তার চুলের দৈর্ঘ্য ৫৫ ফুট। রূপকথার র্যাপুঞ্জেলের কথা নয়, এটা যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টা
নিবাসী আশা ম্যান্ডেলার চুলের দৈর্ঘ্য। তিনি দীর্ঘতম চুলের বিশ্বরেকর্ডের মালিক। একটি বাসের থেকেও লম্বা তার চুল। ওজন ১৯ কেজিরও বেশি। ডাক্তাররা তাকে সাবধান করে দিয়েছেন, চুলের ভারে প্যারালাইসিস হবার সম্ভাবনা রয়েছে তার। তারপরও চুল কাটতে নারাজ আশা ম্যান্ডেলা। বরং সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, কখনই চুল কাটবেন না তিনি; তার দীর্ঘ চুল তার একটি অংশ। এটা তার জীবনের মতোই প্রিয়। তিনি বলেন, চুল কেটে ফেলা আর আত্মহত্যা করা একই কথা হবে। এক সন্তানের জননী ৪৭ বছর বয়সী আশা ম্যান্ডেলা তার দীর্ঘ চুলকে জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে মনে করেন। এমনকি পূর্বে ক্যান্সারের সাথে যুদ্ধ করে ফিরে আসা, দু’বার স্ট্রোক এবং দু’বার হার্ট এটাক উত্তরণ করার কৃতিত্বও তিনি তার চুলকেই দেন। অবিশ্বাস্য লম্বা চুলের কারণে বিশ্বব্যাপী তার ভক্তের সংখ্যাও দিন দিন বেড়েই চলেছে। ভক্তদেরকে নিরাশ করেননি আশা। নিজের গোপন হেয়ার ফর্মুলা জানিয়ে দিচ্ছেন তাদের। তার বিশাল চুল ধুয়ে শুকাতে ২দিন সময় লাগে। স্বভাবতই ভেজা অবস্থায় চুলের ওজন আরও বেড়ে যায়। তাছাড়া দরজার ফাকে আটকে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায় অথবা ময়লা আটকে যাওয়ার। বাসার বাইরে যেতে হলে তাকে ছোট বাচ্চাদের মত চুলকে বেণী করে বের হতে হয়। তার মনে একটিই ভয় থাকে, চুলের প্রতি আগ্রহ আছে এমন কেউ যদি তার অগোচরে চুলের এক গোছা কেটে ফেলে। ডাক্তাররা স্বাস্থ্যগত কারণে তাকে বারবারই চুল কেটে ফেলার পরামর্শ দিয়েছেন। ব্যাক্টেরিয়াল ইনফেকশন হবার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা। তবে তাদের সবথেকে বেশি উদ্বেগের কারন তার চুলের ওজন। আশা বলেন, ‘ডাক্তারদের ধারণা আমার মেরুদণ্ডের কিছুটা বাকা আকৃতি আমার চুলের দৈর্ঘ্য এবং ওজনের কারনে হয়েছে। অনেক ডাক্তার আবার বলেছেন আমার ঘাড় কিছুটা পেছনের দিকে ঝুকে গেছে এবং সতর্ক না থাকলে মেরুদণ্ডে টান পড়ে প্যারালাইজড হয়ে যেতে পারে।’ আশা ম্যান্ডেলার একমাত্র পুত্র সন্তান জাইওন (১১) তার ২য় স্বামীর ঘরের। বর্তমানে ৩য় স্বামীর ঘরে তিনি অনেক সুখে আছেন এবং ব্যক্তিগত জীবনে রোমান্সের ক্ষেত্রেও তার চুল সাহায্য করেছে বলে মন্তব্য করেন আশা। ২৫ বছর বয়স থেকে আশা চুল লম্বা করা শুরু করেন। তার মা অবশ্য কখনই এটা চাননি। তার ধারণা ছিল চুল এত বড় রাখলে তার মেয়ের নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকবে। ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার পর কেমোথেরাপি নেয়ার সময়ও আশা তার চুল কাটেননি বরং তার চুল দৈর্ঘ্য বেড়েই চলে। এক বন্ধুর পরামর্শে আশা গিনেস এর সাথে যোগাযোগ করেন। এবং ২০০৯ সালে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বের দীর্ঘতম কেশের অধিকারী হিসেবে ঘোষণা দেয় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস। গিনেসের আনুষ্ঠানিক পরিমাপ অনুযায়ী তখন তার চুলের দৈর্ঘ্য ছিল ১৯ ফুট ৬ ইঞ্চি। সমপ্রতি অনানুষ্ঠানিক এক পরিমাপে দেখা গেছে, তার চুলের একটি গোছার দৈর্ঘ্য ৫৫ ফুট ৭ ইঞ্চি যা কিনা রেকর্ডবুকে স্থান নেয়া দৈর্ঘ্যের প্রায় ৩ গুণ বেশি।
নিবাসী আশা ম্যান্ডেলার চুলের দৈর্ঘ্য। তিনি দীর্ঘতম চুলের বিশ্বরেকর্ডের মালিক। একটি বাসের থেকেও লম্বা তার চুল। ওজন ১৯ কেজিরও বেশি। ডাক্তাররা তাকে সাবধান করে দিয়েছেন, চুলের ভারে প্যারালাইসিস হবার সম্ভাবনা রয়েছে তার। তারপরও চুল কাটতে নারাজ আশা ম্যান্ডেলা। বরং সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, কখনই চুল কাটবেন না তিনি; তার দীর্ঘ চুল তার একটি অংশ। এটা তার জীবনের মতোই প্রিয়। তিনি বলেন, চুল কেটে ফেলা আর আত্মহত্যা করা একই কথা হবে। এক সন্তানের জননী ৪৭ বছর বয়সী আশা ম্যান্ডেলা তার দীর্ঘ চুলকে জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে মনে করেন। এমনকি পূর্বে ক্যান্সারের সাথে যুদ্ধ করে ফিরে আসা, দু’বার স্ট্রোক এবং দু’বার হার্ট এটাক উত্তরণ করার কৃতিত্বও তিনি তার চুলকেই দেন। অবিশ্বাস্য লম্বা চুলের কারণে বিশ্বব্যাপী তার ভক্তের সংখ্যাও দিন দিন বেড়েই চলেছে। ভক্তদেরকে নিরাশ করেননি আশা। নিজের গোপন হেয়ার ফর্মুলা জানিয়ে দিচ্ছেন তাদের। তার বিশাল চুল ধুয়ে শুকাতে ২দিন সময় লাগে। স্বভাবতই ভেজা অবস্থায় চুলের ওজন আরও বেড়ে যায়। তাছাড়া দরজার ফাকে আটকে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায় অথবা ময়লা আটকে যাওয়ার। বাসার বাইরে যেতে হলে তাকে ছোট বাচ্চাদের মত চুলকে বেণী করে বের হতে হয়। তার মনে একটিই ভয় থাকে, চুলের প্রতি আগ্রহ আছে এমন কেউ যদি তার অগোচরে চুলের এক গোছা কেটে ফেলে। ডাক্তাররা স্বাস্থ্যগত কারণে তাকে বারবারই চুল কেটে ফেলার পরামর্শ দিয়েছেন। ব্যাক্টেরিয়াল ইনফেকশন হবার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা। তবে তাদের সবথেকে বেশি উদ্বেগের কারন তার চুলের ওজন। আশা বলেন, ‘ডাক্তারদের ধারণা আমার মেরুদণ্ডের কিছুটা বাকা আকৃতি আমার চুলের দৈর্ঘ্য এবং ওজনের কারনে হয়েছে। অনেক ডাক্তার আবার বলেছেন আমার ঘাড় কিছুটা পেছনের দিকে ঝুকে গেছে এবং সতর্ক না থাকলে মেরুদণ্ডে টান পড়ে প্যারালাইজড হয়ে যেতে পারে।’ আশা ম্যান্ডেলার একমাত্র পুত্র সন্তান জাইওন (১১) তার ২য় স্বামীর ঘরের। বর্তমানে ৩য় স্বামীর ঘরে তিনি অনেক সুখে আছেন এবং ব্যক্তিগত জীবনে রোমান্সের ক্ষেত্রেও তার চুল সাহায্য করেছে বলে মন্তব্য করেন আশা। ২৫ বছর বয়স থেকে আশা চুল লম্বা করা শুরু করেন। তার মা অবশ্য কখনই এটা চাননি। তার ধারণা ছিল চুল এত বড় রাখলে তার মেয়ের নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকবে। ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার পর কেমোথেরাপি নেয়ার সময়ও আশা তার চুল কাটেননি বরং তার চুল দৈর্ঘ্য বেড়েই চলে। এক বন্ধুর পরামর্শে আশা গিনেস এর সাথে যোগাযোগ করেন। এবং ২০০৯ সালে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বের দীর্ঘতম কেশের অধিকারী হিসেবে ঘোষণা দেয় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস। গিনেসের আনুষ্ঠানিক পরিমাপ অনুযায়ী তখন তার চুলের দৈর্ঘ্য ছিল ১৯ ফুট ৬ ইঞ্চি। সমপ্রতি অনানুষ্ঠানিক এক পরিমাপে দেখা গেছে, তার চুলের একটি গোছার দৈর্ঘ্য ৫৫ ফুট ৭ ইঞ্চি যা কিনা রেকর্ডবুকে স্থান নেয়া দৈর্ঘ্যের প্রায় ৩ গুণ বেশি।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন