সেক্স নিয়ে এই প্রজন্মের আর কোনও রাখঢাক নেই। গ্রাসাচ্ছাদনের অতি প্রয়োজনীয়তার বাইরে যে রয়েছে যৌনজীবনের আবশ্যিকতা, তা খুল্লমখুল্লা স্বীকার করেই এই প্রজন্ম বলে- সেক্সের কোনও বয়স হয় না, কোনও সময়ও হয় না। কিন্তু চলতি হাওয়ার প্রতিটা সময় যখন ঘড়ি ধরে একেবারে পাক্কা গুণে গুণে চলে, তখন পারফেক্ট সময়ের তালিকা থেকে সেক্সই বা বাদ যায় কেন? সকালের ৮টার গ্রিন টি বা দুপুরে কাজের ফাঁকে মনে করে ৫মিনিটের বন্ধ চোখের যোগাসন বা সন্ধে ৭টার জিম-
সবেতেই তো টাইমে পাক্কা এই প্রজন্ম। তা, পারফেক্ট টাইমিংয়ের এহেন শিডিউলের নির্দিষ্ট ফাঁকে সেক্সকেও গুঁজে দিতে হবে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। আর তার জন্য ঘুম ভাঙার ঠিক পরের সময়টাই আদর্শ!
আসলে সকালের বিশ্রি অ্যালার্মে সাধের ঘুম আর স্বপ্নের পিন্ডি চটকে বেজার মুখে বিছানা ছাড়লে পুরো দিনটাই মাটি। অ্যালার্মের কান ঝালাপালা সকালের চেয়ে তাই বরং একটি মিষ্টি মিলন হোক আপনার দিন শুরুর প্রথম উপহার। মনোরোগ বিশেষজ্ঞ এবং সেক্সোলজিস্টদের মতে রাতের ঘুমপাড়ানিয়া নয়, সেক্স যদি হয় ঘুমভাঙানিয়া- তবেই সম্পর্কের সমীকরণ একদম জমে দই। আর এমন ভাল শুরুর বাকি দিনটাও ফুরফুরে যেতে বাধ্য। ক্লান্ত দিনের শেষে বালিশ আঁকড়ে শুয়ে পড়তে চাইলেও, সেক্স প্যাশনে জর্জরিত চলতি প্রজন্ম কিন্তু মিলনের বেস্ট সময় হিসেবে বেছে নিচ্ছে ঘুমভাঙা সকালকেই।
তাছাড়া অ্যালার্ম আর স্নুজের বিরক্তিকর এপাশ-ওপাশে বিছানা ছাড়ার প্রভাব পড়তে পারে গোটা দিনে। ডাক্তারদের মতে সকালের ঘুমভাঙার পরে ঝরঝরে মনে বিছানা থেকে ওঠাই শরীর ও মনের পক্ষে মঙ্গল। এখন শারীরিক মিলনের চেয়ে রিল্যাক্স আর কীসেই বা হতে পারে? সকালের মিষ্টি শুরুটাই পালটে দেবে পুরো দিনের ছবিটা। তবে হ্যাঁ, ভাল কিছু পাওয়ার জন্য বেশ কিছু নিয়মাবলী অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। মুখের দুর্গন্ধ কিন্তু শারীরিক মিলনের বড় বাধা। আর সকালের প্রথম চুমুতে এ ঘটনা ঘটাই স্বাভাবিক। কিন্তু খেয়াল করে রাতে শোয়ার আগে ভাল করে ব্রাশ করে নিয়ে মাউথ ওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এরপর সিগারেটও চলবে না। দেখবেন সকালের চুমুতে পাশের কাছে মানুষটি আর বিশেষ মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন না।
আরও বলি, সেক্স মানেই তো পুরুষের আগেভাগে এগিয়ে যাওয়ার আধিপত্য আর বিশেষ নেই। তাই মহিলারাই বা কেন সকালের শুরুর শুরুটা করবেন না? চায়ের কাপ হাতে গুড মর্নিং কলের বদলে খানিক গা ঘেঁষে গাঢ় স্বরে স্বামীকে জাগিয়ে তুলুন। প্রাথমিক ছোঁওয়ার উষ্ণতায় প্রিয় মানুষটা একবার মাখামাখি হলে বাকি সময়ের স্বর্গসুখ অনুভবেই পাবেন। আর হ্যাঁ, বিছানার সাইড টেবিলে যেন কন্ডোমের প্যাকেট অবশ্যই রাখা থাকে। সকালের আলস্য কাটিয়ে মন যখন সোহাগে আনচান আরও কিছু চাইছে, তখন ঘরময় ঘুমচোখে কন্ডোমের খোঁজ সব কিছু মাটি করতে পারে।
তা, সকাল সকাল নানান রকম এক্সপেরিমেন্ট চলতে পারে? কেন নয়, এক্সপেরিমেন্ট তো মিলনের একটা বড় অংশ! কিন্তু তা যেন কখনওই বিরক্তির কারণ না-হয়ে যায়। অফিসের তাড়ার কথা মাথায় রেখেই বেশি গদগদ এক্সপেরিমেন্টাল হবেন না। এতে রিল্যাক্স হওয়ার বদলে ‘দৌড়া দৌড়া ভাগা ভাগা সা’ সময়ই জুটবে। এক্সপেরিমেন্টের সময় রাতের জন্য তুলে রেখে শরীরে-মনে এক হয়ে যাওয়ার আনন্দই বা কম কীসে? আর হ্যাঁ, শুধু রাতের বাসি বিছানা কেন? অ্যাটাচড বাথরুমে রোম্যান্সের আইডিয়াল সুযোগও যে এই সকালেই।
এর পর আর কী ভাবছেন বলুন তো? ঘুম ভাঙলেই বসের রাগী মুখ মনে পড়ার পর কি আর এসবে মন দেওয়া যায়? একবার দিয়েই দেখুন না; শরীরে মনে তাজা-ফুরফুরে হয়ে সারাদিনের টেনশন হেলায় কাটিয়ে আপনি কেমন চিরতরুণটিই থেকে যান!
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন