জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামমানবতা ও সাম্যের কবি, গানের বুলবুল জাতীয় কবি কাজী নজরুল
কাজী নজরুল ইসলাম
ইসলামের ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ২৭ আগস্ট। ঢাকায় তদানীন্তন পিজি হাসপাতালে (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) ১৯৭৬ সালের ২৭ আগস্ট (১৩৮৩ বঙ্গাব্দের ১২ ভাদ্র) চিরনিদ্রায় ঘুমিয়ে পড়েন কবি। দ্রোহে ও প্রেমে, কোমলে-কঠোরে বাংলা কাব্য ও সংগীতে এক নতুন মাত্রা সংযোজন করেছিলেন তিনি তাঁর অনন্য প্রতিভায়। সব রকমের অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে কবি ‘চির উন্নত মম শীর’ বলে আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। শোষিত-বঞ্চিত মানুষের মুক্তির জন্য তাঁর ক্ষুরধার লেখনী ছিল অব্যাহত। মানবতার মুক্তির পাশাপাশি সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতা, কুসংস্কার, কূপমণ্ডূকতার বিরুদ্ধেও ছিলেন সোচ্চার। মুক্তবুদ্ধি ও চিন্তার পক্ষে কলম ধরেছেন নির্ভীক চিত্তে। দারিদ্র্যের কশাঘাতে জর্জরিত হয়েও তিনি কখনো আপস করেননি। মাথা নত করেননি লোভ-লালসা, খ্যাতি ও অর্থবিত্তের বৈভবের কাছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁর গান, কবিতা সাহস ও প্রেরণা জুগিয়েছে দেশের মুক্তিকামী মানুষকে। তাঁর চেতনা ও আদর্শ চিরভাস্বর হয়ে আছে আমাদের জীবনে। ১৯৭২ সালে তৎকালীন সরকার তাঁকে জাতীয় কবির মর্যাদা দিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে আসে। কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ (১৮৯৯ সালের ১৪ মে) পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে। বাবা কাজী ফকির আহমেদ এবং মা জাহেদা খাতুন।
 
Top