লক্ষ্ণী বউটা
লিখেছেন -সকাল বেলার মেঘ
ফোনটা রিসিভ করেই বুঝতে পারলাম ও কাঁদছে।
- প্লিজ লক্ষ্ণীটি কাঁদে না। চকলেট আমার। সরি।
: হয়েছে থাক। তোমার আর আসতে হবে না।আমি তোমার কে!!
- প্লিজ এভাবে বলে না। রাস্তায় খুব জ্যাম।
কথাটা শোনার আগেই নিধি ফোনটা রেখে দিল।
এই লক্ষ্ণী মেয়েটা আর কেউ না। ও আমার বিয়ে করা লক্ষ্ণী বউ। আমি ওকে চকলেট বলে ডাকি।আজ এক বছর হল আমাদের বিয়ের। আমাদের প্রথম বিবাহবার্ষিকী আজ। কিন্তু ওকে আজ সারাটা দিন সময় দিতে পারিনি। ডাক্তার হওয়ার এই এক জ্বালা। ফ্যামিলিকে টাইম দেওয়া যায় না। ডাক্তার দের কি কোন পার্সোনাল লাইফ বলে কিছু নেই!! ধ্যাৎ!! ছুটি নেওয়ার পরও জরুরী কারনে শত অনিচ্ছা সত্বেও ডিউটিতে আসতে হয়েছিল। আর এখন জ্যাম এর কারনে রাস্তায় বাড়তি সময় নষ্ট করতে হচ্ছে। রাত সাড়ে নয়টা বাজে। যেতে যেতে আরো প্রায় এক ঘন্টার মত লাগবে।
সব আত্মীয়স্বজন বন্ধুবান্ধবরা মনে হয় চলে গেছে। নিধির কত ইচ্ছা ছিল আজকের দিনটা সবার সাথে কাটাবো। কিন্ত.!
লক্ষ্ণীটা মনে হয় এখন বাসায় একা একা কাঁদছে আর আমার উপর আসমান সমান রাগ করে আছে। বাসায় গেলে আমার সাথে কথাও বলবে না।
মেয়েটাকে আমি চরম ভালবাসি। সেই সাত বছর যাবৎ ওকে ভালবেসে আসছি। মেয়েটা অসম্ভব লক্ষ্ণী। মাত্র কয়েকদিন কথা বলেই বুঝতে পেরেছিলাম আমার মত অগোছালো দুষ্টু ছেলের জীবনে এ লক্ষ্ণী মেয়েটার খুব দরকার।
আমাদের ফ্রেন্ডদের মাধ্যমে ওর সাথে আমার পরিচয়। প্রথমে ম্যাসেজ, বন্ধুত্ব, ফোনে কথাবলা, দেখা, ভাললাগা। তারপর সেই ভাললাগা থেকে ভালবাসা। আমি ওর ভয়েসটা শুনেই প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম। তারপর আমাদের দেখা হল। দেখতে ও একদম অপ্সরী না হলেও আমার চোখে অনেক ভাল লেগেছিল। কি যেন এক মায়া।
সরাসরি ওকে বললাম না ওকে ভালবাসার কথা। যদি বন্ধুত্বটা নষ্ট হয়ে যায়। কিন্ত আমার কথার ধরন শুনে ও হয়ত ঠিকই বুঝতো। কিছু ফ্রেন্ড এই নিয়ে দুষ্টুমি করল ওর সাথে। তারপর ও আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিল। তখন ওকে অনেক মিস করতাম। কল দিলেও রিসিভ করত না। ম্যাসেজ এর রিপ্লাই করত না।
তখন আমি বিভিন্ন অপরিচিত নাম্বার থেকে কল দিতাম। শুধু ভয়েসটা শুনে ফোন রেখে দিতাম।
এভাবে চলতে চলতে হঠাৎ ও একদিন ম্যাসেজ এর রিপ্লাই করল। হয়তবা নিধিও আমাকে একটু হলেও মিস করত। তারপর থেকে আমাদের মাঝে আবার বন্ধুত্ব। এবার আর ভালবাসার কথা ওকে বলতে সাহস পেলাম না।আবারও যদি হারিয়ে ফেলি ওকে। নিধি আমাকে বন্ধুর চেয়ে বেশী কিছু ভাবতো না।
এভাবে চলতে থাকে।
একসময় বলে দিলাম ভালবাসার কথা। এবার ও যোগাযোগ বন্ধ করলো না। কারন তখন আমি ওর ভাল বন্ধু হয়ে উঠেছিলাম। কিন্ত যতই দিন যেতে থাকে ওর প্রতি আরো দুর্বল হয়ে যেতে থাকলাম আমি। ওকে যত দেখতাম ততই ভালবাসতে থাকলাম। আস্তে আস্তে খেয়াল করলাম নিধিরও আমার প্রতি ফিলিংস টা বাড়তে থাকল। নিধিও হয়ত মনের অজান্তে আমাকে ভালবাসতে শুরু করেছিল।
আমি শুধু অপেক্ষায় ছিলাম- হয়তো কোন গোধুলী লগনে অথবা পরন্ত বিকেলে অথবা কোন এক বৃষ্টি ভেজা দুপুরে অথবা মাঝ রাতে ফোন দিয়ে নিধি আমাকে বলবে - 'তীর্থ, আমিও তোমাকে ভালবাসি।'
কিন্ত নিধি একদিন আমার সাথে খুব রাগ করে আমাকে বলে দিল আমি যেন ওকে আর ফোন না দেই। ওর সাথে যেন আর যোগাযোগ না করি। তখন আর আমার বুঝতে বাকি রইল না এটা ভালবাসার অভিমান। অভিমান করে আর কত দিন থাকা। দুদিন পর সব অভিমান ভেঙ্গে আমাকে জানিয়ে দিল ও আমাকে ভালবাসে। আমাকে ছাড়া থাকতে পারবে না। সেইদিন থেকেই আমাদের একসাথে পথ চলা।
সুখে দুখে একজন আরেক জনের পাশে ছায়ার মত লেগে থাকা।
নিধি একটা ব্যাপারে মাঝে মাঝে মন খারাপ করত আর বলত "তুমি তো বিয়ের পর আমাকে টাইমই দিবে না। ডাক্তার হয়ে সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকবা। আজ ওর এই কথাটা খুবই মনে পড়ছে। কিন্ত কোন উপায় ছিল না। বাবার স্বপ্ন ডাক্তার হতে হবে।
আমাদের বিয়েটা নিয়ে অনেক ঝামেলা হয়েছিল।নিধির ফ্যামিলি রিলেশনের বিয়ে মানতে চায়নি। অনেক কষ্ট করে সবাইকে রাজি করিয়েছিলাম আমরা। অবশেষে দুই পরিবারের সম্মতিক্রমে ঠিক এক বছর আগে এই লক্ষ্ণী মেয়েটাকে আমার বউ করে ঘরে আনি।
ওর কথা ভাবতে ভাবতে কখন যে জ্যাম ছেড়ে গেছে খেয়ালই করিনি। বাসায় চলে এসেছি। বাসায় আসতেই নিধি দরজাটা খুলে দিয়েই আমার সামনে থেকে চলে গেল। আমাকে কিছু বলার সুযোগই দিল না। বুঝতে পারলাম চরম রেগে আছে।
বারান্দায় চুপচাপ দাড়িয়ে আছে। আমি গিয়ে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে বললাম
- প্লিজ লক্ষ্ণীটি রাগ করে না। চকলেট আমার। আমি কি ইচ্ছা করে দেরী করেছি...?
: উফ্!! তীর্থ, ছাড়ো তো আমাকে। এই বলে আমার কাছ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে চলে গেল।
একটা অন্ধকার রুমে গিয়ে বসে আছে। বুঝতে পারলাম ওখানে বসে ও কাঁদছে হয়তো। অনেক কষ্ট দিয়ে ফেলেছি ওকে। যেয়ে অনেক সরি বলে বলে রাগটা ভাঙ্গাতে হবে। আর গিফ্টটা দিতে হবে।
অন্ধকার রুমে গিয়ে লাইট টা অন করলাম। লাইট অন করার সাথে সাথেই অনেক গুলো কন্ঠের চিৎকার শুনতে পেলাম-" সারপ্রাইজ... হ্যাপি ম্যারেজ ডে"
আমি শুধু অবাক হয়ে দেখলাম আমাদের একদল বন্ধুবান্ধব। সবাই হাসছে.. সাথে নিধিও!
আমি বোকার মত বললাম
-মানে কি? তোরা সব কোথা থেকে আসলি?
নিধি বলল-
: তোমাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য এই প্লান। আর আমি রাগ করিনি। আমিতো জানি প্রবলেম না থাকলে তুমি কখনও এমন করতে না। আমি তোমাকে না বুঝলে কে বুঝবে বলো...
- তাহলে আমি বাসায় আসার পর কথা বলোনি, বারান্দায় গিয়েও কেমন করলে...
: আরে বোকা ওটা তো শুধু অভিনয় করেছি। সারপ্রাইজ দিব বলে.... অনেক ভালবাসি তোমাকে তীর্থ।
আমার ইচ্ছে করছিল চিৎকার করে পৃথিবীকে বলি আমি এই লক্ষ্ণী মেয়েটাকে অনেক অনেক বেশী ভালবাসি...।
আমি গিয়ে ওকে জড়িয়ে ধরে বললাম
- আমিও তোমাকে চরম ভালবাসি চকলেট।
তখন সব বন্ধুরা একসাথে যক্ষা রোগীর মত কাশি দিয়ে তাদের উপস্থিতি জানান দিল। তারপর নিধি আমার কাছ থেকে নিজেকে তাড়াতাড়ি ছাড়িয়ে নিলো। এবার অবশ্য কোন অভিমানের অভিনয়ে নয়। লজ্জা পেয়ে। লজ্জা পেলে যেন অনেক বেশী সুন্দর লাগে লক্ষ্ণীটাকে। আমি মুগ্ধ হয়ে শুধু দেখছি আমার লক্ষ্ণীটাকে....
[কিছুকথা : আমি মেয়ে হয়েও উত্তম পুরুষ ছেলে দিয়ে গল্পটি লিখেছি। জানিনা কেমন হয়েছে ]
লিখেছেন -সকাল বেলার মেঘ
ফোনটা রিসিভ করেই বুঝতে পারলাম ও কাঁদছে।
- প্লিজ লক্ষ্ণীটি কাঁদে না। চকলেট আমার। সরি।
: হয়েছে থাক। তোমার আর আসতে হবে না।আমি তোমার কে!!
- প্লিজ এভাবে বলে না। রাস্তায় খুব জ্যাম।
কথাটা শোনার আগেই নিধি ফোনটা রেখে দিল।
এই লক্ষ্ণী মেয়েটা আর কেউ না। ও আমার বিয়ে করা লক্ষ্ণী বউ। আমি ওকে চকলেট বলে ডাকি।আজ এক বছর হল আমাদের বিয়ের। আমাদের প্রথম বিবাহবার্ষিকী আজ। কিন্তু ওকে আজ সারাটা দিন সময় দিতে পারিনি। ডাক্তার হওয়ার এই এক জ্বালা। ফ্যামিলিকে টাইম দেওয়া যায় না। ডাক্তার দের কি কোন পার্সোনাল লাইফ বলে কিছু নেই!! ধ্যাৎ!! ছুটি নেওয়ার পরও জরুরী কারনে শত অনিচ্ছা সত্বেও ডিউটিতে আসতে হয়েছিল। আর এখন জ্যাম এর কারনে রাস্তায় বাড়তি সময় নষ্ট করতে হচ্ছে। রাত সাড়ে নয়টা বাজে। যেতে যেতে আরো প্রায় এক ঘন্টার মত লাগবে।
সব আত্মীয়স্বজন বন্ধুবান্ধবরা মনে হয় চলে গেছে। নিধির কত ইচ্ছা ছিল আজকের দিনটা সবার সাথে কাটাবো। কিন্ত.!
লক্ষ্ণীটা মনে হয় এখন বাসায় একা একা কাঁদছে আর আমার উপর আসমান সমান রাগ করে আছে। বাসায় গেলে আমার সাথে কথাও বলবে না।
মেয়েটাকে আমি চরম ভালবাসি। সেই সাত বছর যাবৎ ওকে ভালবেসে আসছি। মেয়েটা অসম্ভব লক্ষ্ণী। মাত্র কয়েকদিন কথা বলেই বুঝতে পেরেছিলাম আমার মত অগোছালো দুষ্টু ছেলের জীবনে এ লক্ষ্ণী মেয়েটার খুব দরকার।
আমাদের ফ্রেন্ডদের মাধ্যমে ওর সাথে আমার পরিচয়। প্রথমে ম্যাসেজ, বন্ধুত্ব, ফোনে কথাবলা, দেখা, ভাললাগা। তারপর সেই ভাললাগা থেকে ভালবাসা। আমি ওর ভয়েসটা শুনেই প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম। তারপর আমাদের দেখা হল। দেখতে ও একদম অপ্সরী না হলেও আমার চোখে অনেক ভাল লেগেছিল। কি যেন এক মায়া।
সরাসরি ওকে বললাম না ওকে ভালবাসার কথা। যদি বন্ধুত্বটা নষ্ট হয়ে যায়। কিন্ত আমার কথার ধরন শুনে ও হয়ত ঠিকই বুঝতো। কিছু ফ্রেন্ড এই নিয়ে দুষ্টুমি করল ওর সাথে। তারপর ও আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিল। তখন ওকে অনেক মিস করতাম। কল দিলেও রিসিভ করত না। ম্যাসেজ এর রিপ্লাই করত না।
তখন আমি বিভিন্ন অপরিচিত নাম্বার থেকে কল দিতাম। শুধু ভয়েসটা শুনে ফোন রেখে দিতাম।
এভাবে চলতে চলতে হঠাৎ ও একদিন ম্যাসেজ এর রিপ্লাই করল। হয়তবা নিধিও আমাকে একটু হলেও মিস করত। তারপর থেকে আমাদের মাঝে আবার বন্ধুত্ব। এবার আর ভালবাসার কথা ওকে বলতে সাহস পেলাম না।আবারও যদি হারিয়ে ফেলি ওকে। নিধি আমাকে বন্ধুর চেয়ে বেশী কিছু ভাবতো না।
এভাবে চলতে থাকে।
একসময় বলে দিলাম ভালবাসার কথা। এবার ও যোগাযোগ বন্ধ করলো না। কারন তখন আমি ওর ভাল বন্ধু হয়ে উঠেছিলাম। কিন্ত যতই দিন যেতে থাকে ওর প্রতি আরো দুর্বল হয়ে যেতে থাকলাম আমি। ওকে যত দেখতাম ততই ভালবাসতে থাকলাম। আস্তে আস্তে খেয়াল করলাম নিধিরও আমার প্রতি ফিলিংস টা বাড়তে থাকল। নিধিও হয়ত মনের অজান্তে আমাকে ভালবাসতে শুরু করেছিল।
আমি শুধু অপেক্ষায় ছিলাম- হয়তো কোন গোধুলী লগনে অথবা পরন্ত বিকেলে অথবা কোন এক বৃষ্টি ভেজা দুপুরে অথবা মাঝ রাতে ফোন দিয়ে নিধি আমাকে বলবে - 'তীর্থ, আমিও তোমাকে ভালবাসি।'
কিন্ত নিধি একদিন আমার সাথে খুব রাগ করে আমাকে বলে দিল আমি যেন ওকে আর ফোন না দেই। ওর সাথে যেন আর যোগাযোগ না করি। তখন আর আমার বুঝতে বাকি রইল না এটা ভালবাসার অভিমান। অভিমান করে আর কত দিন থাকা। দুদিন পর সব অভিমান ভেঙ্গে আমাকে জানিয়ে দিল ও আমাকে ভালবাসে। আমাকে ছাড়া থাকতে পারবে না। সেইদিন থেকেই আমাদের একসাথে পথ চলা।
সুখে দুখে একজন আরেক জনের পাশে ছায়ার মত লেগে থাকা।
নিধি একটা ব্যাপারে মাঝে মাঝে মন খারাপ করত আর বলত "তুমি তো বিয়ের পর আমাকে টাইমই দিবে না। ডাক্তার হয়ে সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকবা। আজ ওর এই কথাটা খুবই মনে পড়ছে। কিন্ত কোন উপায় ছিল না। বাবার স্বপ্ন ডাক্তার হতে হবে।
আমাদের বিয়েটা নিয়ে অনেক ঝামেলা হয়েছিল।নিধির ফ্যামিলি রিলেশনের বিয়ে মানতে চায়নি। অনেক কষ্ট করে সবাইকে রাজি করিয়েছিলাম আমরা। অবশেষে দুই পরিবারের সম্মতিক্রমে ঠিক এক বছর আগে এই লক্ষ্ণী মেয়েটাকে আমার বউ করে ঘরে আনি।
ওর কথা ভাবতে ভাবতে কখন যে জ্যাম ছেড়ে গেছে খেয়ালই করিনি। বাসায় চলে এসেছি। বাসায় আসতেই নিধি দরজাটা খুলে দিয়েই আমার সামনে থেকে চলে গেল। আমাকে কিছু বলার সুযোগই দিল না। বুঝতে পারলাম চরম রেগে আছে।
বারান্দায় চুপচাপ দাড়িয়ে আছে। আমি গিয়ে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে বললাম
- প্লিজ লক্ষ্ণীটি রাগ করে না। চকলেট আমার। আমি কি ইচ্ছা করে দেরী করেছি...?
: উফ্!! তীর্থ, ছাড়ো তো আমাকে। এই বলে আমার কাছ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে চলে গেল।
একটা অন্ধকার রুমে গিয়ে বসে আছে। বুঝতে পারলাম ওখানে বসে ও কাঁদছে হয়তো। অনেক কষ্ট দিয়ে ফেলেছি ওকে। যেয়ে অনেক সরি বলে বলে রাগটা ভাঙ্গাতে হবে। আর গিফ্টটা দিতে হবে।
অন্ধকার রুমে গিয়ে লাইট টা অন করলাম। লাইট অন করার সাথে সাথেই অনেক গুলো কন্ঠের চিৎকার শুনতে পেলাম-" সারপ্রাইজ... হ্যাপি ম্যারেজ ডে"
আমি শুধু অবাক হয়ে দেখলাম আমাদের একদল বন্ধুবান্ধব। সবাই হাসছে.. সাথে নিধিও!
আমি বোকার মত বললাম
-মানে কি? তোরা সব কোথা থেকে আসলি?
নিধি বলল-
: তোমাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য এই প্লান। আর আমি রাগ করিনি। আমিতো জানি প্রবলেম না থাকলে তুমি কখনও এমন করতে না। আমি তোমাকে না বুঝলে কে বুঝবে বলো...
- তাহলে আমি বাসায় আসার পর কথা বলোনি, বারান্দায় গিয়েও কেমন করলে...
: আরে বোকা ওটা তো শুধু অভিনয় করেছি। সারপ্রাইজ দিব বলে.... অনেক ভালবাসি তোমাকে তীর্থ।
আমার ইচ্ছে করছিল চিৎকার করে পৃথিবীকে বলি আমি এই লক্ষ্ণী মেয়েটাকে অনেক অনেক বেশী ভালবাসি...।
আমি গিয়ে ওকে জড়িয়ে ধরে বললাম
- আমিও তোমাকে চরম ভালবাসি চকলেট।
তখন সব বন্ধুরা একসাথে যক্ষা রোগীর মত কাশি দিয়ে তাদের উপস্থিতি জানান দিল। তারপর নিধি আমার কাছ থেকে নিজেকে তাড়াতাড়ি ছাড়িয়ে নিলো। এবার অবশ্য কোন অভিমানের অভিনয়ে নয়। লজ্জা পেয়ে। লজ্জা পেলে যেন অনেক বেশী সুন্দর লাগে লক্ষ্ণীটাকে। আমি মুগ্ধ হয়ে শুধু দেখছি আমার লক্ষ্ণীটাকে....
[কিছুকথা : আমি মেয়ে হয়েও উত্তম পুরুষ ছেলে দিয়ে গল্পটি লিখেছি। জানিনা কেমন হয়েছে ]
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন