BY- অজানা পথিক
আমি আশা । বসে আছি নিজের ঘরে। আজ আকাশ টা মেঘলা এলোমেলো বাতাস বয়ছে। হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করছে পুরানো সব দিনে, জানি পারবনা তবু স্মৃতিতে তো নিজেকে হারাতে পারি ।
আজ থেকে পাঁচ বছর আগের কথা এমন এক দিনে দেখা হয় নীর এর সাথে। নীর আর আমি একই ভর্সিটিতে পড়তাম ও আমার সিনিয়ার ছিল আর নীলার বড় ভাই। ছোট থেকেই আমি খুব চঞ্চল ছিলাম আর জীবনের প্রতিটা সময় আনন্দে কাটাতাম । মা বাবার একমাএ মেয়ে বলে তারা কখন কোন কাজে বাঁধা দেয়নি। দেখতে দেখতে নীর এর সাথে আমার খুব ভাল বন্ধুত্ব হয়ে যায়। একটু শান্ত সভাবের ছিল ছেলেটা তাই ওকে খেপিয়ে বেশ মজা লাগত।
অর্পূব গানের গলা ছিল ওর, আমিও ঠিকঠাক গেয়ে নিতাম, দুজনে মিলে ভর্সিটি মাতিয়ে রেখেছিলাম। কিছু দিনের মধ্যে আমাদের এক নামে চিনতে লাগে সকলে। যে কোন অনুষ্ঠান আমাদের ছাড়া অপূর্ণ । আমরা এক সাথে বসে গান তুলতাম। মাঝে মাঝে লক্ষ্য করতাম নীর আমার দিকে মুগ্ধ নজরে তাকিয়ে আছে। আরে বাবা সামনে কি ভূত বসে আছে, নাকি গাধাটা আমার প্রেমে পরতে শুরু করল। যাই হোক, সামনে যাই থাকত ওটা দিয়ে ওর মাথায় একটা বারি দিয়ে বলতাম, কি দেখছিস? ও একটু হেসে বলত,কিছু না ।। হাসিতে এতো কৃপণতা কেন যে ছেলেটার । এই নীর তোর মুখে কি কোন সমস্যা আছে...? কেন রে... কি হয়ছে? না এভাবে হাসলি যেন বেশি হাসলে তোর দাঁত গুলো খুলে পরে যাবে। কেন তোর মত হি হি করে হাসব নাকি, যাতে আশেপাশে যারা আছে সবাই তাকিয়ে দেখে।
যা যা , এটা বল যে হাসতে জানিস না আমার হাসির দিকে নজর দিবি না।
ওকে নিয়ে প্রায় সপিং এ যেতাম। সত্যি বলতে ওকে সপিং এ নিয়ে যাওয়ার মজাটাই আলাদা, চুপচাপ আমার সাথে দাঁড়িয়ে থাকত আর আমি যতই দেরি করি না কেন কখনো রাগ করে চলে যেত না। ও সাথে থাকলে কখনো সপিং ব্যাগ আমাকে ধরতে হত না আর ওর পছন্দটাও ভাল ছিল ।
দেখতেও মোটামোটি ভালই ছিল, অনেক মেয়ে ওর আশেপাশে ঘুরাঘুরি করত কিন্তু নীর যেন ওদের দেখতই না এমন ভাব নিয়ে থাকত। কিরে কেউ আছে নাকি , থাকলে বলে দে নইলে ওদের থেকে কাউকে ঠিক করি....।ও হেসে বলত , অন্য কারও দরকার নেই তুই আছিস না, তোকে বিয়ে করব। আরে থাম থাম, তোকে কে বলেছে যে আমি তোর মত গাধাকে বিয়ে করব। দুনিয়ায কি আর কোন ছেলে নেই।
ভালই যাচ্ছিল দিনগুলো , একদিন আমরা লাইব্রেরীতে বসে ছিলাম যাবার সময় ওর একটা ডাইরি আমার বই এর সাথে আমার কাছে এসে য়ায,ওটা ওর পারসনাল ডাইরি ছিল। জানি ও জানলে খুব রাগ করবে , তবু জানিনা কেন আমি ডাইরি টা পড়া শুরু করি। ডাইরি তে শুধু আমার কথাই লেখা ,বুঝতে বাকি ছিলনা গাধাটা আমাকে পাগলের মত ভালবাসে । কিন্তু আমার পক্ষে ওর ভালবাসা শিকার করা সম্ভব নয়। প্রতিটা মেয়ে চায় কেউ তাকে পাগলের মত ভালবাসুক কিন্তু আমার কি ভাগ্য!! আমাকে যে পেয়েও হারাতে হবে।
নীর আমাকে আনেক বার বলার চেষ্টা করে ওর মনের কখা কিন্তু আমি ওকে থামিয়ে দেই, ওর থেকে দূরত্ব তৈরির চেষ্টা করি । কিন্তু 14 ফের্রুয়ারি এক গুচ্ছ লাল গোলাপ হাতে আমার সামনে আসে আর সব না বলা কথা গুলো বলে দেয়, যা আমি চাইনি ও কখনো আমাকে বলুক।
এসব কি বলছ নীর তুই আর আমি এক সাথে , তুই ভাবলি কি করে এটা কখনো সম্ভব । আমি তোর সাথে একটু হেসে খেলে কথা বলছি বলে তুই এসব ভেবে ফেললি। তুই তো দেখেছিস আমার জীবন কেমন, এসি ছাড়া ঘুমাতে পারি না , কখনো কিছু করার আগে ভাবিনি , যা ভাল লাগে সব পেয়ে যাই কখনো না শুনতে হয় না আমাকে। তোর পক্ষে আমার খরচ উঠানো সম্ভব না, আর তুই আমাকে বিয়ে করার স্বপ্ন দেখিস কি করে । নাকি আমার বাবার টাকায় এক লাফে বড়লোক হবার ইচ্ছা জেগেছে ।
আমার কথাগুলো শুনে ওর চোখ লাল হয়ে যায় ।ও আমাকে বলে এতোদিন এসব কি ছিল আশা ? এক দিন এর জন্য কি তোমার মনে আমার জন্য ভালবাসা জন্মে নি ? না !!! আমি তো গরিব ,তোদের মত ধনী না , আমার মত ছেলেকে এতদিন time দিয়েছিস এজন্য tnx … একখা বলে সে চলে যায় এক বারও ফিরে তাকায় না ।।
ঐ দিন এর পর থেকে কখনো দেখা হয়নি নীর এর সাথে , কখনে জানতেও দেয় নি কোথায় আছে কেমন আছে । আজ আমি ওর বিয়ের কার্ড হাতে বসে আছি,,,,,, সুনলাম অনেক ভাল চাকরি করে , বেশ ধনী ও এখন । জেনে ভাল লাগল নীর আজ সুখে আছে , জীবন সাথি খুঁজে পেয়েছে যে ওকে কখনো ছেড়ে যাবে না ।
নীর কখনো তোকে বলা হবে না, লাল গোলাপ হাতে সাদা শার্ট পরা ঐ দিন তোকে অনেক সুন্দর লাগছিল । হয়তো তুই কখনো জানতে পারবি না কতটা ভালবাসি আমি তোকে । তুই আমাকে যতটা ভালবাসিস এর চেয়ে আনেক বেশি , আনেক বেশি .....। সারা জীবন যেন কাঁদতে না হয় এজন্য ঐ দিন তোকে অনেক কাঁদিয়ে ছিলাম রে , হয়তো আমি তোর চেয়ে অনেক বেশি কেঁদেছিলাম । কিন্তু আমার যে আর কিছু করার ছিল না , ভালবাসা যে আমার জন্য নয় । ডাক্তার বলেছে বশি সময় নেই আমার কাছে, বেশি হলে আর তিন মাস।।। আমার জন্য যে কষ্টটা মা বাবা পাচ্ছে এ কষ্টটা আমি তোকে দিতে চাইনি । এ ক্যান্সার যে আমাকে বেশি দিন বাঁচতে দিবে না এটা আমার আগে থেকেই জানা ছিল । তাইতো তোকে আমার এ ছোট জীবনের সাথে জড়াতে চাই না । ভালবাসা কি এর মানে আমি জানি , তাই যাকে ভালবেসেছি তাকে সারা জীবন সুখি দেখতে চাই। জানি আমার ওই কথাগুলো তোকে প্রচন্ড কষ্ট দিয়েছিল, কিন্তু কি করব বল আমার এই সত্য জানলে যে আরও বেশি কষ্ট পেতি । আমার সাথে তোর জীবন টাও শেষ হয়ে যেত যা আমি দেখতে পারব না । দেখ নীর আমার কখাগুলো আজ তোকে কই পৌঁছে দিয়েছে । তোর জন্য না হয় আমি খারাপ আর স্বাথর্পর ই রইলাম । তুই ঠিকই বলেছিস, আমি পাষান , আমার কাছে মন নেই নেই .... কারন আমার মনটা আমি অনেক আগেই তোকে দিয়ে দিয়েছি । জানিস আমার আর কোন দু:খ নেই , কারন আমি জানি আমি সারা জীবন বেঁচে থাকব তোর মনে তোর হাসি হয়ে । এই আশার জীবনে এখন শুধ একটাই আশা , যাবার আগে তোকে দূর থেকে একবার দেখতে চাই । জানি তোর চোখে কখনো চোখ রাখতে পারব না , তোর কোন প্রশ্নের উওর আমার কাছে আজও নেই । শুধু বলতে চাই সুখে থাক
আমি আশা । বসে আছি নিজের ঘরে। আজ আকাশ টা মেঘলা এলোমেলো বাতাস বয়ছে। হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করছে পুরানো সব দিনে, জানি পারবনা তবু স্মৃতিতে তো নিজেকে হারাতে পারি ।
আজ থেকে পাঁচ বছর আগের কথা এমন এক দিনে দেখা হয় নীর এর সাথে। নীর আর আমি একই ভর্সিটিতে পড়তাম ও আমার সিনিয়ার ছিল আর নীলার বড় ভাই। ছোট থেকেই আমি খুব চঞ্চল ছিলাম আর জীবনের প্রতিটা সময় আনন্দে কাটাতাম । মা বাবার একমাএ মেয়ে বলে তারা কখন কোন কাজে বাঁধা দেয়নি। দেখতে দেখতে নীর এর সাথে আমার খুব ভাল বন্ধুত্ব হয়ে যায়। একটু শান্ত সভাবের ছিল ছেলেটা তাই ওকে খেপিয়ে বেশ মজা লাগত।
অর্পূব গানের গলা ছিল ওর, আমিও ঠিকঠাক গেয়ে নিতাম, দুজনে মিলে ভর্সিটি মাতিয়ে রেখেছিলাম। কিছু দিনের মধ্যে আমাদের এক নামে চিনতে লাগে সকলে। যে কোন অনুষ্ঠান আমাদের ছাড়া অপূর্ণ । আমরা এক সাথে বসে গান তুলতাম। মাঝে মাঝে লক্ষ্য করতাম নীর আমার দিকে মুগ্ধ নজরে তাকিয়ে আছে। আরে বাবা সামনে কি ভূত বসে আছে, নাকি গাধাটা আমার প্রেমে পরতে শুরু করল। যাই হোক, সামনে যাই থাকত ওটা দিয়ে ওর মাথায় একটা বারি দিয়ে বলতাম, কি দেখছিস? ও একটু হেসে বলত,কিছু না ।। হাসিতে এতো কৃপণতা কেন যে ছেলেটার । এই নীর তোর মুখে কি কোন সমস্যা আছে...? কেন রে... কি হয়ছে? না এভাবে হাসলি যেন বেশি হাসলে তোর দাঁত গুলো খুলে পরে যাবে। কেন তোর মত হি হি করে হাসব নাকি, যাতে আশেপাশে যারা আছে সবাই তাকিয়ে দেখে।
যা যা , এটা বল যে হাসতে জানিস না আমার হাসির দিকে নজর দিবি না।
ওকে নিয়ে প্রায় সপিং এ যেতাম। সত্যি বলতে ওকে সপিং এ নিয়ে যাওয়ার মজাটাই আলাদা, চুপচাপ আমার সাথে দাঁড়িয়ে থাকত আর আমি যতই দেরি করি না কেন কখনো রাগ করে চলে যেত না। ও সাথে থাকলে কখনো সপিং ব্যাগ আমাকে ধরতে হত না আর ওর পছন্দটাও ভাল ছিল ।
দেখতেও মোটামোটি ভালই ছিল, অনেক মেয়ে ওর আশেপাশে ঘুরাঘুরি করত কিন্তু নীর যেন ওদের দেখতই না এমন ভাব নিয়ে থাকত। কিরে কেউ আছে নাকি , থাকলে বলে দে নইলে ওদের থেকে কাউকে ঠিক করি....।ও হেসে বলত , অন্য কারও দরকার নেই তুই আছিস না, তোকে বিয়ে করব। আরে থাম থাম, তোকে কে বলেছে যে আমি তোর মত গাধাকে বিয়ে করব। দুনিয়ায কি আর কোন ছেলে নেই।
ভালই যাচ্ছিল দিনগুলো , একদিন আমরা লাইব্রেরীতে বসে ছিলাম যাবার সময় ওর একটা ডাইরি আমার বই এর সাথে আমার কাছে এসে য়ায,ওটা ওর পারসনাল ডাইরি ছিল। জানি ও জানলে খুব রাগ করবে , তবু জানিনা কেন আমি ডাইরি টা পড়া শুরু করি। ডাইরি তে শুধু আমার কথাই লেখা ,বুঝতে বাকি ছিলনা গাধাটা আমাকে পাগলের মত ভালবাসে । কিন্তু আমার পক্ষে ওর ভালবাসা শিকার করা সম্ভব নয়। প্রতিটা মেয়ে চায় কেউ তাকে পাগলের মত ভালবাসুক কিন্তু আমার কি ভাগ্য!! আমাকে যে পেয়েও হারাতে হবে।
নীর আমাকে আনেক বার বলার চেষ্টা করে ওর মনের কখা কিন্তু আমি ওকে থামিয়ে দেই, ওর থেকে দূরত্ব তৈরির চেষ্টা করি । কিন্তু 14 ফের্রুয়ারি এক গুচ্ছ লাল গোলাপ হাতে আমার সামনে আসে আর সব না বলা কথা গুলো বলে দেয়, যা আমি চাইনি ও কখনো আমাকে বলুক।
এসব কি বলছ নীর তুই আর আমি এক সাথে , তুই ভাবলি কি করে এটা কখনো সম্ভব । আমি তোর সাথে একটু হেসে খেলে কথা বলছি বলে তুই এসব ভেবে ফেললি। তুই তো দেখেছিস আমার জীবন কেমন, এসি ছাড়া ঘুমাতে পারি না , কখনো কিছু করার আগে ভাবিনি , যা ভাল লাগে সব পেয়ে যাই কখনো না শুনতে হয় না আমাকে। তোর পক্ষে আমার খরচ উঠানো সম্ভব না, আর তুই আমাকে বিয়ে করার স্বপ্ন দেখিস কি করে । নাকি আমার বাবার টাকায় এক লাফে বড়লোক হবার ইচ্ছা জেগেছে ।
আমার কথাগুলো শুনে ওর চোখ লাল হয়ে যায় ।ও আমাকে বলে এতোদিন এসব কি ছিল আশা ? এক দিন এর জন্য কি তোমার মনে আমার জন্য ভালবাসা জন্মে নি ? না !!! আমি তো গরিব ,তোদের মত ধনী না , আমার মত ছেলেকে এতদিন time দিয়েছিস এজন্য tnx … একখা বলে সে চলে যায় এক বারও ফিরে তাকায় না ।।
ঐ দিন এর পর থেকে কখনো দেখা হয়নি নীর এর সাথে , কখনে জানতেও দেয় নি কোথায় আছে কেমন আছে । আজ আমি ওর বিয়ের কার্ড হাতে বসে আছি,,,,,, সুনলাম অনেক ভাল চাকরি করে , বেশ ধনী ও এখন । জেনে ভাল লাগল নীর আজ সুখে আছে , জীবন সাথি খুঁজে পেয়েছে যে ওকে কখনো ছেড়ে যাবে না ।
নীর কখনো তোকে বলা হবে না, লাল গোলাপ হাতে সাদা শার্ট পরা ঐ দিন তোকে অনেক সুন্দর লাগছিল । হয়তো তুই কখনো জানতে পারবি না কতটা ভালবাসি আমি তোকে । তুই আমাকে যতটা ভালবাসিস এর চেয়ে আনেক বেশি , আনেক বেশি .....। সারা জীবন যেন কাঁদতে না হয় এজন্য ঐ দিন তোকে অনেক কাঁদিয়ে ছিলাম রে , হয়তো আমি তোর চেয়ে অনেক বেশি কেঁদেছিলাম । কিন্তু আমার যে আর কিছু করার ছিল না , ভালবাসা যে আমার জন্য নয় । ডাক্তার বলেছে বশি সময় নেই আমার কাছে, বেশি হলে আর তিন মাস।।। আমার জন্য যে কষ্টটা মা বাবা পাচ্ছে এ কষ্টটা আমি তোকে দিতে চাইনি । এ ক্যান্সার যে আমাকে বেশি দিন বাঁচতে দিবে না এটা আমার আগে থেকেই জানা ছিল । তাইতো তোকে আমার এ ছোট জীবনের সাথে জড়াতে চাই না । ভালবাসা কি এর মানে আমি জানি , তাই যাকে ভালবেসেছি তাকে সারা জীবন সুখি দেখতে চাই। জানি আমার ওই কথাগুলো তোকে প্রচন্ড কষ্ট দিয়েছিল, কিন্তু কি করব বল আমার এই সত্য জানলে যে আরও বেশি কষ্ট পেতি । আমার সাথে তোর জীবন টাও শেষ হয়ে যেত যা আমি দেখতে পারব না । দেখ নীর আমার কখাগুলো আজ তোকে কই পৌঁছে দিয়েছে । তোর জন্য না হয় আমি খারাপ আর স্বাথর্পর ই রইলাম । তুই ঠিকই বলেছিস, আমি পাষান , আমার কাছে মন নেই নেই .... কারন আমার মনটা আমি অনেক আগেই তোকে দিয়ে দিয়েছি । জানিস আমার আর কোন দু:খ নেই , কারন আমি জানি আমি সারা জীবন বেঁচে থাকব তোর মনে তোর হাসি হয়ে । এই আশার জীবনে এখন শুধ একটাই আশা , যাবার আগে তোকে দূর থেকে একবার দেখতে চাই । জানি তোর চোখে কখনো চোখ রাখতে পারব না , তোর কোন প্রশ্নের উওর আমার কাছে আজও নেই । শুধু বলতে চাই সুখে থাক
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন