নতুন কেলেংকারীর জন্ম দিলেন রুমি। সঙ্গীত শিল্পী আরফিন রুমির আচরণে হতবাক প্রবাসীরা। যুক্তরাষ্ট্রে
arfinrumiজন্মগ্রণকারী অথবা সেখানে বেড়ে ওঠা প্রজন্মের মাঝে বাংলাদেশের শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি দেওয়ার অভিপ্রায়ে গত সপ্তাহে ফ্লোরিডার মায়ামীতে অনুষ্ঠিত ‘নর্থ-আমেরিকা বাংলাদেশ কনভেনশন’ (এনএবিসি)-এ হিন্দি গান পরিবেশন করেন এই শিল্পী। গান শেষে উদ্যোক্তারা মঞ্চের পেছনে ডেকে আরফিন রুমিকে হিন্দি গান গাইতে মানা করেন। অনুরোধটি করার পর ক্ষেপে যান রুমি। তার হাতে তখন মাইক্রোফোন। সম্মেলনের আয়োজকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলতে থাকেন, ‘টাকার বিনিময়ে গান গাইতে এসেছি বলে কী তারা (আয়োজক) আমার মাথা কিনে নিয়েছেন? তাদের সন্তানেরা কী বাংলায় কথা বলেন? তাদের বাসায় কী হিন্দি গান বাজে না? তাহলে আমার সঙ্গে এমন আচরণ করা হলো কেন? আমাকে কেন স্বাধীনভাবে গান গাইতে দেয়া হচ্ছে না?’ ইত্যাদি।রুমি বলছেন তো বলছেন, থামার কোনো লক্ষণই নেই। এ অবস্থায় সম্মেলন কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ জামান ছুটে যান মঞ্চে। তিনি রুমিকে স্মরণ করিয়ে দেন যে, এখানে শুধু বাংলায় গান গাইতে হবে এমন শর্ত আগেই জুড়ে দেয়া হয়েছে। এরপরও হিন্দি কেন গাওয়া হলো? বাংলা গান গাইতে কোন সমস্যা থাকলে রুমি যেন মঞ্চ ছেড়ে দেন-এ অনুরোধও জানান তিনি।

রুমি আহ্বায়ক মোহাম্মদ জামানের কথায় আরো উত্তপ্ত হয়ে ওঠেন। এ সময় দর্শকরাও রুমির আচরণে ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি তাকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেয়ার দাবি জানাতে থাকেন। অবস্থা বেগতিক দেখে রুমি বাংলা গান শুরু করেন। একটি গানের পর রুমি আবারো তার গান গাইবার স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপের সমালোচনা করেন। দর্শক সারি থেকে রুমির বক্তব্যের বিরোধিতা করা হলে তিনি পুনরায় গান ধরেন। এক পর্যায়ে রুমি সকলের কাছে নিজ আচরণের জন্যে দুঃখ প্রকাশ এবং ক্ষমা প্রার্থনা করেন। সম্মেলন কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ জামানকে মঞ্চে ডাকেন প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইবেন বলে। কিন্তু রুমির আচরণে হতভম্ব ও ব্যথিত মোহাম্মদ জামান এ ডাকে সাড়া না দিলে রুমি বলেন, আমি যদি তার (মোহাম্মদ জামান) সন্তান হতাম তাহলে তিনি কী আমাকে ক্ষমা করতেন না?

এমন পরিস্থিতির মধ্যেই রুমি আরো ৫টি গান করেন এবং দর্শক-শ্রোতার ক্ষোভ জিইয়ে রেখেই মঞ্চ ত্যাগ করেন।

প্রসঙ্গত, ফ্লোরিডায় অনিভা জামানের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ‘বেঙ্গল মেইহেম।’ এর সদস্যদের সকলেই জন্মগতভাবে আমেরিকান এবং তারা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী। গ্রুপের সদস্যদের মধ্যে কৃষ্ণাঙ্গ এবং শ্বেতাঙ্গ আমেরিকানও রয়েছে। তারাও বাংলা সঙ্গীত রপ্ত করেছেন।
 
Top