পরিবারে ঝগড়া, কথা কাটাকাটি, রুদ্র বা প্রতিকূল পরিবেশ এখন আর নতুন কিছু নয়। সময়ের সাথে
সাথে সমাজ কাঠামোয় এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। বদলে যাচ্ছে আমাদের কাছে সম্পর্কের সংজ্ঞা এবং তা পালন করার রীতিনীতিও। পরিবারে ঝগড়া এবং ব্যক্তিত্বের সংঘর্ষ ক্রমশ হয়ে দাঁড়াচ্ছে অবশ্যম্ভাবী একটি বিষয়। আগেকার আমলে যৌথ পরিবারে স্বামী স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া হলেও সেটা মিটিয়ে দেয়ার জন্য থাকতেন পরিবারে আরও অনেকেই। কিন্তু দিন বদলের খেয়াল এখন পরিবার গুলো সব একক, স্বামী- স্ত্রী আর সন্তানদের নিয়ে। আর তাই কলহ মুখর প্রতিকূলতায় বাবা মাকে সাহায্য করার ক্ষমতা আছে একমাত্র সন্তানেরই। এবং এটা সন্তানের অধিকারও বটে।
স্বামী স্ত্রী যখন বাবা মা হন, তখন স্বাভাবিকভাবেই সন্তানকে নিয়ে তাঁদের অনেক আশা থাকে। সেই সন্তানই কিভাবে হতে পারেন তাঁদের মনোমালিন্যের সময়ের সাথী? কীভাবে দূর করতে পারেন তাঁদের মধ্যকার অভিমান আর ক্ষোভ? সেই ব্যাপারেই আজকে কথা বলব আমরা।
একটু ঝগড়া করতে দিনঃ
সত্যি বলতে কি জানেন, ঝগড়া করা মাঝে মাঝে ভালো। এতে মনের ভেতরের সমস্ত অভিযোগ বের হয়ে যায়। আপনার বাবা মা যখন ঝগড়া করছেন, তখন আপনি সেটার মাঝে না পড়াই ভালো। সেটা একান্তই তাঁদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু ঝগড়া যদি আপনার সামনেই হতে থাকে, তাহলে আপনি তাঁদের ঝগড়াকে মধুর ঝগড়ায় রূপান্তরিত করার চেষ্টা করুন। সেটা যেন হাতাহাতি বা গালিগালাজের পর্যায়ে না যায় সেইদিকে খেয়াল রাখার দায়িত্ব নিন। আক্রমণাত্মক কথাকে প্রশমিত করার চেষ্টা করুন। যিনি বেশী রেগে গিয়েছেন, আপনার সন্তান সুলভ আদরে তাঁর রাগ কমাবার চেষ্টা করুন।
ভাগ হয়ে যান ভাইবোনেরাঃ
মাঝে মাঝে দলাদলি করাও কিন্তু খারাপ কাজ নয়। যদি তাঁদের মাঝে ঝগড়াটা খুব বেশিই হয়ে যায়, আর ফলে তাঁরা কথা বলাবলিও বন্ধ করে দেন- তখন কাজে লাগান এই উপায়। বলা হয়, মায়েরা ছেলেদের প্রতি দুর্বল থাকেন, বাবারা থাকেন মেয়েদের প্রতি। এই ব্যাপারটাকে কাজে লাগাতে পারেন। মেয়ে চলে যান বাবার কাছে, ছেলে মায়ের কাছে। ভাইবোন নানা ভাবে বুঝাতে থাকুন। মন গলবেই।
বেড়াতে যান সকলে মিলেঃ
বাবা মায়ের অতীত কোন মিষ্টি স্মৃতি জড়িয়ে আছে, এমন কোথাও নিয়ে যেতে পারেন পরিবারের সবাই মিলে। মনে করিয়ে দিন তাঁদের, তাঁরা একজন আরেকজনকে কতটা ভালবাসতেন একসময়। অনুভব করান তাঁদের, সেই ভালবাসা আজও আছে তাঁদের মনে। যদি সেটা সম্ভব না হয়, তাহলে নিজেরা ঘুরতে যাবার নাম করে হলেও জোর করে মা বাবাকে সাথে নিয়ে বের হন। সুন্দর একটা পরিবেশে সকলে একসাথে হলে মন ভালো না হয়ে উপায় আছে?
সময় কাটাতে দিনঃ
তাঁদের নিজস্ব সময় কাটানোর পরিবেশ করে দিন। সবসময়েই তো তাঁরা আপনাদের নিয়েই থাকছেন। কিন্তু যেহেতু তাঁরাও দম্পতি, তাই বয়স হয়ে গেলেও তাঁদের প্রাইভেসি বুঝতে হবে। ব্যবস্থা করে দিতে হবে যেন তাঁরা নিজেদের মত করে মনোমালিন্য দূর করতে পারেন।
নিন্দায় যোগ দেবেন নাঃ
আমরা যখন খুব রেগে যাই, অনেক প্রিয় মানুষ সম্পর্কেও অপ্রিয় কথা বলে ফেলি। ঝগড়া সমাধানের সময় তাঁদের কেউ যদি বদনাম করেই ফেলেন, তাতে কখনই যোগ দেবেন না। এতে সম্পর্ক নষ্ট হয়। বরং খারাপ কথার প্রত্যুত্তরে মানুষটির ভালো গুণগুলো তুলে ধরুন, বুঝিয়ে বলুন যে সব মানুষই দোষ ত্রুটির সমষ্টি। কিন্তু দোষ দিয়ে কাউকে বিচার করতে নেই।
মুরুব্বি কারো সহায়তা নিনঃ
পরিস্থিতি বেশি ঘোলাটে হয়ে গেলে আপনার বাবা মায়ের ঘনিষ্ঠ কারো সহায়তা নিতে পারেন, তবে ঢোল পিটিয়ে সবাইকে জানিয়ে বেড়াবেন না। এমন কাউকে বলতে পারেন যাকে আপনার অভিভাবকও সম্মান করেন এবং যিনি যথেষ্ট আন্তরিক ও সহানুভূতিশীল।
সবশেষে, পরামর্শ রইল, ধৈর্য রাখার। সমস্যা সমাধান কঠিন কিছু নয়, যদি বুকে থাকে সাহস আর থাকে স্থির প্রতিজ্ঞা। আর এ সমস্যা সমাধানে সবচেয়ে বড় সাথী আপনার বাবা মায়ের প্রতি আপনার ভালোবাসা। ভালোবাসার প্রকাশে কোন সংকোচ নয়, তাতেই তাঁরা অন্য যে কোন কিছুর চেয়ে বেশি প্রভাবিত হবেন।
সাথে সমাজ কাঠামোয় এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। বদলে যাচ্ছে আমাদের কাছে সম্পর্কের সংজ্ঞা এবং তা পালন করার রীতিনীতিও। পরিবারে ঝগড়া এবং ব্যক্তিত্বের সংঘর্ষ ক্রমশ হয়ে দাঁড়াচ্ছে অবশ্যম্ভাবী একটি বিষয়। আগেকার আমলে যৌথ পরিবারে স্বামী স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া হলেও সেটা মিটিয়ে দেয়ার জন্য থাকতেন পরিবারে আরও অনেকেই। কিন্তু দিন বদলের খেয়াল এখন পরিবার গুলো সব একক, স্বামী- স্ত্রী আর সন্তানদের নিয়ে। আর তাই কলহ মুখর প্রতিকূলতায় বাবা মাকে সাহায্য করার ক্ষমতা আছে একমাত্র সন্তানেরই। এবং এটা সন্তানের অধিকারও বটে।
স্বামী স্ত্রী যখন বাবা মা হন, তখন স্বাভাবিকভাবেই সন্তানকে নিয়ে তাঁদের অনেক আশা থাকে। সেই সন্তানই কিভাবে হতে পারেন তাঁদের মনোমালিন্যের সময়ের সাথী? কীভাবে দূর করতে পারেন তাঁদের মধ্যকার অভিমান আর ক্ষোভ? সেই ব্যাপারেই আজকে কথা বলব আমরা।
একটু ঝগড়া করতে দিনঃ
সত্যি বলতে কি জানেন, ঝগড়া করা মাঝে মাঝে ভালো। এতে মনের ভেতরের সমস্ত অভিযোগ বের হয়ে যায়। আপনার বাবা মা যখন ঝগড়া করছেন, তখন আপনি সেটার মাঝে না পড়াই ভালো। সেটা একান্তই তাঁদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু ঝগড়া যদি আপনার সামনেই হতে থাকে, তাহলে আপনি তাঁদের ঝগড়াকে মধুর ঝগড়ায় রূপান্তরিত করার চেষ্টা করুন। সেটা যেন হাতাহাতি বা গালিগালাজের পর্যায়ে না যায় সেইদিকে খেয়াল রাখার দায়িত্ব নিন। আক্রমণাত্মক কথাকে প্রশমিত করার চেষ্টা করুন। যিনি বেশী রেগে গিয়েছেন, আপনার সন্তান সুলভ আদরে তাঁর রাগ কমাবার চেষ্টা করুন।
ভাগ হয়ে যান ভাইবোনেরাঃ
মাঝে মাঝে দলাদলি করাও কিন্তু খারাপ কাজ নয়। যদি তাঁদের মাঝে ঝগড়াটা খুব বেশিই হয়ে যায়, আর ফলে তাঁরা কথা বলাবলিও বন্ধ করে দেন- তখন কাজে লাগান এই উপায়। বলা হয়, মায়েরা ছেলেদের প্রতি দুর্বল থাকেন, বাবারা থাকেন মেয়েদের প্রতি। এই ব্যাপারটাকে কাজে লাগাতে পারেন। মেয়ে চলে যান বাবার কাছে, ছেলে মায়ের কাছে। ভাইবোন নানা ভাবে বুঝাতে থাকুন। মন গলবেই।
বেড়াতে যান সকলে মিলেঃ
বাবা মায়ের অতীত কোন মিষ্টি স্মৃতি জড়িয়ে আছে, এমন কোথাও নিয়ে যেতে পারেন পরিবারের সবাই মিলে। মনে করিয়ে দিন তাঁদের, তাঁরা একজন আরেকজনকে কতটা ভালবাসতেন একসময়। অনুভব করান তাঁদের, সেই ভালবাসা আজও আছে তাঁদের মনে। যদি সেটা সম্ভব না হয়, তাহলে নিজেরা ঘুরতে যাবার নাম করে হলেও জোর করে মা বাবাকে সাথে নিয়ে বের হন। সুন্দর একটা পরিবেশে সকলে একসাথে হলে মন ভালো না হয়ে উপায় আছে?
সময় কাটাতে দিনঃ
তাঁদের নিজস্ব সময় কাটানোর পরিবেশ করে দিন। সবসময়েই তো তাঁরা আপনাদের নিয়েই থাকছেন। কিন্তু যেহেতু তাঁরাও দম্পতি, তাই বয়স হয়ে গেলেও তাঁদের প্রাইভেসি বুঝতে হবে। ব্যবস্থা করে দিতে হবে যেন তাঁরা নিজেদের মত করে মনোমালিন্য দূর করতে পারেন।
নিন্দায় যোগ দেবেন নাঃ
আমরা যখন খুব রেগে যাই, অনেক প্রিয় মানুষ সম্পর্কেও অপ্রিয় কথা বলে ফেলি। ঝগড়া সমাধানের সময় তাঁদের কেউ যদি বদনাম করেই ফেলেন, তাতে কখনই যোগ দেবেন না। এতে সম্পর্ক নষ্ট হয়। বরং খারাপ কথার প্রত্যুত্তরে মানুষটির ভালো গুণগুলো তুলে ধরুন, বুঝিয়ে বলুন যে সব মানুষই দোষ ত্রুটির সমষ্টি। কিন্তু দোষ দিয়ে কাউকে বিচার করতে নেই।
মুরুব্বি কারো সহায়তা নিনঃ
পরিস্থিতি বেশি ঘোলাটে হয়ে গেলে আপনার বাবা মায়ের ঘনিষ্ঠ কারো সহায়তা নিতে পারেন, তবে ঢোল পিটিয়ে সবাইকে জানিয়ে বেড়াবেন না। এমন কাউকে বলতে পারেন যাকে আপনার অভিভাবকও সম্মান করেন এবং যিনি যথেষ্ট আন্তরিক ও সহানুভূতিশীল।
সবশেষে, পরামর্শ রইল, ধৈর্য রাখার। সমস্যা সমাধান কঠিন কিছু নয়, যদি বুকে থাকে সাহস আর থাকে স্থির প্রতিজ্ঞা। আর এ সমস্যা সমাধানে সবচেয়ে বড় সাথী আপনার বাবা মায়ের প্রতি আপনার ভালোবাসা। ভালোবাসার প্রকাশে কোন সংকোচ নয়, তাতেই তাঁরা অন্য যে কোন কিছুর চেয়ে বেশি প্রভাবিত হবেন।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন