কলকাতার আলিপুর মহিলা জেলে নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে। এক বন্দিনী অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন জানান পর জেল কর্তারা রীতিমত ধন্দে। ইতিমধ্যেই তিনি ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানা গেছে। জেলের মধ্যে কীভাবে অন্তঃসত্ত্বা হলেন বন্দিনী তা নিয়ে নানা কাহিনী শোনা যাচ্ছে। তবে একমাত্র ডিএনএ পরীক্ষাতেই জানা সম্ভব মহিলার হবু সন্তানের পিতা কে। কারান্তরালে কী ভাবে এটা সম্ভব হল, তার সবিস্তার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আইজি (কারা) রণবীর কুমার। রাজ্যের কারা দফতরের এআইজি (দক্ষিণ) বিচিত্রা ভট্টাচার্য বৃহস্পতিবার রাতেই তদন্ত শুরু করেছেন। কারা দফতর সূত্রে জানা গেছে, নারী পাচার-সহ বিভিন্ন মামলায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত ওই বন্দিনী ২০০৯ সাল থেকে আলিপুর মহিলা জেলে আছেন। তাঁর স্বামীও একই অপরাধে বন্দি। তিনি আছেন কলকাতারই প্রেসিডেন্সি জেলে। স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে বন্দিদের নিয়ে তৈরি ‘রাজদর্শন’ নাটকে অভিনয়ও করতেন। সেই সূত্রে তিনি অনেক সময়েই স্বামীর সঙ্গে থাকার সুযোগ পেয়েছেন বলে জানান ওই বন্দিনী। জেল-কর্তাদের জেরার মুখে ওই বন্দিনী দাবি করেছেন, তাঁর গর্ভে স্বামীরই সন্তান রয়েছে। তবে স্বামীই নাকি তার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বলে একটি সুত্রে বলা হযেছে। বন্দিনীর মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তিনি ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। কারা দফতরে প্রশ্ন উঠেছে, মহিলা ছ’মাসেরও বেশি অন্তঃসত্ত্বা হওয়া সত্ত্বেও বিষয়টি কারা-কর্তৃপক্ষের নজর এড়িয়ে গেল কী ভাবে? এক কারাকর্তা জানিয়েছেন, এর আগে কখনও এমন ঘটেছে বলে মনে পড়ছে না। জেলের মধ্যে কোনও মহিলার অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ারর ঘটনা নজিরবিহীন।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন