কিছুদিন ধরে কলমে লেখা আসছে না। তাই কলম বেয়ে
পড়ছে আমার না বলা কষ্ট গুলো। শুনেছি কষ্টের কান্নার রং নীল হয়। তবে কেন
বেরিয়ে পড়া কালি আজ লাল রংয়ে সিক্ত হয়ে হয়েছে রক্তাক্ত ... ???
বিন্দু বিন্দু ঘামের মাঝে আজও আমি তার সেদিনের দীর্ঘনিশ্বাস শুনতে পাই। রক্তাক্ত হয়ে শুয়ে থাকা তার পলকহীন
চোখে আমার দেখা সেদিনের দুটো অনুজ্জ্বল তারা। ধীরে ধীরে নিভে গিয়েছিল আমার চোখের সামনেই। আজ ও আমি আকাশে চেয়ে থাকি সেই দুটি সন্ধ্যা তারার অপেক্ষায়।
মাঝে মাঝে আনমনে খুজেঁ যাই। নিজেই হারিয়ে যাই মাটির সাড়ে তিন হাত নিচে যেখানে নিভে যাওয়া তারাগুলো আমায় ডাকছে। সেই ডাকার মাঝে কেবলই কষ্টের ছায়া আর কান্নার মায়া ...।।
ক্রিং ক্রিং ক্রিং ......
রাত ১.২৭ মিনিট। ১টা ২টা ৩টা কল আসলো, রিসিভ করিনি। কারন নাম্বারটা পরিচিত। কারন যেটা থেকে আমি দূরে থাকতে চাই সেটাই আমাকে ঘিরে থাকে। ফোনটা সাইলেন্ট করে বালিশের নিচে রেখে দিলাম। তখন ইউটিউবে ১টা ইন্ডিয়ান প্রোগ্রাম দেখছিলাম। শুরুতে খুব মনোযোগ থাকলেও এখন আর মন বসাতে পারছিনা বিন্দুমাত্র। কেন জানি বালিশের নিচ থেকে ফোনটা বের করে দেখতে ইচ্ছে করছে এখনও কি ফোন আসছে ... ??? হম, তাই করলাম। ফোন দেখে আমি তাজ্জব বনে গেলাম। ১৪ মিনিটে ৩৯ টা মিস কল। ফোনটা হাতে থাকা অবস্থাতেই আবার ফোন। এখন আর না রিসিভ করে থাকতে পারলাম না।
ফর্মালিটি কথা বার্তা শেষে জিজ্ঞাসা করলাম হটাত করে এত রাতে ফোন কেন ??? উত্তরটাও ফর্মালিটি স্বরূপ আসলো, এইতো এমনিই। কেন ডিস্টার্ব করলাম বুঝি ... ??? না ঠিক তা না, একটু সারপ্রাইস হলাম এত রাতে ফোন দেখে। আগে ফোন রিসিভ না করার কারন জিজ্ঞাসা করলে বলে দিলাম, সরি কিচেনে ছিলাম আর ফোন ওপরে রুমে ছিল। হুম ......।।
আজ আমার দেয়া স্ট্যাটাস টা দেখে আমাকে ফোন করেছো, তাই না ... !!! লিখেছিলাম, “ওয়েটিং ফর নাইনথ জুন”। আজ তো সেই দিন, তাহলে কি বলবে কেন অপেক্ষা করছো ৯ই জুনের জন্য ... ???
