বিনোদনরোদনভরা এ বসন্ত’-এ টলিপাড়ার কোন কন্যে চোট পেয়ে মনে মনে মরলেন, বলুন তো? তাও আবার রিল লাইফে নয়, খোদ রিয়েল লাইফেই চোট! এখন টলিপাড়ায় তো আর কন্যে কম পড়েনি, কাজেই যে কোনও একজনের কথা ভাবলে উচিত হবে না! আসলে ঘা-টা যেমন একটু বেশি, তেমন কন্যের সংখ্যাও একের বদলে দুই। আর তাঁরা হলেন শুভশ্রী আর নুসরত। দুজনেই জ্বলে-পুড়ে মরছেন একই নায়কের প্রেমে; আর তাতেই ইন্ডাস্ট্রিতে শুরু হয়েছে জোর চুলোচুলি! আসলে ‘খোকা ৪২০’-এর শ্যুটিং করতে গিয়েই দেখা দিয়েছে এই বিপত্তি। হবে নাই বা কেন; যেমন দুই নায়িকাকে একসঙ্গে কাস্ট করা! এখন পরিচালক রাজীবই বা কী করে ঠাওরাবেন যে দেব-শুভশ্রীর প্রেমটা মাঝপথে ভো-কাট্টা হয়ে যাবে! আর সেটাই কাল হল। শুভশ্রী যতই ট্যুইটারে ‘ভেঙে পড়ো না, উঠে দাঁড়িয়ে সামনে এগিয়ে যাও’ গোছের গাল-ভরা বুলি আওরান, ভেতরে ভেতরে তো আবেগ-অনুভূতিরা সুনামি হয়ে আছড়ে-পিছড়ে মেয়ের সব কিছু দুমড়ে-মুচড়ে দিয়েছে! তাও কন্যে এগিয়ে চলেছিলেন নিজের মতো করে; কত কাঠ-খড় পুড়িয়ে শেষমেশ ‘বস’-এ জিৎ-এর নায়িকাও হলেন! তার সঙ্গেই ঠিক করে ফেললেন যে, পুরনো সব কিছু ধুয়েমুছে নয়া গেট-আপ-এ জীবনটা শুরু করবেন। নায়িকার একটু সাজুগুজু না করলে চলে! এসব সাত-পাঁচ ভেবে শুভশ্রী এক গোছা চুল লালও করে ফেললেন। জিতের সঙ্গে নাচা-কোঁদাও করলেন লালি চুলে। আর সেখানেই দেখা দিল ফ্যাকড়া!

যেই না শুভশ্রীর চুলে লাল পোঁচ পড়েছে, অমনি নাকি দেবও চুপি চুপি নুসরতকে ‘খোকা ৪২০’-এ চুল লাল করানোর বায়না জুড়েছেন। এখন নায়কের বায়না বলে কথা! নায়িকা কি তা ফেলতে পারেন! নুসরতও তাই দেখ-না-দেখ চুল লাল করে সেটে হাজির। আর তারপরেই পড়বি তো পড় একেবারে শুভশ্রীর মুখোমুখি! ব্যস! আর যায় কোথায়! দুয়ে দুয়ে চারের হিসেব মিলিয়ে নিতেই শুভশ্রীর মনটা গেল চুর-চুর হয়ে ভেঙে! এই ছিল দেব-এর মনে!

তারপর তো শুভশ্রীর চোখে জল, মনে ঝড়! এইভাবেই কয়েক দিন চলল। কিন্তু ওই যে কথায় বলে ধর্মের কল বাতাসে নড়ে! একদিন নুসরতের হেয়ার ড্রেসার কী কারণে যেন আসতে পারবে না। তা বলে তো আর শ্যুটিং আটকে থাকবে না। এদিকে নায়িকার চুল ঠিক করাটাও দরকার। এদিকে এই কথা শুভশ্রীর কানে যেই পৌঁছাল, নায়িকা নাকচ করে দিলেন নিজের হেয়ার-ড্রেসারকে নুসরতের কাছে পাঠানোর প্রস্তাব! আর কী, সেদিনের মতো শ্যুটিং রইল পড়ে!

এখন টলিপাড়া এই নিয়ে যাই বলুক না কেন, এ ব্যথা কী যে ব্যথা, বোঝে যে খালি একলা মনে!
 
Top