প্রিয় অবুঝ বালক,
সাধে কি আর তোকে অবুঝ বালক বলি ! তুই তো আসলেই একটা অবুঝ রে। তোকে তো শুরুতেই বলেছিলাম কোনদিন ভালবাসার দাবী নিয়ে তোর কাছে আসবনা। আমার ভালবাসা আমার কাছেই
থাকবে, তুই আর আমি যেমন বন্ধু আছি তেমনই থাকব । কেন বিশ্বাস করলিনা আমার কথা ! হায়রে গাধা, তোর কাছে ঘুরে ঘুরে আসি তোকে বন্ধু ভাবি শুধু সে জন্যই। হয়ত পারতাম দূরে সরে যেতে, যদি শুধু ভালবাসাটাই থাকত। কিন্তু তার আগেই যে আমি তোকে আমার বন্ধু করে নিয়েছিলাম । কিন্তু সেই বন্ধুটিকে তুই এতদিনেও বুঝলিনা !!! তোকে অবুঝ বালক বলতে বলতে আজ নিজেকেই খুব অবুঝ মনে হচ্ছে,জানিস? সারা পৃথিবীর কাছে তুই হয়ত একটা যা তা । তোর যত অকাজ,কুকাজ- সব কিছুর সাক্ষি আমি। আমি তো সবসময় ছায়ার মত তোর আশেপাশে ছিলাম । তুই আসলেই বুঝিসনি কেন তোর হাজার দোষ, স্বার্থপরতা,ভাবলেশহীনতা, আমার সাথে যাচ্ছেতাই ব্যাবহারের পরেও আমি ঘুরে ফিরে বারবার তোর কাছে ফিরে এসেছি । মায়া হত রে, খুব মায়া হত তোর জন্যে। ভাবতাম, হয়ত জীবনে কিছু বড় আঘাত পেয়েছিলি বলে তোর বাহিরটা এত বেশী নিষ্ঠুর হয়ে গেছে। আল্লাহ কি কারনে আমার ভেতর এই অনুভূতির জন্ম দিয়েছিলেন কে জানে, আমার মনে হত তোর এই নিষ্ঠুর বাহিরটার আড়ালে, অনেক অনেক গভীরে একটা সুন্দর মন আছে। আমি যেন তোর গভীরে যেতে যেতে হঠাৎ করেই আবিষ্কার করলাম তুই মানুষটা যেমনটা দেখাস আসলে তেমনটা না। কোথাও অদৃশ্য কিছু একটা ছিল যা শুধু আমিই টের পেতাম,আর কেউনা। এই অমানুষ তোর ভেতরে একটা মানুষ লুকিয়ে আছে । সেই মানুষটাকে শুধু আমি চিনি,আমি জানি। পৃথিবীর আর কেউ তাকে দেখেনি। আর এই বোধটাই আমাকে কখনো তোর কাছ থেকে দূরে যেতে দেয়নি। তুই যতবার আমাকে দূরে ঠেলে দিয়েছিস আমি ততবার ফিরে ফিরে এসেছি। শুধু তোর কথা ভেবেই। অবুঝ বালক,তুই কি বুঝিস ? আমার মত করে তোকে আর কেউ বোঝে ? কে তোর অন্যায়গুলোকে এত প্রশ্রয় দেবে ? আমি না থাকলে কাকে বকবি তুই? কার সাথে ঝগড়া করবি ? রাগ হলে আমি না থাকলে কাকে ঝাড়বি ? কাকে কষ্ট দিয়ে আনন্দ পাবি, বল?আমার মত করে কাউকে তো কষ্ট দিতে পারবিনা। মন খারাপ হলে মাঝরাতে কার ঘুম ভাঙ্গাবি ? কাকে বলবি তোর কি খেতে ইচ্ছে করে, জন্মদিনে কি চাই ,এটা সেটা? হায়রে অবুঝ,একটি বারের জন্যও ভেবে দেখিসনি কেন তোর হাজার অত্যাচার আমি মাথা পেতে নিতাম। তুই দূর দূর করলেও নির্লজ্জের মত আমার তোর কাছে চলে আসতাম সুড়সুড় করে। তুই তো অবুঝ বালক,তুই নিজেকে চিনিস না। তুই জানিসনা তোর মন কি চায়। কিন্তু আমি তো তোকে চিনি। আমি জানি তোর দৌড় কতোটুকু।
এখন নিজেকে খুব বোকা মনে হচ্ছে। কার জন্য এত ভাবতাম আমি ! কার জন্য এত কিছু সহ্য করেছি ! তুই তো আমার ভালবাসাটাকে বুঝিসইনি। ভালবাসা তো দূরের কথা, আমাকে কোনদিন বন্ধুই ভাবিস নি হয়ত। আর দশটা সস্তা মেয়ে,যাদের তুই দিনে রাতে নাচিয়ে বেরাস,তাদের সাথে আমার কোন পার্থক্যই করিসনি। আমিই অবুঝ বালিকা। আমার ধারনা ছিল তুই যত খারাপই হস না কেন,সেটা বাইরে।আমার সাথে সামনা সামনি যা খুশি করলেও কোথাও একটা বন্ধন ছিল। তোর মনেও খুব সামান্য হলেও মায়া ছিল আমার জন্য। অন্তত বন্ধুত্তের বিশ্বাসটুকু রাখবি। তাই আজো নিজের ভাবনার সাথে বাস্তবতার মিল খুঁজে পাইনা। তুইই বল,আমি কি ভুল ছিলাম ? তোর ভেতর আমি যে নিষ্পাপ একটা হৃদয় দেখেছিলাম সেটা কি তোর কোনদিন ছিলইনা ?এত বড় ভুল তো আমার হবার কথা না। তুই কি সত্যি এরকম?তুই কি সত্যিই এতটা বদলে গেছিস ? তুই কি আমার সেই অবুঝ বালক না ?
ইতি,
বোকা মেয়েটি
সাধে কি আর তোকে অবুঝ বালক বলি ! তুই তো আসলেই একটা অবুঝ রে। তোকে তো শুরুতেই বলেছিলাম কোনদিন ভালবাসার দাবী নিয়ে তোর কাছে আসবনা। আমার ভালবাসা আমার কাছেই
থাকবে, তুই আর আমি যেমন বন্ধু আছি তেমনই থাকব । কেন বিশ্বাস করলিনা আমার কথা ! হায়রে গাধা, তোর কাছে ঘুরে ঘুরে আসি তোকে বন্ধু ভাবি শুধু সে জন্যই। হয়ত পারতাম দূরে সরে যেতে, যদি শুধু ভালবাসাটাই থাকত। কিন্তু তার আগেই যে আমি তোকে আমার বন্ধু করে নিয়েছিলাম । কিন্তু সেই বন্ধুটিকে তুই এতদিনেও বুঝলিনা !!! তোকে অবুঝ বালক বলতে বলতে আজ নিজেকেই খুব অবুঝ মনে হচ্ছে,জানিস? সারা পৃথিবীর কাছে তুই হয়ত একটা যা তা । তোর যত অকাজ,কুকাজ- সব কিছুর সাক্ষি আমি। আমি তো সবসময় ছায়ার মত তোর আশেপাশে ছিলাম । তুই আসলেই বুঝিসনি কেন তোর হাজার দোষ, স্বার্থপরতা,ভাবলেশহীনতা, আমার সাথে যাচ্ছেতাই ব্যাবহারের পরেও আমি ঘুরে ফিরে বারবার তোর কাছে ফিরে এসেছি । মায়া হত রে, খুব মায়া হত তোর জন্যে। ভাবতাম, হয়ত জীবনে কিছু বড় আঘাত পেয়েছিলি বলে তোর বাহিরটা এত বেশী নিষ্ঠুর হয়ে গেছে। আল্লাহ কি কারনে আমার ভেতর এই অনুভূতির জন্ম দিয়েছিলেন কে জানে, আমার মনে হত তোর এই নিষ্ঠুর বাহিরটার আড়ালে, অনেক অনেক গভীরে একটা সুন্দর মন আছে। আমি যেন তোর গভীরে যেতে যেতে হঠাৎ করেই আবিষ্কার করলাম তুই মানুষটা যেমনটা দেখাস আসলে তেমনটা না। কোথাও অদৃশ্য কিছু একটা ছিল যা শুধু আমিই টের পেতাম,আর কেউনা। এই অমানুষ তোর ভেতরে একটা মানুষ লুকিয়ে আছে । সেই মানুষটাকে শুধু আমি চিনি,আমি জানি। পৃথিবীর আর কেউ তাকে দেখেনি। আর এই বোধটাই আমাকে কখনো তোর কাছ থেকে দূরে যেতে দেয়নি। তুই যতবার আমাকে দূরে ঠেলে দিয়েছিস আমি ততবার ফিরে ফিরে এসেছি। শুধু তোর কথা ভেবেই। অবুঝ বালক,তুই কি বুঝিস ? আমার মত করে তোকে আর কেউ বোঝে ? কে তোর অন্যায়গুলোকে এত প্রশ্রয় দেবে ? আমি না থাকলে কাকে বকবি তুই? কার সাথে ঝগড়া করবি ? রাগ হলে আমি না থাকলে কাকে ঝাড়বি ? কাকে কষ্ট দিয়ে আনন্দ পাবি, বল?আমার মত করে কাউকে তো কষ্ট দিতে পারবিনা। মন খারাপ হলে মাঝরাতে কার ঘুম ভাঙ্গাবি ? কাকে বলবি তোর কি খেতে ইচ্ছে করে, জন্মদিনে কি চাই ,এটা সেটা? হায়রে অবুঝ,একটি বারের জন্যও ভেবে দেখিসনি কেন তোর হাজার অত্যাচার আমি মাথা পেতে নিতাম। তুই দূর দূর করলেও নির্লজ্জের মত আমার তোর কাছে চলে আসতাম সুড়সুড় করে। তুই তো অবুঝ বালক,তুই নিজেকে চিনিস না। তুই জানিসনা তোর মন কি চায়। কিন্তু আমি তো তোকে চিনি। আমি জানি তোর দৌড় কতোটুকু।
এখন নিজেকে খুব বোকা মনে হচ্ছে। কার জন্য এত ভাবতাম আমি ! কার জন্য এত কিছু সহ্য করেছি ! তুই তো আমার ভালবাসাটাকে বুঝিসইনি। ভালবাসা তো দূরের কথা, আমাকে কোনদিন বন্ধুই ভাবিস নি হয়ত। আর দশটা সস্তা মেয়ে,যাদের তুই দিনে রাতে নাচিয়ে বেরাস,তাদের সাথে আমার কোন পার্থক্যই করিসনি। আমিই অবুঝ বালিকা। আমার ধারনা ছিল তুই যত খারাপই হস না কেন,সেটা বাইরে।আমার সাথে সামনা সামনি যা খুশি করলেও কোথাও একটা বন্ধন ছিল। তোর মনেও খুব সামান্য হলেও মায়া ছিল আমার জন্য। অন্তত বন্ধুত্তের বিশ্বাসটুকু রাখবি। তাই আজো নিজের ভাবনার সাথে বাস্তবতার মিল খুঁজে পাইনা। তুইই বল,আমি কি ভুল ছিলাম ? তোর ভেতর আমি যে নিষ্পাপ একটা হৃদয় দেখেছিলাম সেটা কি তোর কোনদিন ছিলইনা ?এত বড় ভুল তো আমার হবার কথা না। তুই কি সত্যি এরকম?তুই কি সত্যিই এতটা বদলে গেছিস ? তুই কি আমার সেই অবুঝ বালক না ?
ইতি,
বোকা মেয়েটি
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন