এনজি শট মানে ‘নট গুড শট’।,, বিরক্তিকর, কখনো মজার, কখনো বা মধুর—নতুন এই বিভাগে শুনুন ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে তারকাদের নানা রঙের স্মৃতি...
এনজি শটের খপ্পরে না চাইলেও আমরা পড়ি, পড়ছি এবং পড়ব। আপনি নাটক-চলচ্চিত্রে অভিনয়
করবেন, অথচ শট এনজি হবে না, তা কি হয়! আমাদের জীবনে এনজি শট তাই অনেকটা ‘সূর্য পূর্ব দিকে ওঠে’-এর মতো সত্য। এনজি শট নিয়ে সম্প্রতি আমার জীবনে দুটি মজার ঘটনা ঘটেছে। আজ সে ঘটনা দুটিই বলব সবাইকে।
সম্বোধন ৩ প্রকার নামে একটি নাটকের শুটিং করছিলাম উত্তরায়। আমার সহশিল্পী নিশো ও নাঈম। দৃশ্যটি এমন ছিল: নিশো আমার পায়ের খুব কাছ থেকে ডাঁট দেখিয়ে মোটরসাইকেল হাঁকিয়ে যাবেন। তাঁর উদ্দেশ্য আমাকে ভয় দেখানো। পরিচালকসহ সবাই প্রস্তুত। আমাদের দৃশ্য বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রথমে আমি ভেবেছি, এ আর এমন কি, আমার সামনে দিয়ে মোটরসাইকেল চালানো হবে, আমি ভয় পাব—এক টেকেই ওকে হবে সবকিছু।
কিন্তু না, ঘটনা ঘটল উল্টো—পরিচালক ‘অ্যাকশন’ বলার সঙ্গে সঙ্গে বীরদর্পে মোটরসাইকেল হাঁকালেন নিশো। আমার মনে হলো, তিনি আমার পায়ের ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে দেবেন। ফলে, আমাকে আর অভিনয় করতে হলো না, সত্যিই ভয় পেলাম। ভয় পেয়ে এক লাফে সরে গেলাম দু-তিন হাত দূরে। আমার মুখ দিয়ে সে সময় একটি শব্দই বের হলো—‘ও মা গো’।
আমার ভয় পাওয়াটা নকল ছিল না, তাই ভয়ের মাত্রাটা ছিল একটু বেশি। কিন্তু পরিচালক তো আমাকে কেবল মুখে ভয়ের অভিব্যক্তি আনতে বলেছিলেন—‘ও মা গো’ বলে দূরে সরে যেতে তো বলেননি। ফলে, অবধারিতভাবে এনজি হলো শটটি। একবার, দুবার, তিনবার—প্রতিবারই নিশো মোটরসাইকেল চালাচ্ছেন। এটি আমার কাছে আসতেই আমার মনে হচ্ছে, পায়ের ওপর উঠে যাবে। সংগত কারণেই আমি ভয় পাচ্ছি, মুখ দিয়ে বেরোচ্ছে—‘ও মা গো’।
এ ঘটনাগুলো যখন ঘটছে, তখন দুপুর। দরদর করে ঘামছি। শট দিচ্ছি, শট এনজি হচ্ছে। আমি তখন নিজের ওপর চরম বিরক্ত—কেন বারবার মুখ দিয়ে বেরোচ্ছে ‘ও মা গো’! এদিকে ইউনিটের সবাই ততক্ষণে ঘেমে-নেয়ে একাকার। পারলে আমার মুখে তারা স্কচটেপ লাগিয়ে দেয়। পরিচালক বারবার বলছেন, ‘মীম, চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকুন, অপনার কিছু হবে না।’ কিন্তু কে শোনে কার কথা, ‘ও মা গো’ বাক্যটিকে আটকানোই যাচ্ছে না!
শেষে অনেক কায়দা করে শটটি ওকে হয়েছিল।
দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটেছে অনিমেষ আইচের ঘরছাড়া নাটকের শুটিংয়ে। শুটিং করছিলাম ধামরাইয়ে। আমার চরিত্রটি অনেকটা টমবয় টাইপের। এখানে দৃশ্যটি ছিল: এক মাস্তানকে প্রচণ্ড মারব আমি। তো, ক্যামেরা চলছে—খুশিমনে মারধর করছি আমি। দৃশ্য ধারণ করা হলো। ওমা, দেখি অনিমেষদার মুখ বেজার! আমাকে বললেন, ‘মীম, অভিব্যক্তিটা ঠিকমতো আসেনি, আরেকবার। এবার জোরে জোরে মারবে।’
আবার মারলাম—ননস্টপ মার। এভাবে একাধিকবার শট নেওয়ার পর শটটি যখন ওকে হলো, তখন যাঁকে মেরেছি এতক্ষণ, সেই বেচারার অবস্থা তো কাহিল। বারবার তিনি বলছেন, ‘এমন তো কথা ছিল না। এত মার তো খাওয়ার কথা ছিল না।’
আর আমার অবস্থা? শট ওকে করতে গিয়ে একাধিকবার এ দৃশ্য করতে হয়েছে। তাই অনেকবার মারামারির কারণে তখন ব্যথায় টনটন করছে হাত। খুব জোরে মারতে গিয়ে বারোটা বাজিয়ে ফেলেছি হাতের!
অনুলিখন: নয়ক হক
এনজি শটের খপ্পরে না চাইলেও আমরা পড়ি, পড়ছি এবং পড়ব। আপনি নাটক-চলচ্চিত্রে অভিনয়
করবেন, অথচ শট এনজি হবে না, তা কি হয়! আমাদের জীবনে এনজি শট তাই অনেকটা ‘সূর্য পূর্ব দিকে ওঠে’-এর মতো সত্য। এনজি শট নিয়ে সম্প্রতি আমার জীবনে দুটি মজার ঘটনা ঘটেছে। আজ সে ঘটনা দুটিই বলব সবাইকে।
সম্বোধন ৩ প্রকার নামে একটি নাটকের শুটিং করছিলাম উত্তরায়। আমার সহশিল্পী নিশো ও নাঈম। দৃশ্যটি এমন ছিল: নিশো আমার পায়ের খুব কাছ থেকে ডাঁট দেখিয়ে মোটরসাইকেল হাঁকিয়ে যাবেন। তাঁর উদ্দেশ্য আমাকে ভয় দেখানো। পরিচালকসহ সবাই প্রস্তুত। আমাদের দৃশ্য বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রথমে আমি ভেবেছি, এ আর এমন কি, আমার সামনে দিয়ে মোটরসাইকেল চালানো হবে, আমি ভয় পাব—এক টেকেই ওকে হবে সবকিছু।
কিন্তু না, ঘটনা ঘটল উল্টো—পরিচালক ‘অ্যাকশন’ বলার সঙ্গে সঙ্গে বীরদর্পে মোটরসাইকেল হাঁকালেন নিশো। আমার মনে হলো, তিনি আমার পায়ের ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে দেবেন। ফলে, আমাকে আর অভিনয় করতে হলো না, সত্যিই ভয় পেলাম। ভয় পেয়ে এক লাফে সরে গেলাম দু-তিন হাত দূরে। আমার মুখ দিয়ে সে সময় একটি শব্দই বের হলো—‘ও মা গো’।
আমার ভয় পাওয়াটা নকল ছিল না, তাই ভয়ের মাত্রাটা ছিল একটু বেশি। কিন্তু পরিচালক তো আমাকে কেবল মুখে ভয়ের অভিব্যক্তি আনতে বলেছিলেন—‘ও মা গো’ বলে দূরে সরে যেতে তো বলেননি। ফলে, অবধারিতভাবে এনজি হলো শটটি। একবার, দুবার, তিনবার—প্রতিবারই নিশো মোটরসাইকেল চালাচ্ছেন। এটি আমার কাছে আসতেই আমার মনে হচ্ছে, পায়ের ওপর উঠে যাবে। সংগত কারণেই আমি ভয় পাচ্ছি, মুখ দিয়ে বেরোচ্ছে—‘ও মা গো’।
এ ঘটনাগুলো যখন ঘটছে, তখন দুপুর। দরদর করে ঘামছি। শট দিচ্ছি, শট এনজি হচ্ছে। আমি তখন নিজের ওপর চরম বিরক্ত—কেন বারবার মুখ দিয়ে বেরোচ্ছে ‘ও মা গো’! এদিকে ইউনিটের সবাই ততক্ষণে ঘেমে-নেয়ে একাকার। পারলে আমার মুখে তারা স্কচটেপ লাগিয়ে দেয়। পরিচালক বারবার বলছেন, ‘মীম, চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকুন, অপনার কিছু হবে না।’ কিন্তু কে শোনে কার কথা, ‘ও মা গো’ বাক্যটিকে আটকানোই যাচ্ছে না!
শেষে অনেক কায়দা করে শটটি ওকে হয়েছিল।
দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটেছে অনিমেষ আইচের ঘরছাড়া নাটকের শুটিংয়ে। শুটিং করছিলাম ধামরাইয়ে। আমার চরিত্রটি অনেকটা টমবয় টাইপের। এখানে দৃশ্যটি ছিল: এক মাস্তানকে প্রচণ্ড মারব আমি। তো, ক্যামেরা চলছে—খুশিমনে মারধর করছি আমি। দৃশ্য ধারণ করা হলো। ওমা, দেখি অনিমেষদার মুখ বেজার! আমাকে বললেন, ‘মীম, অভিব্যক্তিটা ঠিকমতো আসেনি, আরেকবার। এবার জোরে জোরে মারবে।’
আবার মারলাম—ননস্টপ মার। এভাবে একাধিকবার শট নেওয়ার পর শটটি যখন ওকে হলো, তখন যাঁকে মেরেছি এতক্ষণ, সেই বেচারার অবস্থা তো কাহিল। বারবার তিনি বলছেন, ‘এমন তো কথা ছিল না। এত মার তো খাওয়ার কথা ছিল না।’
আর আমার অবস্থা? শট ওকে করতে গিয়ে একাধিকবার এ দৃশ্য করতে হয়েছে। তাই অনেকবার মারামারির কারণে তখন ব্যথায় টনটন করছে হাত। খুব জোরে মারতে গিয়ে বারোটা বাজিয়ে ফেলেছি হাতের!
অনুলিখন: নয়ক হক
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন