কিভাবে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে হবে, কিভাবে বিয়ে করতে হবে সব কিছুই নিয়েই তো ব্যাপক
আলোচনা(!) হলো! এখন সমস্যা হচ্ছে, আমাদের বাবা মায়েরা তো ছেলেমেয়েদেরকে প্রেম করতে দিতেই চান না! আসলে কী জানেন? ছেলেমেয়েদের প্রেম করতে দিলে কিন্তু কিন্তু বাবামায়েদেরই লাভ! কিভাবে? বলছি,
নেপোলিয়ন কী বলেছিলেন মনে আছে তো? নেপোলিয়ন বলেছিলেন, “তোমরা আমাকে একজন শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাদের একটি শিক্ষিত জাতি উপহার দেবো।”
সময় বদলে গেছে। এযুগের ছেলেমেয়েদের ধ্যানজ্ঞান হচ্ছে গার্লফ্রেন্ড/বয়ফ্রেন্ড। তাই নতুন করে বলি, “তোমরা আমাকে একজন ভালো গার্লফ্রেন্ড/বয়ফ্রেন্ড দাও, আমি তোমাদের একটি ভালো জাতি উপহার দেবো।”
একটু আগেই তো বললাম, কোনো বাবা মা চান না যে তাদের ছেলেমেয়ে প্রেম করুক, তার গার্লফ্রেন্ড/বয়ফ্রেন্ড থাকুক। গার্লফ্রেন্ড/বয়ফ্রেন্ড বিষয়টাকে খুব খারাপ চোখে দেখেন বাবা মায়েরা। ধরুন, কোনো বাবা মা যদি জানতে পারেন যে ছেলের গার্লফ্রেন্ড আছে, তখন তারা খুব রেগে যাবেন। বিভিন্নভাবে ছেলের উপর চাপ প্রয়োগ করতে থাকবেন। মোবাইল কেড়ে নেবেন। স্পাই নিয়োগ করবেন। আরো কত কি! এতে বাবা মা এর সাথে ছেলের সম্পর্ক খারাপ হয়ে যাবে। ছেলে মানসিকভাবে ভেঙে পড়বে।
কিন্তু ছেলের এই গার্লফ্রেন্ডের কাছ থেকে বাবা মা ইচ্ছা করলে অনেক উপকার পেতে পারেন। গার্লফ্রেন্ডের মাধ্যমে বদলে দিতে পারেন ছেলের জীবন। যেমনঃ
প্রত্যেক গার্লফ্রেন্ড তার বয়ফ্রেন্ডকে বলবে, “তুমি সিগারেট খাবা না। যদি খাও তাহলেই ব্রেকআপ!”
এখন কোনো স্মোকার ছেলে যদি সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দেয় কিংবা কোনো নন স্মোকার ছেলে যদি কখনো সিগারেট না খায়, তাহলে কত ভালো হবে! বাবা মা নিশ্চিন্ত হতে পারবেন।
আর গার্লফ্রেন্ডও বুঝতে পারবে যে তার বয়ফ্রেন্ড তাকে কত ভালোবাসে, তার কথার কত মূল্য দেয়!
যদি ছেলেটা তবুও সিগারেট খায়, তাহলে বুঝতে হবে ছেলেটা তার গার্লফ্রেন্ডের চাইতেও সিগারেটকে বেশি ভালোবাসে।
এখানে গার্লফ্রেন্ডের উপকারঃ মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয়া বয়ফ্রেন্ডের আসল রূপ চিনতে পারবে। পরবর্তী জীবনের কষ্ট থেকে বেঁচে যাবে মেয়েটা।
বাবা মা এর উপকারঃ ছেলের গার্লফ্রেন্ড আর থাকছে না। অন্তত একদিক দিয়ে তারা চিন্তামুক্ত হতে পারবেন।
এভাবে আরো অনেকদিক দিয়ে সুফল পাওয়া সম্ভব। তাই গার্লফ্রেন্ডের নাম শুনলেই বাবা মায়ের রেগে যাওয়া উচিৎ না। বরং যাচাই বাছাই করে দেখা উচিৎ যে মেয়েটা কেমন। একটা ছেলের জীবনে একটা ভালো মেয়ের সুপ্রভাব অনেক অনেক অনেক বেশি।
আমাদের সমাজের সমস্যা হচ্ছে, আমরা আমাদের দুর্বল দিকগুলো জীবন থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চাই। অথচ, এই দুর্বল দিকগুলোকে ইচ্ছা করলে শক্তিতে পরিণত করা যায়। দুর্বলতা যখন শক্তিতে পরিণত হয়, তখন তা হয় দুর্ভেদ্য, স্বর্গীয়।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন