যা কখনো হওয়ার ছিল না
তা হয়েই গেল...... পালাতে হবে...
এই বিয়ে আমি করবো না।
আমি শিওর, আপনারা ভাবছেন যে আমি ১টা মেয়ে এবং আমি আমার প্রেমিকের জন্য বিয়ে করতে চাচ্ছি না। কিন্তু ভাই ও আপুরা, আই নিতান্তই ১ জন সাধারন ছেলে, এবার আসল গল্পে আসা যাক।
আমি নিলয়, বয়স ২৮ বছর, শিক্ষাগত যোগ্যতা - কানাডার গাধা, মানে কানাডা থেকে M.B.A. করে সবে দেশে ফিরেছি, আর যথারিতি, বাংলার সব Common বাবা-মা এর মত, আমার বাবা-মা ও আমার বিয়ের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। কিন্তু আগের কিছু অভিজ্ঞতার কারনে আমি মেয়েদের খুব ই ভয় পাই। আমার কাছে মেয়ে মানেই Dangerous. এই Dangerous মেয়েদের বিয়ে করা মানেই আরো অধিক Danger এর খপ্পর এ পরা।আমার ঢাকায় কাজ শেষ হওয়ার পর অনিচ্ছাসত্তেও আমি সিলেটের এর উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। আমি সবসময় রাতের টিকেট কাটি, কারণ আমার বরাবর ই ভয় হয় যদি দিনের বেলার টিকেট কাটলে যদি আমার পাশে কোনো মেয়ে পরে!রাতের বেলা সেই সুযোগ কম থাকে, তবে সেই দিন আমার কপাল খারাপ ছিল কিনা জানি না, কিন্তু মহান বিধাতা আমার জন্য বিশেষ কিছু plan করে রেখেছিলেন তা আমি খুব ভাল করে বুঝতে পেরেছিলাম। তো, আমি বাস এ উঠে কানে হেডফোন লাগিয়ে শান্তিমত জানালার পাশের সিটটা তে বসে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি, তখনি এক দজ্জাল মহিলা এসে দাবি করল যে সিট টা উনার, আমি পুরাই টাসকিত হয়ে গেলাম, পরে টিকেট চেকার এসে টিকেট চেক করে মহিলা কে আমার পেছনের সিট এ পাঠিয়ে দিলেন, আর আমার পাশে এক সুন্দরি ললনা রাগে গজ গজ করতে করতে বসে পরল, আমি আবার ও টাসকিত হলাম। বাস ছাড়ার পর ই মেয়ে আমাক এক রাম ধমক দিয়ে বলে - " তুমি কি জান না যে মেয়েদের জানালার পাশের সিট টা ছেড়ে দিতে হয়?" আমি ও বোকার মত বলে উঠলাম - " দুঃখিত" এবং ফাদে পরলাম। কিভাবে পরলাম সেইটা আপনারা গল্পের শেষেই বুঝতে পারবেন।
মেয়েটাকে আমার সিটটা ছেড়ে দিয়ে কিঞ্চিত দুঃখিত মনে আবার ও ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, তখনি মেয়েটা বাঁজখাই কন্ঠে বলে উঠল -
" রাতে ঘুমানো যাবে না, সারা রাত গল্প করতে হবে"
আমি আবার ও টাসকিত হয়ে গেলাম! মেয়ে তখন আমাকে জিজ্ঞেস করল -
"নাম কি?"
"নিলয়, তোমার?"
"অপরাজিতা"
"বাহ! বেশ সুন্দর নাম"
" ওহ! মেয়েদের দেখলেই Flirting শুরু হয়ে যায় না?"
" না! না! মেয়েদের আমি অনেক ভয় পাই"
"কেন?"
"মেয়ে মানুষ Dangerous!"
"কেন! ছ্যাক খাইসো নাকি?"
"হুম, বিশাল বড় একটা!"
"বাহ! ভাল তো কাহিনী টা কি বলা যায়?"
"নাহ!"
"কেন? লজ্জা পাইসো, নাকি কষ্ট লাগে?"
"নাহ, ঠিক আসে, বলছি"
এই ভাবেই অজানা, অচেনা, সুন্দরী ললনা, dangerous এক মেয়ের কাছে আমার অতীত বলা শুরু করলাম।
আমি বাংলাদেশের একটা বেসরকারী বিশ্ববিদ্দ্যালয় এ পরার সময়ই ৬ষ্ঠ সেমিস্টার এ কানাডা চলে যাই, কিন্তু এই বিদেশে যাওয়ার পেছনে বিশাল এক কাহিনী আছে, প্রথম থেকেই শুরু করি।
আমি তখন মাত্র ক্লাস সেভেন এ পড়ি। প্রেম, ভালবাসা সম্পরকে জ্ঞান অনেক কম, তখন ১টা মেয়ে কে দেখে খুব ভাল লেগে যায়, কিন্তু সেই ভাল লাগা টাই যে ভালবাসা তা বুঝেছি S.S.C. পরীক্ষা দেয়ার পর। S.S.C. পরিক্ষার পর একসাথেই ১টা কোচিং সেন্টারে আমি আর সেই মেয়ে টা কম্পিউটার চালানো শিখতাম, তখন সবেমাত্র কৈশরে পা দিয়েছি, তাই আবেগের বশে আগের ভাল লাগাটা এই সময় এ এসে ভালবাসায় রুপান্তরিত হলো। এরপর আমরা একই সাথে একই কলেজে ভর্তি হই। কলেজে ভর্তি হওয়ার পর সব সময়ই মেয়েটার পেছনে লেগে থাকতাম, এর ই সুবাদে ১ম বর্ষে বন্ধুত্ত ও ২য় বর্ষে আমাদের প্রেমটা ও হয়ে যায়। এই প্রেম শুরু করার পর থেকেই আমার জীবনে প্রথম বুঝতে পারলাম যে মেয়ে মানেই Dangerous.আমি ঠিক মত একটু সিগারেত খেতে পারতাম না, বন্ধুদের সাথে আড্ডা মারতে পারতাম না, খেলতে পারতাম না, ঘুমাতে ও পারতাম না, তবু ও আমার সেই সময় এর দিনগুলো স্বপ্নের মত কাটছিল। এরপর ২বছর এর কাহিনী অনেক টা একই রকম, তাই সেইগুলো বলে আর বিরক্তি করলাম না, এই ২ বছর এর মধ্যে আমি আর ও ইন্টার পাশ করি এবং ২ টা ভিন্ন ভিন্ন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় এ ভর্তি হই। আমাদের সম্পর্কের ২ বছর পর থেকেই সব গ্যাঞ্জাম শুরু হয়, আগের মত কথা হত না, দেখা হত না, দুই জন ২ জন কে সময় দিতে পারতাম না, অনেক কিছুই পাল্টে গেল, আমরা একে অপরের কাছ থেকে অনেক দূরে সরে গেলাম, এতটাই দূরে যে আমাদের সম্পর্কটা আর জোড়া লাগানো গেলো না, আমাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে গেল। আমি এতটাই একা হয়ে গেলাম যে এই দেশে আমার পক্ষে আর থাকা সম্ভব হল না, আমি কানাডা চলে গেলাম। আমি ওই মেয়ে কে কোনো দোষ দিব না, সম্ভবত সব ই আমার দোষ, সম্ভবত না!
"এই আমার কাহিনী"
অপরাজিতা তখন বললো -
"খুব ই দুঃখের না হলেও, মোটামুটি দুঃখের বলা যায়"
আমি তখন চিন্তা করি - কী Dangerous মেয়েরে বাবা! এত্তো দুঃখের ১টা কাহিনী বললাম, তবু ও একটুও খারাপ লাগলো না। মেয়েটার চেহারার দিকে তাকিয়ে দেখি মেয়েটার মুখের উপর চাদের আলো এসে পরছে, আর সেই আলো মেয়েটার চেহারার উপর পরে চেহারা ট কে আরো লাবন্যময়ী করে তুলছে, তবে কি আবার ও কোনো Dangerous মেয়ের খপ্প্ররে পরলাম! মেয়েটা দেখি ওর ব্যাগ থেকে ১ প্যাকেট চুইংগাম বের করে ১টা মুখে দিলো আর আমাকে ও ১টা দিলো, আমি চুইংগাম টা মুখে দিলাম............
এরপর সেই রাতের কথা আর কিছুই মনে নাই, শুধু সকালে কন্ডাক্টার এসে ডাক দিলো, তখন সেই সুন্দরী ললনার কথা মনে পরল এবং আমি তখন ই দেখলাম যে আমার হাতে আমার শখের ঘড়িটা নাই, মানিব্যাগ, মোবাইল, কিছুই নাই, শুধু বুক পকেট এ ১০০ টাকা রাখা, সমব্ভত মেয়েটার আমার গল্পটা শুনে আমার প্রতি একটু দয়া হয়েছিল, তাই টাকাটা রেখে গেছে, আমি আরও এক বার এর মত উপলব্ধি করলাম যে মেয়ে মানুষ খুব ই Dangerous.
এরপরের কিছুদিন দেখতে দেখেতেই চলে গেল, আর আমার বিয়ে ও পাকাপাকি হয়ে গেল। নাহ পাঠক ভাই ও আপুরা, আমি পালাতে পারি নাই, পালাতে যেয়ে ধরা খাইসি। তো বাবা-মা অনেক তা ইমোশোন্যালি ব্ল্যাকমেল করে বিয়েটা দিয়ে দিল। আমি অতটা আগ্রহী ছিলাম না দেখে মেয়ে কে আমি দেখি নাই, কিন্তু মেয়ে মানে, আমার নব-বিবাহীতা স্ত্রী নাকি আমাকে আগেই দেখসে, এবং তার আমাকে পছন্দ হইসে, এই কথা শুনে আমি আমার জিবনের এর সব চেয়ে বড় টাসকি খাইলাম।তো বিবাহের দিন রাতের বেলা আমি আমার বাসর ঘরে ঢুকলাম, দেখলাম - সুন্দর করে ১টা বিছানা ফুল দিয়ে সাজিয়ে রাখসে, এবং বিছানার উপর একটা মেয়ে ইয়াআআআআআ বড় একটা ঘোমটা দিয়ে বসে আসে। আমি মেয়েটার কাছে যেতেই মেয়েটা ঘোমটার ফাঁক দিয়ে ১টা হাত বের করে দিল। আমি অবাক হয়ে গেলাম, আগে জানতাম যে ছেলেরাই আগে Approach করে, এখন দেখি মেয়েরা ও করে!তো আমি খেয়াল করে দেখি যে মেয়ে টা কি যেন দিতে চাচ্ছে, আমি হাত বাড়িয়ে মেয়েটার হাত থেকে জিনিস টা নেই, দেখি ১টা গিফ্ট প্যাকেট, তো আমি প্যাকেট টা খুললাম, এবং আমার জীবন এর সব চেয়ে অবাক করা গিফ্ট টা পেলাম!
প্যাকেট টা তে ১টা চুইংগাম ও আমার শখের ঘড়ি টা রাখা! তখন ঘুমটাটা সরিয়ে দেখি অপরাজিতা আমার দিকে চেয়ে মিট মিট করে হাশছে! এরপর ওই আমাকে সব কিছু খুলে বলল যে এইগুলা ওদের মানে আমার বাবা-মা ও অপরাজিতার আগেই প্ল্যান করা ছিল। আমি আবার ও উপলব্ধি করলাম যে, মেয়ে মানুষ আসলেই অনেক Dangerous.
এখন আমি আর অপরাজিতা ভালই আছি, আমাদের ঘরে অবশ্য আরো ২টা টুইন Dangerous যুক্ত হইছে, আমি চেয়েছিলাম যে ১টার নাম রাখব Dangerous 1 আর ১টার নাম রাখব Dangerous 2, কিন্তু ওদের Dangerous মায়ের কথা চিন্তা করে নাম ২টা বলার সাহস পাই নাই। কী করব, আমার পরিবার তো পুরাই DANGEROUS!!By- Ahnaf Faisal Khan ।
তা হয়েই গেল...... পালাতে হবে...
এই বিয়ে আমি করবো না।
আমি শিওর, আপনারা ভাবছেন যে আমি ১টা মেয়ে এবং আমি আমার প্রেমিকের জন্য বিয়ে করতে চাচ্ছি না। কিন্তু ভাই ও আপুরা, আই নিতান্তই ১ জন সাধারন ছেলে, এবার আসল গল্পে আসা যাক।
আমি নিলয়, বয়স ২৮ বছর, শিক্ষাগত যোগ্যতা - কানাডার গাধা, মানে কানাডা থেকে M.B.A. করে সবে দেশে ফিরেছি, আর যথারিতি, বাংলার সব Common বাবা-মা এর মত, আমার বাবা-মা ও আমার বিয়ের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। কিন্তু আগের কিছু অভিজ্ঞতার কারনে আমি মেয়েদের খুব ই ভয় পাই। আমার কাছে মেয়ে মানেই Dangerous. এই Dangerous মেয়েদের বিয়ে করা মানেই আরো অধিক Danger এর খপ্পর এ পরা।আমার ঢাকায় কাজ শেষ হওয়ার পর অনিচ্ছাসত্তেও আমি সিলেটের এর উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। আমি সবসময় রাতের টিকেট কাটি, কারণ আমার বরাবর ই ভয় হয় যদি দিনের বেলার টিকেট কাটলে যদি আমার পাশে কোনো মেয়ে পরে!রাতের বেলা সেই সুযোগ কম থাকে, তবে সেই দিন আমার কপাল খারাপ ছিল কিনা জানি না, কিন্তু মহান বিধাতা আমার জন্য বিশেষ কিছু plan করে রেখেছিলেন তা আমি খুব ভাল করে বুঝতে পেরেছিলাম। তো, আমি বাস এ উঠে কানে হেডফোন লাগিয়ে শান্তিমত জানালার পাশের সিটটা তে বসে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি, তখনি এক দজ্জাল মহিলা এসে দাবি করল যে সিট টা উনার, আমি পুরাই টাসকিত হয়ে গেলাম, পরে টিকেট চেকার এসে টিকেট চেক করে মহিলা কে আমার পেছনের সিট এ পাঠিয়ে দিলেন, আর আমার পাশে এক সুন্দরি ললনা রাগে গজ গজ করতে করতে বসে পরল, আমি আবার ও টাসকিত হলাম। বাস ছাড়ার পর ই মেয়ে আমাক এক রাম ধমক দিয়ে বলে - " তুমি কি জান না যে মেয়েদের জানালার পাশের সিট টা ছেড়ে দিতে হয়?" আমি ও বোকার মত বলে উঠলাম - " দুঃখিত" এবং ফাদে পরলাম। কিভাবে পরলাম সেইটা আপনারা গল্পের শেষেই বুঝতে পারবেন।
মেয়েটাকে আমার সিটটা ছেড়ে দিয়ে কিঞ্চিত দুঃখিত মনে আবার ও ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, তখনি মেয়েটা বাঁজখাই কন্ঠে বলে উঠল -
" রাতে ঘুমানো যাবে না, সারা রাত গল্প করতে হবে"
আমি আবার ও টাসকিত হয়ে গেলাম! মেয়ে তখন আমাকে জিজ্ঞেস করল -
"নাম কি?"
"নিলয়, তোমার?"
"অপরাজিতা"
"বাহ! বেশ সুন্দর নাম"
" ওহ! মেয়েদের দেখলেই Flirting শুরু হয়ে যায় না?"
" না! না! মেয়েদের আমি অনেক ভয় পাই"
"কেন?"
"মেয়ে মানুষ Dangerous!"
"কেন! ছ্যাক খাইসো নাকি?"
"হুম, বিশাল বড় একটা!"
"বাহ! ভাল তো কাহিনী টা কি বলা যায়?"
"নাহ!"
"কেন? লজ্জা পাইসো, নাকি কষ্ট লাগে?"
"নাহ, ঠিক আসে, বলছি"
এই ভাবেই অজানা, অচেনা, সুন্দরী ললনা, dangerous এক মেয়ের কাছে আমার অতীত বলা শুরু করলাম।
আমি বাংলাদেশের একটা বেসরকারী বিশ্ববিদ্দ্যালয় এ পরার সময়ই ৬ষ্ঠ সেমিস্টার এ কানাডা চলে যাই, কিন্তু এই বিদেশে যাওয়ার পেছনে বিশাল এক কাহিনী আছে, প্রথম থেকেই শুরু করি।
আমি তখন মাত্র ক্লাস সেভেন এ পড়ি। প্রেম, ভালবাসা সম্পরকে জ্ঞান অনেক কম, তখন ১টা মেয়ে কে দেখে খুব ভাল লেগে যায়, কিন্তু সেই ভাল লাগা টাই যে ভালবাসা তা বুঝেছি S.S.C. পরীক্ষা দেয়ার পর। S.S.C. পরিক্ষার পর একসাথেই ১টা কোচিং সেন্টারে আমি আর সেই মেয়ে টা কম্পিউটার চালানো শিখতাম, তখন সবেমাত্র কৈশরে পা দিয়েছি, তাই আবেগের বশে আগের ভাল লাগাটা এই সময় এ এসে ভালবাসায় রুপান্তরিত হলো। এরপর আমরা একই সাথে একই কলেজে ভর্তি হই। কলেজে ভর্তি হওয়ার পর সব সময়ই মেয়েটার পেছনে লেগে থাকতাম, এর ই সুবাদে ১ম বর্ষে বন্ধুত্ত ও ২য় বর্ষে আমাদের প্রেমটা ও হয়ে যায়। এই প্রেম শুরু করার পর থেকেই আমার জীবনে প্রথম বুঝতে পারলাম যে মেয়ে মানেই Dangerous.আমি ঠিক মত একটু সিগারেত খেতে পারতাম না, বন্ধুদের সাথে আড্ডা মারতে পারতাম না, খেলতে পারতাম না, ঘুমাতে ও পারতাম না, তবু ও আমার সেই সময় এর দিনগুলো স্বপ্নের মত কাটছিল। এরপর ২বছর এর কাহিনী অনেক টা একই রকম, তাই সেইগুলো বলে আর বিরক্তি করলাম না, এই ২ বছর এর মধ্যে আমি আর ও ইন্টার পাশ করি এবং ২ টা ভিন্ন ভিন্ন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় এ ভর্তি হই। আমাদের সম্পর্কের ২ বছর পর থেকেই সব গ্যাঞ্জাম শুরু হয়, আগের মত কথা হত না, দেখা হত না, দুই জন ২ জন কে সময় দিতে পারতাম না, অনেক কিছুই পাল্টে গেল, আমরা একে অপরের কাছ থেকে অনেক দূরে সরে গেলাম, এতটাই দূরে যে আমাদের সম্পর্কটা আর জোড়া লাগানো গেলো না, আমাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে গেল। আমি এতটাই একা হয়ে গেলাম যে এই দেশে আমার পক্ষে আর থাকা সম্ভব হল না, আমি কানাডা চলে গেলাম। আমি ওই মেয়ে কে কোনো দোষ দিব না, সম্ভবত সব ই আমার দোষ, সম্ভবত না!
"এই আমার কাহিনী"
অপরাজিতা তখন বললো -
"খুব ই দুঃখের না হলেও, মোটামুটি দুঃখের বলা যায়"
আমি তখন চিন্তা করি - কী Dangerous মেয়েরে বাবা! এত্তো দুঃখের ১টা কাহিনী বললাম, তবু ও একটুও খারাপ লাগলো না। মেয়েটার চেহারার দিকে তাকিয়ে দেখি মেয়েটার মুখের উপর চাদের আলো এসে পরছে, আর সেই আলো মেয়েটার চেহারার উপর পরে চেহারা ট কে আরো লাবন্যময়ী করে তুলছে, তবে কি আবার ও কোনো Dangerous মেয়ের খপ্প্ররে পরলাম! মেয়েটা দেখি ওর ব্যাগ থেকে ১ প্যাকেট চুইংগাম বের করে ১টা মুখে দিলো আর আমাকে ও ১টা দিলো, আমি চুইংগাম টা মুখে দিলাম............
এরপর সেই রাতের কথা আর কিছুই মনে নাই, শুধু সকালে কন্ডাক্টার এসে ডাক দিলো, তখন সেই সুন্দরী ললনার কথা মনে পরল এবং আমি তখন ই দেখলাম যে আমার হাতে আমার শখের ঘড়িটা নাই, মানিব্যাগ, মোবাইল, কিছুই নাই, শুধু বুক পকেট এ ১০০ টাকা রাখা, সমব্ভত মেয়েটার আমার গল্পটা শুনে আমার প্রতি একটু দয়া হয়েছিল, তাই টাকাটা রেখে গেছে, আমি আরও এক বার এর মত উপলব্ধি করলাম যে মেয়ে মানুষ খুব ই Dangerous.
এরপরের কিছুদিন দেখতে দেখেতেই চলে গেল, আর আমার বিয়ে ও পাকাপাকি হয়ে গেল। নাহ পাঠক ভাই ও আপুরা, আমি পালাতে পারি নাই, পালাতে যেয়ে ধরা খাইসি। তো বাবা-মা অনেক তা ইমোশোন্যালি ব্ল্যাকমেল করে বিয়েটা দিয়ে দিল। আমি অতটা আগ্রহী ছিলাম না দেখে মেয়ে কে আমি দেখি নাই, কিন্তু মেয়ে মানে, আমার নব-বিবাহীতা স্ত্রী নাকি আমাকে আগেই দেখসে, এবং তার আমাকে পছন্দ হইসে, এই কথা শুনে আমি আমার জিবনের এর সব চেয়ে বড় টাসকি খাইলাম।তো বিবাহের দিন রাতের বেলা আমি আমার বাসর ঘরে ঢুকলাম, দেখলাম - সুন্দর করে ১টা বিছানা ফুল দিয়ে সাজিয়ে রাখসে, এবং বিছানার উপর একটা মেয়ে ইয়াআআআআআ বড় একটা ঘোমটা দিয়ে বসে আসে। আমি মেয়েটার কাছে যেতেই মেয়েটা ঘোমটার ফাঁক দিয়ে ১টা হাত বের করে দিল। আমি অবাক হয়ে গেলাম, আগে জানতাম যে ছেলেরাই আগে Approach করে, এখন দেখি মেয়েরা ও করে!তো আমি খেয়াল করে দেখি যে মেয়ে টা কি যেন দিতে চাচ্ছে, আমি হাত বাড়িয়ে মেয়েটার হাত থেকে জিনিস টা নেই, দেখি ১টা গিফ্ট প্যাকেট, তো আমি প্যাকেট টা খুললাম, এবং আমার জীবন এর সব চেয়ে অবাক করা গিফ্ট টা পেলাম!
প্যাকেট টা তে ১টা চুইংগাম ও আমার শখের ঘড়ি টা রাখা! তখন ঘুমটাটা সরিয়ে দেখি অপরাজিতা আমার দিকে চেয়ে মিট মিট করে হাশছে! এরপর ওই আমাকে সব কিছু খুলে বলল যে এইগুলা ওদের মানে আমার বাবা-মা ও অপরাজিতার আগেই প্ল্যান করা ছিল। আমি আবার ও উপলব্ধি করলাম যে, মেয়ে মানুষ আসলেই অনেক Dangerous.
এখন আমি আর অপরাজিতা ভালই আছি, আমাদের ঘরে অবশ্য আরো ২টা টুইন Dangerous যুক্ত হইছে, আমি চেয়েছিলাম যে ১টার নাম রাখব Dangerous 1 আর ১টার নাম রাখব Dangerous 2, কিন্তু ওদের Dangerous মায়ের কথা চিন্তা করে নাম ২টা বলার সাহস পাই নাই। কী করব, আমার পরিবার তো পুরাই DANGEROUS!!By- Ahnaf Faisal Khan ।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন