বউমা রাত হয়ে গেছে সেটা দেখতে পাচ্ছনা?
নাকি চোখ গিলে খেয়েছ! এখনো উঠানে কি কর। যাও নিজের ঘরে, আর হ্যা তোমার শশুর কে পান সাজিয়ে দিও।
জ্বি যাচ্ছি মা, বলে ভেতরে ঢুকে পড়ল রাখি। শশুর কে পান দিয়ে ঘরে চলে এলো সে । ঘরটা ঘুট ঘুটে
notun love
অন্ধকার, কিন্তু লাইট জ্বালাতে ইচ্ছে করছেনা তার। যেনো তেনো ভাবে দিনটা যদিও চলে যায়, কিন্তু রাত হলেই একাকীত্ব আর বিষন্নতা গ্রাস করে রাখীকে। অপুর্ণ চাওয়াগুলো আর অপ্রাপ্তির ব্যাথাগুলো ঝাপি খুলে বেরিয়ে আসে। এক সময়ে ঘুমকাতুরে খেতাব পাওয়া রাখীর রাত কাটে প্রায় বিনিদ্র। কিন্তু আজ পরিস্থিতি ভিন্ন। খুব বড় একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে। যা পালটে দিতে পারে সব কিছু।
¤¤¤
মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে রাখী। মা বাবা আর ৩ বোনেতে মিলে বেশ ভালই ছিল। সব থেকে চঞ্চল আর দুষ্ট ছিল রাখী। পুরো বাড়ি মাতিয়ে রাখত সে। পুতুলের বিয়ে খেলতে খেলতে কখন যে নিজের বিয়ে হয়ে গেল। বুঝতেই পারেনি। এইচ.এস.সি পরীক্ষায় সবে পাস করেছে । কত ইচ্ছে ছিল ভার্সিটিতে পড়বে, হয়নি তা। দেখতে খুব ভাল সে। তাই ছেলে পক্ষ বিয়েতে দেরি করেনি। ছেলে ওয়াসাতে চাকুরি করে পরিবার ও ভাল। তবে বয়সটা বেশি। ৩৬ বছর। তবুও সবদিক মিলিয়ে রাখির মা বাবা বিয়েতে রাজি হয়ে যায়। আর তার সব স্বপ্নকে জলাঞ্জলি দিয়ে বিয়ে দিয়ে দেয়। রাখীর রাজি হওয়া ছাড়া উপায় ছিলনা। মা বাবার অবাধ্য হয়ে তাদের কষ্ট দিতে চায়নি।

¤¤¤
তবুও দু চোখে নতুন স্বপ্ন নিয়ে শশুর বাড়িতে পা রেখেছিল সে। রাখীর বর জহির দেখতে খুব ভাল না হলেও, ভদ্র , ব্যক্তিত্বসম্পন্ন।বা-ঝে কোন স্বভাব নেই। তবে কিছুটা কাঠ খুট্রা টাইপ। আর তার উপর বয়সের বিশাল ফারাক। রাখী জহির কে বুঝতে চেষ্টা করেও বুঝ্তনা। আর জহির ও রাখীকে বুঝে উঠতে পারছিল না। যার দরুন সম্পর্কের মাঝে দুরত্ব থেকেই গেল। রাখী ভেবে ছিল সে হয়ত ঢাকাতে জহির এর সাথেই থাকবে। কিন্তু জহিরে মা বাবা রাখী কে নিজের বাড়িতেই রাখতে চায়। আর জহির ও আপত্তি করেনি । আর ছুটি না থাকায় পনের দিন পর পর জহির আসে দু দিন থেকে চলে যায়। তবে মোবাইলে মাঝে মাঝে কথা হত। আর বাসায় এসে জহির বন্ধুদের সাথে আড্ডা, মা বাবার সাথে সময় দেয়া। আর লম্বা ঘুম।ঐগুলোতে সময় চলে যায়। তাই বছরখানিক হল বিয়ে হলেও এখনও রাখী সহজ হতে পারেনি। পারেনি নিজেকে পুর্ণ রুপে প্রকাশ করতে জহিরের সামনে। শুধু অভিমানের পাল্লাটা একটু একটু করে ভারি হয়েছে।

¤¤¤
বড় বউ হয়ে আসার কারনে পুরো সংসারের দায়িত্ব তার কাধে ছেড়ে দিয়ে শাশুড়ি এবার নিশ্চিন্ত। প্রায় সব কাজ করতে হয়। শশুর শাশুড়ির সেবা, ননদ দেবরের আবদার। রান্না বান্না। সব। কিছু ভুল হলেই বাপের বাড়ির গালমন্দ করে সবাই। রাখী শশুর বাড়িতে অত্যাচারিত হচ্ছে বিষয়টা এমন না। তবে সংসারের সব দায়িত্ত নিজের কাধে নেয়ার মত এতটা ধৈর্য বা সামর্থ্য তার ছিলনা। সকালে ঘুম থেকে উঠেই কাজে লেগে পড়তে হয়। রাখীর মনে হয় যেন সে নিজে ফুরিয়ে যাবে তবু কাজ ফুরাবে না। সে ভাল বউমা, ভাল ভাবি, ভাল বউ হয়ে উঠতে পেরেছে। তবে নিজের স্বকীয়তা হারিয়ে ফেলেছে। লিখাপড়া করাটাও আর হয়ে উঠেনা। কারন শশুর শাশুড়ি বলেছে কাজ সামলে পড়ালেখা করতে। কিন্তু সে সব সামাল দিতে গিয়ে এত ক্লান্ত হয়ে যায় যে তার পড়ায় মন বসেনা। সে সবদিক দিয়েই হয়ত হেরে যাচ্ছে।

¤¤¤
রাখী বই পড়তে ভালবাসত খুব। রোমান্টিক গল্প তার পছন্দের ছিল। সে গল্প পড়তে পড়তে নায়কের প্রেমে পড়ে যেত। আর নায়িকা হিসেবে নিজেকে ভাব্ত। সব নায়ক চরিত্তের ভাল ভাল দিক গুলো নিয়ে মনপটে একেছিল স্বপ্নের রাজ্কুমার এর এক ছবি। কল্পনায় ডুবে থাকত তাকে নিয়ে। সে ভাব্ত তার বর এরকমই হবে যে তার জন্য কবিতা লিখবে চোখের পানে চেয়ে বুঝে নেবে তার মনের অব্যক্ত কথা। মাঝ রাতের বৃষ্টিতে একসাথে ভিজবে। শীতের ভোরে খালি পায়ে শিশির ভেজা ঘাসে উপর দিয়ে হেটে যেতে যেতে একে অপরের উষ্ণতা অনুভব করবে। পদ্ম পুকুরের উপর টুকরো টুকরো জোছনা চুরি করা জোনাকিগুলোর ছুটে বেড়ানোয় মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে থাকবে। অথবা হিমেল হাওয়ায় ভেসে আসা বুনো ফুলের মাদকিয় সুবাসের মাঝে লিন হয়ে যাবে। নাহ! কিছুই পুর্ণ হবার নয়। শুধু বুক ছিড়ে দ্বীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এসেছিল। স্বপ্ন আর বাস্তবের মাঝে অসীম দুরত্ব তা সে উপলব্ধি করেছিল।

¤¤¤
এর মাঝে একটা ঘটনা রাখীর জীবন কে কিছুটা পালটে দিল। বিয়ের যখন আটমাস চলছিল তখন একটা ফোন এল। অপরিচিত নাম্বার থেকে।
-হেল্লো
-হেল্লো কে বল্ছেন?
-আমি মামুন।
-কাকে চান?
-আপনাকে
-মানে ?
-আপনার সাথে কথা বলতে চাই। একটু কি সময় হবে?
- আমি অপরিচিত কারোর সাথে কথা বলিনা, রাখব এখন। আর আমার নাম্বার কোথায় পেলেন?
-আপনার নাম্বার আর আমার নাম্বার প্রায় সেম। শুধু একটা সংখ্যা চেঞ্জ করেছি মাত্র। আর আপনে ফোন রাখবেন না আমার কথাগুলো শুনেন পরে কেটে দিয়েন।
-ওকে বলেন।
আজ আমি খুব কষ্ট পাচ্ছি খুব, বুকটা মূচড়ে উঠছে। আমি আমার কষ্ট গুলো কাউকে বলতে চাই। জানেন তো আজ্কাল মানুষ কারোর দুঃখের পেন পেন শুনতে চায় না। আপনার আপত্তি না থাকলে বলি? আর কখনো ফোন দিয়ে জ্বালাবনা আপনাকে।
- রাখী অনিচ্ছা সত্বেও রাজি হল।
অনেক্ষণ কথা বলল ওই লোকটা। তার কষ্টের কথা শুনে রাখীরও চোখ ভিজে গেল। এই পৃথিবীতে কতই না কষ্টে থাকে মানুষ।
ঊচ্চ বিত্ত পরিবারে জন্ম নেয় মানুন। কিছুদিন পরই মা বাবার ডিভোর্স হয়ে যায়। বাপে খেদানো মায়ে তাড়ানো সে। নানুর কাছে মানুষ। বাউন্ডুলে হয়ে গেছিল। মদ খেত খুব। এরি মাঝে একজন কে ভালবেসে বিয়ে করে , নিজেকে বদলে ফেলে। কিন্তু দূর্ভাগ্য তার। সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মারা যায় তার স্ত্রী আর সন্তান দুজনই। আজ তাদের মৃত্যু দিন। তাই সে কষ্টগুলোকে শেয়ার করতে শ্রোতা খুজছিল নিজেকে হালকা করার জন্যে।

¤¤¤
এরপর থেকে তাদের প্রায় প্রতিদিনই কথা হতে লাগল। তাদের মাঝে ভাল বন্ধুত্ব হয়ে যায়। একে অপরের দুঃখ কষ্ট চাওয়া পাওয়া সবই শেয়ার করতে লাগল। এভাবে বেশ কিছুদিন চলে গেল। রাখী এখন আর বিষন্ন না হাসিখুসি থাকে। মামুন তাকে কবিতা পড়ে শুনায়। দরাজ গলায় রবিন্দ্র সঙ্গীত শুনায়। রাখী ধীরে ধীরে মামুনের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছে নিজের অজান্তেই। প্রতিদিন কথা বলার নেশায় পেয়ে গেছে। হঠাত মামুনের কাছ থেকে দুদিন ফোন এলনা। এদিকে রাখীর মাথা খারাপ হয়ে যাবার জোগাড়। মামুনের ফোনও অফ। ৩ দিন পর মামুন ফোন করতেই শুরু হল অনুযোগ আর অভিমানের ঝড়।
মামুন বলল আমি দেখছিলাম যে আমাকে তুমি কতখানি মিস কর। আমার উদ্দেশ্য সফল। তবে কি জান আমিও তোমাকে খুব মিস করেছি। এর কদিন পর মামুন রাখীকে প্রপোজ করল। রাখী ভুলে গেল তার বিবাহিত জীবনের কথা। সে গ্রহন করে নিল ও তার বিনিময়ে ভালবাসি বলে দিল। তার মাথায় একটাই ভাব্না ছিল। যে সে মামুন কে ভালবাসে। আর ভালবাসা সবই জায়েয। তাদের গোপন প্রেম সাগরের জলরাশির মত উপচে পড়ছিল। মামুনের সাথে রাখী দেখাও করল। সারিন্ধায় আধো আন্ধকারে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়েছে লাঞ্চ করার অজুহাতে। সে সাহসি হয়ে উঠেছে হঠাত করেই।

¤¤¤
এর মাঝেই রাখীর বিয়ের এক বছর পুর্ণ হল। জহির ছুটি নিয়ে বাড়ি আসল। কিন্তু রাখী তাকে এড়িয়ে চলছে। ভাল করে কথাও বলছেনা। রাখীর আচরনের পার্থক্য বেশ কিছুদিন যাবত জহিরও বুঝতে পারছে। ফোনেও আগের মত কথা বলেনা। জহির মনে মনে খুব কষ্ট পেলেও কিছু বল্ছেনা। সে ভাবছে বউ কে এখানে ফেলে রাখছে, নিজের কাছে নিচ্ছেনা তাই রাগ করেছে। সে মানাতে চাইলেও রাখী কথা এগুতে দেয়নি। কিছুটা অবহেলা অবজ্ঞা ভরা ভাব দেখিয়ে পাশ ফিরে ঘুমিয়ে গেছিল।জহির জখন চলে যায়। ঠিকমত বিদায়ও জানায় নি।

¤¤¤
আন্ধকার ঘরে বসে রাখী পুরনো অনেক স্মৃতি মনে করছে। কাল সে এই বাড়ি ছেড়ে চলে যাবে নতুন এক পথের সন্ধানে। পরিচিত সম্পর্ক , পরিচিত মানুষদের সাথে সব বন্ধন ছিড়ে। হঠাৎ করেই খুব কষ্ট লাগছে তার। এই বাড়িটার আর বাড়ির মানুষদের প্রতি তার এত মায়া পড়ে গেছে বুঝতে পারেনি সে। তার মা বাবা ২ বোন সবার চেহারা চোখের সামনে একে একে ভাসছে। আর তার চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ছে। তার বিবেক তাকে এই অন্যায় করতে বাধা দিচ্ছে। তার নেশার ঘোর কিছুটা হালকা হয়েছে। সারা রাত তার বিবেক আর মনের সাথে যুদ্ধ চলেছে। মনই জিতেছে বোধহয়। কারন এখানে থাকার খুব বড় কারন খুজে পাচ্ছেনা।
ছোট্র একটা বেগে অল্প কয়েকটা কাপর চোপড় ভরেছে। একটা শাড়ি বের করতেই রঙ্গীন রেপিং করা ছোট্র বক্স দেখে ওপরে একটা চিরকুট আটকানো।

রাখী,
ভেবনা এটা শুধু মাত্র একটা উপহার । এতে রয়েছে আমার ত্যাগ , পরিশ্রম , আর তোমাকে একটু খুশি দেওয়ার প্রত্যাশা। আমি তোমাকে অনেক কিছুই দিতে পারিনা যার তুমি যোগ্য। এমনকি আমার কাছে ও তোমাকে আনতে পারিনি এখনও। কিন্তু এটা জেনে রাখ অনেক অনেক ভালবাসা দিতে পারি তোমাকে। তুমি কি সেটা অনুভব করতে পার?
আমি অনেক কথা মুখে বলতে পারিনা। এমন কি সহজে বুঝাতেও পারিনা। কিন্তু বিশ্বাস কর তোমাকে আমি খুব ভালবাসি। প্রতি মুহুর্তেই আমি তোমাকে অনুভব করি। তুমিই আমার একান্ত শান্তির নীড়। আমি জানি তোমার স্বপ্নের রাজ্কুমার আমি নই।তাই তোমাকে সময় দিয়েছি যাতে আমাকে বুঝ্তে পার। আমি আর তুমি কে আলাদা নয় একই ভাব। আমি কথা দিলাম শীগ্রই তোমাকে আমার কাছে নিয়ে আসব। আর কটাদিন ধৈর্য রাখ শুধু। তখন আমরা একান্তই আমাদের থাকব।
জহির।
এই মাত্র কয়েকটা লাইন রাখীর ভাব্না কে ওলঠ পালঠ করে দিল। সে ভুল করেছে বিরাট বড় ভুল। তার নিজেকে অতি জঘন্য লাগছে।
বক্সটা খুলে দেখল এতে একটা ডায়মন্ড পেনডেন্ট আছে। রাখী বুঝ্ল ওটা কিনতে তাকে কত কষ্ট করতে হয়েছে। সে বক্সটা হাতে নিয়ে অজোরে কাদতে লাগল।

¤¤¤
ময়মনসিংহ রেল ষ্টেশনে দাড়িয়ে রাখী। সামনে দাড়ানো তাকে নিতে আসা মামুন।
তুমি জাননা আমি কি পরিমান খুশি হয়েছি তুমি এসেছ বলে। খুব টেনশনে ছিলাম যদি না আস। আমি এই কষ্ট সহ্য করতে পারতাম না, মামুন বলল।
রাখী চুপ মেরে আছে। এদিকে আন্তঃনগর তিস্তা ষ্টেশনে এসে গেছে। মামুন রাখীকে নিয়ে গেল ট্রেন এর সামনে । মামুন উঠে হাত বাড়িয়ে দিল রাখীর দিকে। রাখী বলল , আমি এখানে এসেছি তোমাকে বিদায় জানাতে। আমি নিজে যেতে নয়। আমার জীবন থেকে চিরতরের জন্যে তোমার সাথে আমার সম্পর্কের সমাপ্তি টানতে এসেছি আমি। আমার উপর সবার বিশ্বাসের অপমৃত্যু ঘটতে দেব না। এই মূহুর্ত থেকে তোমাকে আমি চিনিনা। তুমি ও রাখী নামে কাউকে চেননা। ভাল থেক তুমি,আর পারলে আমাকে ক্ষমা করে দিও।
হতভম্ব মামুন অবিশ্বাসের চোখে তাকিয়ে আছে রাখীর দিকে, কিছু বলতে পারছে না সে। কথা বলার শক্তি ও হারিয়ে ফেলেছে সে। ট্রেনটা চলা শুরু করে দিয়েছে। আর রাখী চলে যাচ্ছে দুর থেকে আরও দুরে। একসময় চলে গেল দৃষ্টিসীমার বাইরে।

¤¤¤
রাখী যেতে পারেনি তার পরিবার কে ছেড়ে। তার পদস্খলনই তাকে জীবনের অনেক বাস্তবতা শিখিয়ে দিয়েছে। যা হয়ত সে বুঝতে পারত না। সম্পর্ক ছেদ কর্রতে গিয়েই সে বুঝেছে কি শক্ত সে বাধন। তার ভুল সিদ্ধান্তে তার মা বাবা কি পরিমান কষ্ট পেত। লজ্জিত হত সে বুঝতে পেরেছে। তার আর ২টা বোন এর জীবনে যে অন্ধকার নেমে আসত সেটাও সে অনুধাবন করতে পেরেছে। এত মানুষকে কষ্ট দিয়ে এত মানুষের দ্বীর্ঘশ্বাস মিশে থাকা জীবনে সে কখনো সুখী হতে পারতনা। সে জেনে গেছে সুখ কখনো নিজে এসে ধরা দেয়না। তাকে খুজে নিতে হয় অনেক কষ্টের ভীড়ের মধ্যিখান থেকে। জহির কে ভালবেসে এতদিনে অবহেলা ধুয়ে মুছে দেবে। এই মামুন কে ভুলে যাবে সে। আরেক জনকে সুখী করার মাঝেই প্রকৃত শান্তি খুজে পাওয়া যায়। হঠাৎ একটা ডোবার সামনে দাড়িয়ে পড়ল রাখী। একটা লম্বা করে শ্বাস নিল। আর ফোনটা ছুড়ে ফেলে দিল সে। শেষ বারের মত একবার পিছু ফিরে তাকাল। তার পর সে চলতে শুরু করল। এক পুরনো সম্পর্ককে নতুন ভাবে সাজাতে।
 
Top