প্রেমের জালা
এখনো আমি সবার সামনে তোর নাম লিখতে ভয় পাই । কেন পাই তা অবশ্য জানি না ,তবে জানলে ভালই হত । তবে এইটা জেনে রাখ আমি তোর নাম না লিখলেও তোর নামটা না,আমার খুব পছন্দের একটা নাম । তোর সাথে কখন থেকে কথা শুরু,কেন শুরু,কিভাবে শুরু তার কিছুই আমার মনে নেই।মনে নেই নাকি আমি নিজেই জানি না,তাও জানি না ।এটাও বলছি না,তুই আসার আগে আমি খারাপ ছিলাম। ভালই ছিলাম খুব ভাল ছিলাম । কিন্তু তুই আসার পর সব উলটে পালটে গেল রে । তোর ব্যাপারে যতটুকু আমার মনে আছে,বা আমি জানি তা হল ভালবাসি । খুব ভালবাসি তোকে।হয়ত বা এটা অপরিণত বয়সের প্রেম বা ওই টাইপের কোন কিছু । কিন্তু আমি তা জানতে চাই না । জানতে গেলে হয়ত বা আমি ভুলেই যাব তোকে ।আমি তো এখন ভুলতে চাই না ।ভুলে গেলে পরে আমার বাচ্চাদেরকে কিভাবে বলব যে ডট ডট নামের কেউ একজনের প্রেমে পড়েছিলাম? 
একবার কি হয়েছিল জানিস?তোকে ভুলে যাবার অনেক চেষ্টা করেছিলাম । তোর নামটাও মাথায় আনতে চাইনি । কিন্তু আমি পারি নাই রে,সত্যি পারি নাই ।

‘‘যতই কাউকে ভুলে যেতে চেষ্টা কর তুমি,ততই তাকে তোমার মনে পড়তে থাকবে ।’’ 

এটা কার কথা বা আদৌ কারো কথা কিনা তা যদিও জানি না ,তবে আমার জীবনের সাথে মিলে যায় পুরোপুরি ভাবেই।আমি আজ পর্যন্ত যত জনকে ভুলতে চেয়েছি ততবারই আমি থমকে গিয়েছি । আসলে কাউকে ভুলা সম্ভব না। অন্তত আমি পারি না । কেন যে পারিনা, তা যদি জানতাম । তাহলে তো হয়েই যেত। 
অনেকক্ষণ বক বক করলাম । আমার কাজই তো সেটা,তুই ভাল করেই জানিস।প্রথমে ফেইসবুকে তোর ফোন নাম্বার নেয়ার অনেক চেষ্টা করেছিলাম ।তুই তো প্রথমদিকে দিতেই চাইতি না ।কিভাবে তোর নাম্বার পেয়েছি তা কি তোর মনে আছে রে বোকা?? তোর মনে থাকুক না থাকুক আমার ঠিক মনে আছি ।সেই কথা ভেবেই আমি এখন হাসছি ।তুই কি বলতেছিলিস তা কি তোর মনে আছে?? এয়ারটেল নিয়ে কি জানি বলতে চেয়েছিলি । আমি প্রথমে ভেবেছিলাম তুই বুঝি এবার সত্যি সত্যি নাম্বার দিবি । কিন্তু তুই দিলি না । যাই হোক এই কথাটাই আমি তোকে বলেছিলাম ।তারপর তুই বললি যা তোকেই নাম্বার দিব । তারপরেও কত ধানাই পানাই করলি ।কিন্তু তারপর কি হল সেইটা বলে দিতে হবে?? নিজে নাম্বার দিতেই চাইত না,পরে আবার নিজেই ফোন দিলি প্রথম । 
জানি না কেন,তবে আমার ফোনে কথা বলতে ভাল লাগত না অনেক আগে থেকেই । তোর নাম্বার নিয়েছিলাম যাতে কখনো কোন ভাবে তোকে হারাতে না হয় । ফোন দিতে না ।এখন নাম্বারও আছে,সবই আছে। কিন্তু মানুষটা তুই নেই ।

