গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা যখন
 অসুখ কার না হয়? দেহ থাকলে রোগ হবেই, আর আমাদেরকেও চেষ্টা করতে হবে সেই রোগ প্রতিকারের। অসুখের লক্ষণগুলো যদি আমরা আগে থেকে বুঝতে পারি,তা হলে অনেক ক্ষেত্রেই প্রতিকার করা সম্ভব আরও ভালো ভাবে। আবার ছোট কিছু ব্যাপার মেনে চললে অনেক শারীরিক সমস্যাকেই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। নিজের শরীরের কথা শুনুন মন দিয়ে। কোন সমস্যা হচ্ছে মনে হলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ছোটখাটো অসুখের লক্ষণগুলি যদি নিজে আগে থেকেই বুঝতে পারেন, কিংবা মেনে চলেন কিছু সাধারণ ব্যাপার তাহলে অনেকাংশেই বাঁচতে পারবেন সমস্যার কবল হতে। চলুন, আজ আলোচনা করা যাক গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা নিয়ে।গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা শুনতে ভয়াবহ না লাগলেও দৈনন্দিন জীবনে এই সমস্যা বেশ বড় হয়েই দেখা দেয়। যারা সময় মতো খাবার খান না,তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়।
লক্ষন গুলো-
- সাধারনত গ্যাস্ট্রিক হলে খিদে কম পায়।
- পেটে গ্যাস হয় এবং বুক জ্বালা করে।
- খুব বেশি রকমের হজমের গোলমাল হয়।
- বার বার বমি হতে পারে।
- পেটের মাঝখানে চিনচিনে ব্যাথা হতে পারে।
- বুকে ও পেটে চাপ অনুভূত হয়।
- অনেক সময় ওজন কমে যায়।
কি করবেন?
- একবারে বেশি পরিমানে না খেয়ে অল্প করে খাবার বার বার খান।
- বমি হলে শক্ত খাবার কম খাবেন। পানি ও পানি জাতীয় খাবার বেশি খান।
- চা/কফি বা খুব বেশি চিনি আছে এমন পানীয় কম খাবেন।
- ঘুমানোর কমপক্ষে ২ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নিবেন।
- চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া পেট খারাপ বা বমির ওষুধ কিনে খাবেন না।
- শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমান। নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
- ধূমপান ,মদ্যপান এড়িয়ে চলুন।
- অতিরিক্ত তেল ও মশলা দেয়া খাবার খাবেন না।
- বাইরের খাবার না খেয়ে বাড়ির তৈরি খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।
- সব সময় তাজা খাবার খান ,স্টোর করা বা ফ্রোজেন ফুড কম খাবেন।
- প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে দুপুরের ও রাতের খাবার খাবেন।
- মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা অনেক সময় এই সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। তাই মানসিক চাপ সামলানোর চেষ্টা করুন।
 
Top