হা, আজ ৯ই জুন। তোমার সাথে ব্রেকাপ হবার ১ বছর পূর্ণ হল আজ। জীবনের অনেক চাওয়া পাওয়া ছিল তোমাকে নিয়ে। কিন্তু আজ সেটা অসম্ভভ। ২০১০ সালের ১৪ই এপ্রিল থেকে ২০১১ সালের ৯ই জুন পর্যন্ত আমার জীবনের সবকিছুর অংশীদার ছিলে তুমি। আর তারপর আর নেই ......।। এখন কোথায় তুমি আর কোথায় আমি ... ??? জীবন আমার সাথে অনেক খেলা খেলেছে, অনেক কিছু শিখিয়েছে, অনেক কিছু দেখিয়েছে আর সেই সবকিছুর মূলে ছিলে তুমি। সেই জন্য কি তোমাকে দোষারুপ করবো নাকি ক্রেডিট দিবো ঠিক বুঝে ওঠতে পারছিনা।
জানো, ভাগ্য বলে আমি কখনো কিছু বিশ্বাস করতাম না। আমি বিশ্বাস করি মানুষই নিজের ভাগ্য তৈরী করে কিন্তু কেন যেন মাঝে মাঝে মনে হয় ভাগ্য বলে একটা জিনিস আছে এবং খুব বিশ্বাস করতে মন চায়। আর এর মূল কারন হল নিজের সাথে ঘটে যাওয়া কারণগুলো। ভাগ্য যদি সত্যিই আমার সাথে থাকতো তাহলে কেন তোমাকে পেয়েও হারিয়ে আজও আমি একা ... ???
এই ব্যস্ত জীবনে একটা কাঁধের খুব দরকার হয় মাঝে মাঝে, যেখানে মাথা রেখে নিজের সব চিন্তা ভাবনা দূর করে একটু স্বস্তি পাওয়া যায়। একটা হাতের খুব দরকার হয়, যে দুঃসময়ে আমার হাত আলতো করে চেপে ধরবে। যেন নীরবে বলা - "আমি আছি "। এক জোড়া চোখের দরকার হয় যে চোখে আমাকে দেখতে পাবো। যে চোখে লেখা থাকবে - "ভালবাসি।" এর সবইতো ছিল তোমাকে নিয়ে আমার। তাহলে কেন কাঁধটা সরিয়ে নিলে আমার মাথার নিচ থেকে, হাতটা কেন টেনে নিলে আমার হাতের ওপর থেকে ??? আর না বলা কথাগুলো ...।। কাকে বলবো আজ সেই কথাগুলো নিজের খুনসুটি চাপা রেখে ... ???
তুমি শেয়ার করলে তোমার অনুভূতির কথা। জানালে তোমার দুঃখগুলোর কথা। কিছু প্রশ্ন করলে যেগুলোর কোনো সদুত্তর আমার কাছে ছিল না। আমি কেবল একটা সত্যই স্বীকার করেছি, ভুল আমার ছিল, আর তুমি আমার কাছে এক মূহুর্তের জন্যও মূল্যহীন ছিলে না। কিন্তু তোমার কথার বিষয় আমাকে নিয়ে ছিল না। যদি হতো, তাহলে কতই না ভালো হতো। আমি জানতাম, আজ আরও ভালোভাবে জানলাম, তুমি আমাকে আর ভালোবাসো না। তোমার মনে এখন অন্য কেউ। তুমি এখন অন্য কারো। সে তোমার থাকুক বা না থাকুক, তুমি থাকবে তারই। ঠিক সেই কথা, যা আমি গত কতগুলো মাস ধরে বলে আসছি। এমনকি তোমার সামনে থেকে শেষবারের মতো চলে আসার সময়ও এগুলোই ছিল তোমাকে বলা আমার শেষ কথা।
একটা জিনিস কি জানো, তুমি যখন আমার সঙ্গে ছিলে, তখন কোনো কারণে তুমি ফোনে কাঁদলে আমি খুবই আপসেট হয়ে যেতাম। আমার মনে হতো আমি পারি না তোমার কান্না থামিয়ে তোমাকে হাসাতে। তাই আপসেট হয়েই তোমার সঙ্গে কথা বলে যেতাম। বলতে লজ্জা লাগতো তাই কখনো বলিনি, শুরু থেকে যতবার তুমি কোনো কারণে ফোনে কেঁদেছো, ততোবারই আমার কান্না পেয়েছে ফোন রাখার পর। আজ অবাক হলাম, এতোগুলো দিন পরেও আমার কোনো পরিবর্তন হলো না। তুমি কাঁদলে, কীভাবে কী বলে সান্তনা দিবো বুঝতে পারলাম না। কখনো ফোন করতে না করে ফোন রেখে দিলে, তারপর তোমার কান্নার শব্দগুলো কানে ভাসতে থাকলো। কোত্থেকে যেন কান্না এসে ভর করলো আমার উপর।
