city bank.jaliatসিটি ব্যাংকের বিরুদ্ধে ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতির মাধ্যমে গ্রাহকের অজ্ঞাতে টাকা উত্তোলন করার
অভিযোগ করেছেন এক ভুক্তভোগি।বহুবার অভিযোগ করেও ভুক্তভোগি মো. রাজু আহমেদ সিটি ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো সদুত্তর জানতে পারেননি।

মঙ্গলবার ওই গ্রাহক তার অভিযোগটি জানিয়ে বলেন, ‘তিনি টাকা উত্তোলন না করা সত্ত্বেও ব্যাংক তাকে টাকা পরিশোধ করতে বলছে।’

তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক মাসের এক তারিখেই ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাকে মেইলে স্টেটমেন্ট পাঠিয়ে থাকে। গত ৬ এপ্রিল তার নামে উত্তোলিত ২০ হাজার টাকার কথা তিনি ১ মে এর স্টেটমেন্ট দেখে জানতে পারেন।’

এ ব্যাপারে ২ মে তিনি সিটি ব্যংকের ফরিদপুর শাখার ম্যানেজারের সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ জানান। তখন ব্যাংকের ম্যানেজার তাকে কলসেন্টারে ফোন করে অভিযোগ জানাতে বলেন।

ব্যাংকের ম্যানেজারের পরামর্শ মতো তিনি ওইদিনই (২ মে) বিকেল সাড়ে ৫টায় কলসেন্টারে ফোন করে তার অভিযোগটি জানান। তার অভিযোগটি তদন্ত করে যথাশিগগিরি তাকে জানানো হবে বলে কলসেন্টার থেকে জানানো হয়।

কোনোকিছু জানতে না পেরে ওই গ্রাহক ৯ মে আবারও সিটি ব্যাংকের কল সেন্টারে ফোন করেন। ২ মে দায়ের করা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তের ফলাফল জানতে চাইলে এরকম কোনো অভিযোগ তারা পাননি বলে জানান কলসেন্টারের কাস্টমার কেয়ার এক্সিকিউটিভ।

ওইদিন আবারও তারা নতুন করে অভিযোগ লিপিবদ্ধ করে রাখেন এবং যথারীতি তদন্ত করে তাকে জানানো হবে বলে আগের মতোই আশ্বস্ত করা হয়।

এরপর ওই গ্রাহক ১৮ মে, ২০ মে ও ৬ জুন কলসেন্টারে ফোন করে তার অভিযোগের তদন্তের ফলাফল জানতে চাইলে এখনও প্রসেসিং চলছে এবং কোনো আপডেট আসলে তাকে জানানো হবে বলে বলা হয়।

এরপর ওই গ্রাহক ঈদের আগে আবারও কলসেন্টারে ফোন করে তার অভিযোগের তদন্তের ফলাফল জানতে চান। তখন কলসেন্টার থেকে তাকে বলা হয়, ‘এই প্রবলেমটা ক্লোজ হয়ে গেছে। আপনার ক্রেডিট কার্ড থেকে টাকাটা তোলা হয়েছে। আপনি টাকাটা পরিশোধ করে দেন।’

টাকা উত্তোলন না করেও টাকা পরিশোধের এমন কথা তিনি কিছুতেই মেনে নিতে না পেরে ওই কাস্টমার কেয়ার এক্সিকিউটিভকে জানান, তাকে কিছুই না জানিয়ে কেন প্রবলেমটা ক্লোজ করা হলো। তিনি আবারও তার অভিযোগ লিপিবদ্ধ করে রাখতে এবং সুষ্ঠু তদন্তের কথা বলেন।

এরপর গত ৭ আগস্ট সিটি ব্যাংক ফরিদপুর শাখা থেকে ফোন করে ওই গ্রাহককে ঈদের পর ব্যাংকে এসে কথা বলতে বলেন। ঈদের বন্ধের পর প্রথম খোলার দিনই ওই গ্রাহক সিটি ব্যাংক ফরিদপুর শাখায় গিয়ে ম্যানেজারের সঙ্গে দেখা করেন। ওই গ্রাহক ম্যানেজারকে বলেন, ‘আমি টাকা তুলে থাকলে আপনাদের কাছে এর প্রমাণ স্বরূপ এটিএম বুথে ধারণকৃত ভিডিও দেখান। প্রমাণ করতে পারলে আমি সঙ্গে সঙ্গে উত্তোলিত পুরো টাকাই পরিশোধ করে দেবো। কিন্তু প্রমাণ করতে না পারলে আমার পক্ষে এ টাকা পরিশোধ করা সম্ভব নয়।’

উল্লেখ্য, ব্যাংক কর্তৃপক্ষের হাতে বিড়ম্বিত ওই গ্রাহক মোবাইল অপারেটর রবির স্পেশালিস্ট (আরও) হিসেবে বর্তমানে ফরিদপুরে চাকরি করছেন। ওই গ্রাহকের নামে কথিত ২০ হাজার টাকা উত্তোলনের ট্রানজেকশন তারিখ হচ্ছে ০৬/০৪/২০১৩ বাংলামেইল
 
Top