে বলে দেখুন আপনার মত ছেলে অনেক দেখেছি,সুন্দরী মেয়ে দেখলেই তার পেছনে ঘুর ঘুর করেন,তার প্রেমে পরে যান,তার জন্য হেন করবেন তেন করবেনযতসব সস্তা মেন্টালিটিশুনুন প্লিজ আমাদের আর ডিস্টার্ব করবেন নানাহলে আমরা স্যারদের জানাতে বাধ্য হব
আপনার কেন মনে হল যে আমি সুন্দরী মেয়ে দেখলেই তার প্রেম এ পরে যাই,আর এমন যদি হত তাহলে তো আমি সবার আগে আপনার প্রেম এ পরতামকিন্তু আমি তো আপনাকে পছন্দ করি নাআমি ভালবাসি মীম কেমীম আমি জানি না তোমার জবাব কি হবে,তবে যাই হোক আমি আর পারছি নাএভাবে দিনের পর দিন তোমার অপেক্ষায় থেকে আমি ক্লান্তআমি আগামি কাল ঠিক এসময় তোমার জবাবের অপেক্ষায় থাকব,বলে হাটা শুরু করে বৃত্তহতভম্ব মীম তার দিকে তাকিয়ে থাকেকান দিয়ে যেন ধোঁয়া বের হচ্ছেও স্বপ্নেও ভাবেনি ফারিহাকে বাদ দিয়ে বৃত্ত ওকে প্রপোজ করবে


একটা ছেলে ওকে এত ভালবাসে,এত দিন ধরে ওর জন্য অপেক্ষা করছে ভাবতেই কেমন জানি লাগেবুকের বাম পাশে কেমন জানি অচেনা অনুভূতিএ অনুভূতির সাথে সে কখনোই পরিচিত নাকিশোরী একটা মেয়ের জন্য এই অনুভূতির মুল্য অনেকরাতের আকাশ দেখতে ভাল লাগছে,গুন গুন করে গান গাইতে ইচ্ছে করছেমন ভরে আছে অচেনা এক ভাল লাগায়কখন সকাল হবে কখন কলেজে যাবে এই চিন্তায় ঘুম আসছে না ওর ,নিষ্ঠুর রাত যেন ফোরাতেই চাচ্ছে নাসোনিয়া কল দিয়েছিল,জানতে চেয়েছিল ওর জবাব কি হবে,মীম সত্য কথায় বলে দিয়েছেএতক্ষনে নিশ্চই সব বান্ধবীরা জেনে গেছে ব্যাপার টা,সোনিয়াটা যা ফাজিলআপন মনে হাসে মীম


ফিজিক্স ক্লাস শেষ হতেই ফারিহার ডাক,তুই নাকি হা বলবি?ছেলেটার ব্যাপারে জানিস কিছু ? নাকি এমনি তেই প্রেম এ পরে গেলিতুই কি আজীবন গাধীই থাকবি?
কেন কি হয়েছে?ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করে মীম
আরে বলিস না ওই ছেলে দুনিয়ার বদ,ওর কাজ ই হচ্ছে সহজ সরল মেয়েদের মিস্টি কথা বলে পটানো,কত মেয়ের যে সর্বনাশ করছেআর তুই কিনা ওর প্রেমে পরে গেছিসকয়েক দিন আগে দেখিস নি এক RJ কে লাইভ প্রোগ্রামে একটা মেয়ে জিজ্ঞেস করল আর কয়টা মেয়ের সর্বনাশ করবা তুমি? এরা হচ্ছে মুখোশধারী শয়তানএদের মিস্টি কথায় বিশ্বাস করতে নেই

ফারিহার কথায় যেন পায়ের নিচে মাটি সরে গেল মীমেরএও সম্ভব?ছেলেটা কে তো এমন মনে হয়নিমনটাই খারাপ হয়ে গেল ওরঅনেক কষ্টে জিজ্ঞেস করল,তুই সিউর তো?

আমি কি তোর সাথে মিথ্যে বলব? তুই বি সেকশনের ইলা কে চিনিস না?ওকেও প্রপোজ করেছেদাড়া ইলা কে ডেকে আনিবলে ক্লাস থেকে বের হয়ে গেল ফারিহা

ভীষণ কান্না পাচ্ছে মীমেরঠোট কামড়ে কান্না চাপার চেস্টাকেন এমন হল? সাজানো স্বপ্নগুলো তাই বলে এভাবে ভেঙ্গে যাবে? ভালবাসা ছিল না জীবনে ভালই তো ছিল সে,কেন ভালবাস তে গেল? কেন একটা মানুষের নিষ্ঠুর খেলায় সে কষ্ট পাবেঅভিমান গুলো একসময় প্রচন্ড ক্ষোভ এ পরিনত হয়ইলা এসে কি বলল তার কিছুই মাথায় ঢুকেনিবেশ কিছুক্ষন কাঁদতে পারলে হয়ত ভাল হত

কলেজ ছুটির পর বের হবে হঠাৎ ঝুপ বৃস্টিকি আর করা যাদের কাছে ছাতা নেই সবাই গেট এর পাশের ছাউনি তে আশ্রয় নিলএই মীম দেখ বদমাশটা ছাতা হাতে এদিকে আসছে,ফাজিল কোথাকার,একটা শিক্ষা দিতে পারলে ভাল হতমীম পারবি ব্যাটাকে একটা চরম শিক্ষা দিতে? ফারিহা উৎসাহের সাথে বললএই না না বাদ দে তো এসব,আমার ভাল লাগছে না,প্রতিবাদ করল সোনিয়াএই হাঁদারামটাকে আজকে না তোর জবাব দেয়ার কথা? যা জবাব দিয়ে আয়দেখিস আবার রাজি হয়ে না যাসকত্ত কিউট ছেলে রে,খোচা মারে ফারিহাফারিহার কথা শুনে মাথায় আগুন ধরে যায় মীমের,বৃষ্টি ভিজতে ভিজতে ওর দিকে এগিয়ে যায়দূর থেকে দেখে ফারিহা,ছেলেটা ছাতা হাতে দৌড়ে আসে,মীম এর উপর ছাতা ধরে,তখনি এক ঝটকায় ছাতা টা ফেলে দেয় মীমমীম উত্তেজিত ভাবে কি যেন বলে বৃত্তকে, বৃত্ত ও কিছু বলে জবাব দেয়ফারিহা সোনিয়া স্তব্দ হয়ে যায় যখন দেখল মীম ছেলেটা কে চর মেরেছেছেলেটার দৃষ্টিই বলে দিচ্ছিল সে কতটা অবাক হয়েছে

জ্বর নিয়ে বাসায় ফিরল মীমবিছানায় পরে সারাদিন ই কাদলকিছুতেই ব্যাপারটা ভুলতে পারছে নাজ্বরের কারনে কয়েকটা দিন কলেজে যাওয়া হয়নিএ কয় দিনে মীম কেমন জানি হয়ে গেছে,শুকিয়ে একদম কাঠদল বেধে ওকে দেখতে আসল সোনিয়া,ফারিহা,তন্নিওর অবস্থা দেখে ফারিহার কান্না পেয়ে গেলহিংসার বশীভূত হয়ে বান্ধবীর এর বড় ক্ষতি করে ফেলবে বুঝতেই পারেনিও তো বুঝতে পারেনি যে মীম ছেলেটা কে এত ভালবেসে ফেলবেমীম কে সব খুলে বললওরা ভাবতেও পারেনি ফারিহা এমন করতে পারে,বৃত্তের ব্যাপারে যা বলেছিল সব মিথ্যেফারিহা কে বাদ দিয়ে মীম কে প্রপোজ করায় সে জেলাস ফিল করে বলে এমন করেছেইলাকেও সে শিখিয়ে দিয়েছিলফারিহার কান্না দেখে মীম ওকে মাফ করে দেয়যা হবার তো হয়েছেইফারিহা কথা দেয় সবাই মিলে ওরা বৃত্তকে খুজে বের করবেশুধু নামটাই ওরা জানে, বৃত্ত কোথায় থাকে,কোন উনিতে পড়ে কিচ্ছু জানে নাতাই ফেসবুক ই এক মাত্র ভরশাহাজার হাজার বৃত্ত,কিন্তু সেই বৃত্ত কে তো আর পাওয়া যায় না,সবার আবার প্রোফাইল পিকচারে নিজের ছবি নেইএভাবে সময় চলে যায় ওরাও এক সময় ক্ষান্ত দেয়শুধু ভুলতে পারে না মীমপ্রথম ভালবাসা কি এত সহজে ভোলা যায়হোক না সেটা একদিনের ভালবাসা

প্রায় দুমাস পর বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স থেকে চার বান্ধবী শপিং করে বের হবে এমন সময় তন্বী বলে এই দেখ তো ছেলেটা বৃত্ত না? আরে তাই তো, মীম দেখ, ফারিহা বলেভয়ে ভয়ে তাকায় মীম,যদি আশা ভেঙ্গে যায়আসলেই তো ছেলেটা বৃত্তর মত দেখতে,তবে ভীষন রোগা,গায়ের রঙ টাও কেমন, বৃত্ত আরো ফর্সাপাশের মেয়েটা কে আবার? সোনিয়া জিজ্ঞেস করল

মীম অবশ্য এত কিছুর ধারে গেল না,সোজা সামনে গিয়ে জিজ্ঞেস করল,এত দিন কথায় ছিলে তুমি?জান ক্লাসের জানালার পাশে দাড়িয়ে কত অপেক্ষা করেছি তুমি আসবে বলে?এলে না কেন আমার রাগ ভাঙ্গাতে,জানি ভুল টা আমারি,কিন্তু ক্ষমা চাইবার সুযোগ তো দিবাঅস্রু টলমল চোখে মীম বলেপাশের মেয়েটে হা করে তাকিয়ে থাকে
আপনি আমাকে কিছু বলছেন?কই আমি তো আপনাকে চিনি না,ছেলেটা বললবৃত্ত কেন আমাকে আরও কষ্ট দিচ্ছ? আমার উপর তুমি এখনো রেগে আছ?গত দুটা মাস আমি কিভাবে যে কাটিয়েছি তা যদি বোঝাতে পারতামকান্নাভেজা কন্ঠে মীম বলে

ও আপনি বৃত্তের পরিচিত? খুব অবাক হয় ছেলেটা ও আমার জমজ ভাইদুমাস আগে একটা সড়ক দূর্ঘটনায় মারা যায়,আস্তে আস্তে বলে ছেলেটা



শুনে আর স্থির থাকতে পারে না মীম,মাথা ঘুরে আসে ওরআকাশ যেন ভেঙ্গে পরছে মেঝেতে পরার আগেই ছেলেটা ধরে ফেলে ওকে,কানে কানে হেসে বলে এত ভালবাস আমাকে? আমি তো এতক্ষন মজা করলাম,ওইদিনের পর অবশ্য ভাবি নাই তুমি আমাকে ভালবাসতে পার,বলে বুকে জড়িয়ে ধরে বৃত্তসেই দিনের মত করে আজ ও বৃষ্টি নামে,হাত ধরে দুজন নেমে যায় বৃষ্টি ভিজবে বলেপাশ থেকে সেই মেয়েটা বলে উঠে,ভাইয়া নিউমোনিয়া বাধিয়ে দুমাস বিছানায় ছিলা আবার থাকতে চাওএই শব্দ গুলো কানে যায়না,ওরা বৃষ্টি ভেজায় মগ্নএ বৃষ্টি ভালবাসার বৃষ্টি,যা মুছে দেয় সব দুঃখ কষ্টচলুন না ওদের সাথে ভালবাসার বৃষ্টি তে ভিজি
 
Top