আমি জানি না এই কান্না কেন। তুমি আর আমার সঙ্গে নেই এ জন্য ??? আমি সবসময়ই চেয়েছি তুমি আমার সঙ্গে থাকো বা না থাকো তুমি যেন অসুখী না থাকো, কিন্তু তবু তুমি অসুখী, এ জন্য ??? নাকি স্রেফ তুমি কেঁদেছো, এ জন্য ? এর উত্তর আমার জানা নেই ...।।
নিজেকে সান্তনা দিতে বারান্দায় গেলাম। কিছুদিন আগে বড় একটা চাঁদ দেখেছিলাম আকাশে। মন খারাপ থাকলে চাঁদের দিকে তাকিয়ে থাকলে মন ভালো না হলেও কান্না কিছুটা কমানো যায়। কিন্তু আজ কোথাও চাঁদকে খুঁজে পেলাম না। আমার কষ্ট দেখার যেমন তুমি নেই, কান্না থামানোর মতোও তেমনি চাঁদ যেন চলে গেছে অনেক দূরে কোথাও। তবুও অপেক্ষা করি চাঁদের। তবুও অপেক্ষা করি তোমার ...।।
আজ তোমাকে বলতে ইচ্ছে করছে, আমার খুশির কারণ তোমার সঙ্গে কথা বলতে পারা। যেভাবেই হোক, যত কম সময়ের জন্যই হোক, তোমার সঙ্গে কেবল কথা বলতে পেরে কতোটা সুখী মনে হয় নিজেকে তা বোঝানোর চেষ্টা তো দূরে থাক প্রকাশ করাই হয়তো বোকামী। আমি কেবল জানি, তুমি আমার জীবনে সবচেয়ে সেরা একজন মানুষ যাকে আমি পাশে পেয়েছি সব ধরনের পরিস্থিতিতে। এখন তুমি যদি আমার নাও হও, তবুও তুমি আমার কাছে ভালোবাসার আর সম্মানের পাত্র। ভালোবাসা আর সম্মান দু'টো তো একসঙ্গেই আসে, তাই না ... ???
ভালবাসা মানে কাউকে জয় করা নয় বরং নিজেই কারো জন্য হেরে যাওয়া। এটা জ্ঞানের গভীরতা দিয়ে হয়না, হয় হৃদয় এর পবিত্রতা দিয়ে !!! পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত এবং আলোচিত শব্দ “ভালবাসা”। আমার জীবনের কোনো না কোনো সময় এই শব্দটির মুখোমুখি হয়েছি। শব্দটি উচ্চারণ করেছি। শুনতে চেয়েছি। বলতে চেয়েছি। অনুভব করেছি। ভালোবাসা কখনও কাঁদায়, কখন হাসায়, কেউ এর জন্য আত্মবিসর্জন দেয়। মানুষ কত ত্যাগ স্বীকার করে ভালোবাসার মানুষকে পাবার জন্য। আর আজ এই মুহূর্ত থেকে আমি ত্যাগ স্বীকার করলাম আমার ভালোবাসার মানুষের জন্য, সেটা শুধুই তুমি।
তুমি বৃষ্টির মতই ঝুম করে এসেছিল, ভিজিয়ে দিয়ে চলেও গেছো মেঘ হয়ে। ভিজে যাওয়া পৃথিবীটা হাতে নিয়ে, একা আমি বসে আছি, শেষ দিনের রুদ্ধশ্বাস প্রতীক্ষায়। যদিও চলে গেছো, অভিশাপ দিবো না তোমাকে। তবে, ভালো থেকো তুমি। আমি হয়তো ভালো থাকবো না। তাতে কষ্ট পেয়ো না তুমি। ভেবে নিও, কেউ কেউ জন্মগ্রহণ করে ভালো না থাকার জন্য, কারো কারো জন্মই হয় অপেক্ষায় থাকার জন্য।
এক জীবনে তো সবাই সব কিছু পায়না। আমিও না হয় সেই না পাওয়ার দলেই থাকলাম। এ জীবনে তুমি অন্য কারো কিন্তু পরজীবনে তোমার হাতটা আমি ছাড়ব না। মনে রেখো, চান্দু ...।।
বিন্দু বিন্দু ঘামের মাঝে আজও আমি তার সেদিনের দীর্ঘনিশ্বাস শুনতে পাই। রক্তাক্ত হয়ে শুয়ে থাকা তার পলকহীন
চোখে আমার দেখা সেদিনের দুটো অনুজ্জ্বল তারা। ধীরে ধীরে নিভে গিয়েছিল আমার চোখের সামনেই। আজ ও আমি আকাশে চেয়ে থাকি সেই দুটি সন্ধ্যা তারার অপেক্ষায়।
মাঝে মাঝে আনমনে খুজেঁ যাই। নিজেই হারিয়ে যাই মাটির সাড়ে তিন হাত নিচে যেখানে নিভে যাওয়া তারাগুলো আমায় ডাকছে। সেই ডাকার মাঝে কেবলই কষ্টের ছায়া আর কান্নার মায়া ...।।
ক্রিং ক্রিং ক্রিং ......
রাত ১.২৭ মিনিট। ১টা ২টা ৩টা কল আসলো, রিসিভ করিনি। কারন নাম্বারটা পরিচিত। কারন যেটা থেকে আমি দূরে থাকতে চাই সেটাই আমাকে ঘিরে থাকে। ফোনটা সাইলেন্ট করে বালিশের নিচে রেখে দিলাম। তখন ইউটিউবে ১টা ইন্ডিয়ান প্রোগ্রাম দেখছিলাম। শুরুতে খুব মনোযোগ থাকলেও এখন আর মন বসাতে পারছিনা বিন্দুমাত্র। কেন জানি বালিশের নিচ থেকে ফোনটা বের করে দেখতে ইচ্ছে করছে এখনও কি ফোন আসছে ... ??? হম, তাই করলাম। ফোন দেখে আমি তাজ্জব বনে গেলাম। ১৪ মিনিটে ৩৯ টা মিস কল। ফোনটা হাতে থাকা অবস্থাতেই আবার ফোন। এখন আর না রিসিভ করে থাকতে পারলাম না।
ফর্মালিটি কথা বার্তা শেষে জিজ্ঞাসা করলাম হটাত করে এত রাতে ফোন কেন ??? উত্তরটাও ফর্মালিটি স্বরূপ আসলো, এইতো এমনিই। কেন ডিস্টার্ব করলাম বুঝি ... ??? না ঠিক তা না, একটু সারপ্রাইস হলাম এত রাতে ফোন দেখে। আগে ফোন রিসিভ না করার কারন জিজ্ঞাসা করলে বলে দিলাম, সরি কিচেনে ছিলাম আর ফোন ওপরে রুমে ছিল। হুম ......।।
আজ আমার দেয়া স্ট্যাটাস টা দেখে আমাকে ফোন করেছো, তাই না ... !!! লিখেছিলাম, “ওয়েটিং ফর নাইনথ জুন”। আজ তো সেই দিন, তাহলে কি বলবে কেন অপেক্ষা করছো ৯ই জুনের জন্য ... ???
হা, আজ ৯ই জুন। তোমার সাথে ব্রেকাপ হবার ১ বছর পূর্ণ হল আজ। জীবনের অনেক চাওয়া পাওয়া ছিল তোমাকে নিয়ে। কিন্তু আজ সেটা অসম্ভভ। ২০১০ সালের ১৪ই এপ্রিল থেকে ২০১১ সালের ৯ই জুন পর্যন্ত আমার জীবনের সবকিছুর অংশীদার ছিলে তুমি। আর তারপর আর নেই ......।। এখন কোথায় তুমি আর কোথায় আমি ... ??? জীবন আমার সাথে অনেক খেলা খেলেছে, অনেক কিছু শিখিয়েছে, অনেক কিছু দেখিয়েছে আর সেই সবকিছুর মূলে ছিলে তুমি। সেই জন্য কি তোমাকে দোষারুপ করবো নাকি ক্রেডিট দিবো ঠিক বুঝে ওঠতে পারছিনা।
জানো, ভাগ্য বলে আমি কখনো কিছু বিশ্বাস করতাম না। আমি বিশ্বাস করি মানুষই নিজের ভাগ্য তৈরী করে কিন্তু কেন যেন মাঝে মাঝে মনে হয় ভাগ্য বলে একটা জিনিস আছে এবং খুব বিশ্বাস করতে মন চায়। আর এর মূল কারন হল নিজের সাথে ঘটে যাওয়া কারণগুলো। ভাগ্য যদি সত্যিই আমার সাথে থাকতো তাহলে কেন তোমাকে পেয়েও হারিয়ে আজও আমি একা ... ???
এই ব্যস্ত জীবনে একটা কাঁধের খুব দরকার হয় মাঝে মাঝে, যেখানে মাথা রেখে নিজের সব চিন্তা ভাবনা দূর করে একটু স্বস্তি পাওয়া যায়। একটা হাতের খুব দরকার হয়, যে দুঃসময়ে আমার হাত আলতো করে চেপে ধরবে। যেন নীরবে বলা - "আমি আছি "। এক জোড়া চোখের দরকার হয় যে চোখে আমাকে দেখতে পাবো। যে চোখে লেখা থাকবে - "ভালবাসি।" এর সবইতো ছিল তোমাকে নিয়ে আমার। তাহলে কেন কাঁধটা সরিয়ে নিলে আমার মাথার নিচ থেকে, হাতটা কেন টেনে নিলে আমার হাতের ওপর থেকে ??? আর না বলা কথাগুলো ...।। কাকে বলবো আজ সেই কথাগুলো নিজের খুনসুটি চাপা রেখে ... ???
তুমি শেয়ার করলে তোমার অনুভূতির কথা। জানালে তোমার দুঃখগুলোর কথা। কিছু প্রশ্ন করলে যেগুলোর কোনো সদুত্তর আমার কাছে ছিল না। আমি কেবল একটা সত্যই স্বীকার করেছি, ভুল আমার ছিল, আর তুমি আমার কাছে এক মূহুর্তের জন্যও মূল্যহীন ছিলে না। কিন্তু তোমার কথার বিষয় আমাকে নিয়ে ছিল না। যদি হতো, তাহলে কতই না ভালো হতো। আমি জানতাম, আজ আরও ভালোভাবে জানলাম, তুমি আমাকে আর ভালোবাসো না। তোমার মনে এখন অন্য কেউ। তুমি এখন অন্য কারো। সে তোমার থাকুক বা না থাকুক, তুমি থাকবে তারই। ঠিক সেই কথা, যা আমি গত কতগুলো মাস ধরে বলে আসছি। এমনকি তোমার সামনে থেকে শেষবারের মতো চলে আসার সময়ও এগুলোই ছিল তোমাকে বলা আমার শেষ কথা।
একটা জিনিস কি জানো, তুমি যখন আমার সঙ্গে ছিলে, তখন কোনো কারণে তুমি ফোনে কাঁদলে আমি খুবই আপসেট হয়ে যেতাম। আমার মনে হতো আমি পারি না তোমার কান্না থামিয়ে তোমাকে হাসাতে। তাই আপসেট হয়েই তোমার সঙ্গে কথা বলে যেতাম। বলতে লজ্জা লাগতো তাই কখনো বলিনি, শুরু থেকে যতবার তুমি কোনো কারণে ফোনে কেঁদেছো, ততোবারই আমার কান্না পেয়েছে ফোন রাখার পর। আজ অবাক হলাম, এতোগুলো দিন পরেও আমার কোনো পরিবর্তন হলো না। তুমি কাঁদলে, কীভাবে কী বলে সান্তনা দিবো বুঝতে পারলাম না। কখনো ফোন করতে না করে ফোন রেখে দিলে, তারপর তোমার কান্নার শব্দগুলো কানে ভাসতে থাকলো। কোত্থেকে যেন কান্না এসে ভর করলো আমার উপর।
আমি জানি না এই কান্না কেন। তুমি আর আমার সঙ্গে নেই এ জন্য ??? আমি সবসময়ই চেয়েছি তুমি আমার সঙ্গে থাকো বা না থাকো তুমি যেন অসুখী না থাকো, কিন্তু তবু তুমি অসুখী, এ জন্য ??? নাকি স্রেফ তুমি কেঁদেছো, এ জন্য ? এর উত্তর আমার জানা নেই ...।।
নিজেকে সান্তনা দিতে বারান্দায় গেলাম। কিছুদিন আগে বড় একটা চাঁদ দেখেছিলাম আকাশে। মন খারাপ থাকলে চাঁদের দিকে তাকিয়ে থাকলে মন ভালো না হলেও কান্না কিছুটা কমানো যায়। কিন্তু আজ কোথাও চাঁদকে খুঁজে পেলাম না। আমার কষ্ট দেখার যেমন তুমি নেই, কান্না থামানোর মতোও তেমনি চাঁদ যেন চলে গেছে অনেক দূরে কোথাও। তবুও অপেক্ষা করি চাঁদের। তবুও অপেক্ষা করি তোমার ...।।
আজ তোমাকে বলতে ইচ্ছে করছে, আমার খুশির কারণ তোমার সঙ্গে কথা বলতে পারা। যেভাবেই হোক, যত কম সময়ের জন্যই হোক, তোমার সঙ্গে কেবল কথা বলতে পেরে কতোটা সুখী মনে হয় নিজেকে তা বোঝানোর চেষ্টা তো দূরে থাক প্রকাশ করাই হয়তো বোকামী। আমি কেবল জানি, তুমি আমার জীবনে সবচেয়ে সেরা একজন মানুষ যাকে আমি পাশে পেয়েছি সব ধরনের পরিস্থিতিতে। এখন তুমি যদি আমার নাও হও, তবুও তুমি আমার কাছে ভালোবাসার আর সম্মানের পাত্র। ভালোবাসা আর সম্মান দু'টো তো একসঙ্গেই আসে, তাই না ... ???
ভালবাসা মানে কাউকে জয় করা নয় বরং নিজেই কারো জন্য হেরে যাওয়া। এটা জ্ঞানের গভীরতা দিয়ে হয়না, হয় হৃদয় এর পবিত্রতা দিয়ে !!! পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত এবং আলোচিত শব্দ “ভালবাসা”। আমার জীবনের কোনো না কোনো সময় এই শব্দটির মুখোমুখি হয়েছি। শব্দটি উচ্চারণ করেছি। শুনতে চেয়েছি। বলতে চেয়েছি। অনুভব করেছি। ভালোবাসা কখনও কাঁদায়, কখন হাসায়, কেউ এর জন্য আত্মবিসর্জন দেয়। মানুষ কত ত্যাগ স্বীকার করে ভালোবাসার মানুষকে পাবার জন্য। আর আজ এই মুহূর্ত থেকে আমি ত্যাগ স্বীকার করলাম আমার ভালোবাসার মানুষের জন্য, সেটা শুধুই তুমি।
তুমি বৃষ্টির মতই ঝুম করে এসেছিল, ভিজিয়ে দিয়ে চলেও গেছো মেঘ হয়ে। ভিজে যাওয়া পৃথিবীটা হাতে নিয়ে, একা আমি বসে আছি, শেষ দিনের রুদ্ধশ্বাস প্রতীক্ষায়। যদিও চলে গেছো, অভিশাপ দিবো না তোমাকে। তবে, ভালো থেকো তুমি। আমি হয়তো ভালো থাকবো না। তাতে কষ্ট পেয়ো না তুমি। ভেবে নিও, কেউ কেউ জন্মগ্রহণ করে ভালো না থাকার জন্য, কারো কারো জন্মই হয় অপেক্ষায় থাকার জন্য।
এক জীবনে তো সবাই সব কিছু পায়না। আমিও না হয় সেই না পাওয়ার দলেই থাকলাম। এ জীবনে তুমি অন্য কারো কিন্তু পরজীবনে তোমার হাতটা আমি ছাড়ব না। মনে রেখো, চান্দু ...।।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন