অভিনয়ের প্রতি অর্ষার ভালোবাসাটা একটু অন্যরকম বলা যায়। বেশি বেশি নাটকে কাজ করার চেয়ে তিনি মানসম্পন্ন অভিনয়ের বিষয়েই সচেতন। তাই তো অনেক নাটকে অভিনয়ের প্রস্তাব থাকলেও বুঝেশুনেই হাতে কাজ নেন। বর্তমানে দুইটি চ্যানেলে তার দুইটি ধারাবাহিক নাটক প্রচার হচ্ছে। তাকে
নিয়ে লিখেছেন খালেদ আহমেদ
ছোটবেলা থেকে মিডিয়ার কাজ করার ইচ্ছা ছিল বলেই ২০০৯ সালে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন অর্ষা। এরপর যখন শত শত প্রতিযোগীকে ছাড়িয়ে যেতে থাকলেন, তখন নিজের প্রতি তার আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেল। তাই সাফল্যের দোরগোঁড়ায় পৌঁছুতে পরিশ্রম করতে থাকলেন। সেই পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের ফসল হিসেবে ওই প্রতিযোগিতায় শীর্ষ দশে নিজেকে তুলে ধরেন অর্ষা। তার ভাষ্যে, 'লাক্সের অভিজ্ঞতা আসলে বুঝিয়ে বলতে পারব না। আমার জীবনের সবচেয়ে ভালো অভিজ্ঞতা হলো লাক্স। ওখানে গিয়েই আমি নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কার করি। বিশেষ করে গ্রুমিং সেশনটা ছিল অনেক শেখার। আমার মনে হয়, লাক্স থেকে বের হয়ে কেউ এই অভিজ্ঞতা ভুলতে পারবে না। সত্যি বলতে কি, লাক্সের প্ল্যাটফর্মের জন্য আমাকে মিডিয়ার কাজ করতে সেভাবে স্ট্রাগল করতে হয়নি।' বর্তমানে দুইটি চ্যানেলে তার দুইটি ধারাবাহিক নাটক প্রচার হচ্ছে। এগুলো হলো—এনটিভিতে '৯৯ সাহেব বাড়ি লেন' ও এসএ টিভিতে 'রান্নাবাড়ি'।, টেলিফিল্মের কাজ। এ ছাড়া অভিনয় করছেন 'প্রক্সি' ও 'অসমাপ্ত গল্প' নামের নাটকে। অর্ষার কাজের ঝুলিতে বেশকিছু দর্শকনন্দিত বিজ্ঞাপনও রয়েছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—'মোজো এনার্জি ড্রিংক', 'হুইল পাউডার', 'মার্শাল ফ্রিজ', 'নাম্বার ওয়ান কনডেন্স মিল্ক' ইত্যাদি। অভিনয় কিংবা মডেলিং কোনোটি নিয়েই আমার তেমন উচ্চাশা নেই অর্ষার। তার ভাষ্যে, 'ভালো লাগলে এখন যেমন করছি, তেমনভাবেই কাজ করব। সুনির্দিষ্ট কোনো টার্গেট নেই। আমাকে অমুক জায়গায় পৌঁছাতে হবে, এটা করতে হবে, সেটা করতে হবে, এসব কিছুই আমি ভাবি না।' লাক্স-সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অর্ষা আলোচনায় এলেও মিডিয়ার আসার গল্পটা তার পুরোনো। তিনি বলেন, 'অভিনয়, নাচ কিংবা অন্য কোনো কিছুর সঙ্গেই কোনো কালে আমার সখ্যতা ছিল না। আর দশজন সাধারণ তরুণীর মতোই মিডিয়ায় কাজ করতে ইচ্ছে করত। জনপ্রিয়তা পেতে ইচ্ছে করত। অভিনয় করতে ইচ্ছে করত। স্কুল-কলেজে কালচারাল ফাংশনগুলোতে অংশ নেওয়ায় এই ইচ্ছে আরও বেড়ে যায়। এক সময় মিডিয়ায় টুকটাক কাজ শুরু করি। নিজের সামান্য একটু অবস্থান তৈরি করতে অনেকের কাছে সুযোগের জন্য গিয়েছি। তাতে কেবল সময়ই নষ্ট হয়েছে। সবাই তখন আমাকে একটা পরামর্শই দেয়, লাক্স-সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় নাম লেখানোর। অনেকে এমনও বললেন, এভাবে ঘুরলে জীবনটাই কেটে যাবে। তারচেয়ে প্রতিযোগিতায় নাম লেখালে কিছু হলেও হতে পারে। এতসব ভেবেই প্রতিযোগিতায় নাম লেখানো। এখন মিডিয়ায় ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে সময় কাটছে। প্রতিযোগিতা থেকে এটাই আমার প্রাপ্তি।' তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হলো—কাফী বীরের 'দ্বন্দ্ব', মাসুদ সেজানের 'স্বপ্নসহচরী', আরিফ খানের 'ক্রস অ্যাকশন' ও আফজাল হোসেনের 'আমার কথাটি ফুরোলো', হোসাইন মোহাম্মদ বেলালের 'তরঙ্গিণী' প্রভৃতি। এরই মধ্যে রুপালি পর্দায় নাম লিখিয়েছেন লাক্স তারকা নাজিয়া হক অর্ষা। আবীর শ্রেষ্ঠর কাহিনি, চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় ছবিটির নাম 'ফেরারি ফানুস'। 'আসলে সিনেমায় কাজ করার একটা চিন্তা ছিল। কিন্তু এত তাড়াতাড়ি যে সেটা শুরু হবে, তা ছিল একেবারে ধারণার বাইরে। তাই একটু বেশি ভালো লাগছে বলতে পারেন। তা ছাড়া ছবিটির গল্প যখন পরিচালক আবীর ভাই আমাকে শোনান, তখন খুব ভালো লাগে। আমার মতে গল্পটা এই সময়েরই। তাই অনেকটা নির্দ্বিধায় রাজি হয়ে গেছি বলতে পারেন। ইতোমধ্যে ছবির শুটিং বেশির ভাগ শেষ হয়েছে। সেই সাথে নতুন অনেক ছবির অফার পাচ্ছি। তবে গল্প ও চরিত্র পছন্দ না হওয়ায় রাজি হচ্ছি না।' ভবিষ্যতের ভাবনার কথা জানতে চাইলে এই লাক্সসুন্দরী বলেন, 'বুঝে শুনে পথ চলতে চাই। অল্প কাজ করলেও মানসম্পন্ন কাজ করতে চাই। আর ভালো অভিনয়ের মধ্য দিয়ে দর্শকের মনে স্থান করে নিতে চাই।'
নিয়ে লিখেছেন খালেদ আহমেদ
ছোটবেলা থেকে মিডিয়ার কাজ করার ইচ্ছা ছিল বলেই ২০০৯ সালে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন অর্ষা। এরপর যখন শত শত প্রতিযোগীকে ছাড়িয়ে যেতে থাকলেন, তখন নিজের প্রতি তার আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেল। তাই সাফল্যের দোরগোঁড়ায় পৌঁছুতে পরিশ্রম করতে থাকলেন। সেই পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের ফসল হিসেবে ওই প্রতিযোগিতায় শীর্ষ দশে নিজেকে তুলে ধরেন অর্ষা। তার ভাষ্যে, 'লাক্সের অভিজ্ঞতা আসলে বুঝিয়ে বলতে পারব না। আমার জীবনের সবচেয়ে ভালো অভিজ্ঞতা হলো লাক্স। ওখানে গিয়েই আমি নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কার করি। বিশেষ করে গ্রুমিং সেশনটা ছিল অনেক শেখার। আমার মনে হয়, লাক্স থেকে বের হয়ে কেউ এই অভিজ্ঞতা ভুলতে পারবে না। সত্যি বলতে কি, লাক্সের প্ল্যাটফর্মের জন্য আমাকে মিডিয়ার কাজ করতে সেভাবে স্ট্রাগল করতে হয়নি।' বর্তমানে দুইটি চ্যানেলে তার দুইটি ধারাবাহিক নাটক প্রচার হচ্ছে। এগুলো হলো—এনটিভিতে '৯৯ সাহেব বাড়ি লেন' ও এসএ টিভিতে 'রান্নাবাড়ি'।, টেলিফিল্মের কাজ। এ ছাড়া অভিনয় করছেন 'প্রক্সি' ও 'অসমাপ্ত গল্প' নামের নাটকে। অর্ষার কাজের ঝুলিতে বেশকিছু দর্শকনন্দিত বিজ্ঞাপনও রয়েছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—'মোজো এনার্জি ড্রিংক', 'হুইল পাউডার', 'মার্শাল ফ্রিজ', 'নাম্বার ওয়ান কনডেন্স মিল্ক' ইত্যাদি। অভিনয় কিংবা মডেলিং কোনোটি নিয়েই আমার তেমন উচ্চাশা নেই অর্ষার। তার ভাষ্যে, 'ভালো লাগলে এখন যেমন করছি, তেমনভাবেই কাজ করব। সুনির্দিষ্ট কোনো টার্গেট নেই। আমাকে অমুক জায়গায় পৌঁছাতে হবে, এটা করতে হবে, সেটা করতে হবে, এসব কিছুই আমি ভাবি না।' লাক্স-সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অর্ষা আলোচনায় এলেও মিডিয়ার আসার গল্পটা তার পুরোনো। তিনি বলেন, 'অভিনয়, নাচ কিংবা অন্য কোনো কিছুর সঙ্গেই কোনো কালে আমার সখ্যতা ছিল না। আর দশজন সাধারণ তরুণীর মতোই মিডিয়ায় কাজ করতে ইচ্ছে করত। জনপ্রিয়তা পেতে ইচ্ছে করত। অভিনয় করতে ইচ্ছে করত। স্কুল-কলেজে কালচারাল ফাংশনগুলোতে অংশ নেওয়ায় এই ইচ্ছে আরও বেড়ে যায়। এক সময় মিডিয়ায় টুকটাক কাজ শুরু করি। নিজের সামান্য একটু অবস্থান তৈরি করতে অনেকের কাছে সুযোগের জন্য গিয়েছি। তাতে কেবল সময়ই নষ্ট হয়েছে। সবাই তখন আমাকে একটা পরামর্শই দেয়, লাক্স-সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় নাম লেখানোর। অনেকে এমনও বললেন, এভাবে ঘুরলে জীবনটাই কেটে যাবে। তারচেয়ে প্রতিযোগিতায় নাম লেখালে কিছু হলেও হতে পারে। এতসব ভেবেই প্রতিযোগিতায় নাম লেখানো। এখন মিডিয়ায় ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে সময় কাটছে। প্রতিযোগিতা থেকে এটাই আমার প্রাপ্তি।' তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হলো—কাফী বীরের 'দ্বন্দ্ব', মাসুদ সেজানের 'স্বপ্নসহচরী', আরিফ খানের 'ক্রস অ্যাকশন' ও আফজাল হোসেনের 'আমার কথাটি ফুরোলো', হোসাইন মোহাম্মদ বেলালের 'তরঙ্গিণী' প্রভৃতি। এরই মধ্যে রুপালি পর্দায় নাম লিখিয়েছেন লাক্স তারকা নাজিয়া হক অর্ষা। আবীর শ্রেষ্ঠর কাহিনি, চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় ছবিটির নাম 'ফেরারি ফানুস'। 'আসলে সিনেমায় কাজ করার একটা চিন্তা ছিল। কিন্তু এত তাড়াতাড়ি যে সেটা শুরু হবে, তা ছিল একেবারে ধারণার বাইরে। তাই একটু বেশি ভালো লাগছে বলতে পারেন। তা ছাড়া ছবিটির গল্প যখন পরিচালক আবীর ভাই আমাকে শোনান, তখন খুব ভালো লাগে। আমার মতে গল্পটা এই সময়েরই। তাই অনেকটা নির্দ্বিধায় রাজি হয়ে গেছি বলতে পারেন। ইতোমধ্যে ছবির শুটিং বেশির ভাগ শেষ হয়েছে। সেই সাথে নতুন অনেক ছবির অফার পাচ্ছি। তবে গল্প ও চরিত্র পছন্দ না হওয়ায় রাজি হচ্ছি না।' ভবিষ্যতের ভাবনার কথা জানতে চাইলে এই লাক্সসুন্দরী বলেন, 'বুঝে শুনে পথ চলতে চাই। অল্প কাজ করলেও মানসম্পন্ন কাজ করতে চাই। আর ভালো অভিনয়ের মধ্য দিয়ে দর্শকের মনে স্থান করে নিতে চাই।'
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন