babyবিজ্ঞানীরা আশা করছেন তারা মানুষের বিশেষ করে মেয়েদের এক অদ্ভূত অনুভূতির কারণ অবশেষে খুঁজে পেয়েছেন। এটা হলো কোন নবজাতক বাচ্চাকে আদর করার নারীদের মনে কেন খেয়ে ফেলার ইচ্ছা জাগে!

মন্ট্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক জানান, নবজাতক শিশুদের শরীরের ঘ্রাণ মায়েদের উপর ঠিক একই রকম শারীরিক প্রভাব ফেলে, যেমনটা হয় আমাদের সামনে কোন সুস্বাদু খাবার রাখা হলে। মস্তিষ্কের অলফ্যাক্টরি লোবের মাধ্যমে অদৃশ্যভাবে ক্রিয়াশীল সংকেত মা ও তার সন্তানের মাঝে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আদান-প্রদান হয়। এ পরীক্ষায় দেখানো হয়, নবজাতক শিশুর শরীরের ঘ্রাণও এই সংকেত আদান-প্রদানের একটি অংশ। আর এটি মায়েদের স্নায়ুতন্ত্রে এক ধরণের উদ্দীপনা সৃষ্টি করে। মস্তিষ্কে একই ধরণের উদ্দীপনা কিংবা সংকেত আদান-প্রদান হয় যখন ক্ষুধার্ত অবস্থায় মানুষের সামনে কোন খাবার রাখা হয়। এমনকি একই রকম ঘটনা ঘটে যখন একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তি অনেক ক্ষণ পর তার প্রিয় মাদকের সন্ধান পায়।

গবেষকরা ১৫ জন নারীর দুটি দল গঠন করেন। এক দলের সন্তানদের বয়স ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে। আরেক দলের সদস্যরা এখনো মা হন নি। উভয় দলকেই নবজাতক শিশুর শরীরের ঘ্রাণ শোঁকানো হয়। দেখা গেল, নিজেদের সন্তান না হবার পরও প্রথম দল নারী যারা মা হয়েছেন, তাদের মস্তিষ্কে ডোপামাইন নিঃসরণের হার অনেক বেশি।। আর যারা মা হন নি তাদের মস্তিষ্কে এর নিঃসরণের হার তুলনামূলকভাবে কম। আর এই ডোপামাইন মানুষের অনেক ক্ষণ না পাওয়ার পর কোন জিনিস পাওয়ার আনন্দের অনুভূতির জন্য দায়ী।

গবেষণায় আরো দেখা গিয়েছে, নবজাতকের শরীরের ঘ্রাণ মা ও সন্তানের মাঝে একটি বিশেষ আত্মিক বন্ধন করে তোলে, যা শিশুটির বেড়ে ওঠার জন্য জরুরী। আর বিবর্তনের ধারায় নবজাতক সন্তানকে রক্ষার জন্য মায়েদের মাঝে এরকম আত্মিক বন্ধন তৈরি হওয়া খুবই জরুরি। এটি শিশুটিকে বিভিন্ন প্রতিকূল অবস্থা থেকে বেঁচে থাকতে সক্ষম করে তোলে। মন্ট্রিল বিশ্ববিদ্যালয়য়ে ডঃ জোহানেস ফ্রাসনেলি এই গবেষণাটি সম্পন্ন করেন। যদিও নবজাতকের শরীরের ঘ্রাণ পুরুষদের কিভাবে প্রভাবিত করে সেই ব্যপারে এখনো কোন গবেষণা পরিচালিত হয় নি। 
 
Top