সারাবেলা ভেবেছি এই বুঝি ফোন আসবে! ফোনের স্ক্রিনে চোখ রাখতে রাখতে কখন যে ঘুমিয়ে গেছি জানিনা!হঠাৎ জেগে উঠতেই ফোনটা হাতে নিতে এক মুহূর্ত দেরি করলাম না!কিন্তু হাতে নিতেই বুকে চিনচিন করে ব্যাথাটা বাড়তে লাগল!না এখন্ও কোন রিং আসেনি!আচ্ছা আমি যে অস্থির হয়ে তোমার ফোনের জন্য অপেক্ষা করি তুমি কি তা বোঝ? বুঝবে কি ভাবে?যাণত্রিকতার এ জীবনে আমাদের মনটাও যে যাণত্রিক হয়ে গেছে! সেখানে এখন আর কোন অনুভূতি কাজ করে না!!
বেলার মনটা খুব খারাপ!সারাদিনে একবারো তাম্মিনের সাথে কথা হয়নি! ঘুম থেকে উঠারপর থেকে বারবার মনে হয়েছে ফোনটাকে সে আছাড় মেরে ভেঙ্গে ফেলবে! কিন্তু যতবার আছাড় মারতে গেছে ততবারি মনে হয়েছে এই বুঝি ফোন আসছে! প্রতিবার ফোনটা দেখে আবার রেখে দিয়েছে! কেনো যে সে এই বাদর ছেলেটাকে এতো ভালবাসে কে জানে?
বেলা জানালে দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখে সণধ্যা হয়ে এসেছে! সে উঠে ফ্রেস হবার জন্য পা বাড়ায় এমন সময় হঠাৎ ফোন বেজে ওঠে!

রিং বাজতেই বেলার চোখে মুখে হাসি ফুটে ওঠে! সে দ্রুত ফোনটা হাতে নিয়ে দেখে কে ফোন করেছে! নাম্বাটার দেখতেই হাসি ভরা মুখটা মিলিন হয়ে যায়! কষ্টে তার চোখে পানি চলে আসে! একটা অচেনা নাম্বার! বেলা অচেনা নম্বার কখন্ও রিসিভ করেনা! তাই ফোনটা খাটের উপর চেলে ফেলে দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে সে ঘর থেকে বের হয়ে আসে! এদিকে ঐ নাম্বার থেকে বারবার রিং আসতে থাকে! রিসিভ হয় না দেখে ওপাশে কারো দু'চোখ পানিতে ঝাপসা হয়ে আসে !
অফিসের কাজে মাথা নষ্ট প্রায় তাম্মিনের!এতোটুকু দম ফেলবার সময় নাই তার! এ দিকে বেলার সাথে সারাদিনে একবার্ও কথা হয়নি! বেলার কথা মনে পরতেই ভাবে,নিশ্চয় বেলা অনেক কান্নাকাটি করেছে আজ!এতো করে বলি অফিসে থাকলে কাজের চাপে ফোন করতে পারি না!একদম চিন্তা করবে না তুমি!কিন্তু কে শোনে কার কথা?একটুতেই কান্নাকাটি করে চোখ মুখ ফুলিয়ে ফেলবে! আর সারারাত মাথা ব্যাথায় ছটফট করবে!কিভাবে যে সামলাব ওকে!কথাটা ভেবে একটা দির্ঘশ্বাস ফেলে তাম্মিন!

তাম্মিনের আজ অনেক কাজ!সে বেলার কথা ভাবতে ভাবতে কাজে মন দেয়!অফিসের কাজ শেষে বাইরের কিছু কাজ করতে হবে তাকে তাই যত দূরুত সম্ভব হাতের কাজ শেষ করায় মন দেয়!কিন্তু কেন জানি মাথা থেকে বেলার ভূত নামাতেই পারছে না!দূর এভাবে কি কাজ করা যায়?মেয়েটা দূরে থেকেও কেন যে সারাক্ষণ মাথার মধ্যে ঘুরঘুর করে কে জানে?যতই তুমি কাছে আসো না কেন আজ যখন ফোন দেয়নি তখন একবারে কাজ শেষ করেই কথা বলব!দেখি ভূতটা কতসময় আমাকে তারা করতে পারে ভাবে তাম্মিন!

আজ দিনটাই জানি কেমন!আকাশে সূর্যটা তেমন আলো ছড়াতে পারছেনা!কিছুটা সাদা কিছুটা কালো মেঘে ঢাকা পরেছে সূর্য!
এ আবহাওয়াকে নাকি রোমান্টিক আবহাওয়া বলে এটা ইনেশের ধারনা!!কিন্তু ইনেশের তেমন কেউ নাই যে তাকে নিয়ে ঘুরবে!তাই সারাদিন সে ঘর থেকে বের হবেনা ঠিক করেছে!এমন দিনে বাইরে বের হওয়া মানে নিজের মান ইজ্জতের ফালুদা করা!বণধুরা ঘুরতে গেলেও সে নিজেকে ঘরে বণদী করে রেখেছে!আজ একটা বিশেষ দিন!আজ ইনেশ সারা দিন কাদঁবে!তার এ কান্না কেউ দেখবেনা!

ইনেশ জানালা দিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে!সণধ্যা হয়ে আসছে!ঘরটা অণধকার কিন্তু সেদিকে কোন খেয়াল নাই তার!মাঝে মাঝে কাকে জানি ফোন করছে কিন্তু রিসিভ না করায় চোখটা ঝাপসা হয়ে আসছে!তাম্মিন বেলা ইনেশ তিন জনে কত ঘুরেছে এমন দিনে!কলেজ জীবনটা আসলেই অন্য রকম!যেটা হারিয়ে যায় সেটা আর ফিরে পাওয়া যায়না!তাম্মিনের সাথে বেলার বিয়ে হয়ে যাওয়ায় ইনেশ এখন একা হয়ে পড়েছে!তাম্মিন ওর কাজে ব্যাস্ত বেলা সংসার সামলাতে আর সে পুরনো স্মৃতি নিয়ে দিন কাটিয়ে দিচ্ছে!

ভালবাসার দিনগুলি এখন শুধুই স্বপ্ন মনে হয় বেলার!মনে হয় রাতে স্বপ্ন দেখে ঘুম ভাঙ্গতেই কঠিন বাস্তবের মুখমুখি সে এখন!আচ্ছা ভালবাসা কি
একটা মুহূর্তে এসে ফিকে হয়ে যায়?ভালবাসার বিচ্ছেদ নাকি অনেক কষ্টের কিন্তু তা পূর্নতা পাবার পর্ও কেনো কষ্ট পেতে হচ্ছে তাকে!সব কিছু কেন জানি আজ মিথ্যে মনে হয়!বিয়ের এক বছর না যেতে তাম্মিনের এ পরিবর্তন বেলা মেনে নিতে পারেনা!আসলে তাম্মিনের এক সেকেণ্ড অবহেলা সহ্য করতে পারেনা বেলা সেখানে আজ সারাদিন কোন খোঁজ নেই তাম্মিনের!

একদিনে কিভাবে মানুষ এতো চেঞ্জ হতে পারে ভেবে পায়না বেলা!সারা দিন তো গেছে এখন রাত এগারটা বাজে তাও কোন খবর নাই তাম্মির!বেলার অভিমান এখন দুঃচিন্তায় পরিনত হয়েছে!অভিমান করে থাকতে থাকতে এটা লক্ষ্যই করেনি কটা বাজে!বেলা ভাবে,নাহ অনেক অভিমান হয়েছে আর না!কোন বিপদ হল নাতো ওর!এমনতো কখন্ও করেনা!তাহলে আজ হঠাৎ কি হল?আমি কি কোন ভুল করছি তাতে কি ও রাগ করেছে?ভবে দেখে,নাহ এমন কিছুইতো করিনি যাতে ও কষ্ট পেতে পারে তাহলে..রাস্তায় কোন দূর্ঘটনা..!!

দূর্ঘটনার কথা ভাবতেই বেলার চোখ মুখে আতংক ছড়িয়ে পড়ে গলা শুকিয়ে আসে!ফোন নিয়ে এক ভাবে রিং করতে থাকে কিন্তু বারবার ফোন অফ পায়!বেলা আর কিছু ভাবতে পারেনা!চোখ থেকে অঝর ধারায় পানি ঝরতে থাকে সেদিকে কোন ভ্রুক্ষেপ নেই!তার এখন একটাই চিন্তা তাম্মিকে সে কোথায় খুঁজবে!ভাবতে ভাবতে যখন সে পাগল প্রায় ঠিক তখনি ফোন বেজে ওঠে!বেলা দূরুত ফোন রিসিভ করে কান্না জড়িত কন্ঠে বলে, -হ্যালো,হ্যালো তাম্মি তুমি কোথায় হ্যালো কথা বলছ না কেন??
ওপাশ থেকে সাড়ানা পেয়ে বেলা ফোনের স্ক্রিনে তাকিয়ে দেখে সকাল থেকে যে অচেনা নাম্বার ফোন করছে ঐ নাম্বার সে রিসিভ করে ফেলেছে!সে দূরূত ফোন কেটে দেয়! এদিকে ইনেশ অস্থির হয়ে পড়ে! বেলা কাঁদছে?এতো রাতে তাম্মিন বাড়ি ফেরেনি?কিন্তু কেন?আজ এ দিনে বেলার চোখে পানি?ইনেশ আর কিছু ভাবতে পারেনা সে ঘর থেকে বাইরে চলে আসে!তাম্মিন কে সে কখন্ও ক্ষমা করবেনা!বেলাকে সে কষ্ট দেবেনা কথা দিয়েছিল!কিন্তু নিজের কানে বেলার কান্না শুনে মাথা খারাপ হয়ে গেছে তার!!

বেলা ভাবে প্রথমে অফিসে যাবে ওখানে না পাওয়া গেলে সে পরে ভেবে দেখা যাবে!১২ টা বাজতে৫ মিনিট বাকি আর দেরি করা যাবে না! যেভাবে হোক তাম্মিকে খুঁজে পেতে হবে!এমন সময় কলিং বেল বেজে ওঠে!বেলা দৌড়ে দরজা খুলে সামনের মানুষটাকে দেখে কেঁদে উঠে জড়িয়ে ধরে .
-আরে আরে আমার সোনাটার কি হয়েছে কাঁদছে কেন?
-একদম কথা বলবেনা এতো রাতে কোথায় ছিলে? অভিমানের সুরে বলে বেলা!কিন্তু ভুলেও রাগ করে না কারন আজ সারা দিন রাগ করে থাকার ফল সে পেয়েছে!
-আচ্ছা এখন কান্না বন্ধ করো সোনা আমার হাতে একটুও সময় নাই!
-কিসের সময় নেই!অবাক হয়ে জানতে চায় বেলা!
-বলা যাবে না! ঘরে তালা লাগাতে লাগাতে বলে তাম্মিন!
-তাম্মি এতো রাতে কি হেয়ালী করছো আমি কিছু বুঝতে পারছি না!
তাম্মিন যেন বেলার কোন কথাই শুনতে পায় না! সে এক হাত দিয়ে বেলার চোখ বন্ধ করে অন্য হাত দিয়ে বেলার হাত ধরে বলে,
- এবার চল!
-এই পড়ে যাবতো
-তাহলে আমি আছি কি করতে ম্যাডাম!
বলে তাম্মি বেলার হাত ধরে ছাদে উঠতে থাকে!

এক বছর পর...... ইনেশ এক গুচ্ছ ফুল হাতে দাড়িয়ে আছে মেন্টাল হাসপাতালের ১১৩ নং বেডের সামনে! আজ তাম্মিন আর বেলার বিবাহ বার্ষিকী! ইনেশ নার্সকে ফুল গুলো দিল তাম্মিনকে দেবার জন্য! তাম্মিন ফুল গুলো পেয়ে অনেক খুশী হয়! সে ফুল গুলো নিয়ে ছিড়ে টুকরো টুকরো করে খেলা করে আর বলে, আমার বেলা আসবে! আমি জানিতো!আমার বেলা আমাকে নিতে আসবে! দেখো ও ঠিক আসবে! ইনেশ চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনা সে ওখান থেকে চলে আসে! তাকে আরো এক জাগায় যেতে হবে! সে দুরুত হাসপাতাল থেকে বেড়িয়ে আসে!

ইনেশ হাসপাতাল থেকে বেড়িয়ে সোজা কবরস্থানে চলে যায়! সেখানে একটা কবরের সামনে এসে কবর জিয়ারত করে! কবর জিয়ারত শেষে কবের দিকে এক ভাবে তাকিয়ে থাকে! আর অঝর ধারায় কাঁদতে থাকে! ইনেশের এক বছর আগে এইদিনের সেই ভয়ংকর রাতের কথা মনে পরে যায়! ফোনে বেলার কথা শুনে পাগলের মত ছুটতে ছুটতে বেলার বাড়িতে এসে দেখে ঘরে তালা ঝুলছে! বেলাকে না পেয়ে সে দিশেহারা হয়ে পরে! কোথায় খুঁজবে সে বেলাকে? ভেবে মাথা খারাপ হয়ে যায় ইনেশের!

হঠাৎ ছাদের ওঠার সিড়ি থেকে আওয়াজ পায় ইনেশ! সে ভাবে, বেলা কি তাহলে ছাদে আছে! আবার ভাবে, নাহ এতো রাতে ছাদে যাবে কেন ভাবতেই আবার শব্দ পায়! কারা জানি কথা বলছে!সে নিঃশব্দে ছাদে ওঠে! ছাদে উঠে ইনেশের চোখ ধাঁধিয়ে যায়! সে চুপি চুপি দাড়িয়ে দেখতে লাগে বেলার হাসি ভরা মুখটি! ওয়াওওও তাম্মি তুমি কখন এ সব করেছ?কেক লাইটিং এতো সুন্দর করে ছাদটা তুমি সাজালে কখন!বেলার যেন আনন্দ ধরেনা! সারা দিনের কষ্টটা যেন এক মুহূর্তে উধাও হয়ে যায় তার!

সে আনন্দে তাম্মিকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলে!
-তাম্মি তুমি আমাকেএতো ভালবাস কেন? তাইতো তোমার এতটুকু অবহেলা আমি সহ্য করতে পারিনা!
-হুম জানিতো! তাইতো কাজ শেষে আমি নিজ হাতে সাজিয়েছি এ সব!কেক এনেছি! তোমার পছন্দের সব খাবার এনেছি!
-তাহলে সারাদিন কষ্ট দিলে কেন?
-বারে কষ্ট না দিলে কি আমার সোনাটার এই হাসি ভরা মুখটা দেখতে পেতাম?ইচ্ছে করেই তো তাই ফোন দেয়নি!বলে মুচকি মুচকি হাসতে থাকে তাম্মিন!
-বেলা চোখ বড় বড় করে বলে, দাড়াও দেখাচ্ছি মজা!

তুমি আমাকে ইচ্ছা করে কষ্ট দিয়েছ বলে বেলা তাম্মিনকে মারতে আসলে তাম্মিন ছুটতে থাকে যাতে বেলা তাকে ধরতে না পারে!বেলাও তাকে ধরার জন্য পিছু নেয়!এমন সময় বেলা লক্ষ্য করে তাম্মিন ছুটতে ছুটতে ছেদের কর্ণারে চলে আসে! ছাদে রেলিং না থাকায় বেলা ভয় পেয়ে চিৎকার করে বলে
-তাম্মি আর যেওনা পড়ে যাবে বলেই সে ছুটে এসে তাম্মিনকে এক ঝাটকায় কর্ণার থেকে সরিয়ে নিয়ে আসে! বেলার যেন দম বন্ধ হয়ে আসে সে হাপাতে হাপাতে বলে
-কি করছিলে আর একটু হলেতো পড়ে যেতে!

তোমার কিছু হলে আমি মরেই যাব!তাম্মিন বেলাকে থামিয়ে দিয়ে বলে আজ আমাদের বিবাহ বার্ষিকী এমন দিনে এ কথা বলে নাকি? এসো কেক কাটবে বলে তারা কেক কেটে একে ওপরকে খাইয়ে দেয় এদিকে ইনেশ দূরে দাড়িয়ে দেখে সব! ওদের এ খুনসুটি দেখে একা একা হাসতে থাকে! আর দূর থেকে দোয়া করে সারা জীবন যেন ওরা এভাবে থাকে!ওদের সুখের জন্যইতো সে ওদের জীবন থেকে সরে এসেছে যদি কখন কেউ বুঝে ফেলে যে সেও বেলাকে ভালবাসে! তাই সে ফোন নং বাড়ী সব চেঞ্জ করেছে!

বেলা দেখে ছাদের এক কর্নারে গোলাপ ফুটেছে টবে! সে তাম্মিনকে কিছু না বলে ছুটে যায় ফুল তুলতে তাম্মিনকে দিবে বলে!তাম্মিন বেলাকে মানা করা সত্তেও ফুল তুলতে থাকে!তার খেয়াল থাকেনা সে কতটা কর্নারে এসে দাড়িয়েছে! তাম্মিনকে সাবধান করলেও নিজে অসবধানে পা পিছলে পরে যেয়ে সে ছাদের একটা অংশ আঁকড়ে ধরে!সে তাম্মিন বলে চিৎকার করে ডেকে ওঠে! তাম্মিন ছুটে এসে বেলার হাত ধরে টেনে তুলবার চেষ্টা করে কিন্তু শেষ রক্ষা করতে পারে না!
হাত থেকে বেলা পড়ে যায়! তাম্মিন জোরে চিৎকার দিয়ে কেঁদে ওঠে! এদিকে ইনেশ তাম্মিনের পিছু পিছু ছুটে আসে কিন্তু সে কিছু করবার আগেই তাম্মিনের হাত থেকে বেলা পরে যায় ইনেশের কানে আজ্ও পতিধ্বনি হয় তাম্মিনের সে কান্না! তাম্মিন ওখানে অঙ্গান হয়ে যায়! যখন ঙ্গান ফিরে আসে তখন সে হাসপাতালে! সে শুধু বেলার নাম ছাড়া আর কিছুই মনে করতে পারেনা! সেই থেকে ইনেশ তাম্মিনের দেখা শোনা করে আসছে! প্রতি দিন সে তাম্মিনকে দেখতে যায় বেলার কবর জিয়ারত করে !

তাম্মিনের হাত থেকে বেলা পরে যাওয়ায় তাম্মিন তা সহ্য করতে পারেনা! একটা পর্যায়ে তাম্মিন পাগল হয়ে যায়!তাম্মিনকে দেখার অনেক লোক থাকলেও ইনেশ তাম্মিনকে দেখতে যেতে একদিন্ও ভুল করে না!তার চোখের সামনে ঘটে যাওয়া এ ঘটনা তাকে প্রতিনিয়ত তাড়া করে বেড়ায়! চোখ বুজলেই সে বেলার চিৎকার শুনেতে পায়! তাম্মিনের সে আর্তনাদ স্থির থাকতে দেয় না তাকে!আর এভাবেই চরম অস্থিরতা আর কষ্টের মাঝে কেটে যায় ইনেশের দিন।
 
Top