চাঁদের আলো আজ খুব বেশী কষ্ট দিচ্ছে কাফিকে ।খুব বেশী মনে পড়ছে সেই দিনগুলো ।ভিতরটা কেমন জানি হাহাকার করছে ।কথা ছিল একসাথে বসে চাঁদ দেখবে দুজন ।নৌকায় নদীর বুকে ঘুরবে একসাথে
।কাঁশবনে হারিয়ে যাবে ।রিক্সার হুড খুলে বৃষ্টিতে ভিজবে । আজ হয়ত হীরা সব ভুলে গেছে ।কাফি কি পারবে হীরাকে ভুলে যেতে?
হয়ত পারবে না ।
খুব দুষ্ট ছিল কাফি ।সবসময় হাসি মুখে লেগেই থাকত ।তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় বর্ষে পড়ত ।ভালবাসা জিনিসটা মাথা ডুকত না ওর ।দুষ্ট হলেও মেয়েদের থেকে দুরে থাকত সবসময় ।সেমিনারে একটা মেয়েকে দেখে ভাল লেগে যায় কাফির ।পরে জানতে পারল, মেয়েটা ওর ডিপার্টমেন্টেই পড়ে কিন্তু একবছরের সিনিয়র ।যতই দেখে ততই ভাল লাগা বেড়ে যেতে থাকে ।দেখতে দেখতে একবছর কেটে গেল ।ভাললাগা রুপ নেয় ভালবাসায় । নিজেকে বুঝাতে চেষ্টা করে এটা কখনোই সম্ভব না ।কিন্তু নিজেকে নিয়ন্ত্রন করতে না পেরে অসাধ্য সাধনের চেষ্টায় নেমে পড়ে ।পরিচিত বড় ভাইয়ের কাছ থেকে হীরার ফোন নাম্বার নেয় ।
সন্ধ্যায় হীরাকে ও ফোন করে, কিন্তু পরিচয় দেয় না শুধু বলে আমি আপনার ডিপার্টমেন্টে পড়ি, আপনার জুনিয়র ।
ফোন কেটে যায় । রাতে হীরা কাফিকে ফোন করে জিঙ্গেস করে কেন ফোন দিয়েছিল ।কাফি বলে, আমি আপনার প্রতি ইন্টারেস্টেট । সেদিন ৫৬ মিনিট কথা বলে ওরা । তারপর থেকে প্রতিদিন ফোনে কথা বলা চলতে থাকে ।
হীরা প্রতিদিন কাফিকে ডিপার্টমেন্টে খুঁজত ।কিন্তু চিনতে পারত না ।ফোনে কথা বলা চলতেই থাকে আর কাফি পাগলের মত ভালবাসতে থাকে হীরাকে ।সেমিনারে মুখোমুখী বসে হীরা খুঁজে কাফিকে ।মেসেজ পাঠায় । কাফি সেমিনারে বসেই ব্লুটুথে গান পাঠায় ।সবগুলো গানই হীরার ভালো লাগে ।একটা গান হীরাকে উত্সর্গ করে "just the way you are".হীরা গানটা ৯ ঘন্টায় ১১৮ বার শুনেছে ।কাফিকে জিঙ্গেস করে এই গানটা কেন ওকে উত্সর্গ করল ।কাফি এড়িয়ে যায় ।
কিছুদিন পর, সেমিনারে কাফি পরিচয় দিল,হীরা তখনই সরাসরি কথা বলতে চাইল ।কাফি রাজি হয়নি ।একদিন হীরা কাফিকে হাঁটতে বের হতে বলল ।কাফি খুশীতে আত্মহারা ।জীবনে প্রথম কোন মেয়ের সাথে হাঁটবে, তাও খুব প্রিয় মানবীর সঙ্গে ।
সন্ধ্যায় হাটতে বের হল দুজন ।দুই ঘন্টা হাটার পর ডিনার করে হীরাকে তার হলে পৌছে দিল ।একদিন হীরা জানতে চায় কাফি তাকে ভালোবাসে কিনা । কাফি বার বার এড়িয়ে যায় ।শেষে না পেরে মিথ্যা বলে, হীরাকে ভালোবাসে না । খুব কষ্ট হয় ওর , তারপরও মিথ্যা বলে যদি হারিয়ে ফেলে এই ভয়ে ।কিছুদিন পর আবারো জানতে চাইলে কাফি আর সত্যকে ডেকে রাখতে পারেনা ।তখন থেকে হীরার মধ্যে পরিবর্তন শুরু হয় । হিরা কাফিকে বুঝাতে শুরু করে এটা সম্ভব না । তারপরও হীরা এমন সব আচরন করে কাফি ভাবত হীরা তাকে খুব ভালোবাসে ।
কত সন্ধ্যা ওরা একসাথে বসে কাটিয়েছে,গল্প করেছে, স্বপ্ন বুনেছে ।ভালবাসা জিনিসটা খুব ভালভাবে বুঝেছে কাফি হীরার কাছে ।কাফির হৃদয়ে তখন সারাক্ষন হীরাই বিচরন করত।ফোন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিত ।সকালে জাগিয়ে দিত।গুড় মনিং না বললে বিছানা ছেড়ে উঠত না কাফি ।হীরাকে ছাড়া একটা দিনও কাটত না ।হীরাও কাফির সাথে কথা না বলে থাকতে পারত না ।একদিন কথা না বলতে পারলে পাগল হয়ে যেত । হীরা মাঝে মাঝে কাফিকে দুরে সরিয়ে দিত আবার কাছে টেনে নিত ।
একদিন কাফি বলল, তুমি তো আমাকে ভালোবাসো, তাহলে কেন আমাকে কষ্ট দাও । হীরা এড়িয়ে যায় । রাতে হীরা ফোন দিয়ে বলে আমার বয় ফেন্ড আছে । কাফি বিশ্বাস করতে পারে না ।হীরা বার বার বুঝাতে চেষ্টা করল । কাফি ফোন কেটে দিল ।পরদিন দুপুর একটা বাজে কাফি বিছানা ছেড়ে উঠেনি ।১.৩০ এ হীরা ফোন দিয়ে কাফিকে বিছানা থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে তারপর ফোন দিতে বলে ।
কাফি ফ্রেশ হয়ে
হীরাকে ফোন করল, হীরা বলল দুই বছর ধরে একজনকে ভালবাসে । ছয় মাস তাদের যোগাযোগ বন্ধ ছিল । এখন সে হীরার সাথে যোগাযোগ করছে । হীরা তার বয় ফেন্ড এর কাছে ফিরে যেতে চায় ।কাফি হীরাকে কি বলবে কিছুই বুঝতে পারে না । নিজেকে সামলে নিয়ে বলে, তোমার বয়ফ্রেন্ডের কাছে ফিরে যাও ।আমি তোমাকে সর্বোচ্চ সাহায্য করব ।হীরার বয় ফ্রেন্ড কাফিকে ফোন করে বলে হীরার জীবন থেকে সরে যেতে । কাফি দুরে সরে যায় ।
তারপর থেকে শুরু হল কাফির কষ্টের দিন গুলো ।হীরাকে খুব মিস করত ।
হীরাও কাঁদত কাফির জন্য ।হয়ত হীরাও কাফিকে ভালবেসে ছিল ।কাফিকে ফোন করে বলল, তোমার মত একটা ভালো ছেলেকে আমি কষ্ট দিলাম ।আল্লাহ আমাকে মাফ করবেন না ।কাফি নিজের কষ্ট গুলো লুকিয়ে রেখে হীরাকে স্বান্ত্বনা দিত, এসব কোন ব্যাপার না ।তুমি ভালো থেকো ।কাফি রাস্তায় হাটত আর চোখের পানি মুছত ।এই প্রথম বুঝতে পারল সে কাঁদতে জানে । পাঁচ দিন পর হীরা কাফিকে ফোন করে ফুলার রোডে যেতে বলল ।কাফির শরীরে একফোটা শক্তিও ছিল না ।তারপরও ভালবাসার মানুষটির আহবানে সাড়া না দিয়ে পারল না । দেখা করতে গেল ।
হীরা বসে আছে ।ওর মুখের দিকে তাকাতে পারছে না কাফি। মলিন মুখ দেখে বুঝতে পারল এই কয়দিন হীরাও অনেক কেঁদেছে ।কাফিকে দেখে হীরা কেঁদে ফেলল ।কাফি হাসি মুখে বলল,চেহারার এই অবস্থা করেছো কেন ? হীরা কাফিকে বলল,তোমার অবস্থা এমন করেছো কেন? কিছুক্ষন নীরব দুজনেই । হীরা বলল, আমার বয়ফেন্ড তোমার সাথে দেখা করতে এসেছে ।দেখা করে কাফি হীরার হাতটা তার হাতে তুলে দিয়ে চলে আসে ।
প্রতিটা পদক্ষেপে কাফির পৃথিবীটা যেন ভেঙ্গে চুরে একাকার হয়ে যাচ্ছে । নিজের হাতে নিজের ভালবাসাকে অর্পন করল অন্য কারো হাতে ।
কাফি আর নিজের সাথে অভিনয় করতে পারে না । নিজেকে স্বান্ত্বনা দিতে পারে না । খুব বেশী মনে পড়ে সেইদিন গুলো ।প্রতিদিন সন্ধ্যায় ওরা দেখা করত ।কাফি হীরার জন্য চকলেট নিয়ে যেত ।একদিন হাতে টাকা নেই দুপুরের খাবার না খেয়ে হীরার জন্য চকলেট কিনে ।আরো অজস্র স্মৃতি কড়ানাড়তে থাকে ।জীবনটাকে খুব বেশী অসহ্য লাগে ওর । কাফি নেশা করা শুরু করে । যতটা না হীরাকে ভুলে থাকার জন্য তার চেয়ে বেশী নিজেকে কষ্ট দেওয়ার জন্য ।কয়েকমাস পর স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে ।কিন্তু মন থেকে হীরার নামটা মুছে ফেলতে পারে না ।প্রথম ভালবাসার স্মৃতি গেঁথে যায় মনের গভীরে কিছু নীরব কান্না হয়ে ।
।কাঁশবনে হারিয়ে যাবে ।রিক্সার হুড খুলে বৃষ্টিতে ভিজবে । আজ হয়ত হীরা সব ভুলে গেছে ।কাফি কি পারবে হীরাকে ভুলে যেতে?
হয়ত পারবে না ।
খুব দুষ্ট ছিল কাফি ।সবসময় হাসি মুখে লেগেই থাকত ।তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় বর্ষে পড়ত ।ভালবাসা জিনিসটা মাথা ডুকত না ওর ।দুষ্ট হলেও মেয়েদের থেকে দুরে থাকত সবসময় ।সেমিনারে একটা মেয়েকে দেখে ভাল লেগে যায় কাফির ।পরে জানতে পারল, মেয়েটা ওর ডিপার্টমেন্টেই পড়ে কিন্তু একবছরের সিনিয়র ।যতই দেখে ততই ভাল লাগা বেড়ে যেতে থাকে ।দেখতে দেখতে একবছর কেটে গেল ।ভাললাগা রুপ নেয় ভালবাসায় । নিজেকে বুঝাতে চেষ্টা করে এটা কখনোই সম্ভব না ।কিন্তু নিজেকে নিয়ন্ত্রন করতে না পেরে অসাধ্য সাধনের চেষ্টায় নেমে পড়ে ।পরিচিত বড় ভাইয়ের কাছ থেকে হীরার ফোন নাম্বার নেয় ।
সন্ধ্যায় হীরাকে ও ফোন করে, কিন্তু পরিচয় দেয় না শুধু বলে আমি আপনার ডিপার্টমেন্টে পড়ি, আপনার জুনিয়র ।
ফোন কেটে যায় । রাতে হীরা কাফিকে ফোন করে জিঙ্গেস করে কেন ফোন দিয়েছিল ।কাফি বলে, আমি আপনার প্রতি ইন্টারেস্টেট । সেদিন ৫৬ মিনিট কথা বলে ওরা । তারপর থেকে প্রতিদিন ফোনে কথা বলা চলতে থাকে ।
হীরা প্রতিদিন কাফিকে ডিপার্টমেন্টে খুঁজত ।কিন্তু চিনতে পারত না ।ফোনে কথা বলা চলতেই থাকে আর কাফি পাগলের মত ভালবাসতে থাকে হীরাকে ।সেমিনারে মুখোমুখী বসে হীরা খুঁজে কাফিকে ।মেসেজ পাঠায় । কাফি সেমিনারে বসেই ব্লুটুথে গান পাঠায় ।সবগুলো গানই হীরার ভালো লাগে ।একটা গান হীরাকে উত্সর্গ করে "just the way you are".হীরা গানটা ৯ ঘন্টায় ১১৮ বার শুনেছে ।কাফিকে জিঙ্গেস করে এই গানটা কেন ওকে উত্সর্গ করল ।কাফি এড়িয়ে যায় ।
কিছুদিন পর, সেমিনারে কাফি পরিচয় দিল,হীরা তখনই সরাসরি কথা বলতে চাইল ।কাফি রাজি হয়নি ।একদিন হীরা কাফিকে হাঁটতে বের হতে বলল ।কাফি খুশীতে আত্মহারা ।জীবনে প্রথম কোন মেয়ের সাথে হাঁটবে, তাও খুব প্রিয় মানবীর সঙ্গে ।
সন্ধ্যায় হাটতে বের হল দুজন ।দুই ঘন্টা হাটার পর ডিনার করে হীরাকে তার হলে পৌছে দিল ।একদিন হীরা জানতে চায় কাফি তাকে ভালোবাসে কিনা । কাফি বার বার এড়িয়ে যায় ।শেষে না পেরে মিথ্যা বলে, হীরাকে ভালোবাসে না । খুব কষ্ট হয় ওর , তারপরও মিথ্যা বলে যদি হারিয়ে ফেলে এই ভয়ে ।কিছুদিন পর আবারো জানতে চাইলে কাফি আর সত্যকে ডেকে রাখতে পারেনা ।তখন থেকে হীরার মধ্যে পরিবর্তন শুরু হয় । হিরা কাফিকে বুঝাতে শুরু করে এটা সম্ভব না । তারপরও হীরা এমন সব আচরন করে কাফি ভাবত হীরা তাকে খুব ভালোবাসে ।
কত সন্ধ্যা ওরা একসাথে বসে কাটিয়েছে,গল্প করেছে, স্বপ্ন বুনেছে ।ভালবাসা জিনিসটা খুব ভালভাবে বুঝেছে কাফি হীরার কাছে ।কাফির হৃদয়ে তখন সারাক্ষন হীরাই বিচরন করত।ফোন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিত ।সকালে জাগিয়ে দিত।গুড় মনিং না বললে বিছানা ছেড়ে উঠত না কাফি ।হীরাকে ছাড়া একটা দিনও কাটত না ।হীরাও কাফির সাথে কথা না বলে থাকতে পারত না ।একদিন কথা না বলতে পারলে পাগল হয়ে যেত । হীরা মাঝে মাঝে কাফিকে দুরে সরিয়ে দিত আবার কাছে টেনে নিত ।
একদিন কাফি বলল, তুমি তো আমাকে ভালোবাসো, তাহলে কেন আমাকে কষ্ট দাও । হীরা এড়িয়ে যায় । রাতে হীরা ফোন দিয়ে বলে আমার বয় ফেন্ড আছে । কাফি বিশ্বাস করতে পারে না ।হীরা বার বার বুঝাতে চেষ্টা করল । কাফি ফোন কেটে দিল ।পরদিন দুপুর একটা বাজে কাফি বিছানা ছেড়ে উঠেনি ।১.৩০ এ হীরা ফোন দিয়ে কাফিকে বিছানা থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে তারপর ফোন দিতে বলে ।
কাফি ফ্রেশ হয়ে
হীরাকে ফোন করল, হীরা বলল দুই বছর ধরে একজনকে ভালবাসে । ছয় মাস তাদের যোগাযোগ বন্ধ ছিল । এখন সে হীরার সাথে যোগাযোগ করছে । হীরা তার বয় ফেন্ড এর কাছে ফিরে যেতে চায় ।কাফি হীরাকে কি বলবে কিছুই বুঝতে পারে না । নিজেকে সামলে নিয়ে বলে, তোমার বয়ফ্রেন্ডের কাছে ফিরে যাও ।আমি তোমাকে সর্বোচ্চ সাহায্য করব ।হীরার বয় ফ্রেন্ড কাফিকে ফোন করে বলে হীরার জীবন থেকে সরে যেতে । কাফি দুরে সরে যায় ।
তারপর থেকে শুরু হল কাফির কষ্টের দিন গুলো ।হীরাকে খুব মিস করত ।
হীরাও কাঁদত কাফির জন্য ।হয়ত হীরাও কাফিকে ভালবেসে ছিল ।কাফিকে ফোন করে বলল, তোমার মত একটা ভালো ছেলেকে আমি কষ্ট দিলাম ।আল্লাহ আমাকে মাফ করবেন না ।কাফি নিজের কষ্ট গুলো লুকিয়ে রেখে হীরাকে স্বান্ত্বনা দিত, এসব কোন ব্যাপার না ।তুমি ভালো থেকো ।কাফি রাস্তায় হাটত আর চোখের পানি মুছত ।এই প্রথম বুঝতে পারল সে কাঁদতে জানে । পাঁচ দিন পর হীরা কাফিকে ফোন করে ফুলার রোডে যেতে বলল ।কাফির শরীরে একফোটা শক্তিও ছিল না ।তারপরও ভালবাসার মানুষটির আহবানে সাড়া না দিয়ে পারল না । দেখা করতে গেল ।
হীরা বসে আছে ।ওর মুখের দিকে তাকাতে পারছে না কাফি। মলিন মুখ দেখে বুঝতে পারল এই কয়দিন হীরাও অনেক কেঁদেছে ।কাফিকে দেখে হীরা কেঁদে ফেলল ।কাফি হাসি মুখে বলল,চেহারার এই অবস্থা করেছো কেন ? হীরা কাফিকে বলল,তোমার অবস্থা এমন করেছো কেন? কিছুক্ষন নীরব দুজনেই । হীরা বলল, আমার বয়ফেন্ড তোমার সাথে দেখা করতে এসেছে ।দেখা করে কাফি হীরার হাতটা তার হাতে তুলে দিয়ে চলে আসে ।
প্রতিটা পদক্ষেপে কাফির পৃথিবীটা যেন ভেঙ্গে চুরে একাকার হয়ে যাচ্ছে । নিজের হাতে নিজের ভালবাসাকে অর্পন করল অন্য কারো হাতে ।
কাফি আর নিজের সাথে অভিনয় করতে পারে না । নিজেকে স্বান্ত্বনা দিতে পারে না । খুব বেশী মনে পড়ে সেইদিন গুলো ।প্রতিদিন সন্ধ্যায় ওরা দেখা করত ।কাফি হীরার জন্য চকলেট নিয়ে যেত ।একদিন হাতে টাকা নেই দুপুরের খাবার না খেয়ে হীরার জন্য চকলেট কিনে ।আরো অজস্র স্মৃতি কড়ানাড়তে থাকে ।জীবনটাকে খুব বেশী অসহ্য লাগে ওর । কাফি নেশা করা শুরু করে । যতটা না হীরাকে ভুলে থাকার জন্য তার চেয়ে বেশী নিজেকে কষ্ট দেওয়ার জন্য ।কয়েকমাস পর স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে ।কিন্তু মন থেকে হীরার নামটা মুছে ফেলতে পারে না ।প্রথম ভালবাসার স্মৃতি গেঁথে যায় মনের গভীরে কিছু নীরব কান্না হয়ে ।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন