লেখাপড়া শেষ করে প্রথম অফিসে যাব, ভাবতেই ভাল লাগছে, কোলবালিশ নিয়ে একবার এপাশ একবার অপাশ করছি। কখন যে ঘুমিয়ে পরেছি খেয়াল নেই। সকালে মা ডাকছে কিরে উঠবি না।
তাড়াতাড়ি উথে ফ্রেস হয়ে মাকে সালাম করে বেড়িয়ে পড়লাম। রাস্তার একটা দোকান থেকে কিছু টাকা পয়শা করে নিলাম। রাস্তায় ভিক্ষুক পেলে দিয়ে দিব কিন্তু অফিস যেতে মাত্র একজন থেকে দুইজন পেলাম। বুঝলাম না আজকে দিব আজকে নেই, যেদিন থাকে সেদিন কানের সামনে এসে ঘ্যান ঘ্যান করবে। যাই হোক পকেটের মধ্যে পয়সা গুলো খুব বাঝে শব্দ করছে। অফিসে ধুঁকলাম ধুকার পর অফিসের ম্যানেজার সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিল। সবাই হাশি মুখে কথা বললেও একজন বলল “হুম ঠিক আছে” যাই হোক নিজের রুম এ গিয়ে বসলাম। এমন সময় সেই “হুম ঠিক” আছে আমাকে পিয়নকে দিয়ে ডেকে পাঠায়। গিয়ে বসলাম।
- জি বলুন
= আপনার পকেটের পয়সা গুলো বের করুন।
- আপনি জানলেন কি করে?
= আপনি চাকরি করবেন কি করে এটাই তো ভাবছি (রাগী গলায়)
---- মামা এক গ্লাস পানি আনবে
পিয়ন মামা – জি আনছি
- আমি পয়সা গুলো বের করে টেবিল এর উপর রাখলাম।
গুনে বলল,
= আরো ৮২ টাকা দেন
- জি দিচ্ছি (মনে মনে বললামঃ এত দেখছি সাক্ষাত ছিনতাইকারী)
= এই পিয়ন মামা
---পিয়ন মামা (জি বলেন ম্যাডাম)
= জান লাভ ক্যান্ডির প্যাকেট নিয়ে আসেন
- আমি এখন যাই।
= না, উনি আসবেন। তারপর সবার হাতে দুইটা করে দিবেন আর যা বাকি থাকবে আমাকে দিয়ে যাবেন।
---------
যাই হোক এভাবে কয়েকদিন যাবার পর, হঠাৎ একদিন দেখি সে নেই। কি হোল উনি কই আজকে। ম্যানেজার সাহেবকে একটা ফাইল দেখাবার ছলে জিজ্ঞাসা করালাম ম্যাডাম কোথায়। স্যার বললেন – অর আজকে পরীক্ষা। তাই আসেনি। কোথায়?ও এম বি এ তে পরছে। তখন মনে মনে বললাম। আরে এত আমার থেকে ছোট। কিন্তু এত ভাব কেন এর। যাই হোক আজকে অফিস থেকে ছুটি নিয়ে বললাম আমার একটু তারাতাড়ি যেতে হবে। বাইক নিয়ে চলে গেলাম তার ইউনিভার্সিটির সামনে। খোজ নিয়ে জানলাম আরো ১৫ মিনিট লাগবে শেষ হতে।বাইরে একটা চার দোকানে অপেক্ষা করছি। অনেকেই বের হচ্ছে। হঠাৎ করে দেখালাম সে বের হচ্ছে। আমি কিছু একটার ভান করে তার সামনে দিয়ে হাটা শুরু করি যেন আমি তাকে দেখিনি। ঠিকি সে আমাকে ডেকে বসল কি ব্যাপার আপনি এখানে। আরে আপনি এখানে(দুধে ধোয়া তুলশি পাতা – যেন কিছুই জানি না)আমি এখানে পড়ি। অহ। সে বলল আপনি এখানে। আমি এসেছিলাম এদিকে একটা কাজ। শেষ করেছি। ক্ষুধা লেগেছে। তাই সামনে কোথাও বসব ভাবছি(আরে কিশের ক্ষুধা, তাকে সাথে নিয়ে কোথাও বসব, তাই একটু অভিনয়) যাই হোক আমি তাকে বললাম, আমার সাথে যেতাম। কি জানি কিছুক্ষণ ভেবে তারপর বলল ঠিক আছে। রেস্টুরেন্ট বসার পর শুরু হল দুইজনের ব্যাপারে জানা। খাওয়া দাওয়া শেষ করার পর, সে আমাকে বলল, আমি আসলে অফিসে যেরকম আসলে আমি এরকম না। আমি বললাম সে তো আপনার নাকের দুল দেখেই বুজেছি। আমার নাকের ছোট রিং আর চোখে কাজল খুব ভাল লাগে। সে একটু মৃদু হাসে। যাই হোক বিদায় দিল আমাকে। আমি চলে আসলাম। যাই হোক বাসায় যাবার পর সেদিনের পর থেকে আমাদের রেগুলার কথা হওয়া শুরু হয়। আস্তে আস্তে আমাদের সম্পর্কটা আরো গাঁড়ো হতে থাকে। আমরা যখন কখন এত কাছের হয়ে যাই খেয়াল করিনি।
ও আমাদের বাসায় আসত, আমার মার সাথে বাবার সাথে ওকে পরিচয় করিয়ে দেই। এভাবে প্রায় এক থেকে দুইবছর যাবার পর, হঠাৎ একদিন ওর ফোন বন্ধ। অফিসেও আসছে না। সবাই চিন্তায় পরে গেলাম। বাসায় গিয়ে দেখলাম ওরা নাকি এই বাসায় থাকে না, অল্প কিছু দিন আগে গ্রামে চলে গিয়েছে। কিন্তু গ্রাম কোথায় এইটা ও কোথাও লিখে যায়নি। অফিসের বায়োডাটায়। আমি অস্থির হয়ে পড়ি। আমার এরকম দেখে মা আমাকে জন্য মেয়ে দেখা শুরু করে। আমি মাকে কিছুই বলতে পারছি না। একটা মেয়েনাকি ইতি মধ্যে পছন্দ করে ফেলেছে। আমাদের গ্রাম এর একটা মেয়ে। আমি কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছিলাম না। আমি বিয়ে করব না বলে বাসা থেকে বাইরে ছিলাম প্রায় দুই থেকে তিন মাস। একসময় খবর পেলাম মা খুব অসুস্থ গ্রাম এ আছেন। আমি আর কিছু চিন্তা না করে ছুটে যাই। মা আমাকে আকরে ধরে বলে বাবা তুই আর অমত করিস না। আমি আর মার কথা না রাজি হয়ে পারলাম না। মেয়ে না দেখেই রাজি হয়ে গেলাম। বাসর রাতে বউ সাজে আমার বউ বসে আছে। আমি পাশে গিয়ে বসলাম।
বললাম,
- দেখ আসলে, আমি ইতি নামে একটা মেয়েকে ভালবাসি। আমাদের খুব ভাল একটা সম্পর্ক ছিল, কিন্তু হঠাৎ একদিন হারিয়ে গেল অনেক খুজেছি পাইনি। জানি না তোমাকে কতটা সুখি করতে পারব।
= হুম ঠিক আছে। আমার কাছে কিছু লাভ ক্যান্ডি আছে এখন খাবে।
- মানে।
আমি তারতাড়ি ঘোমটা উঠিয়ে দেই, দেখি সে। কিন্তু কিভাবে কি?
তখন ও আমাকে বলে, তোমার আম্মুর সাথে আমার পরিচয় আগে থেকেই, তুমি আমার অফিসে জয়েন করছ এটা আমি জানতাম। আমার জন্য ছেলে খুজা হচ্ছিল। তোমার ছবি দেখে আমি রাজি হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু তখন তুমি কিছুই করছিলে না। তার তখনই কিছু হচ্ছিল না। যাই হোক আমি কি একা একা খাব নাকি লাভ ক্যান্ডি। এত একা খাওয়া যাবে। শেয়ার কর এখন। আমি আজকে এক প্যাকেট কিনে রেখেছিলাম। সারারাত খাব আর আকাশের তারা গুনব।
তাড়াতাড়ি উথে ফ্রেস হয়ে মাকে সালাম করে বেড়িয়ে পড়লাম। রাস্তার একটা দোকান থেকে কিছু টাকা পয়শা করে নিলাম। রাস্তায় ভিক্ষুক পেলে দিয়ে দিব কিন্তু অফিস যেতে মাত্র একজন থেকে দুইজন পেলাম। বুঝলাম না আজকে দিব আজকে নেই, যেদিন থাকে সেদিন কানের সামনে এসে ঘ্যান ঘ্যান করবে। যাই হোক পকেটের মধ্যে পয়সা গুলো খুব বাঝে শব্দ করছে। অফিসে ধুঁকলাম ধুকার পর অফিসের ম্যানেজার সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিল। সবাই হাশি মুখে কথা বললেও একজন বলল “হুম ঠিক আছে” যাই হোক নিজের রুম এ গিয়ে বসলাম। এমন সময় সেই “হুম ঠিক” আছে আমাকে পিয়নকে দিয়ে ডেকে পাঠায়। গিয়ে বসলাম।
- জি বলুন
= আপনার পকেটের পয়সা গুলো বের করুন।
- আপনি জানলেন কি করে?
= আপনি চাকরি করবেন কি করে এটাই তো ভাবছি (রাগী গলায়)
---- মামা এক গ্লাস পানি আনবে
পিয়ন মামা – জি আনছি
- আমি পয়সা গুলো বের করে টেবিল এর উপর রাখলাম।
গুনে বলল,
= আরো ৮২ টাকা দেন
- জি দিচ্ছি (মনে মনে বললামঃ এত দেখছি সাক্ষাত ছিনতাইকারী)
= এই পিয়ন মামা
---পিয়ন মামা (জি বলেন ম্যাডাম)
= জান লাভ ক্যান্ডির প্যাকেট নিয়ে আসেন
- আমি এখন যাই।
= না, উনি আসবেন। তারপর সবার হাতে দুইটা করে দিবেন আর যা বাকি থাকবে আমাকে দিয়ে যাবেন।
---------
যাই হোক এভাবে কয়েকদিন যাবার পর, হঠাৎ একদিন দেখি সে নেই। কি হোল উনি কই আজকে। ম্যানেজার সাহেবকে একটা ফাইল দেখাবার ছলে জিজ্ঞাসা করালাম ম্যাডাম কোথায়। স্যার বললেন – অর আজকে পরীক্ষা। তাই আসেনি। কোথায়?ও এম বি এ তে পরছে। তখন মনে মনে বললাম। আরে এত আমার থেকে ছোট। কিন্তু এত ভাব কেন এর। যাই হোক আজকে অফিস থেকে ছুটি নিয়ে বললাম আমার একটু তারাতাড়ি যেতে হবে। বাইক নিয়ে চলে গেলাম তার ইউনিভার্সিটির সামনে। খোজ নিয়ে জানলাম আরো ১৫ মিনিট লাগবে শেষ হতে।বাইরে একটা চার দোকানে অপেক্ষা করছি। অনেকেই বের হচ্ছে। হঠাৎ করে দেখালাম সে বের হচ্ছে। আমি কিছু একটার ভান করে তার সামনে দিয়ে হাটা শুরু করি যেন আমি তাকে দেখিনি। ঠিকি সে আমাকে ডেকে বসল কি ব্যাপার আপনি এখানে। আরে আপনি এখানে(দুধে ধোয়া তুলশি পাতা – যেন কিছুই জানি না)আমি এখানে পড়ি। অহ। সে বলল আপনি এখানে। আমি এসেছিলাম এদিকে একটা কাজ। শেষ করেছি। ক্ষুধা লেগেছে। তাই সামনে কোথাও বসব ভাবছি(আরে কিশের ক্ষুধা, তাকে সাথে নিয়ে কোথাও বসব, তাই একটু অভিনয়) যাই হোক আমি তাকে বললাম, আমার সাথে যেতাম। কি জানি কিছুক্ষণ ভেবে তারপর বলল ঠিক আছে। রেস্টুরেন্ট বসার পর শুরু হল দুইজনের ব্যাপারে জানা। খাওয়া দাওয়া শেষ করার পর, সে আমাকে বলল, আমি আসলে অফিসে যেরকম আসলে আমি এরকম না। আমি বললাম সে তো আপনার নাকের দুল দেখেই বুজেছি। আমার নাকের ছোট রিং আর চোখে কাজল খুব ভাল লাগে। সে একটু মৃদু হাসে। যাই হোক বিদায় দিল আমাকে। আমি চলে আসলাম। যাই হোক বাসায় যাবার পর সেদিনের পর থেকে আমাদের রেগুলার কথা হওয়া শুরু হয়। আস্তে আস্তে আমাদের সম্পর্কটা আরো গাঁড়ো হতে থাকে। আমরা যখন কখন এত কাছের হয়ে যাই খেয়াল করিনি।
ও আমাদের বাসায় আসত, আমার মার সাথে বাবার সাথে ওকে পরিচয় করিয়ে দেই। এভাবে প্রায় এক থেকে দুইবছর যাবার পর, হঠাৎ একদিন ওর ফোন বন্ধ। অফিসেও আসছে না। সবাই চিন্তায় পরে গেলাম। বাসায় গিয়ে দেখলাম ওরা নাকি এই বাসায় থাকে না, অল্প কিছু দিন আগে গ্রামে চলে গিয়েছে। কিন্তু গ্রাম কোথায় এইটা ও কোথাও লিখে যায়নি। অফিসের বায়োডাটায়। আমি অস্থির হয়ে পড়ি। আমার এরকম দেখে মা আমাকে জন্য মেয়ে দেখা শুরু করে। আমি মাকে কিছুই বলতে পারছি না। একটা মেয়েনাকি ইতি মধ্যে পছন্দ করে ফেলেছে। আমাদের গ্রাম এর একটা মেয়ে। আমি কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছিলাম না। আমি বিয়ে করব না বলে বাসা থেকে বাইরে ছিলাম প্রায় দুই থেকে তিন মাস। একসময় খবর পেলাম মা খুব অসুস্থ গ্রাম এ আছেন। আমি আর কিছু চিন্তা না করে ছুটে যাই। মা আমাকে আকরে ধরে বলে বাবা তুই আর অমত করিস না। আমি আর মার কথা না রাজি হয়ে পারলাম না। মেয়ে না দেখেই রাজি হয়ে গেলাম। বাসর রাতে বউ সাজে আমার বউ বসে আছে। আমি পাশে গিয়ে বসলাম।
বললাম,
- দেখ আসলে, আমি ইতি নামে একটা মেয়েকে ভালবাসি। আমাদের খুব ভাল একটা সম্পর্ক ছিল, কিন্তু হঠাৎ একদিন হারিয়ে গেল অনেক খুজেছি পাইনি। জানি না তোমাকে কতটা সুখি করতে পারব।
= হুম ঠিক আছে। আমার কাছে কিছু লাভ ক্যান্ডি আছে এখন খাবে।
- মানে।
আমি তারতাড়ি ঘোমটা উঠিয়ে দেই, দেখি সে। কিন্তু কিভাবে কি?
তখন ও আমাকে বলে, তোমার আম্মুর সাথে আমার পরিচয় আগে থেকেই, তুমি আমার অফিসে জয়েন করছ এটা আমি জানতাম। আমার জন্য ছেলে খুজা হচ্ছিল। তোমার ছবি দেখে আমি রাজি হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু তখন তুমি কিছুই করছিলে না। তার তখনই কিছু হচ্ছিল না। যাই হোক আমি কি একা একা খাব নাকি লাভ ক্যান্ডি। এত একা খাওয়া যাবে। শেয়ার কর এখন। আমি আজকে এক প্যাকেট কিনে রেখেছিলাম। সারারাত খাব আর আকাশের তারা গুনব।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন