এতদিন সুন্দরীর মাখন-মোলায়েম পিঠ আঁকড়ে পড়েছিল৷ এখন লেহেঙ্গার কোমর, পাল্লুর কোণা, চোলি -সালোয়ারের হাতা হয়ে ব্যাগ আর খোঁপাতেও ‘লটকন ‘৷ লটকনের গেরোয় আটকে আরও মোহময়ী
হওয়ার সন্ধান দিচ্ছেন উপালি মুখোপাধ্যায়
‘খলনায়ক ‘ ছবিতে সুভাষ ঘাই মোক্ষম প্রশ্ন ছুঁড়েছিলেন ধক্ধক্ গার্ল মাধুরীকে …’চোলিকে পিছে ক্যয়া হ্যায় ‘? বেচারী মরমে মরে গিয়ে উত্তর দিয়েছিলেন , ‘দিল হ্যায় মেরা ‘৷ এখন এই প্রশ্নটাই পাড়ার রিঙ্কি -পিঙ্কিকে করে দেখুন৷ ফটাফট উত্তর আসবে , ‘লটকন হ্যায় মেরা ‘৷ ব্যাপারটা তো তাই-ই৷ চোলি বা ব্লাউজের পিছনে কাঁধ বেয়ে কোমর পর্যন্ত অনেকদিন ধরে রাজত্ব চালাচ্ছে লটকন৷ তাতেই যেন পিঠের সৌন্দর্য ছলকে পড়ছে দ্বিগুণ হয়ে৷ এই পর্যন্ত ঠিক ছিল৷ এখন তো শরীর থুড়ি পোশাকের যেখানে -সেখানে হামলা চালাচ্ছে বস্ত্তটি৷ নির্লজ্জের মতো কী অনায়াস গতিবিধি !
লটকন
যাঁরা জানেন তাঁরা আরও একবার জানুন৷ যাঁরা জানেন না তাঁদের জানাই - লটকন কাপড়, রঙিন প্লাস্টিক ,মেটাল , ফাইবার , সুতোর একগুচ্ছ বিডস৷ নানা আকারে মেলে৷ সুযোগ বুঝে ঘ্যাম বাড়াতে পোশাক, অ্যাকসরিসে ব্যবহার করে ফেললেই হল৷
প্রথম দেখা মুম্বইয়ের মুমতাজ , শর্মিলা ঠাকুরদের আমলে তখন এর ভিন্ন রূপ৷ হয় সারা পিঠ জুড়ে সরু ফিতের ক্রিসক্রস বিনুনি , নয় ব্লাউজের পিছনে গোল বা পানপাতা ডিজাইনের সঙ্গে শুধুই কাঁধের কাছে জায়গা পেয়েছে৷ প্রিয়াঙ্কা চোপড়া , বিদ্যা বালন বা দীপিকা পাড়ুকোন তাকেই আরও আধুনিক চেহারা দিলেন৷ ডিপকাট বা ব্যাকলেস ব্লাউজের কাঁধ আর কোমরের অল্প ওপরে সরু ফিতের সঙ্গে দুলিয়ে দিলেন লটকন৷ কাঁধের লটকন পিঠেই থমকেছে৷ আরেকটা লম্বায় বেড়ে কোমর ছোঁওয়া৷ চলার ঠমকে দুলন্ত লটকনের ‘গরবিনী ‘ ভঙ্গি৷ আরবসাগরের সেই ফ্যাশন এখন গঙ্গাপাড়ের অলিতে-গলিতে৷ মোহ এমন-ই, শুধু রিঙ্কি-পিঙ্কি কেন তাদের মাসি-পিসি , মা -কাকিমা তাঁদের ফ্যাশানে স্থান দিয়েছেন জিনিসটাকে৷
আরও গভীরে যাও … ব্লাউজের সীমা পেরিয়ে ফ্যাশনের আরও গভীরে প্রবেশ করেছে লটকন৷ এখন লেহেঙ্গার কোমরের সরু স্ট্রিংয়ের তলায় শোভা বাড়াচ্ছে৷ শাড়ির আঁচলের কোণা কামড়ে পড়ে আছে বেহায়ার মতো৷ একরঙা কুর্তি বা সালোয়ারের বক্ষ -মাঝেও লটকন৷ ইয়ক বা শো -বোতামের বদলে৷ ওড়না , দোপাট্টার দুই কোণায় বা সারি দিয়ে লটকনের দখলদারি৷ একইভাবে ব্লাউজ ,কামিজের শর্ট স্লিভেও জমিয়ে ‘দিদিগিরি ‘ ফলাচ্ছে৷ অনেকে তো আরও একধাপ এগিয়েছেন৷ আহ্লাদেপণা করে হাত খোঁপায় গুঁজে নিচ্ছেন একে৷ পলকে খোঁপার সাধাসিধে লুকটাই উধাও। আউটিং , মার্কেটিং - যেখানে খুশি বেরিয়ে পড়ুন এই ক্যাজুয়াল অথচ ‘একটু অন্যরকম ‘ সাজে৷ ক্লাচ ব্যাগে মেটাল বা মোতির জাঁকালো লটকন লাগিয়েছেন তো? হাতে নিয়ে বেরিয়ে দেখুন৷ আপনি নন , আড় -নজরটা কাড়ছে ওই একরত্তি ব্যাগ!
সাধু সাবধান …!
মনের সুখে লটকে নিয়েছেন একগাদা লটকন ব্লাউজের পিছনে৷ মেটাল , প্লাস্টিক বা ফাইবারের বড় বিডস হলে কিন্ত্ত যখন -তখন কেলেঙ্কারি ঘটতে পারে৷ লটকনের ভারে ছিঁড়ে যেতে পারে পলকা , সরু ফিতের ফাঁস৷ তখন পাল্লু দিয়ে খোলা পিঠ ঢাকবেন কি না , আপনার ব্যাপার৷ ডিজাইনাররা বলছেন , কাপড়ের লটকন বেশি আটকালেও ছিঁড়ে পড়ার ভয় নেই৷ যেটা আছে বাকিগুলোয়৷ তাই সৌন্দর্য বাড়াতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনবেন না৷ বরং অল্পেই সন্ত্তষ্ট থাকুন৷ লটকনের আসল কাজ তো ডিপকাটের ব্লাউজকে আঁটো -স াঁটো করে জায়গা মতো ধরে রাখা , ফিতের মারফত৷ কুর্তি, কামিজে একের বেশি লটকন চলতেই পারে৷ তবে আকারে ছোট হওয়াই নিরাপদ৷ হাতায় বড় লটকন দুটোর বেশি মানায় না৷ ছোট হলে সারি দিয়ে লাগাতে পারেন৷ যেমন পারেন দোপাট্টা , ওড়না বা পাল্লুতে৷ লটকন -ফাঁসে আটকানো পোশাকের সঙ্গে সাজ হবে ইন্দো -ওয়েস্টার্ন৷ একটু চওড়া গয়না৷ ব্লাউজে এই ফ্যাশন থাকলে প্লিজ পিঠটাকে ঘষে -মেজে ঝকঝকে রাখবেন৷ নাহলে ব্লাউজ আর পিঠ -দুটোরই আকর্ষণ ‘গয়্যা কাম সে ‘৷
হওয়ার সন্ধান দিচ্ছেন উপালি মুখোপাধ্যায়
‘খলনায়ক ‘ ছবিতে সুভাষ ঘাই মোক্ষম প্রশ্ন ছুঁড়েছিলেন ধক্ধক্ গার্ল মাধুরীকে …’চোলিকে পিছে ক্যয়া হ্যায় ‘? বেচারী মরমে মরে গিয়ে উত্তর দিয়েছিলেন , ‘দিল হ্যায় মেরা ‘৷ এখন এই প্রশ্নটাই পাড়ার রিঙ্কি -পিঙ্কিকে করে দেখুন৷ ফটাফট উত্তর আসবে , ‘লটকন হ্যায় মেরা ‘৷ ব্যাপারটা তো তাই-ই৷ চোলি বা ব্লাউজের পিছনে কাঁধ বেয়ে কোমর পর্যন্ত অনেকদিন ধরে রাজত্ব চালাচ্ছে লটকন৷ তাতেই যেন পিঠের সৌন্দর্য ছলকে পড়ছে দ্বিগুণ হয়ে৷ এই পর্যন্ত ঠিক ছিল৷ এখন তো শরীর থুড়ি পোশাকের যেখানে -সেখানে হামলা চালাচ্ছে বস্ত্তটি৷ নির্লজ্জের মতো কী অনায়াস গতিবিধি !
লটকন
যাঁরা জানেন তাঁরা আরও একবার জানুন৷ যাঁরা জানেন না তাঁদের জানাই - লটকন কাপড়, রঙিন প্লাস্টিক ,মেটাল , ফাইবার , সুতোর একগুচ্ছ বিডস৷ নানা আকারে মেলে৷ সুযোগ বুঝে ঘ্যাম বাড়াতে পোশাক, অ্যাকসরিসে ব্যবহার করে ফেললেই হল৷
প্রথম দেখা মুম্বইয়ের মুমতাজ , শর্মিলা ঠাকুরদের আমলে তখন এর ভিন্ন রূপ৷ হয় সারা পিঠ জুড়ে সরু ফিতের ক্রিসক্রস বিনুনি , নয় ব্লাউজের পিছনে গোল বা পানপাতা ডিজাইনের সঙ্গে শুধুই কাঁধের কাছে জায়গা পেয়েছে৷ প্রিয়াঙ্কা চোপড়া , বিদ্যা বালন বা দীপিকা পাড়ুকোন তাকেই আরও আধুনিক চেহারা দিলেন৷ ডিপকাট বা ব্যাকলেস ব্লাউজের কাঁধ আর কোমরের অল্প ওপরে সরু ফিতের সঙ্গে দুলিয়ে দিলেন লটকন৷ কাঁধের লটকন পিঠেই থমকেছে৷ আরেকটা লম্বায় বেড়ে কোমর ছোঁওয়া৷ চলার ঠমকে দুলন্ত লটকনের ‘গরবিনী ‘ ভঙ্গি৷ আরবসাগরের সেই ফ্যাশন এখন গঙ্গাপাড়ের অলিতে-গলিতে৷ মোহ এমন-ই, শুধু রিঙ্কি-পিঙ্কি কেন তাদের মাসি-পিসি , মা -কাকিমা তাঁদের ফ্যাশানে স্থান দিয়েছেন জিনিসটাকে৷
আরও গভীরে যাও … ব্লাউজের সীমা পেরিয়ে ফ্যাশনের আরও গভীরে প্রবেশ করেছে লটকন৷ এখন লেহেঙ্গার কোমরের সরু স্ট্রিংয়ের তলায় শোভা বাড়াচ্ছে৷ শাড়ির আঁচলের কোণা কামড়ে পড়ে আছে বেহায়ার মতো৷ একরঙা কুর্তি বা সালোয়ারের বক্ষ -মাঝেও লটকন৷ ইয়ক বা শো -বোতামের বদলে৷ ওড়না , দোপাট্টার দুই কোণায় বা সারি দিয়ে লটকনের দখলদারি৷ একইভাবে ব্লাউজ ,কামিজের শর্ট স্লিভেও জমিয়ে ‘দিদিগিরি ‘ ফলাচ্ছে৷ অনেকে তো আরও একধাপ এগিয়েছেন৷ আহ্লাদেপণা করে হাত খোঁপায় গুঁজে নিচ্ছেন একে৷ পলকে খোঁপার সাধাসিধে লুকটাই উধাও। আউটিং , মার্কেটিং - যেখানে খুশি বেরিয়ে পড়ুন এই ক্যাজুয়াল অথচ ‘একটু অন্যরকম ‘ সাজে৷ ক্লাচ ব্যাগে মেটাল বা মোতির জাঁকালো লটকন লাগিয়েছেন তো? হাতে নিয়ে বেরিয়ে দেখুন৷ আপনি নন , আড় -নজরটা কাড়ছে ওই একরত্তি ব্যাগ!
সাধু সাবধান …!
মনের সুখে লটকে নিয়েছেন একগাদা লটকন ব্লাউজের পিছনে৷ মেটাল , প্লাস্টিক বা ফাইবারের বড় বিডস হলে কিন্ত্ত যখন -তখন কেলেঙ্কারি ঘটতে পারে৷ লটকনের ভারে ছিঁড়ে যেতে পারে পলকা , সরু ফিতের ফাঁস৷ তখন পাল্লু দিয়ে খোলা পিঠ ঢাকবেন কি না , আপনার ব্যাপার৷ ডিজাইনাররা বলছেন , কাপড়ের লটকন বেশি আটকালেও ছিঁড়ে পড়ার ভয় নেই৷ যেটা আছে বাকিগুলোয়৷ তাই সৌন্দর্য বাড়াতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনবেন না৷ বরং অল্পেই সন্ত্তষ্ট থাকুন৷ লটকনের আসল কাজ তো ডিপকাটের ব্লাউজকে আঁটো -স াঁটো করে জায়গা মতো ধরে রাখা , ফিতের মারফত৷ কুর্তি, কামিজে একের বেশি লটকন চলতেই পারে৷ তবে আকারে ছোট হওয়াই নিরাপদ৷ হাতায় বড় লটকন দুটোর বেশি মানায় না৷ ছোট হলে সারি দিয়ে লাগাতে পারেন৷ যেমন পারেন দোপাট্টা , ওড়না বা পাল্লুতে৷ লটকন -ফাঁসে আটকানো পোশাকের সঙ্গে সাজ হবে ইন্দো -ওয়েস্টার্ন৷ একটু চওড়া গয়না৷ ব্লাউজে এই ফ্যাশন থাকলে প্লিজ পিঠটাকে ঘষে -মেজে ঝকঝকে রাখবেন৷ নাহলে ব্লাউজ আর পিঠ -দুটোরই আকর্ষণ ‘গয়্যা কাম সে ‘৷
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন