mobaile.messegesমুঠোফোনে ভুয়া ক্ষুদেবার্তা (ম্যাসেজ) দিয়ে কয়েকটি বিকাশ এজেন্টের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে
নিয়েছে একটি চক্র।

দুপচাঁচিয়া উপজেলায় গত কয়েকদিনে এ ধরনের অভিনব কায়দায় টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় বিকাশ এজেন্টরা শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। ফলে বিকাশের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করা নিয়ে গ্রাহক ও এজেন্টরা দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে পড়েছেন।

এজেন্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা সদরের তমা ইন্টারন্যাশনাল, আলম মোবাইল হাউজ, এসএম পত্রিকা ঘর, জিয়ানগরের খলিশ্বর বাজারের গোলাম মোস্তফাসহ কয়েকটি বিকাশ এজেন্টের মুঠোফোনে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে কল করে বলা হয় আপনার বিকাশ একাউন্টে টাকা পাঠালাম। আমার লোক এসে টাকা নিয়ে যাবে। এরপর বিকাশের অবিকল ম্যাসেজে ওই এজেন্টের মুঠোফোনে টাকার পরিমাণ আসে। সেই মোতাবেক ওই লোকের প্রতিনিধি এসে এজেন্ট থেকে পরিচয় দিয়ে টাকা তুলে নেয়। পরে ওই এজেন্ট তার ব্যালান্স চেক করে দেখে তার একাউন্টে বার্তার কোনো টাকা আসেনি। এভাবে গত কয়েকদিনে বিভিন্ন বিকাশ এজেন্ট মালিকরা একলাখ ত্রিশ হাজার টাকা খুইয়েছেন।

বিকাশ এজেন্ট মাসুদ রানা বলেন, মুঠোফোনে ম্যাসেজ দেখে বুঝার কোনো উপায় নেই, এটি ভুয়া ম্যাসেজ। ব্যালান্স চেক না করে এভাবে টাকা দিতে গিয়ে অনেক এজেন্ট প্রতারণার শিকার হয়েছেন।

বিকাশের টেরিটরি ব্যবস্থাপক (টিএম) আবু নাছের মুঠোফোনে বলেন, ‘আমরা এজেন্ট দেওয়ার সময় প্রশিক্ষণ দিয়ে এসব ব্যাপারে সতর্ক করেছি। প্রতি মাসে এজেন্টদের লিখিত নির্দেশনায় এসব বলা হয়। তারপরও কেউ প্রতারণার শিকার হলে আমাদের করার কিছু নেই।’

দুপচাঁচিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ জানান, গত কয়েকদিন আগে এ ধরনের প্রতারণার একটি অভিযোগ পেয়েছিলাম। ওই মোবাইলের নম্বর ধরে ক্ষতিগ্রস্তের টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
 
Top