ব্রেক আপটা কোনভাবেই মানতে পারছে না রিয়া। এরকম তো হওয়ার কথা ছিল না। ৪ বছরের relation এই ভাবে শেষ হয়ে যাবে? চুয়েটে পড়ে রিয়া।হল এর ছাদে একা একা দাড়িয়ে ভাবছে জীবনটা তো সুন্দরই ছিল। এখন কেন এরকম অসহ্য লাগছে? রাতুলের যদি খারাপ না লাগে,ও যদি দিব্যি ভাল থাকে,তাহলে
ওর কেন এত খারাপ লাগবে? দুইদিন হয়ে গেল একবার তো ফোনও দিল না। ঢাকায় architecture এ পড়ে রাতুল। সামনের সপ্তাহেই ওদের anniversary,সব প্ল্যান করা ছিল।রাতুল আসবে চুয়েটে,রিয়া পড়বে রাতুলের দেয়া নীল শাড়ি আর রাতুল পড়বে রিয়ার দেয়া পাঞ্জাবিটা। কি থেকে কি হয়ে গেল!! মানতেই পারছে না রিয়া।
রাতুলের সাথে রিয়ার পরিচয়টা অদ্ভুতভাবে হয়েছিল।S.S.C পরীক্ষার দুইদিন পরেই ওদের ফোনে যোগাযোগ হয়, দুইজনই মফস্বল শহরের।পরিক্ষা নিয়ে কথা বলতে বলতেই ওদের বন্ধুত্ব হয়ে যায়। আস্তে আস্তে ভাল লাগা বাড়তে থাকে। H.S.C পরীক্ষার পর দুইজনই ঢাকায় আসে কোচিং করতে। এরপর নিয়মিতই দেখা হতে থাকে। একদিন রাতুল রিয়াকে বলে ফেলে ওর মনের কথা,রিয়াও যেন এর অপেক্ষাতেই ছিল।শুরু হয় ওদের একসাথে পথচলা। প্রতিদিন কোথাও না কোথাও ঘুরতে জাওয়া,সারারাত ফোনে কথা বলা,কি অদ্ভুত সুন্দরই না ছিল দিনগুলো। ভাবতে ভাবতে রিয়ার চোখে পানি চলে আসে। কিভাবে থাকবে ও রাতুলকে ছাড়া? জীবনের সবকিছুই তো ও ভেবে রেখেছে রাতুলকে নিয়ে।
Long distance relationship maintain খুবই কঠিন,রিয়া চুয়েটে ভর্তি হওয়ার পর সবাই এই কথাই বলেছিল। ওরা এসব কথাকে পাত্তা দেয় নাই,ভেবেছিল সবাইকে দেখিয়ে দিবে। কিন্তু আজ তো ওদের কথাই ঠিক হল। ভুল কি শুধু রাতুলেরই ছিল? ওর কি কোন ভুল ছিল না? ও কি পারতোনা একটু কষ্ট করে মানিয়ে নিতে? varsity life শুরু হওয়ার পরই রাতুল কেমন যেন হয়ে গেল।দেখা হয় না, পড়াশুনা নিয়ে ব্যস্ততার জন্য রিয়াকে ঠিকমতো সময় দেয় না,আগের মত কেয়ার নেয় না,সব মিলিয়ে প্রব্লেম লেগেই থাকত। ৭ দিনও ওরা ভালভাবে থাকতে পারত না।তাই শেষে রিয়াই বলল ' আমাদের আলাদা হয়ে যাওয়া উচিত।' রিয়া ভেবেছিল রাতুল ওকে বাধা দিবে, ভুলগুলো শুধরে নিবে। কিন্তু রাতুল তো ওকে ছেড়ে দিল। দুইটা দিন হয়ে গেল একটু খোঁজও নিল না। ওর কি একটুও কষ্ট হয় না? কিন্তু রিয়া তো পারছে না, ওর রাতুলকে লাগবেই।
হঠাৎই রিয়ার ফোন বেজে উথল,রাতুলের নামটা দেখে খুশিতে আত্মহারা হয়ে গেল,কিন্তু অভিমানে ফোনটা ধরল না। ভাবল এখন যদি এভাবে ঠিক হয় তাহলে প্রব্লেমগুলো আবার হবে।রিয়া সিদ্ধান্ত নিল কিছুদিন সময় নিবে ও ।এর মাঝে একজন আরেকজনের প্রয়োজনটা বুঝুক। তারপর রিয়াই যাবে ঢাকা, ওদের anniversary এর দিনেই,রাতুলের দেয়া শাড়িটা পরেই। তাকে দেখে কি চমকানোটাই না চমকাবে রাতুল,ভাবতেই হেসে ফেলল।
এই কয়টা দিন যেন কাটছেই না। রাতুলও কয়দিন ধরে অসংখ্য ফোন,sms দিচ্ছে।রিয়া কোন reply দেয় নাই,কিন্তু ও ঠিকই বুঝতে পারছে যে রাতুলেরও ওর মতই কষ্ট হচ্ছে। Finally আসলো সেই দিন...রাতের বাস এ উঠল রিয়া,খুব সেজেছে আজ।রাতুল কি করবে ওকে দেখে ভাবতেই মজা লাগছে। মনে মনে বলল আর একটু অপেক্ষা কর। সকালে বাস থেকে নেমে সোজা রাতুলের varsity গেল।রাতুলের ক্লাসের দিকেই যাচ্ছে,হঠাৎই একটা couple দেখে স্তব্ধ হয়ে গেল রিয়া। একটা গাছের নীচে রাতুল আর একটা মেয়ে বসে আছে,রাতুল মেয়েটার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।আর কিছু ভাবতে পারছে না রিয়া,আর কিছু দেখতেও পারছে না। চোখ ঝাপসা হয়ে গেছে।কিন্তু এটা কিভাবে সম্ভব? ওর রাতুল আরেকটা মেয়ের সাথে!!!! কিভাবে সম্ভব?? তাও আবার আজকের দিনে!! রিয়ার চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছা করছে। ও লুকিয়ে লুকিয়ে সরে যাচ্ছে যাতে রাতুল ওকে দেখে না ফেলে। আজই চলে যাবে ও,আর কোনদিনই রাতুলের সামনে পড়বে না,এসব ভাবছে আর চোখের পানি লুকানোর চেষ্টা করছে। হঠাৎ পেছন থেকে রিয়া ভাবি বলে কে যেন চিৎকার দিয়ে উঠল।তাকিয়ে দেখে রাতুলের বন্ধু। চিৎকার শুনে রাতুলও এগিয়ে আসছে,রিয়াকে দেখে সারা varsity কাঁপিয়ে চিৎকার করে উঠল 'রিয়াআআআআআআআআআআআআআআআ...... আমি তোমাকে ভালবাসি ভালবাসি ভালবাসি।'
এরপর রিয়া কিছু বুঝে উঠার আগেই অনবরত কথা বলা শুরু করল,খুশিতে কথা আটকে যাচ্ছে,'তুমি এখানে?!!!!! কিভাবে?? আমি তোমাকে কতবার ফোন দিছি, ধরো নাই কেন? আমার কত কষ্ট হইছে তুমি জানো? আমি তোমাকে কত্ত ভালবাসি তুমি জানো না? আরে,তুমি ওই শাড়িটা পড়ছ??খুব সুন্দর লাগছে... আরে আরে,তুমি কাঁদছ কেন?'
রিয়া তাকিয়ে আছে মেয়েটার দিকে।সাথে সাথে রাতুল যা বুঝার বুঝে ফেলল। ' ও, এই কাহিনী? ম্যাডাম তাহলে এই কারনে কষ্ট পাইছে?' মেয়েটাকে দেখিয়ে বলল,' ও হল নিশাত, ওই গাধাটার বউ।' পাশে দাঁড়ানো অমিতকে দেখাল, 'ওরা কাল লুকিয়ে বিয়ে করে ফেলছে।আজ গাধাটা বলছে বউকে এখনই বাসায় নিতে পারবে না। মেয়েটা সকাল থেকেই কাঁদছে। ' আর কিছু শুনল না রিয়া,এগিয়ে এসে সবার সামনেই রাতুলের হাত ধরল।রাতুল হেসে অমিতকে বলল,'আমি আমার বউএর সাথে জাচ্ছি,খবরদার আজকে আর আমাকে জ্বালাবি না।তুই তোর বউ সামলা। আরেকটু হলেই আমার ১২ টা বাজায় দিছিলি, ব্যাটা ফাজিল। ' অমিত ওদেরকে best of luck জানিয়ে চলে গেল। রাতুল রিয়ার দিকে তাকিয়ে বলল,' এই মেয়ে,তোমার চোখে কি সমস্যা হইছে? শুনি? চলো ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাই। খারাপ থাকলেও কাঁদো, এখনও কাদতেছ!! কাহিনী কি? আর হাতের নখ তো বানাইছ মাশাল্লাহ বিশাল বিশাল। একটু আস্তে হাত ধরো ব্যথা পাচ্ছি তো।' রিয়া আরও জোরে ধরে বলল,'আমি আরও জোরে ধরব,একশ বার ধরব,হাজার বার ধরবো ,তোমার কি? আর আমার কাছে first aid আছে। কেটে গেলেও সমস্যা নাই,বুঝছ??
ওর কেন এত খারাপ লাগবে? দুইদিন হয়ে গেল একবার তো ফোনও দিল না। ঢাকায় architecture এ পড়ে রাতুল। সামনের সপ্তাহেই ওদের anniversary,সব প্ল্যান করা ছিল।রাতুল আসবে চুয়েটে,রিয়া পড়বে রাতুলের দেয়া নীল শাড়ি আর রাতুল পড়বে রিয়ার দেয়া পাঞ্জাবিটা। কি থেকে কি হয়ে গেল!! মানতেই পারছে না রিয়া।
রাতুলের সাথে রিয়ার পরিচয়টা অদ্ভুতভাবে হয়েছিল।S.S.C পরীক্ষার দুইদিন পরেই ওদের ফোনে যোগাযোগ হয়, দুইজনই মফস্বল শহরের।পরিক্ষা নিয়ে কথা বলতে বলতেই ওদের বন্ধুত্ব হয়ে যায়। আস্তে আস্তে ভাল লাগা বাড়তে থাকে। H.S.C পরীক্ষার পর দুইজনই ঢাকায় আসে কোচিং করতে। এরপর নিয়মিতই দেখা হতে থাকে। একদিন রাতুল রিয়াকে বলে ফেলে ওর মনের কথা,রিয়াও যেন এর অপেক্ষাতেই ছিল।শুরু হয় ওদের একসাথে পথচলা। প্রতিদিন কোথাও না কোথাও ঘুরতে জাওয়া,সারারাত ফোনে কথা বলা,কি অদ্ভুত সুন্দরই না ছিল দিনগুলো। ভাবতে ভাবতে রিয়ার চোখে পানি চলে আসে। কিভাবে থাকবে ও রাতুলকে ছাড়া? জীবনের সবকিছুই তো ও ভেবে রেখেছে রাতুলকে নিয়ে।
Long distance relationship maintain খুবই কঠিন,রিয়া চুয়েটে ভর্তি হওয়ার পর সবাই এই কথাই বলেছিল। ওরা এসব কথাকে পাত্তা দেয় নাই,ভেবেছিল সবাইকে দেখিয়ে দিবে। কিন্তু আজ তো ওদের কথাই ঠিক হল। ভুল কি শুধু রাতুলেরই ছিল? ওর কি কোন ভুল ছিল না? ও কি পারতোনা একটু কষ্ট করে মানিয়ে নিতে? varsity life শুরু হওয়ার পরই রাতুল কেমন যেন হয়ে গেল।দেখা হয় না, পড়াশুনা নিয়ে ব্যস্ততার জন্য রিয়াকে ঠিকমতো সময় দেয় না,আগের মত কেয়ার নেয় না,সব মিলিয়ে প্রব্লেম লেগেই থাকত। ৭ দিনও ওরা ভালভাবে থাকতে পারত না।তাই শেষে রিয়াই বলল ' আমাদের আলাদা হয়ে যাওয়া উচিত।' রিয়া ভেবেছিল রাতুল ওকে বাধা দিবে, ভুলগুলো শুধরে নিবে। কিন্তু রাতুল তো ওকে ছেড়ে দিল। দুইটা দিন হয়ে গেল একটু খোঁজও নিল না। ওর কি একটুও কষ্ট হয় না? কিন্তু রিয়া তো পারছে না, ওর রাতুলকে লাগবেই।
হঠাৎই রিয়ার ফোন বেজে উথল,রাতুলের নামটা দেখে খুশিতে আত্মহারা হয়ে গেল,কিন্তু অভিমানে ফোনটা ধরল না। ভাবল এখন যদি এভাবে ঠিক হয় তাহলে প্রব্লেমগুলো আবার হবে।রিয়া সিদ্ধান্ত নিল কিছুদিন সময় নিবে ও ।এর মাঝে একজন আরেকজনের প্রয়োজনটা বুঝুক। তারপর রিয়াই যাবে ঢাকা, ওদের anniversary এর দিনেই,রাতুলের দেয়া শাড়িটা পরেই। তাকে দেখে কি চমকানোটাই না চমকাবে রাতুল,ভাবতেই হেসে ফেলল।
এই কয়টা দিন যেন কাটছেই না। রাতুলও কয়দিন ধরে অসংখ্য ফোন,sms দিচ্ছে।রিয়া কোন reply দেয় নাই,কিন্তু ও ঠিকই বুঝতে পারছে যে রাতুলেরও ওর মতই কষ্ট হচ্ছে। Finally আসলো সেই দিন...রাতের বাস এ উঠল রিয়া,খুব সেজেছে আজ।রাতুল কি করবে ওকে দেখে ভাবতেই মজা লাগছে। মনে মনে বলল আর একটু অপেক্ষা কর। সকালে বাস থেকে নেমে সোজা রাতুলের varsity গেল।রাতুলের ক্লাসের দিকেই যাচ্ছে,হঠাৎই একটা couple দেখে স্তব্ধ হয়ে গেল রিয়া। একটা গাছের নীচে রাতুল আর একটা মেয়ে বসে আছে,রাতুল মেয়েটার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।আর কিছু ভাবতে পারছে না রিয়া,আর কিছু দেখতেও পারছে না। চোখ ঝাপসা হয়ে গেছে।কিন্তু এটা কিভাবে সম্ভব? ওর রাতুল আরেকটা মেয়ের সাথে!!!! কিভাবে সম্ভব?? তাও আবার আজকের দিনে!! রিয়ার চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছা করছে। ও লুকিয়ে লুকিয়ে সরে যাচ্ছে যাতে রাতুল ওকে দেখে না ফেলে। আজই চলে যাবে ও,আর কোনদিনই রাতুলের সামনে পড়বে না,এসব ভাবছে আর চোখের পানি লুকানোর চেষ্টা করছে। হঠাৎ পেছন থেকে রিয়া ভাবি বলে কে যেন চিৎকার দিয়ে উঠল।তাকিয়ে দেখে রাতুলের বন্ধু। চিৎকার শুনে রাতুলও এগিয়ে আসছে,রিয়াকে দেখে সারা varsity কাঁপিয়ে চিৎকার করে উঠল 'রিয়াআআআআআআআআআআআআআআআ...... আমি তোমাকে ভালবাসি ভালবাসি ভালবাসি।'
এরপর রিয়া কিছু বুঝে উঠার আগেই অনবরত কথা বলা শুরু করল,খুশিতে কথা আটকে যাচ্ছে,'তুমি এখানে?!!!!! কিভাবে?? আমি তোমাকে কতবার ফোন দিছি, ধরো নাই কেন? আমার কত কষ্ট হইছে তুমি জানো? আমি তোমাকে কত্ত ভালবাসি তুমি জানো না? আরে,তুমি ওই শাড়িটা পড়ছ??খুব সুন্দর লাগছে... আরে আরে,তুমি কাঁদছ কেন?'
রিয়া তাকিয়ে আছে মেয়েটার দিকে।সাথে সাথে রাতুল যা বুঝার বুঝে ফেলল। ' ও, এই কাহিনী? ম্যাডাম তাহলে এই কারনে কষ্ট পাইছে?' মেয়েটাকে দেখিয়ে বলল,' ও হল নিশাত, ওই গাধাটার বউ।' পাশে দাঁড়ানো অমিতকে দেখাল, 'ওরা কাল লুকিয়ে বিয়ে করে ফেলছে।আজ গাধাটা বলছে বউকে এখনই বাসায় নিতে পারবে না। মেয়েটা সকাল থেকেই কাঁদছে। ' আর কিছু শুনল না রিয়া,এগিয়ে এসে সবার সামনেই রাতুলের হাত ধরল।রাতুল হেসে অমিতকে বলল,'আমি আমার বউএর সাথে জাচ্ছি,খবরদার আজকে আর আমাকে জ্বালাবি না।তুই তোর বউ সামলা। আরেকটু হলেই আমার ১২ টা বাজায় দিছিলি, ব্যাটা ফাজিল। ' অমিত ওদেরকে best of luck জানিয়ে চলে গেল। রাতুল রিয়ার দিকে তাকিয়ে বলল,' এই মেয়ে,তোমার চোখে কি সমস্যা হইছে? শুনি? চলো ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাই। খারাপ থাকলেও কাঁদো, এখনও কাদতেছ!! কাহিনী কি? আর হাতের নখ তো বানাইছ মাশাল্লাহ বিশাল বিশাল। একটু আস্তে হাত ধরো ব্যথা পাচ্ছি তো।' রিয়া আরও জোরে ধরে বলল,'আমি আরও জোরে ধরব,একশ বার ধরব,হাজার বার ধরবো ,তোমার কি? আর আমার কাছে first aid আছে। কেটে গেলেও সমস্যা নাই,বুঝছ??
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন