এক ঘন্টা ধরে আয়নার সামনে বসে আছে নীলা।ভীষন লজ্জা পাচ্ছে আজ ও।নিজেকে দেখছে আর
পরক্ষনেই দু’হাতে মুখ ঢাকছে লজ্জায়।আবার কিছুক্ষন বাদেই হাত সরিয়ে দেখছে।খুব ভালো করে খুঁটিয়ে দেখছে সে নিজেকে।আগেও অনেক দেখেছে,কিন্তু আজ যেনো ওর দেখা শেষ হচ্ছেনা!নিজেকে দেখছে আজ অন্য রকম ভাবে।
চিবুকের নিচে এটা কি!? আবার ব্রণ বেরুচ্ছে নাকি!? ভালো করে দেখলো,নাহ,ব্রন নয়।যাক বাবা বাঁচা গেলো।উমম মুখটা মনে হয় একটু কালো লাগছে … যাই,আরেকবার ধুয়ে আসি …
ওয়াশ রুম থেকে বের হয়ে নীলা দেখলো,ফোন বাজছে। কাছে যেতে যেতেই কেটে গেলো।৮টি মিসডকল। সবগুলোই সত্যের। আবার রিং বাজচ্ছে … কলটা রিসিভ করলো নীলা …
-হুম বলো
-কই থাকো তুমি?আসবা কখন?আমারতো আর ভাল্লাগছেনা …
-কি বলো তুমি,আমাদের দেখা করার কথা ১১টার সময়,আর এখন বাজে ৭টা। এখনি আসবো নাকি!?তুমি কোথায়?
-যেখানে আমাদের দেখা করার কথা,সেখানে।
-মানে কি!?তুমি ওখানে মানে?
-হুম,তোমাকে কখন দেখবো আমি … বাসায় থাকতে ইচ্ছে করছিলনা,তাই চলে আসছি।তুমি আসোনা তারাতারি …
-তুমি যে কি করোনা … ঠিক আছে,আসছি আমি
-ওকে,বাই
নীলা ওর ঘরেই খুব ছুটোছুটি শুরু করে দিয়েছে।আর ভাবছে,ধুর,আরো আগে কেনো তৈরি হলাম না।আলমারি থেকে নীল শাড়িটা বের করলো নীলা।নীলা আজ নীল পরী সাজবে।সত্যের নীল পরী হয়ে উঠবে আজ ও।সত্যের অতৃপ্ত মনকে তৃপ্ত করবে আজ ও।না বলা কথাটি আজ বলবে নীলা।না শোনা কথাটি আজ সত্যকে শোনাবে নীলা … নীল পরী হয়ে …
সত্য বলেছিলো শাড়ি পরে আসতে।কিন্তু নীলা না করেছে।বলেছে,
দেখো,শাড়িতে আমি অতটা অভ্যস্ত নই,তাছাড়া রাস্তা-ঘাটের ব্যপার,আমার সামলাতে একটু ঝামেলা হবে।আরো এটা-সেটা বলে না করেছে নীলা।সত্য মেনে নিয়েছে,বলেছে।ঠিক আছে।তোমার সমস্যা হলে থাক।
কিন্তু সত্য জানেনা,আজ নীলা ঠিকি শাড়ি পড়ে চমকে দিবে সত্যকে।
নীল সত্যের প্রিয় রং।তাই নীল শাড়িই পড়বে নীলা।কপালে ছোট্ট একটা নীল টিপ।চোখে গাঢ় করে কাজল।দু’হাত ভর্তি করে নীল কাঁচের রেশমী চুড়ি।আর কোমর পর্যন্ত নেমে আসা রেশমী চুল ছেড়েই রাখবে নীলা।ওর চুল সত্যের অনেক প্রিয়।
এভাবেই সাজিয়ে নিলো নীলা নিজেকে।শেষ মুহুর্তে নিজেকে দেখছে,এই সময় আবার ফোন বেজে উঠলো।
-তুমি বের হইছ?
-এইতো বাবা হচ্ছি
-তারাতারি
-ঠিক আছে।
নীলা আর সত্যের পরিচয়,সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম,ফেইসবুকে।সত্য খুব ভালো কবিতা লিখে।আর নীলা লিখে গল্প।একটা গ্রুপে ওরা দু’জনেই সদস্য ছিল।সত্যের একটি কবিতা নীলার ভীষন পছন্দ হয়ে যায় একদিন।ওকে জানালো নীলা এই কথা।আর এভাবেই কথা শুরু ওদের।সত্য থাকে খুলনাতে,পড়ছে ইঞ্জিনিয়ারিং এ।
ফেইসবুকে ওদের অনেকের সাথেই কথা হয়,কিন্তু নীলা আর সত্যের কথা যেনো ফুরোইনা।এভাবে কথা বলতে বলতে খুব বেশি সময় লাগেনি নীলাকে আপন করে নিতে সত্যের।ভীষন ভালোবেসেও ফেললো। ‘ভালোবাসি’ কথাটা বলেও ফেললো নীলাকে।নীলা যে ওকে ভালোবাসেনা তা কিন্তু নয়।কিন্তু ও কখনো বলতনা।সত্য খুব শুনতে চাইত,কিন্তু নীলা বলতোনা।এ নিয়ে ওদের মাঝে অনেক মান-অভিমানও হতো।নীলা ভয় পেত খুব।তার ভয়,ওর রক্ষণশীল পরিবারকে,যারা কিনা কখোনই মেনে নিবেনা ভালোবাসার সম্পর্ককে।আরও নানা কারনে ভয় পেতো ও।
চার বছরের সম্পর্ক ওদের।ভালোবাসার তীব্রতায় সত্য সবকিছু কিভাবে যেনো গুছিয়ে নিল।খুলনা থেকে মাঝে মাঝেই ঢাকায় এসে দেখা করতো নীলার সাথে।অনেক বুদ্ধি খাটিয়ে বাসা চিনলো ওর।ওর বড় বোনের ফোন নাম্বার জোগার করে সব বললো তাকে।দু’পরিবারকে একাই রাজি করালো সত্য।খুব একটা কষ্ট অবশ্য হয়নি সত্যের।নীলা এর কিছুই টের পেলোনা।পরে একদিন নীলার বোন ওকে সব বললো।
নীলা বলেছিলো,যদি কখনো আমাকে তুমি বিয়ে করতে পারো,তবে সেই দিনই বলবো,’আমি তোমায় ভালোবাসি’
কাল নীলাকে সত্যের মা-বাবা আশীর্বাদ করে যাবেন।সত্য আর সহ্য করতে পারছিলনা।
বললো,বিয়ে যে হবে এটাতো নিশ্চিত,তাইনা? এখন বলোনা,প্লিজ,আমি আর থাকতে পারছিনা ঐ কথাটি না শুনে।নীলা আর অমত করলোনা।
আজ সেই দিনটি ওদের।
ফোন বাজছে …
-কই তুমি?
-এইতো,ধানমন্ডি,রাস্তা ফাঁকা আছে,আর বেশি সময় লাগবেনা,হয়ত ২০মিনিট।তুমি চিন্তা করোনা।
-ঠিক আছে।
ফুলার রোডে বসে আছে সত্য।গাড়ি থেকে নামলো নীলা।ফোন করলো সত্যকে।
-এই তুমি কোথায়?
-কেনো,সবসময় আমরা যেখানটায় বসি ... এই নীলা নীলা, আমি তোমাকে দেখেছি,তুমি শাড়ি পরেছ …!একি সত্যিই তুমি …!
-হুম,তোমাকে চমকে দিবো বলে বলিনি
-আমিতো আমার চোখকে বিশ্বাস করাতে পারছিনা … এতো সত্যিই আমার স্বপ্নের সেই নীল পরী
আর কথা বলতে পারলনা সত্য,থমকে গেলো।থমকে গেলো ওর শরির,থমকে গেলো ওর অনুভুতি।মিনিট পাঁচেক পর ও যখন বোধ ফিরে পেলো,তখন রাস্তায় অনেক লোক জমে গেলো।ও দৌড়ে গিয়ে ভির ঠেলে দারালো।দেখলো,নীলা কাত হয়ে পড়ে আছে।রক্তে ভিজে যাচ্ছে পিচঢালা এই ফুলার রোডের খানিকটা অংশ।কিছুক্ষন আগে দেখা নীলা আর রক্তে ভেজা এই নীলাকে সত্য ঠিক মেলাতে পারছেনা … নীলা কিছু বলতে চাইছে …
ওকে ঘিরে থাকা লোকজন,কেউ কেউ বলছে,মুখে একটু পানি দেয়ার জন্য।কেউ কেউ বলছে তারাতারি হাসপাতালে নেয়ার জন্য।আর কেউ কেউ ঐ বেপোরোয়া মাইক্রের কথা তুলে গালি দিচ্ছে।
সত্য ধপ করে বসে নীলার মাথাটা আলতো করে কোলে তুলে নিলো।নীলা ওর সবটুকু শক্তি দিয়ে সত্যের শার্ট আকড়ে ধরে কি যেনো বলছে … শুনতে পাচ্ছেনা সত্য … আস্তে করে সত্য নিজের অজান্তেই মাথাটা নুইয়ে নীলার কানের কাছে রাখলো।সত্য শুনতে পেলো … নীলা বলছে …
‘ভালোবাসি’ খুব ভালোবাসি,অনেক ভালোবাসি তোমায় … ভালো থেকো ….
নীলার নিথর শরিরটাকে জোরে জাপটে বুকে ধরে চিৎকার করে কেঁদে উঠল সত্য …
আমি জানি নীলা,তুমি আমায় অনেক বেশি ভালোবাস … আমি জানি......
পরক্ষনেই দু’হাতে মুখ ঢাকছে লজ্জায়।আবার কিছুক্ষন বাদেই হাত সরিয়ে দেখছে।খুব ভালো করে খুঁটিয়ে দেখছে সে নিজেকে।আগেও অনেক দেখেছে,কিন্তু আজ যেনো ওর দেখা শেষ হচ্ছেনা!নিজেকে দেখছে আজ অন্য রকম ভাবে।
চিবুকের নিচে এটা কি!? আবার ব্রণ বেরুচ্ছে নাকি!? ভালো করে দেখলো,নাহ,ব্রন নয়।যাক বাবা বাঁচা গেলো।উমম মুখটা মনে হয় একটু কালো লাগছে … যাই,আরেকবার ধুয়ে আসি …
ওয়াশ রুম থেকে বের হয়ে নীলা দেখলো,ফোন বাজছে। কাছে যেতে যেতেই কেটে গেলো।৮টি মিসডকল। সবগুলোই সত্যের। আবার রিং বাজচ্ছে … কলটা রিসিভ করলো নীলা …
-হুম বলো
-কই থাকো তুমি?আসবা কখন?আমারতো আর ভাল্লাগছেনা …
-কি বলো তুমি,আমাদের দেখা করার কথা ১১টার সময়,আর এখন বাজে ৭টা। এখনি আসবো নাকি!?তুমি কোথায়?
-যেখানে আমাদের দেখা করার কথা,সেখানে।
-মানে কি!?তুমি ওখানে মানে?
-হুম,তোমাকে কখন দেখবো আমি … বাসায় থাকতে ইচ্ছে করছিলনা,তাই চলে আসছি।তুমি আসোনা তারাতারি …
-তুমি যে কি করোনা … ঠিক আছে,আসছি আমি
-ওকে,বাই
নীলা ওর ঘরেই খুব ছুটোছুটি শুরু করে দিয়েছে।আর ভাবছে,ধুর,আরো আগে কেনো তৈরি হলাম না।আলমারি থেকে নীল শাড়িটা বের করলো নীলা।নীলা আজ নীল পরী সাজবে।সত্যের নীল পরী হয়ে উঠবে আজ ও।সত্যের অতৃপ্ত মনকে তৃপ্ত করবে আজ ও।না বলা কথাটি আজ বলবে নীলা।না শোনা কথাটি আজ সত্যকে শোনাবে নীলা … নীল পরী হয়ে …
সত্য বলেছিলো শাড়ি পরে আসতে।কিন্তু নীলা না করেছে।বলেছে,
দেখো,শাড়িতে আমি অতটা অভ্যস্ত নই,তাছাড়া রাস্তা-ঘাটের ব্যপার,আমার সামলাতে একটু ঝামেলা হবে।আরো এটা-সেটা বলে না করেছে নীলা।সত্য মেনে নিয়েছে,বলেছে।ঠিক আছে।তোমার সমস্যা হলে থাক।
কিন্তু সত্য জানেনা,আজ নীলা ঠিকি শাড়ি পড়ে চমকে দিবে সত্যকে।
নীল সত্যের প্রিয় রং।তাই নীল শাড়িই পড়বে নীলা।কপালে ছোট্ট একটা নীল টিপ।চোখে গাঢ় করে কাজল।দু’হাত ভর্তি করে নীল কাঁচের রেশমী চুড়ি।আর কোমর পর্যন্ত নেমে আসা রেশমী চুল ছেড়েই রাখবে নীলা।ওর চুল সত্যের অনেক প্রিয়।
এভাবেই সাজিয়ে নিলো নীলা নিজেকে।শেষ মুহুর্তে নিজেকে দেখছে,এই সময় আবার ফোন বেজে উঠলো।
-তুমি বের হইছ?
-এইতো বাবা হচ্ছি
-তারাতারি
-ঠিক আছে।
নীলা আর সত্যের পরিচয়,সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম,ফেইসবুকে।সত্য খুব ভালো কবিতা লিখে।আর নীলা লিখে গল্প।একটা গ্রুপে ওরা দু’জনেই সদস্য ছিল।সত্যের একটি কবিতা নীলার ভীষন পছন্দ হয়ে যায় একদিন।ওকে জানালো নীলা এই কথা।আর এভাবেই কথা শুরু ওদের।সত্য থাকে খুলনাতে,পড়ছে ইঞ্জিনিয়ারিং এ।
ফেইসবুকে ওদের অনেকের সাথেই কথা হয়,কিন্তু নীলা আর সত্যের কথা যেনো ফুরোইনা।এভাবে কথা বলতে বলতে খুব বেশি সময় লাগেনি নীলাকে আপন করে নিতে সত্যের।ভীষন ভালোবেসেও ফেললো। ‘ভালোবাসি’ কথাটা বলেও ফেললো নীলাকে।নীলা যে ওকে ভালোবাসেনা তা কিন্তু নয়।কিন্তু ও কখনো বলতনা।সত্য খুব শুনতে চাইত,কিন্তু নীলা বলতোনা।এ নিয়ে ওদের মাঝে অনেক মান-অভিমানও হতো।নীলা ভয় পেত খুব।তার ভয়,ওর রক্ষণশীল পরিবারকে,যারা কিনা কখোনই মেনে নিবেনা ভালোবাসার সম্পর্ককে।আরও নানা কারনে ভয় পেতো ও।
চার বছরের সম্পর্ক ওদের।ভালোবাসার তীব্রতায় সত্য সবকিছু কিভাবে যেনো গুছিয়ে নিল।খুলনা থেকে মাঝে মাঝেই ঢাকায় এসে দেখা করতো নীলার সাথে।অনেক বুদ্ধি খাটিয়ে বাসা চিনলো ওর।ওর বড় বোনের ফোন নাম্বার জোগার করে সব বললো তাকে।দু’পরিবারকে একাই রাজি করালো সত্য।খুব একটা কষ্ট অবশ্য হয়নি সত্যের।নীলা এর কিছুই টের পেলোনা।পরে একদিন নীলার বোন ওকে সব বললো।
নীলা বলেছিলো,যদি কখনো আমাকে তুমি বিয়ে করতে পারো,তবে সেই দিনই বলবো,’আমি তোমায় ভালোবাসি’
কাল নীলাকে সত্যের মা-বাবা আশীর্বাদ করে যাবেন।সত্য আর সহ্য করতে পারছিলনা।
বললো,বিয়ে যে হবে এটাতো নিশ্চিত,তাইনা? এখন বলোনা,প্লিজ,আমি আর থাকতে পারছিনা ঐ কথাটি না শুনে।নীলা আর অমত করলোনা।
আজ সেই দিনটি ওদের।
ফোন বাজছে …
-কই তুমি?
-এইতো,ধানমন্ডি,রাস্তা ফাঁকা আছে,আর বেশি সময় লাগবেনা,হয়ত ২০মিনিট।তুমি চিন্তা করোনা।
-ঠিক আছে।
ফুলার রোডে বসে আছে সত্য।গাড়ি থেকে নামলো নীলা।ফোন করলো সত্যকে।
-এই তুমি কোথায়?
-কেনো,সবসময় আমরা যেখানটায় বসি ... এই নীলা নীলা, আমি তোমাকে দেখেছি,তুমি শাড়ি পরেছ …!একি সত্যিই তুমি …!
-হুম,তোমাকে চমকে দিবো বলে বলিনি
-আমিতো আমার চোখকে বিশ্বাস করাতে পারছিনা … এতো সত্যিই আমার স্বপ্নের সেই নীল পরী
আর কথা বলতে পারলনা সত্য,থমকে গেলো।থমকে গেলো ওর শরির,থমকে গেলো ওর অনুভুতি।মিনিট পাঁচেক পর ও যখন বোধ ফিরে পেলো,তখন রাস্তায় অনেক লোক জমে গেলো।ও দৌড়ে গিয়ে ভির ঠেলে দারালো।দেখলো,নীলা কাত হয়ে পড়ে আছে।রক্তে ভিজে যাচ্ছে পিচঢালা এই ফুলার রোডের খানিকটা অংশ।কিছুক্ষন আগে দেখা নীলা আর রক্তে ভেজা এই নীলাকে সত্য ঠিক মেলাতে পারছেনা … নীলা কিছু বলতে চাইছে …
ওকে ঘিরে থাকা লোকজন,কেউ কেউ বলছে,মুখে একটু পানি দেয়ার জন্য।কেউ কেউ বলছে তারাতারি হাসপাতালে নেয়ার জন্য।আর কেউ কেউ ঐ বেপোরোয়া মাইক্রের কথা তুলে গালি দিচ্ছে।
সত্য ধপ করে বসে নীলার মাথাটা আলতো করে কোলে তুলে নিলো।নীলা ওর সবটুকু শক্তি দিয়ে সত্যের শার্ট আকড়ে ধরে কি যেনো বলছে … শুনতে পাচ্ছেনা সত্য … আস্তে করে সত্য নিজের অজান্তেই মাথাটা নুইয়ে নীলার কানের কাছে রাখলো।সত্য শুনতে পেলো … নীলা বলছে …
‘ভালোবাসি’ খুব ভালোবাসি,অনেক ভালোবাসি তোমায় … ভালো থেকো ….
নীলার নিথর শরিরটাকে জোরে জাপটে বুকে ধরে চিৎকার করে কেঁদে উঠল সত্য …
আমি জানি নীলা,তুমি আমায় অনেক বেশি ভালোবাস … আমি জানি......
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন