তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কমবেশি কৌতূহল থাকে সবারই। আর তা যদি হয় তাদের প্রেম, বিয়ে সংক্রান্ত। তাহলে তো কথাই নেই। মিডিয়া জগতের সেই শুরুর দিনগুলো থেকে আজ পর্যন্ত অনেক রূপকথার জন্ম দিয়েছেন
পর্দার ঐ মানুষগুলো। হলিউড, বলিউড, টালিউড এমনকি আমাদের ঢালিউডেও (ঢাকার চলচ্চিত্র) আছে এমন অনেক অজানা অভিসারের কথা।কখনো কখনো সেই গোপন প্রেম-কাহিনীকে নিছকই গুজব বলে এড়িয়ে গেছেন ঐ সব তারকারা। আবার কেউ কেউ অকপটে স্বীকার করেছেন সে সব কথা। কথায় আছে, ‘ যা রটে, তা কিছু ঘটে।’ জেনে নেওয়া যাক সেই ‘কিছু ঘটা’র কাহিনীগুলো।
পপি : মনতাজুর রহমান আকবরের ‘কুলি’ চলচ্চিত্রে সেলুলয়েডের রঙিন দুনিয়ায় নিয়মিত হন চিত্র নায়িকা পপি। পরবর্তীতে শাকিল খানের সঙ্গে তিনি অভিনয় করেন ‘আমার ঘর আমার বেহেশত’ চলচ্চিত্রে। একসঙ্গে জুটি হয়ে বেশ কিছু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন দুজন। এ জুটির প্রথম চলচ্চিত্র থেকেই প্রেমের গুঞ্জনের জন্ম দেন। এক পর্যায়ে পপিকে স্ত্রী হিসেবেও দাবি করেন শাকিল খান! কিন্তু পপির অস্বীকৃতিতে ঘটনা আদালতে গড়ায়। শেষ পর্যন্ত দুজনার দুটি পথ আলাদাই হয়ে যায়।
শাবনূর : এক সময় তো মানুষের মুখে-মুখেই ফিরত সালমান শাহ- শাবনূরের প্রেমের কথা। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই সাব্বির, সালমান শাহ, রিয়াজসহ অনেকের সঙ্গে তার প্রেমের খবর চাউর হতে থাকে। এমনকি হালের নায়ক শাকিব খানের সঙ্গে তার সম্পর্ক খারাপ হওয়ার কারণ হিসেবে ঐ প্রেমটাকেই দায়ী করেন অনেকে। আজও অবিবাহিত শাবনূরের পিছু ছাড়ছে না গোপন প্রেম-বিয়ের গুঞ্জন। কিছু দিন আগেও খবর এসেছে শাবনূর বিদেশে বিয়ে করেছেন। কিন্ত শাবনূরের মুখে কুলুপ আটা আছে এখনো। দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত কোন ঘাটে তরী ভিড়ান এই বর্ষীয়ান নায়িকা।
শাবনাজ : ১৯৯১ সালে এহতেশামের ‘চাঁদনী’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে নায়িকা হয়ে আসেন শাবনাজ। ওই চলচ্চিত্রে তার নায়ক ছিলেন নাঈম। চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করতে গিয়ে ঘনিষ্ঠ হন দুজন। একসঙ্গে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ও করেন। শুরু থেকেই তাদের প্রেম কাহিনী মিডিয়ায় চাউর হয়। কিন্তু এ খবর তারা অস্বীকার করেন। অবশেষে ১৯৯৬ সালে বিয়ের পিঁড়িতে বসে অবসান ঘটান সব জল্পনা-কল্পনার।
মৌসুমী : ১৯৯৩ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ চলচ্চিত্রের নায়িকা হন মৌসুমী। শুরুতেই এই চলচ্চিত্রের নায়ক সালমান শাহকে জড়িয়ে তার প্রেমের গুঞ্জন রটলেও পরে আরেক নায়ক ওমর সানীর সঙ্গে মৌসুমীর প্রেমের খবর চলচ্চিত্রাঙ্গনসহ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। যথারীতি প্রথমে অস্বীকার, পরে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। এর পরেও অনেকের সঙ্গে জড়িয়ে মৌসুমীর প্রেমের গুঞ্জন রটলেও এখনো মৌসুমী-সানির সুখী দাম্পত্য জীবন অনেকের কাছে ঈর্ষণীয়।
পূর্ণিমা : ৯০ দশকের মাঝামাঝিতে চলচ্চিত্রে আসেন পূর্ণিমা। নায়ক রিয়াজের সঙ্গে জুটি হয়ে অনেক ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র উপহার দেন। তাদের প্রেম-কাহিনী এক সময় চায়ের কাপে ভালোই ঝড় তুলত। এরপর অবশ্য আরও এক নায়ক ও নির্মাতার সঙ্গেও পূর্ণিমার প্রেমের খবর রটে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চলচ্চিত্র জগতের বাইরে বিয়ে করায় পূর্ণিমার প্রেম-রথের চাকা আর বেশি দূর এগোয়নি।
অপু বিশ্বাস : অপু-শাকিব জুটি এখনো প্রেমিক যুগল হয়ে আছেন ঢালিউডে। তাদের প্রেম-বিয়ের খবরে পত্রিকাগুলো সরব থাকলেও দুজনের কেউই এখনো বিষয়টি স্বীকার করছেন না। তাদের গোপন বিয়ের খবরও ফিল্মপাড়াসহ সর্বত্র মুখরোচক গল্প হয়ে আছে। এমনকি শাকিব অন্য নায়িকাদের সঙ্গে ছবি করলে অপুর মুখের হাসি নাকি উধাও হয়ে যায়। তবে সপ্তাখানেক আগে এ বিষয়ে অপু বলেছেন, ‘সাকিবের সঙ্গে আমার বিয়ের
খবর নিছকই গুঞ্জন। সাকিব শুধুই আমার ভালো বন্ধু।’
রেসি : ২০০৮ সালে বুলবুল জিলানীর ‘নীল আঁচল’ চলচ্চিত্রে নায়িকা হয়ে আসেন রেসি। প্রথমে এই নির্মাতা, পরে এক মডেল সর্বশেষ অভিনেতা ডিপজলের সঙ্গে রেসির প্রেম-বিয়ের গুঞ্জন ঢালিউডের বাতাস ভারি করেছে। অবশেষে ২০১২ সালে রেসি বিয়ে করেন এক ব্যবসায়ীকে। শেষ হয় রেসির প্রেম-অধ্যায়।
পর্দার ঐ মানুষগুলো। হলিউড, বলিউড, টালিউড এমনকি আমাদের ঢালিউডেও (ঢাকার চলচ্চিত্র) আছে এমন অনেক অজানা অভিসারের কথা।কখনো কখনো সেই গোপন প্রেম-কাহিনীকে নিছকই গুজব বলে এড়িয়ে গেছেন ঐ সব তারকারা। আবার কেউ কেউ অকপটে স্বীকার করেছেন সে সব কথা। কথায় আছে, ‘ যা রটে, তা কিছু ঘটে।’ জেনে নেওয়া যাক সেই ‘কিছু ঘটা’র কাহিনীগুলো।
পপি : মনতাজুর রহমান আকবরের ‘কুলি’ চলচ্চিত্রে সেলুলয়েডের রঙিন দুনিয়ায় নিয়মিত হন চিত্র নায়িকা পপি। পরবর্তীতে শাকিল খানের সঙ্গে তিনি অভিনয় করেন ‘আমার ঘর আমার বেহেশত’ চলচ্চিত্রে। একসঙ্গে জুটি হয়ে বেশ কিছু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন দুজন। এ জুটির প্রথম চলচ্চিত্র থেকেই প্রেমের গুঞ্জনের জন্ম দেন। এক পর্যায়ে পপিকে স্ত্রী হিসেবেও দাবি করেন শাকিল খান! কিন্তু পপির অস্বীকৃতিতে ঘটনা আদালতে গড়ায়। শেষ পর্যন্ত দুজনার দুটি পথ আলাদাই হয়ে যায়।
শাবনূর : এক সময় তো মানুষের মুখে-মুখেই ফিরত সালমান শাহ- শাবনূরের প্রেমের কথা। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই সাব্বির, সালমান শাহ, রিয়াজসহ অনেকের সঙ্গে তার প্রেমের খবর চাউর হতে থাকে। এমনকি হালের নায়ক শাকিব খানের সঙ্গে তার সম্পর্ক খারাপ হওয়ার কারণ হিসেবে ঐ প্রেমটাকেই দায়ী করেন অনেকে। আজও অবিবাহিত শাবনূরের পিছু ছাড়ছে না গোপন প্রেম-বিয়ের গুঞ্জন। কিছু দিন আগেও খবর এসেছে শাবনূর বিদেশে বিয়ে করেছেন। কিন্ত শাবনূরের মুখে কুলুপ আটা আছে এখনো। দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত কোন ঘাটে তরী ভিড়ান এই বর্ষীয়ান নায়িকা।
