যদি মেয়েদের মন পেতে চাওযদি প্রেম করে থাকেন তবে প্রেমিকাকে নিয়ে অবশ্যই মাঝে মধ্যে বাহিরে খেতে বের হবেন। যদি ব্যাপারটা রাতের ডিনার হয় তাহলে খুবই ভালো হয়। এতে করে আপনি আপনার ভালোবাসার মানুষটির খুব
কাছাকাছি আসতে পারবেন। সামাজিকতা, প্রেমের শিষ্ঠাচার রক্ষার্থে শুধু আপনার ভালোবাসার মানুষটির হাতদুটো নিজের হাতে তুলে নিন, চোখে চোখে রেখে বলুন আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি । প্লিজ, এভাবে একটু তাকিয়ে থাকুন, মনে হবে সত্যিইতো প্রেম স্বর্গীয়, ভালোবাসা অমর। আজ ছুটির দিনটি হোক আপনার ভালোবাসার মানুষটির জন্য। আজ তাকে একটু সময় দিন, একটু প্রশংসা করুন ভালো কাজগুলোর, তার সেবায় একটু যত্নবান হন, আজ ভালোবাসার মানুষটি হচ্ছে আপনার গেষ্ট আর আপনি হোস্ট।
প্রেম হারিয়ে গেলেও মূহুত্বের এ ভাবনাটুকু ভেবে কাটিয়ে দিতে পারেন সারা জীবন। সত্যজিতের অপুর সংসার ছবির অপুর চরিত্রটি দেখুন, প্রেম নিয়ে আরেকটু হয়তো ভেবে নিতে পারবেন।
মানুষের প্রেম ও ভালোবাসা, বিশ্বাস, ঘনিষ্টতা ইত্যাদি নিয়ে খুব ভালো ধরনের কিছু গবেষনা পেপার পড়ার ও কাজ করার সুযোগ আমার হয়েছিলো। তখন থেকেই জানতে পেরেছি প্রেম ও ভালোবাসার মূল শক্তি কোথায়? উদাহরন : চোখের দেখায় কেনো শুধু কোনো একজনকে ভালো লেগে যায় ? কিছুক্ষন চোখে চোখ রাখলে কেনো শরীরের রসায়নে এতো পরিবর্তন হয়। যে মেয়েটি বিয়ের পূর্বে কোনো এক সন্ধায় টিএসসি তে রাস্তার পাশে বসে বলেছিলো – তোমাকে ছাড়া আমি আর বাচবো না, কখোনো জরিয়ে ধরে কিছুটা ভালোবাসাও দিয়েছিলো, যে মেয়েটি মাঝরাতে আপনাকে ফোন করলে হাটে্র বিট কমে যেতো সেই মেয়েটি কিনা বিয়ের ৩ মাসের মধ্যে দ্রুত পরিবর্তন হয়ে গেলো। জীবনের এ পর্যায়ে এসে কোনো হিসেব আর মিলছে না। শুধু গানের কলি গুলো বার বার সত্য হয়ে যায় – আজ দুজনার দুটি পথ ........। এরকম হওয়ার দায়ভার কিন্তু একজন বিবাহিত ছেলে ও মেয়ে উভয়ের। মন সবসময় ভালোবাসায় বৈচিত্র খোজে, একগেয়েমি প্রেম, ভালোবাসা মনও মানতে চায়না। মনের প্রেম ও ভালোবাসার সব কিছুর মূলে রয়েছে অক্সিটোসিন নামক একধরনের হরমোন। পুরুষ ও মহিলাদের কিংবা নারী ও পুরুষের শরীরের ভালোবাসার হরমোন হলো অক্সিটোসিন। বিয়ের পুর্বে যখন দুজন দুজনকে খুব কাছে পেতেন তখন প্রতিটি দিনই ছিলো মনের কাছেও ছিলো নিত্য নুতন, সেজন্য মনের মধ্যে অক্সিটোসিন হরমোনের ঝড় উঠতো, মন থেকে বূলেটের মতো বের হয়ে আসতো, তোমাকে ছাড়া আমি আর বাচবো না। কিন্তু বিয়ের পর আজ দুজন যখন খুব কাছাকাছি থাকেন তখন গতানুগতিক, পূর্বের ন্যায় ভালোবাসায় মন উদ্ধিপ্ত হয় না, শরীরে, ব্রেইনে, রক্তে অক্সিটোসিনের ঢেউ ওঠে না। প্রেম আজ নিরস, রং নেই, ভালোবাসা নেই। অক্সিটোসিন হচ্ছে লাভ হরমোন । অক্সিটোসিন হচ্ছে বেইমান হরমোন। প্রেমিক-প্রেমিকার শরীরে একই সময়ে এই হরমোন তৈরী হলে ভালোবাসা চরমে উঠে। প্রেমিক-প্রেমিকার শরীরে একই সময়ে এই হরমোন তৈরী না হলে, ভালোবাসা তৈরী হবে না। দুজন দুজনকে গ্রহন করার প্রশ্নই উঠে না। বরং অবস্থা ভয়বহ রুপ নেয় যেমন: আজ দুজনার দুটি পথ, দুটি ঘাট, দুটি বেড..........., । , প্রেমিকের শরীরে, ব্রেইনে, রক্তে অক্সিটোসিনের আজ ঢেউ উঠেছে কিন্তু কি দূর্ভাগ্য ঠিক ওই সময়ে প্রেমিকার শরীরে, ব্রেইনে, রক্তে অক্সিটোসিনের ঢেউ উঠেনি। তাহলে আজ প্রেমিকের সাথে প্রেমিকার মিলন হবে না। কারন প্রেমিকার মন আজ সাড়া দিবে না। স্বামী আজ স্ত্রীকে কাছে পেতে চাইলেও হবে না কাছে পাওয়া।
কারন স্ত্রীর শরীরে, ব্রেইনে, রক্তে অক্সিটোসিনের ঢেউ নেই। সূতরাং কোনো সাড়া পা্ওয়া যাবে না। ভালোবাসা হবে না। এভাবেই আমাদের অজান্তেই শুরু হয়ে যায় স্বামী-স্ত্রী কোলহ, ডির্ভোস, খুনাখুনি, এসিড নিক্ষেপ, হত্যা, লাশ এবং লাশ। ভালোবাসার মানুষটির হাতে হয় ভালোবাসার মানুষটির লাশ । ২০১০ সালে জূলাই পর্যন্ত সারা দেশে কতোজন প্রেমিকের হাতে প্রেমিকা খুন হয়েছে, স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন হয়েছে তার তথ্য নিয়ে দেখুন হিসেবটা এক জায়গায়। ভেরি সিম্পল, ভালোবাসা নেই। সূতরাং হত্যার করার দায়ে বিচার করবেন কোনো লাভ হবে না। মানূষকে ভালোবাসার কলাকৌশল শেখাতে হবে। প্রেমিককে কিভাবে ভালবাসতে হবে, স্ত্রীকে কিভাবে ভালবাসতে হবে । এ হচ্ছে সর্বোজনীন শিক্ষা। আমাদের দেশে এক অদ্ভুত নিয়মরে ভাই, ছেলেদের দাড়ি মোচ গজালেই বিয়ে আর মেয়েদের মাসিক শুরু না হতেই বিয়ে। এরই মধ্যে জানাই হয়ে উঠে না ভালোবাসার রহস্যের মূলকথা।
 
Top