তোর মনে আছে,তুইই কিন্তু সেদিন ফোন দিলি।প্রথম বারের মত আমার কারো সাথে কথা বলতে ভাল লাগা শুরু করল । এরপর অনেক দিন তোর সাথে কথা হল । তারপর একসময় ভাবলাম কেন করছি আমি এইটা??কি দরকার?আল্টিমেটলি তো আমরা একসাথে থাকতে পারব না ।কারণ অন্য কিছু নাহ । কারণ তুই তো আমাকে ভালই বাসিস না ।কত্ত যুক্তি কত্ত কিছু বুঝাতে চেষ্টা করতি । কিন্তু জানিস কি?যুক্তি তর্ক আমিও ভাল জানি । কিন্তু ভালবাসার কোন যুক্তি টুক্তি নাই । আর আমি তো তোর এক্সপ্লেনেশনও চাই নাই ।
আমি জানতাম একসময় এই ভালবাসা টাসার ব্যাপার গুলা আমার ভিতর থেকে চলে যাবে । কারণ আমি তো আর বিয়েই করব না ।কি অদ্ভুত না?শুরুতে বাচ্চা টাচ্চার কথা টথা বলে টলে এখন বলছি বিয়েই করব না ।আমি মানুষটাই তো অদ্ভুতরে । তুই তো জানিসই আমার ঘোরাঘুরির কত্ত শখ । আমি সবখানে একাই ঘুরতে চাই। তোর মত বাচ্চা কাচ্চা নিয়ে কই যাব ?? হুহ ! যত্ত সব । বলে কিনা আমারেও সাথে নিস । তোকে নিতে আমার বয়েই গেল ।কত্ত কি লিখে ফেললাম এত তাড়াতাড়ি । আসলে কেন জানি বহুদিন পর তোর কথা মনে পড়ছে রে। খুব মনে পড়ছে ।যোগাযোগ যদি নাই রাখবি,তাহলে আমার জীবনে এসেছিলি কেন?না আমি তোকে দায়ী করছি না। সব দোষ আমার। আমিই বা কোন আক্কেলে তোর প্রেমে পড়তে গেলাম । আমি কি জানি না ওইসব ভালবাসা টাসা আমার জন্য না । তারপরেও তোকে কত্ত মেয়ে নিয়ে কত্ত গাঁজাখুরি গল্প বললাম। ভাবসাবে মনে হইত আমি ডেইলি একটা করে মেয়ের প্রেমে পড়ি । আসলেই তাই। তবে আমি ডেইলি একজনের প্রেমেই পড়ি।আর সেটা হলি তুই ।

তুই তো নেই,তাই আমার সময়ও ঠিকঠাক কাটেনা ।তুই ফোন দিলে কিন্তু আমার ভালই লাগত ।খুব ভাল লাগত। আসলে আমি প্রতি মুহুর্তেই তোর ফোনের অপেক্ষায় থাকতাম।এখন দিস না কেন রে??ও হ্যা দিবিই বা কিভাবে,ওপারে তো মনে হয় মোবাইল টেলিফোনের ব্যবস্থা নাই ।যাই হোক যেখানেই থাক ভাল থাক।তোকে ভাল থাকার জন্যে একটা গানও ডেডিকেট করে দিচ্ছি,
‘ভাল আছি ভাল থেকো
আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখ’
চিঠিই বা লিখবি কেমনে?যেখানে আছিস ওখানে তো আর ‘‘ডাকপিয়ন’’ নাই ।আমি কিন্তু 

‘‘ডাকপিয়ন’’ দিয়েই তোকে চিঠি লিখছি ।যদিও জানি এইটা তুই পাচ্ছিস না । হয়ত আমি ওই খানেই নাহয় সব চিঠি নিয়ে তোর সঙ্গে দেখা করব। আরো অনেক অনেক কথা বলার ছিল । সব তো বলতে পারলাম নাহ ।ওইখানেই নাহয় বলে ফেলব । অপেক্ষায় থাকিস,আমি আসব । আসবই আসব । 

ইতি,
এহ নিজের নাম বলি আমার সবাই আমাকে চিনে ফেলুক আর কি ?যা বললাম না আমার নাম । তুইই খুঁজে বের করিস । 

(উৎসর্গঃ রবিন ভাই,প্রিয় রবিন ভাই,
তোমার নামের শুরুর এন এক্স কথাটার মানে না জানলেও গল্পটা তোমাকেই উৎসর্গ করে দিলাম । কেন জান?আমার সব গল্প পড়েই তো বল ,ভাল হইছেরে পাগলা । আরেকটু গুছানো আর শেষটা সুন্দর হইলে অসাধারণ এক গল্প হইতে পারত। আসলেই আমার আকাশের দিকে তাকিয়ে কোন একজনকে বলতে ইচ্ছা করছে ,ভালই হয়েছে গল্পটা ।তবে আরেকটু গুছানো আর শেষটা সুন্দর হইলে অসাধারণ এক গল্প হইতে পারত । জীবনের গল্পটা ।
 
Top