শাবনাজ : ১৯৯১ সালে এহতেশামের ‘চাঁদনী’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে নায়িকা হয়ে আসেন শাবনাজ। ওই চলচ্চিত্রে তার নায়ক ছিলেন নাঈম। চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করতে গিয়ে ঘনিষ্ঠ হন দুজন। একসঙ্গে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ও করেন। শুরু থেকেই তাদের প্রেম কাহিনী মিডিয়ায় চাউর হয়। কিন্তু এ খবর তারা অস্বীকার করেন। অবশেষে ১৯৯৬ সালে বিয়ের পিঁড়িতে বসে অবসান ঘটান সব জল্পনা-কল্পনার।
মৌসুমী : ১৯৯৩ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ চলচ্চিত্রের নায়িকা হন মৌসুমী। শুরুতেই এই চলচ্চিত্রের নায়ক সালমান শাহকে জড়িয়ে তার প্রেমের গুঞ্জন রটলেও পরে আরেক নায়ক ওমর সানীর সঙ্গে মৌসুমীর প্রেমের খবর চলচ্চিত্রাঙ্গনসহ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। যথারীতি প্রথমে অস্বীকার, পরে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। এর পরেও অনেকের সঙ্গে জড়িয়ে মৌসুমীর প্রেমের গুঞ্জন রটলেও এখনো মৌসুমী-সানির সুখী দাম্পত্য জীবন অনেকের কাছে ঈর্ষণীয়।
পূর্ণিমা : ৯০ দশকের মাঝামাঝিতে চলচ্চিত্রে আসেন পূর্ণিমা। নায়ক রিয়াজের সঙ্গে জুটি হয়ে অনেক ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র উপহার দেন। তাদের প্রেম-কাহিনী এক সময় চায়ের কাপে ভালোই ঝড় তুলত। এরপর অবশ্য আরও এক নায়ক ও নির্মাতার সঙ্গেও পূর্ণিমার প্রেমের খবর রটে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চলচ্চিত্র জগতের বাইরে বিয়ে করায় পূর্ণিমার প্রেম-রথের চাকা আর বেশি দূর এগোয়নি।
অপু বিশ্বাস : অপু-শাকিব জুটি এখনো প্রেমিক যুগল হয়ে আছেন ঢালিউডে। তাদের প্রেম-বিয়ের খবরে পত্রিকাগুলো সরব থাকলেও দুজনের কেউই এখনো বিষয়টি স্বীকার করছেন না। তাদের গোপন বিয়ের খবরও ফিল্মপাড়াসহ সর্বত্র মুখরোচক গল্প হয়ে আছে। এমনকি শাকিব অন্য নায়িকাদের সঙ্গে ছবি করলে অপুর মুখের হাসি নাকি উধাও হয়ে যায়। তবে সপ্তাখানেক আগে এ বিষয়ে অপু বলেছেন, ‘সাকিবের সঙ্গে আমার বিয়ের
খবর নিছকই গুঞ্জন। সাকিব শুধুই আমার ভালো বন্ধু।’
রেসি : ২০০৮ সালে বুলবুল জিলানীর ‘নীল আঁচল’ চলচ্চিত্রে নায়িকা হয়ে আসেন রেসি। প্রথমে এই নির্মাতা, পরে এক মডেল সর্বশেষ অভিনেতা ডিপজলের সঙ্গে রেসির প্রেম-বিয়ের গুঞ্জন ঢালিউডের বাতাস ভারি করেছে। অবশেষে ২০১২ সালে রেসি বিয়ে করেন এক ব্যবসায়ীকে। শেষ হয় রেসির প্রেম-অধ্যায়।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন