সালের ৭ সেপ্টেম্বর চাঁদপুরে জন্মগ্রহণ করেন।শাইখ সিরাজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূগোলে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি গণমাধ্যমের বিভিন্ন শাখার সাথে যুক্ত ছিলেন। বাংলাদেশ টেলিভিশনের ‘মাটি ও মানুষ’ অনুষ্ঠান উপস্থাপনার মধ্য দিয়ে তিনি গণমাধ্যমে কৃষি উন্নয়নকর্মী হিসেবে দেশব্যাপী পরিচিতি লাভ করেন। সাংবাদিকতায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখার কারণে শাইখ শিরাজ ১৯৯৫ সালে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার একুশে পদক পান।
উন্নয়ন সাংবাদিকতার অগ্রপথিক হিসেবে টেলিভিশনের সঙ্গে শাইখ সিরাজের প্রায় তিন যুগের পথ চলা। গণমাধ্যমে তার উদ্বুদ্ধকরণ প্রচারণায় বাংলাদেশের কৃষিতে আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশে খাদ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে সূচিত হয়েছে বৈপ্লবিক সাফল্য।
যুক্তরাষ্ট্রের অশোকা ফেলো শাইখ সিরাজ খাদ্য নিরাপত্তা ও দারিদ্র্য বিমোচন সাংবাদিকতায় অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ ২০০৯ সালে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার এ এইচ বুমা অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। তিনি যুক্তরাজ্যের সম্মানজনক বিসিএ গোল্ডেন জুবিলি অনার অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছেন। ব্রিটিশ হাউজ অব কমন্স তাকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করেছে। এছাড়াও তিনি দেশে ও বিদেশে অর্ধশত পুরস্কার লাভ করেছেন।
শাইখ সিরাজের ব্যতিক্রমী উদ্যোগের মাধ্যমে এদেশে টেলিভিশন আজ শুধু বিনোদনের মাধ্যম হিসেবেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং পরিণত হয়েছে সমাজ বদলের এক অন্যতম শক্তিতে।
শাইখ সিরাজ বতর্মানে চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তা প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ২০০৪ সালের একুশে ফেব্রুয়ারিতে চ্যানেল আইতে হৃদয়ে ‘মাটি ও মানুষ’, একই বছর ডিসেম্বর থেকে ‘হৃদয়ে মাটি ও মানুষের ডাক’ এবং ২০০৭ সাল থেকে বিটিভিতে ‘কৃষি দিবানিশি’ নামে অনুষ্ঠানগুলো উপস্থাপনা ও পরিচালনা করে আসছেন।
তিনি কৃষি ও উন্নয়ন বিষয়ে দেশের বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিকগুলোতে নিয়মিত লেখেন। তার প্রকাশিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে- প্রেক্ষাপট (২০০৮), কৃষি ও গণমাধ্যম, আমার স্বপ্নের কৃষি, কৃষি বাজেট ও কৃষকের বাজেট (২০১১), কৃষি ও উন্নয়নচিন্তা (২০১৩) ইত্যাদি।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন