সমস্যা: আমার বয়স ২০। ,। ১২-১৩ বছর বয়স থেকে আমি আমার চেহারা, স্বাস্থ্য, সীমিত জ্ঞান
ইত্যাদি বিষয় নিয়ে চিন্তা করতাম। আমার মনে হতো, আমার দ্বারা কিছু হবে না, আমাকে কেউ পছন্দ করে না। এখন আমি সারা দিন মন খারাপ করে থাকি। কারও সঙ্গে মিশি না। মনে হয়, পৃথিবীর সব আনন্দ থেকে আমি বঞ্চিত। মাঝেমধ্যে মনে হয় আত্মহত্যা করি। আমার ঘুম হয় না, খাওয়ার রুচি নেই। মাথা ব্যথা করে। পড়ায় মন দিতে পারি না। পরিবারে কোনো অর্থসংকট নেই কিন্তু আমার চিন্তায় মা-বাবা সব সময় টেনশন করেন। মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খেয়েছি কিন্তু উন্নতি পাচ্ছি না। আমাকে পরামর্শ দিলে উপকৃত হব।
নয়ন
ইবাইস ইউনিভার্সিটি, ঢাকা।
পরামর্শ: লক্ষণগুলো পড়ে বোঝা যাচ্ছে আপনি বিষণ্নতায় (ডিপ্রেশন) ভুগছেন। সর্বোপরি আপনার মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতাও রয়েছে। তাই আর দেরি না করে আপনার উচিত হবে যত দ্রুত সম্ভব নিকটস্থ মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বা জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে এসে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করা। মনে রাখবেন, বিষণ্নতা একটি মানসিক সমস্যা এবং যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণ করলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। আপনি একজন ছাত্র এবং বয়সে তরুণ, সামনে আপনার সুদীর্ঘ উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ পড়ে আছে। আপনি নিজের ভেতর আত্মশক্তি জাগিয়ে তুলুন। অনেক সময় এ সমস্যায় ওষুধের কার্যকারিতা শুরু হতে দীর্ঘ সময় লাগে, তাই ধৈর্যহারা হবেন না। চিকিৎসকের পরামর্শে নিয়মিত ওষুধ গ্রহণ করুন, সামাজিক কর্মকাণ্ডে নিজের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করুন এবং দরকার হলে সাইকোথেরাপিও নিতে পারেন। বিষণ্নতারোধী অনেক ধরনের ওষুধ রয়েছে, আপনার জন্য কোনটি সর্বাধিক কার্যকর হবে এবং কী মাত্রায় তা সেবন করতে হবে, তা নির্ধারণের জন্য চিকিৎসকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা জরুরি।
পরামর্শ দিয়েছেন: অধ্যাপক ডা. মো. গোলাম রব্বানী
ইত্যাদি বিষয় নিয়ে চিন্তা করতাম। আমার মনে হতো, আমার দ্বারা কিছু হবে না, আমাকে কেউ পছন্দ করে না। এখন আমি সারা দিন মন খারাপ করে থাকি। কারও সঙ্গে মিশি না। মনে হয়, পৃথিবীর সব আনন্দ থেকে আমি বঞ্চিত। মাঝেমধ্যে মনে হয় আত্মহত্যা করি। আমার ঘুম হয় না, খাওয়ার রুচি নেই। মাথা ব্যথা করে। পড়ায় মন দিতে পারি না। পরিবারে কোনো অর্থসংকট নেই কিন্তু আমার চিন্তায় মা-বাবা সব সময় টেনশন করেন। মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খেয়েছি কিন্তু উন্নতি পাচ্ছি না। আমাকে পরামর্শ দিলে উপকৃত হব।
নয়ন
ইবাইস ইউনিভার্সিটি, ঢাকা।
পরামর্শ: লক্ষণগুলো পড়ে বোঝা যাচ্ছে আপনি বিষণ্নতায় (ডিপ্রেশন) ভুগছেন। সর্বোপরি আপনার মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতাও রয়েছে। তাই আর দেরি না করে আপনার উচিত হবে যত দ্রুত সম্ভব নিকটস্থ মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বা জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে এসে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করা। মনে রাখবেন, বিষণ্নতা একটি মানসিক সমস্যা এবং যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণ করলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। আপনি একজন ছাত্র এবং বয়সে তরুণ, সামনে আপনার সুদীর্ঘ উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ পড়ে আছে। আপনি নিজের ভেতর আত্মশক্তি জাগিয়ে তুলুন। অনেক সময় এ সমস্যায় ওষুধের কার্যকারিতা শুরু হতে দীর্ঘ সময় লাগে, তাই ধৈর্যহারা হবেন না। চিকিৎসকের পরামর্শে নিয়মিত ওষুধ গ্রহণ করুন, সামাজিক কর্মকাণ্ডে নিজের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করুন এবং দরকার হলে সাইকোথেরাপিও নিতে পারেন। বিষণ্নতারোধী অনেক ধরনের ওষুধ রয়েছে, আপনার জন্য কোনটি সর্বাধিক কার্যকর হবে এবং কী মাত্রায় তা সেবন করতে হবে, তা নির্ধারণের জন্য চিকিৎসকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা জরুরি।
পরামর্শ দিয়েছেন: অধ্যাপক ডা. মো. গোলাম রব্বানী
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন