মেয়েদের ফটো প্রেমের আড়ালে অবৈধ সেক্সে কুমারীত্ব হারাচ্ছে মেয়েরা। এটা পুরোনো ঘটনা। এখন যুবকদের প্রশ্ন আমি কি করে বুঝবো বিয়ের আগে আমার স্ত্রী অন্য কারো সাথে সেক্স করেছে কি না? এই বিষয়টি নিয়ে লিখে ছিলাম। কিন্তু দূঃখের বিষয়ে আমাকে আবারও লিখতে হচ্ছে।কারণ আমি আবারও নতুন বেশ কয়েকটি বাংলা সেক্স ভিডিও পেয়েছি। যার মধ্যে বেশির ভাগই ঢাকা থেকে সংগ্রহকৃত। তার মধ্যে আমাদের কলকাতারও আছে অনেক। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যম লেখালেখি করেও কোনো প্রতিকার পেলাম না।

বাধ্য হয়ে আমাকেই বার বার লেখতে হচ্ছে। নোংরামী করছে কয়েক জন? আর তা দেখছি আমরা। কথাটা ঠিক না দেখছে দুইটি দেশের সর্বজন। প্রেমিক প্রেমিকাদের এই সব নোংরা ভিডিও দেখে যুবকরা আমার কাছে প্রশ্ন করতে শুরু করেছে।

একটি প্রশ্ন শত শত যুবকরা করেছে। প্রশ্ন টি হল- আমি কি করে বুঝবো বিয়ের আগে আমার স্ত্রী অন্য কারো সাথে সেক্স করেছে কিনা?

এই রকম প্রশ্ন করবেই না কেনো? কোনো সভ্য সমাজের স্বামীই এই রকম ঘৃণাত্বক বিষয়টি মানতে পারবে না। এমন কি কোনো স্ত্রীও অন্য মেয়ের সাথে স্বামীর নোংরামী আচরণ মানতে পারে না। এই রকম কয়েকটি ঘটনা আমি নিজ চোখে দেখেছি।

আমি অবাক হয়েছি কয়েকটি ভিডিওর কথপকথন শুনে। এর ভিতর ২টি ভিডিওর আলাপচারিতা আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরছি।

এক. মামা তার ভাগ্নীকে বাসার গেটের সামনে দাঁড় করিয়ে বলতেছে তোর কামিজ উপরে তোল ছবি তুলবো। অথচ মামা তার ভাগ্নিকে ভিডিও করছে। ভাগ্নি তার মামার কথা শুনে কামিজ উপরে তুলে পেট ও এক জোড়া স্তন বের করে রাখলো। এরপর মামা তার ভাগ্নি কে বললো সেলোয়ার খুলতে। এ কথা শুনে ভাগ্নি তার মামাকে জিঞ্জাসা করলো মামা তুমি কি আবারো ভিডিও করতেছো? মামা বললো না ছবি তুলতেছি।

তারপর ভাগ্নি মামার কথায় সেলো্যার খুললো। এরপর মামা তার ভাগ্নিকে বললো পাও ২টা একটু ফাক করতে। ভাগ্নি মামার কথা শু্নে পাও ২ ফাক করলো। এবার মামা তার ক্যামেরা দিয়ে ভাগ্নির যৌনির ভিডিও করতে লাগলো। ভিডিও করে মামা তার ভাগ্নিকে বললো যে সুন্দর হয়েছে।

ভাগ্নি মহা খুশি হয়ে বলতে লাগলো দেখতে হবে না কার ভাগ্নি আমি। কই দেখি?

এখন চিন্তা করে করে দেখুন দুই বাংলা তথা ঢাকা কলকাতা কত বড় ডিজিটাল হয়েছে। এর চেয়ে অবাক হওয়ার বিষয় আছে কি আমার জানা নাই। আরও অবাক এই বারো তেরো বছরের মেয়েটির বুক দেখে। অথচ সতের আঠারো বছরের আপুরা জানতে চায় কিভাবে তার ছোট বুক বড় করবে?

যাক ভিডিও দেখে যা বুঝা গেল তা আমাদের কলকাতার চিত্র। ইতোমধ্যে আমি ওই এলাকটিও চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছি। তবে ভিডিওটি আমি সংগ্রহ করি ঢাকার এক গণমাধ্যম কর্মীর মাধ্যমে।

দুই. প্রেমিক প্রেমিকাকে জড়িয়ে চুমো দিতে লাগলো। হঠাৎ মেয়েটি কড়াভাষায় ছেলেটিকে বলতে লাগলো আমার কাপড় খুলতে কি তোমার কি কষ্ট হয়? তারপর নিজের কাপড় নিজেই সব খুলে লেংটা হইয়ে গেলো। ছেলেটি মোবাইলের ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও করতেছে সে মেয়েটিও জানে। এখন চিন্তা করে দেখুন মেয়েরা নোংরামীতে ছেলেদের চায়তে কতটুকু এগিয়ে? আমি এরকম ভিডিও দেখেছি যে প্রেমিক সহ প্রেমিকের বন্ধুরা ও একটি মেয়ের সাথে সেক্স করেছে। এবং তার বন্ধু ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও করতেছে তা মেয়ে টি দেখতেছে।

এখন চিন্তা করে দেখুন এই অতি আধুনিক ছেলে মেয়েরা কত নিচে নেমে গেছে। এই ভিডিও চিত্রটি যত সম্ভব ঢাকার কোন উচ্চবিত্ত এলাকার।

এখন আমার প্রশ্ন হল-এরা কি মানব সমাজের না কি অন্য কোন সমাজে? এতো ক্ষন তো ভিডিও কথার বললাম।

কিন্তু যেসব ঘটনা ভিডিও হয় না? সেই সব তো আমাদের চোখের আড়ালে রয়ে যাই।

এই সব নোংরামী দুনিয়ার কারো চোখে না পড়লেও এক জনের চোখে ঠিকই পড়ছে। সেদিন যার যার কৃত কর্মের হিসাব দিতে হবে। এবং তোমার হাত পাও দিয়ে আজ যা কিছুকি করছো সবই বলে দিবে কোনো কিছুই গোপন থাকবে না।

হে পুরুষ আজকে তুমি যে মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তার দেহকে লুটে পুটে খাচ্ছ? তার নগ্ন ভিডিও ধারণ করে বাজারে প্রকাশ করছো? এই মেয়েটি হয়তো কারো বোন না হয় কারো মেয়ে হবে। তো্মারো তো বোন আছে। বিয়ে করলে মেয়েও হবে। অন্য কেউ যদি তোমার অথবা মেয়েকে নিয়ে এই সমস্ত নোংরামী কাজ করে?

তখন তোমার কেমন লাগবে। তোমার সন্তান যখন দেখবে তুমি বিয়ের আগে অন্য মেয়ের সাথে এই নোংরামী করেছো? তখন সে তোমাকে কি ভাববে? একটু কি ভেবে দেখেছো? তুমি কেনো তোমার বোনের সম্মান নষ্ট করতেছো? তোমার কাছে তোমার বোনের অথবা মেয়ের ইজ্জত আছে? অন্য ভায়ের বা বাবার কাছেও আছে।

তুমি যদি সভ্য মানুষের ঘরে জন্ম নিয়ে থাক? তাহলে এই নোংরামীর পথ পরিহার করো। কারণ তুমিও এক মায়ের পেট হতে বের হয়ে এসেছো। আবার আরেক জনের মা কে ধর্ষণ করতেছো? তোমার বিবেক গেলো কোথাই? হে নারী আজ তুমি প্রেমের আড়ালে নিজের দেহকে গোপনে অন্যকে ভোগ করতে দিচ্ছো? তুমি কি ভেবেছো সে তো্মাকে বিয়ে করবে? সে যদি তোমাকেই বিয়েই করবে? তা হলে সে তো্মার সাথে বিয়ের আগে পথে ঘাটে সেক্স করবে কেনো? কারণ সে তো বিয়ের পরেই তো্মার সাথে এই সব করতে পারবে।

ঠিক আছে আমি মেনে নিলাম সে তো্মাকে বিয়েই করবে। তা হলে সে গোপনে তো্মার নগ্ন ভিডিও ধারন করবে কেনো? এর জবাব দেবে কি কেউ? অথবা তো্মার মা-বাবা অন্য কোনো ছেলের সাথে তোমার বিয়ে দিয়ে দিল? বাসর রাতে তো্মার স্বামী যখন জানতে পারবে বিয়ের আগে তুমি অন্য কারো সাথে সেক্স করেছো? অথবা তো্মার গোপন নগ্ন ভিডিও ক্লিপটি তোমার স্বমীর হাতে আসবে? তখন তো্মার কি হবে একটু ভেবে দেখেছো? যত ঝাটার জুতার বাড়ি আছে? একটিও মাটিতে পড়বে না সব তোমার কপালে এসে পড়বে।

এছাড়াও একটি কথা মনে রাখা উচিত এই দেহের মালিক তুমি না তো্মার স্বামীর। তোমার দেহ ভোগ করার সম্পূর্ণ অধিকার তোমার স্বামীর। অন্য কারোর নেই। স্বামীর অধিকার লঙ্গন করার দ্বায়ে তো্মাকে জাহান্নামে যেতে হবে।

এসব মেয়েদের তুলনায় পতিতারা অনেক ভালো বলেই আমি জানি। যদিও তার দেহকে টাকার বিনিময়ে সামান্য সময়ের জন্য অন্যর হাতে তুলে দেয়। তুবুও এসব মেয়েদের মতো বিনা মূল্যে নিজের দেহকে অন্যকে ভোগ করতে দেয় না। একটি পতিতার দেহর দাম আছে কিন্তু তোমদের মতো মেয়েদের দেহর কোনো দাম নেই।

আজ যদি কলকাতা ও ঢাকা নারীদের কুমারীত্ব পরিক্ষা করা হয়? তা হলে শতকরা ৩০% নারীদের কুমারীত্ব পাওয়া যাবে কি না আমার সন্দেহ হয়। যে সমাজের নারীদের কুমারীত্ব থাকে না? সে সমাজকে মানব সমাজ বলে না পুশুর সমাজ বলাটাই উত্তম।

আজ আমাকে বলতে হচ্ছে [যিনা ব্যভিচার ভরে যাচ্ছে দুই বাংলা, কুমারীত্বহীন হয়ে পড়ছে নারীর। যা দিয়ে সুন্দর জাতি গঠন করার ভাবনাটা কল্পনাতীত] দুই বাংলায় আজ আমেরিকার পুশু সমাজের মতো দেখতে চাই না।

বরং আমরা দুই বাংলাকে সভ্য দুই জাতি হিসাবে দেখাতে চাই। আমেরিকার মতো লজ্জাহীনভাবে বিশ্ববাসী কে দেখাতে চাই না।
 
Top