ট্রাউজারের বাম পকেটে রেখেছিলাম ফোন। পকেট আর ট্রাউজার দুটোই ঢিলেঢালা। ওভারব্রীজের রেলিংয়ে বসতে গিয়ে সেখান থেকে ফোনটা গিয়ে পড়লো নিচের রাস্তায়। পড়ার আগে ছোট্ট একটা ড্রপখেলো ওভারব্রীজের কোণায়। ব্যাপারটা বুঝতে বুঝতে ফোনের উপর দিয়ে চলে গেলো পাঁচ মনি একটা
ট্রাক। গেলো সাধের ফোনখানা!
রিফাতের মুখে কথাগুলো শুনে ততটা খারাপ লাগেনি যতটা লেগেছে ভাঙ্গা ফোনের টুকরোগুলো দেখে। বেচারার নতুন মোবাইল। কিন্তু আরো বেশি খারাপ লাগলো এই শুনে যে সে এসেছে আমার ফোনটা ধার চাইতে। গার্লফ্রেন্ডের সাথে রাতে কথা না বললে ঘুম হবে না ওর। আমার ফোন দিয়ে আজ রাতে কাজ চালাবে। স্যরি বলে বিদায় দিলাম।
রিফাতকে বিদায় দিয়েই সোজা হাবিবের বাসায় এসেছে ফারুক। হাবিবকে রিফাতের কথা এভাবে বললো। বলা শেষ হতেই হাবিবের বাসায় রিফাতও হাজির। এবার হাবিবের কাছে ফোন চাইতে এসেছে। হাবিবের দুটো সেট। তাই একটা দিতেই হবে। দাবিটা জোরালো তাই এড়ানো্র পথটাও জোরালো হওয়া চাই!
আমার একটা ফোনে গ্রামীণ সিম অন্যটায় টেলিটক। গ্রামীণে বাবা ফোন দেয়। টেলিটকে দেয় তোদের ভাবি। আমি ফোন দেই কি করে? হাবিবের কথা কানে নিতে বয়ে গেছে রিফাতের। তার একটা ফোন দরকার।
রিফাতের গার্লফ্রেন্ডের কাল জন্মদিন। আজ রাতে কথা না বললে কি করে চলবে? রিফাত গলির মোড়ে দাঁড়ায়। অন্ধকারে একটা জায়গা বেছে নেয়। রোজার মাস। লোকজনের পকেটে টাকা আছে। ওর টাকা লাগবে না। ওর লাগবে শুধু রাত পার করার মতো একটা ফোন। একজনকে আসতে দেখা গেলো। হাতে ব্যাগ নিয়ে রিকশায় আসছে। রিফাত এর আগে কখনো এমন কিছু ভাবেও নি। কিন্তু আজ সে মরিয়া। রিকশা কাছে এগিয়ে আসতেই সে লোকটাকে হ্যাঁচকা টান মারলো রিকশা থেকে। লোকটা পড়ে যেতেই পকেটে হাত ঢুকিয়ে ফোনটা বের করে দৌড় লাগালো। ফোন যে একটা পেয়েছে সে এতেই সন্তুষ্ট। পেছন ফিরে তাকানোর আর প্রয়োজন হলো না।
পরদিন পেপারে নিউজ এলো পুলিশের গুলিতে ছিনতাইকারি নিহত। সাদা পোশাকের এক পুলিশ ইন্সপেক্টরের মোবাইল ছিনতাই করে পালানোর সময় পুলিশ ব্যাক্তিটি ওই ছিনতাইকারিকে গুলি করেন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওইদিন রাতেই হাবিব আর ফারুক রিফাতের কথিত গার্লফ্রেন্ডকে ফাস্টফুডের দোকানে আবিষ্কার করলো অন্য এক ছেলের সাথে। আঠারো বছর পূর্তির এই মহালগ্ন কোনো এক ছেলে যে কিনা তাকে গার্লফ্রেন্ড ভাবতো তার জন্য কেন নষ্ট করা? অন্য কারো বাহুলগ্না হয়ে অতীত ভুলে এখন যে গাওয়ার সময়, হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ...
ট্রাক। গেলো সাধের ফোনখানা!
রিফাতের মুখে কথাগুলো শুনে ততটা খারাপ লাগেনি যতটা লেগেছে ভাঙ্গা ফোনের টুকরোগুলো দেখে। বেচারার নতুন মোবাইল। কিন্তু আরো বেশি খারাপ লাগলো এই শুনে যে সে এসেছে আমার ফোনটা ধার চাইতে। গার্লফ্রেন্ডের সাথে রাতে কথা না বললে ঘুম হবে না ওর। আমার ফোন দিয়ে আজ রাতে কাজ চালাবে। স্যরি বলে বিদায় দিলাম।
রিফাতকে বিদায় দিয়েই সোজা হাবিবের বাসায় এসেছে ফারুক। হাবিবকে রিফাতের কথা এভাবে বললো। বলা শেষ হতেই হাবিবের বাসায় রিফাতও হাজির। এবার হাবিবের কাছে ফোন চাইতে এসেছে। হাবিবের দুটো সেট। তাই একটা দিতেই হবে। দাবিটা জোরালো তাই এড়ানো্র পথটাও জোরালো হওয়া চাই!
আমার একটা ফোনে গ্রামীণ সিম অন্যটায় টেলিটক। গ্রামীণে বাবা ফোন দেয়। টেলিটকে দেয় তোদের ভাবি। আমি ফোন দেই কি করে? হাবিবের কথা কানে নিতে বয়ে গেছে রিফাতের। তার একটা ফোন দরকার।
রিফাতের গার্লফ্রেন্ডের কাল জন্মদিন। আজ রাতে কথা না বললে কি করে চলবে? রিফাত গলির মোড়ে দাঁড়ায়। অন্ধকারে একটা জায়গা বেছে নেয়। রোজার মাস। লোকজনের পকেটে টাকা আছে। ওর টাকা লাগবে না। ওর লাগবে শুধু রাত পার করার মতো একটা ফোন। একজনকে আসতে দেখা গেলো। হাতে ব্যাগ নিয়ে রিকশায় আসছে। রিফাত এর আগে কখনো এমন কিছু ভাবেও নি। কিন্তু আজ সে মরিয়া। রিকশা কাছে এগিয়ে আসতেই সে লোকটাকে হ্যাঁচকা টান মারলো রিকশা থেকে। লোকটা পড়ে যেতেই পকেটে হাত ঢুকিয়ে ফোনটা বের করে দৌড় লাগালো। ফোন যে একটা পেয়েছে সে এতেই সন্তুষ্ট। পেছন ফিরে তাকানোর আর প্রয়োজন হলো না।
পরদিন পেপারে নিউজ এলো পুলিশের গুলিতে ছিনতাইকারি নিহত। সাদা পোশাকের এক পুলিশ ইন্সপেক্টরের মোবাইল ছিনতাই করে পালানোর সময় পুলিশ ব্যাক্তিটি ওই ছিনতাইকারিকে গুলি করেন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওইদিন রাতেই হাবিব আর ফারুক রিফাতের কথিত গার্লফ্রেন্ডকে ফাস্টফুডের দোকানে আবিষ্কার করলো অন্য এক ছেলের সাথে। আঠারো বছর পূর্তির এই মহালগ্ন কোনো এক ছেলে যে কিনা তাকে গার্লফ্রেন্ড ভাবতো তার জন্য কেন নষ্ট করা? অন্য কারো বাহুলগ্না হয়ে অতীত ভুলে এখন যে গাওয়ার সময়, হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ...
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন